অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
এদিন বাঘাযতীনে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘হরিয়ানার মাটি শক্ত। এখানে নরম। গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করতে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে পাকামো করতে গিয়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। পুরো বাড়ি ভেঙে ফেলা হবে। প্ল্যানমাফিক নতুন বাড়ি তৈরি হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছি আমরা।’ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের পর প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। তাতে লিফটিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার গাফিলতিকেই মূল কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে ভেঙে গিয়ে পুরোপুরি হেলে পড়ে একটি চারতলা বাড়ি। অভিযোগ, ডোবা বুজিয়ে এই আবাসন তৈরি হয়েছিল। সম্ভবত সে কারণেই মাটিতে বসে গিয়েছিল। আবাসনটি লিফটিং বা উঁচু করার জন্য হরিয়ানার একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা চার মাস ধরে কাজ করছে। এক পুরকর্তা বলেন, বাড়ির বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন ছিল না। লিফটিংয়ের কাজ করার সময়ও পুরসভাকে কিছু জানানো হয়নি। এ ধরনের কাজে ‘এক্সপার্ট ওপিনিয়ন’ (বিশেষজ্ঞ পরামর্শ) নেওয়ার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে কাজ করতে গিয়েই বিপর্যয় ঘটেছে। নিয়ম অনুযায়ী, মাটিতে বসে যাওয়া কিংবা হেলে পড়া বাড়ি বা আবাসন উঁচু করতে কিংবা সোজা করতে বাড়ির ভিত বরাবর চারপাশ কেটে ‘জ্যাক’ লাগানো হয়। যার মাধ্যমে বাড়ি উঁচু হয়। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাড়ির নীচে ভিতের চারদিকে কলাম বরাবর টাইবিম থাকে। সেই টাইবিমের নীচে এই জ্যাকগুলি লাগানোর কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে টাইবিমের উপর দেওয়ালের নীচের অংশ কেটে তার তলায় জ্যাক লাগানো হয়েছিল। এ পদ্ধতি পুরোপুরি ভুল। যার জেরে বাড়ির বাঁ দিকের একের পর এক কলাম পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। তারপর গোটা বাড়িটি ডানদিকে হেলে মাটিতে বসে যায়। একতলার ঘর ভেঙে পুরোপুরি বিধ্বস্ত বহুতলটি। এখনও আতঙ্ক কাটছে না এই আবাসনের বাসিন্দাদের। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবল শঙ্কায় তাঁরা।