অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হাবড়ায় রোড শো করার আগে স্বরূপনগরের বিজেপি প্রার্থী বৃন্দাবন সরকারের সমর্থনে তেঁতুলিয়া হাইস্কুল মাঠে জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, আমাদের একবার সুযোগ দিন। এই বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে দেব। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এদিন তিনি অনুপ্রবেশ নিয়েও তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন। এরপর বিকেলে তিনি হাবড়ার ১ নম্বর রেলগেট থেকে জয়গাছি নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত রোডশো করেন অমিত শাহ। এই রোড শোয়ের জন্য সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তার দু’দিকের বিদ্যুতের খুঁটি ও আলোকস্তম্ভে ব্যানার ও কাটআউট লাগায়। রাস্তার দু’দিকে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের পতাকা খুলে বিজেপির পতাকা লাগানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাবড়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন দুপুরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি হাবড়া১ বিডিও দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেন। তিনি বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোড শোয়ের জন্য নির্বাচনীবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে। হাবড়া শহরে বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তির উপর হোর্ডিং ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। ব্যক্তিগত জায়গায় আমাদের লাগানো ফ্ল্যাগ ও ফেস্টুন খুলে দেওয়া হয়েছে। কমিশনে সকাল থেকে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে আমি ধর্নায় বসেছি।
অন্যদিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, হাবড়া শহরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য তৃণমূল সরকারি জায়গা, ল্যাম্প পোস্ট ও ইলেকট্রিক পোস্টে ব্যানার, ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগিয়েছিল। সেসব এখনও লাগানো আছে। প্রচারের আলোয় থাকার জন্যই তৃণমূল এইসব করছে। চাল চোর, ত্রিপল চোরদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী বিডিও অফিসে ধর্নায় বসলে মানুষ খুশি হতো। তবে এদিন রোডশোয়ের শেষে চোংদা মোড়ের এক কমিউনিটি হলে বিশিষ্টজনদের সভা ও মছলন্দপুরে সাংগঠনিক সভা করার কথা থাকলেও সময়ের অভাবে অমিত শাহ তাতে অংশ নেননি।