Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

ভোট যত এগচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’ মনোভাবটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির দাবি মেনে রেকর্ড লোকলস্কর নামিয়েও হিংসামুক্ত রাখা গেল না পঞ্চম দফার ভোটকে। এর আগের দফায় শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে চার ভোটারের মৃত্যু ইতিমধ্যেই বাংলার নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে বাহিনী সেখানে ভোটারের প্রাণ নিয়েছে। ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে তা কালো অধ্যায় হিসেবেই লেখা থাকবে চিরদিন। সেই রেশ বজায় রেখেই শনিবারের ভোটেও হাতাহাতি, বোমা নিক্ষেপ, সংঘর্ষ, গুলি সবই চলল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাক্ষী রেখেই। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, তাহলে করোনার এই ভয়ঙ্কর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও রেকর্ড আট দফায় ভোট চাপিয়ে দিয়ে বাংলার মানুষের কী উপকার করল গেরুয়া বাহিনী। চার নিরীহ ভোটদাতার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার বদলে তাঁদের জীবন কেড়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনও প্রাপ্তি হয়েছে কি? অমিত শাহের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাইছেন বাংলার মানুষ। তাঁরা জানতে চান, একমাসেরও বেশি সময় ধরে লক্ষাধিক বহিরাগত জওয়ানকে নিয়ে এসে ঠিক কোন উদ্দেশ্যপূরণ করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এ তো নির্বাচনের নামে সরাসরি মোদি-অমিত শাহের আর একটা জুমলা। ভাবটা এমন, চুলোয় যাক মানুষ আমার শুধু ক্ষমতা চাই!
আমার এক প্রবাসী দাদা বাংলা নববর্ষে ফোন করে প্রশ্ন করছিল, এই যে যুদ্ধের দামামা বাজানো বিস্ফোরক ভোটটা চলছে তাতে রাজ্যের মানুষ কী পেল। ‘সুনার বাংলা’র স্বপ্ন ফেরি করা বহিরাগতরা রবীন্দ্রনাথ-নেতাজির বঙ্গভূমিকে কতটা আপ্লুত করতে সক্ষম হল। আমার উত্তরটা ছিল সহজ। অবিশ্বাসের বিষ আর পরতে পরতে বিভাজন ছাড়া আজ পর্যন্ত মেলেনি কিছুই। উল্টে এই বিষ স্রোত সবাইকে একে অপরের শত্রুতে পরিণত করেছে। সঙ্গে বিপন্ন হয়েছে গণতন্ত্রটাও। উন্নয়নের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে ন্যক্কারজনক ‘বেগম’ তাস খেলতেও পিছপা হয়নি বেইমানরা। অথচ এই নজিরবিহীন পাপাচারের বিরুদ্ধে তেমন কোনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দিলীপ ঘোষ বুক লক্ষ্য করে গুলি করার নিদান দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামুলি ব্যবস্থা নিয়েই দায় চুকিয়েছে কমিশন। নিশ্চয়ই এবারের ভোটে একই দোষে দু’রকম শাস্তির প্রাপ্তিটাও একেবারে হেলাফেলার নয়। ওই যে কথায় বলে একজন ভালো মানুষ অনেক সুখস্মৃতি উপহার দেন, আর খারাপ মানুষ দেন তিক্ত অভিজ্ঞতা!
সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার তালিকাটা কিন্তু বেশ বড়। এবারের নির্বাচন থেকে এখনও পর্যন্ত আমরা পেয়েছি একঝাঁক দলবদলু নেতা। সমাজটাকে পঙ্কিল নর্দমায় পরিণত করে জাতপাত আর ধর্মের নামে জেলা থেকে গ্রাম আড়াআড়ি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের অভিশাপ, যা এই বাংলায় কখনও ছিল না। ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও বেনজির আট দফা নির্বাচনকে রাজ্যের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার মতো মস্ত প্রহসন। যার পিছনে সঙ্গত কোনও কারণ ছিল না। আর আজ যখন দ্বিতীয় ঢেউ মানুষকে নতুন করে বিপন্ন করেছে, তখন বলা হচ্ছে, দেড় হাজার কোম্পানি বাহিনী ছাড়া নাকি শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। এর চেয়ে বড় প্রহসন আর কিছু হতে পারে? যদি প্রচারের সময় কমানো যেতে পারে, যদি প্রার্থী মারা গেলে ভোট বন্ধ করা যেতে পারে, তাহলে জরুরি পরিস্থিতিতে শেষ তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে করা যাবে না কেন? কার স্বার্থে? মানুষ আগে না ভোট, ক্ষমতা দখল আগে? সর্বোচ্চ স্তরের এই উদাসীনতা বাঙালিকে আষ্টেপৃষ্ঠে মারণ ভাইরাস দিয়ে কাবু করারই নোংরা ষড়যন্ত্র বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। সেই দিক দিয়ে সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্রের সঙ্গে বাংলার মানুষের অধিকারও আজ ভূলুণ্ঠিত!
তবে এখানেই শেষ নয়। এবারের নির্বাচনে বাঙালির ‘প্রাপ্তি’র তালিকাটা নজিরবিহীনভাবে দীর্ঘ। কোনও সমস্যার সমাধান নয়, রান্নার গ্যাসের দাম কমানো নয়, কোনও উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা নয়, দেশের হাজারো সঙ্কটকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিকটু ডেলি প্যাসেঞ্জারি দেখেছে বাংলা। উদ্দেশ্য শুধুই ক্ষমতা দখল। এ কাজে সঙ্গী হয়েছে যাবতীয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তর। এভাবেই বাংলা দখলের লড়াইকে পদে পদে কার্যত বাংলা ও বাঙালি বিরোধী যুদ্ধে পরিণত করেছে অমিত শাহরা। সেই সঙ্গে আছড়ে পড়ছে জলের মতো কালো টাকার স্রোত। নিমেষে যা ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। অথচ যাঁদের বিষয়টা দেখার কথা তাঁরা দেখেও দেখছেন না কিছুই। তাহলে অবজার্ভার, পর্যবেক্ষকদের কাজটা কী, উত্তর মেলে না। অনেক গরিব মানুষ আক্ষেপ করে বলেছেন, লকডাউনের সময় এরা কোথায় ছিল। এদের টিকিটা কেন একবছর আগের সেই দুর্দিনের সময় দেখতে পায়নি বাংলার মানুষ? তাহলে শত শত পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা অন্তত একটু হলেও কমত। উম-পুনের ক্ষতটাও এত গভীর হতো না।
একজন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রীর ভাষা কখনও নিম্নরুচির হতে পারে কি, এ প্রশ্নও করার জন্যও আজ ফুঁসছে বাঙালি। ৬৫ বছরের এক বাঙালি জননেত্রীকে হারাতে প্রতিটি সভায় দেশের প্রধানমন্ত্রী বিষ মাখানো ’দিদি, ও দিদি’ তীরটা ছুড়ে দেওয়ার অসৌজন্যটাই দেখাচ্ছেন বুক ফুলিয়ে। ঠিক যেন বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে এক অকুতভয় জখম পা নিয়ে লড়াই করা নেত্রীর দিকে। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এটাই কি ভারত সরকারের একনম্বর পদাধিকারীর গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে! শুধু একবার নয়, বারে বারে, জনসভা পিছু কখনও শতবার, কখনও তারও বেশিবার ‘দিদি, ও দিদি’ ডাকের নারকীয় অসভ্যতা চলছে। এভাবে গোটা রাষ্ট্রশক্তিকে নামিয়ে বাঙালিকে পর্যুদস্ত করার এমন নজির আগে আর কোনও নির্বাচনে বাঙালি দেখেছে, মনে করতে পারছেন না প্রবীণরাও। গত চার দশকের বারবার ভোটে জিতে আসা জননেত্রীকে অসম্মান করার এমন নজির ভূভারতে আর ক’টা আছে জানা নেই। তোতাপাখি সিবিআইয়ের টাস্ক ছিল ভোটের আগে কিংবা নির্বাচন চলাকালীন নেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বড় কোনও নেতাকে জেলে পোরা। অনেক চেষ্টা করেও তাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ভোট মিটলে তার চড়া খেসারত দিতে হতে পারে তদন্তকারী সংস্থার কেষ্টবিষ্টুদের। কিন্তু অমিত শাহের কেন্দ্রীয় বাহিনী যে নিরপেক্ষতা রক্ষার বদলে ভোটারদেরই রক্ত ঝরাচ্ছে তার দায় কে নেবে? এর জবাব ভোট মিটলে দিতেই হবে।
সবচেয়ে দুঃখের কথা, গত ১০ এপ্রিলের নির্বাচনে শীতলকুচিতে ঠিক কী ঘটেছে, আজ এক সপ্তাহ কেটে গেলেও আমরা পরিষ্কার করে জানি না। ঘটনা নিয়ে নানা মহল নানা কথা বললেও কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রামাণ্য তথ্য, নথি আজ এক সপ্তাহ পরও নির্বাচন কমিশন দিতে পারল না কেন, এই প্রশ্ন ওঠা কি খুব অস্বাভাবিক। এত অবজার্ভার, মাইক্রো অবজার্ভার, পুলিস কর্তা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসার সবাই মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরকার কেন এতদিন পরও কোনও ফুটেজ দিতে পারল না। বলতে পারল না, দেখুন ঠিক এটাই ঘটেছে সেদিন। উল্টে ৭২ ঘণ্টা জেলায় নেতানেত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নানা জল্পনার জন্ম দিল! অভিযোগ উঠল এটা কি গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়। ভোট পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন সবার উপরে। তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতাকে পূর্ণ সম্মান দিয়েই বলি, যার হাতে ক্ষমতা তার উপরই যাবতীয় দায়ও বর্তায়! মানুষের মন থেকে সন্দেহ নিরসনের দায়িত্বও কিন্তু কমিশনের উপরই বর্তায়। কেন ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে সেদিন তা কার্যকর হয়নি। এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু বাংলার মানুষ চায়। কোনও সাংবিধানিক সংস্থাকে অসম্মান না করেই চায়। এ ব্যাপারে গাফিলতি কার, তা চিহ্নিত করে কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতেই হবে। কেন ওই ঘটনার বিভিন্ন বেসরকারি ভিডিও বাজারে বেরলেও সর্বজনগ্রাহ্য কোনও সরকারি ফুটেজ এখনও দেওয়া গেল না, তা কর্তব্যরত ডিএম ও এসপিকে জানাতে হবে। ভোট মিটলেও বাংলার মানুষ কিন্তু উত্তর না নিয়ে এত সহজে ছাড়বে না।
এবারের ভোটযুদ্ধকে এক বাঙালি মহিলার সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তির লড়াই বললেই  সব শেষ হয়ে যায় না। যেটা ঘটছে তার প্রেক্ষিতটা কিন্তু আরও বড়। বলা ভালো, বাংলার পবিত্র নারী সত্ত্বার সঙ্গে বহিরাগত এক সর্বগ্রাসী শত্রুর যুদ্ধ দেখছে গোটা দেশ। উপলক্ষ্য একটা সামান্য নির্বাচন। কিন্তু এই একটা উপলক্ষ্যই সব হিসেব বদলে দিয়েছে। এই প্রশ্ন আগেও রেখেছি, ভোট মিটলে, ফল প্রকাশ হলে নতুন সরকার গড়ার পরও আমাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতাটা অটুট থাকবে তো? আমরা যেন এমন কিছু করে না ফেলি যাতে এই রাজ্যটার চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। সবাই সবার শত্রুতে পরিণত হয়ে না যাই। বিগত দশ বছরে প্রায় সব বিরোধীদলের কোমর ভেঙে গিয়েছে। অধিকাংশ আঞ্চলিক শক্তিই নিজের নিজের এলাকায় দুর্বল হয়েছে কিংবা মুছে গিয়েছে। বেঁচে আছেন শুধু দিল্লির কেজরিওয়াল। মহারাষ্ট্রের উদ্ধব থ্যাকারে আর অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানার কিছু আঞ্চলিক দল। তাই যে কোনওমূল্যে আগামী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। উল্টে বাংলাকে বাঁচিয়ে সবার উপর মানুষই সত্য, গণতন্ত্রের এই জয়ডঙ্কাকে আর একবার সূর্যের আলোয় প্রতিষ্ঠা করবে আগামী ২ মের ফলাফল!
18th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM