অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়িকে এদিন সকাল থেকেই দেখা গেল হুড খোলা টোটোতে চেপে বালুরঘাট শহরের মহন্তপাড়া, পাওয়ার হাউস, মঙ্গলপুর, আর্য্য সমিতি, নাবাবঙ্গী, খরাইল যুবসংঘ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ওয়ার্ডে চক্কর কাটতে। এদিকে ছুটির দিনে প্রার্থীকে সামনে পেয়ে কাউকে হাত দেখাতে, আবার কাউকে দু’হাত জোড় করে নমস্কার করতে দেখা গেল। প্রার্থীকেও দু’হাত জোড় করে প্রতি নমস্কার জানাতে দেখা গেল। এদিন বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে টাউন যুব ও মহিলা সদস্যারা ছিলেন। এবিষয়ে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ি বলেন, বালুরঘাটের মানুষ খুবই সংস্কৃতিবান ও শ্রদ্ধাশীল। যখনই কাউকে নমস্কার জানাই, তিনি পাল্টা হেসে আমাকেও নমস্কার জানান। এই বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগে। এদিন প্রচারের শেষ রবিবার। তাই সকাল সকাল বালুরঘাটে প্রচার সেরে হিলির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
এদিকে তৃণমূল প্রার্থীর এদিন প্রচারের রুটিন বদল হওয়ায় সামান্য সমস্যা হয়। এদিন শেখর দাশগুপ্তের বালুরঘাটের কামারপাড়ায় প্রচারের কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দেবের জনসভার প্রস্তুতির কারণে সেই এলাকায় প্রচার চালানো সম্ভব হয়নি। তবে তিনি থেমে থাকেননি। ব্যক্তিগত ভাবে দলের পুরনো ও বসে থাকা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বিকেলে শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অর্থাৎ কংগ্রেস ভবন, আর্যসমিতি সহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারেন। এব্যাপারে শেখর দাশগুপ্ত বলেন, এদিন দেবের সভার জন্য কামারপাড়া এলাকায় আমাদের সব দলীয় কর্মীরা ব্যস্ত রয়েছে। তাই সেখানে আর যাওয়া হয়নি। তবে আমি নিজেই দলের পুরনো ও আমার কিছু ব্যক্তিগত মানুষের কাছে প্রচার করেছি। বিকেলে ফের শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার চালানো হয়। হাতে আর সময় নেই। তাই সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রচার করব।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আরএসপি প্রার্থী সুচেতা বিশ্বাস সকাল থেকেই বালুরঘাটের ডাঙ্গি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন। কোথাও কোথাও আবার পথসভা ও মিটিং সারেন। সকাল থেকেই কার্যত না খেয়েই প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পরে দুপুরের পরে খাওয়া দাওয়া সেরে ফের বেরিয়ে পড়েন। বালুরঘাটে কলেজ মোড় হয়ে পাওয়ার হাউস ও উত্তমাশা হয়ে একটি রোড শো’তেও অংশ নেন। সুচেতা বিশ্বাস বলেন, এদিন শেষ রবিবার। তাই প্রচুর চেনা জানা মানুষের দেখা পাচ্ছি। এই শহরের সব মানুষই আমার চেনা। অনেকেই এসে কথা বলছেন। তাই খাওয়া দাওয়া করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেরি হলেও কিছু করার নেই। মানুষের এই ভালোবাসা আর আশীর্বাদই আমার কাছে অনেক বড়।
প্রসঙ্গত, সামনেই ভোট, তার আগে সব দলই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে সকলের। প্রার্থীদের মুখে মাস্ক থাকলেও কর্মী-সমর্থকদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। ভোটের পরে কোভিড সংক্রমণ কোন দিকে যায় তা নিয়ে চিন্তায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।