অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক
যাঁদের ত্বক বরাবরই শুষ্ক তারা রং তোলার পর টাটকা
ঘৃত কুমারীর (অ্যালোভেরা) রসে পরিমাণ মতো বেসন মিশিয়ে দুই এক ফোঁটা মধু দিয়ে মিনিট কুড়ি মেখে থাকুন, এর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। এছাড়াও কাঠবাদাম, মধু ও লেবুর ফেসপ্যাক শুষ্ক ত্বকের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক
যাঁদের ত্বক তেলতেলে তার উপর রং মেখে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি ও গ্লিসারিনের সঙ্গে অল্প নুন মিশিয়ে মিনিট সাতেক হালকা স্ক্রাব করুন বা চালের গুঁড়োর সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে স্ক্রাব করলেও উপকৃত হবেন।
চুলের রং তুলতে দইয়ের প্যাক
চুলের রং তুলতে প্রথমে পর্যাপ্ত জলে চুল ধুয়ে ফেলুন তারপর টকদইয়ে লেবুর রস মিশিয়ে মিনিট দশেক প্যাকটি রাখুন।
এরপর প্রয়োজন হলে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন বা
আমলকী, রিঠা, শিকাকাই আগের রাতে জলে ভিজিয়ে চটকে সেই জল দিয়েও চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
ঠোঁটের রং তোলার ঘরোয়া উপায়
ঠোঁটের রং তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা দরকার। কারণ ঠোঁটের চামড়া বেশ সংবেদনশীল ও কোমল। তাই এক্ষেত্রে বারবার ঘষা একেবারেই অনুচিত। প্রথমে গ্লিসারিন ও লেবুর রস সমপরিমাণ মিশিয়ে নিন তারপর পরিষ্কার সুতির কাপড়ে বা তুলো দিয়ে আলতো করে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক পর উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
চোখ বাঁচান
দোল খেলার সময় সতর্ক হন চোখ নিয়ে। রং খেলার সময় রোদ চশমা বা চোখ ঢাকা থাকে এমন চশমা অবশ্যই ব্যবহার করুন।
অসাবধানবশত চোখে রং বা আবির পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জল দেওয়ার পরেও চোখ ফুলে থাকলে, চোখে জ্বালা ভাব থাকলে বা চোখ থেকে জল পড়তে থাকলে অবশ্যই চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দোল পরবর্তী ত্বকের সমস্যা সমাধানে ভেষজ উপাচার
রঙের খেলায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সব নিয়ম মেনে চলা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। আবার নিয়মের কঠিন বেড়াজালে বন্দী থাকলে দোলের পূর্ণাঙ্গ আনন্দ উপভোগে ভাটা পড়ে। আবার অনেকক্ষেত্রেই দোল পরবর্তী সময়ে অনেকেরই ত্বকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে রইলো কিছু মুষ্টিযোগ।
রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ রঙের প্রভাবে অনেক সময়
ত্বকের জ্বালাভাব দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গোলাপ জলে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্টের মতো করে নিন। এই মিশ্রণ কয়েকবার ব্যবহার করলেই অভূতপূর্ব ফল মেলে।
ত্বকের চুলকানি ও অ্যালার্জি দেখা দিলে নিম পাতা ও হলুদ বাটা ব্যবহার করুন।
রং মাখার ফলে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে রেহাই পেতে ঘৃতকুমারীর পাতার মধ্যবর্তী শাঁস বের করে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন মুখে মাখুন কয়েকদিন। এছাড়া পুদিনা পাতা বাটায় অল্প ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে সেই প্যাকও মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকে কালচে ছোপ পড়লে কুমকুমাদি তৈল তুলোয় করে রোজ রাতে ঘুমোনোর সময় আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। ফল মিলবে হাতেনাতে।
লিখেছেন আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ