Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্টির নাম নাকি ভারতীয় জনতা পার্টি। লোকে বলে, ভারতবর্ষের সবচেয়ে ধনী দল বিজেপি। সেই দলের কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারের হাল এরাজ্যের সরকারি বাসের চেয়েও করুণ হয় কী করে, সেটাই মাথায় ঢুকছে না। কখনও অমিত শাহের, কখনও জে পি নাড্ডার কপ্টার বিগড়ে যাচ্ছে। এসব দেখে অনেকে বলছেন, বিজেপির কপ্টারগুলি একটু বেশিই উন্নত! তাতে নাকি বিশেষ ধরনের ‘সেন্সর’ লাগানো আছে। সভায় লোকজন কম হলে কিছুতেই উড়তে চায় না। তাতে অবশ্য বিজেপির লাভই হচ্ছে। ‘নন্দ ঘোষ’ কপ্টারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নেতাদের মুখ রক্ষার চেষ্টা চলছে। তবে, ভোটের মুখে বিজেপির সভা বাতিল দেখে অনেকেই কটাক্ষ করছেন, অমিতজির ২০০ আসনের উড়ানেরও একই হাল হবে না তো! 
রাজ্যে তিনভাগের একভাগ আসনে নির্বাচন হয়েছে। এখন থেকেই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এমন হুঙ্কার ছাড়ছেন যাতে মনে হচ্ছে, বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেই ফেলেছে। একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে, প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাদ দিয়ে বিজেপির অন্য মিছিল মিটিংগুলিতে যা ভিড় হচ্ছে, তাতে ভোটে লড়াই করে জেতা কঠিন। সেই জন্যই বিজেপি নেতারা নার্ভের লড়াইয়ে জিততে চাইছেন। তাঁরা প্রতিটি সভায় একটা কথাই বলছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন।’ এটা যে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা, সেটা নতুন করে বলার দরকার নেই। 
লক্ষণীয়, বিজেপি নেতৃত্ব সব সময় তাদের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তার জন্য কখনও এনআরসি, কখনও সিএএ, কখনও ৩৫৬ ধারা জারির হুজুগ তুলে বাজার গরম করেছে। একটা সময় জরুরি অবস্থা জারি করে ভোটের দাবিতে বঙ্গের বিজেপি নেতারা ঘন ঘন দিল্লি ছুটেছিলেন। এমনকী, মহামহিমও কথায় কথায় দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যাঁদের সংবিধান এবং আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান আছে তাঁরা সকলেই জানতেন, এরাজ্যে কিছু঩তেই ৩৫৬ ধারা জারি হবে না। তবুও বিজেপি নেতারা বলতেন। কারণ কর্মীদের চাঙ্গা করার এছাড়া অন্য কোনও রাস্তা তখন ছিল না। যে দলে সংগঠন পলকা, সেখানে ‘হাওয়া’ই ভরসা।
বিজেপি নেতারা এরাজ্যে প্রথম থেকে সেই ‘হাওয়া’ তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন ঘোষণার মুখে অমিত শাহ দুম করে দাবি করে বসলেন, এবার বঙ্গে ২০০-র বেশি আসন বিজেপি দখল করবে। অমিতজি যখন এই দাবি করছেন তখন প্রার্থী নিয়ে বিজেপির হাঁড়ির হাল অবস্থা। এক সঙ্গে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার হিম্মত নেই। অথচ ২০০ আসন দখলের দাবি। একেই বোধহয় বলে, ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা।
বিজেপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে প্রায় বছর তেরো আগের একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। এমএ পার্ট-১ পরীক্ষায় সেবার দু’জন ছাত্র ফার্স্ট ক্লাসের চেয়েও অনেক বেশি নম্বর পেল। দু’জনই ভালো বন্ধু। যে কিছুটা বেশি নম্বর পেয়েছিল সে একটু সহজ সরল, মারপ্যাঁচ বোঝে না। সে তার বন্ধুকে নানাভাবে সাহায্যও করত। পার্ট-টুর পরীক্ষা শুরু হল। প্রথম পরীক্ষাটা দু’জনেরই ভালো হল। দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন বেশ কঠিন। কেউই কমন পেল না। পরীক্ষা শেষে বেশি নম্বর পাওয়া বন্ধুটি বলল, ‘প্রশ্ন কমন পাইনি। পরীক্ষা ভালো হয়নি।’ 
দ্বিতীয় ছাত্রটির পরীক্ষা ভালো না হওয়া সত্ত্বেও বলল, ‘স্যার যা পড়িয়েছিলেন তার বাইরেও কিছু পড়েছিলাম। তাতে কমন পেয়েছি।’ ভালো ছাত্রটি মুষড়ে পড়ল। ভাবল, তার আর ইউনিভার্সিটি টপার হওয়া হল না। তৃতীয়পত্রের প্রশ্নও কঠিন হল। প্রথম বন্ধুটি বলল, ‘পরীক্ষা ভালো হয়নি। ভাবছি, এবার ড্রপ দেব।’ উত্তরে দ্বিতীয় বন্ধু জানাল, তার পরীক্ষা বেশ ভালো হয়েছে। প্রথম বন্ধু মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল। সে আর চতুর্থপত্রের পরীক্ষাই দিল না।
রেজাল্ট বের হওয়ার পর দেখা গেল, পার্ট-১ পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা ছাত্রটি তিনটি পেপারেই তার বন্ধুর চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। কিন্তু, চতুর্থ পেপারে পরীক্ষা না দেওয়ায় রেজাল্ট অসম্পূর্ণ। ফলে তার বন্ধুই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে গেল। 
লোকজনের অভাবে একের পর এক সভা বাতিলের পরেও বিজেপি নেতাদের বঙ্গ জয়ের দাবি দেখে বারবার দ্বিতীয় বন্ধুটির কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্ব নার্ভের খেলায় জিততে চাইছে। বছরভর পড়াশোনা করা ছাত্রের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষকে সার্ভিস দিয়ে গিয়েছে। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। আর বিজেপি? কখনও নোট বাতিল, কখনও জিএসটি, কখনও আধারকার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণ, কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্যানকার্ড যুক্ত করার মতো একের পর এক ঝামেলায় মানুষকে নাকাল করেছে। বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই’য়ের মতো। একটা করে নতুন নিয়ম চালু করে মানুষকে কেবল হয়রান করেছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে করের বোঝা চাপিয়েছে। তাই বিজেপি নেতাদের মুখে আর ‘আচ্ছে দিনের’ কথা শোনা যায় না। এখন নতুন স্লোগান, ‘সুনার বঙ্গাল’।
কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা, সিবিআই, ইডিকে প্রয়োজন মতো ব্যবহারের সুবিধে পুরোমাত্রায় কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, অসমেও তারা কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীর উপর প্রবল চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে। তৃতীয় দফায় ৪০টি আসনে নির্বাচন হওয়ার আগেই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ দাবি করেছেন, দ্বিতীয় দফার ভোটেই তাঁরা অসমে সরকার গড়ার সংখ্যা অর্জন করে ফেলেছেন। অথচ বাস্তবটা হল, এনআরসি ইস্যুতে অসমে বিজেপি প্রবল চাপে রয়েছে। বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ‘মহিমা’ও অসমের মানুষ টের পাচ্ছেন। সেই ধাক্কা উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাতেও বিজেপি খাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
বঙ্গে নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও খুনোখুনি। এটা রাজ্যের ট্র্যাডিশন। কিন্তু আগে প্রার্থীরা আক্রান্ত হতেন না। তাঁদের সকলেই সমীহ করত। এবার হাজার হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় ও আট দফায় ভোট হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, কোনও অশান্তি হবে না। কেউ ট্যাঁ ফোঁ করতে পারবে না। কিন্তু ঘটছে ঠিক তার উল্টোটা। 
এবার প্রথম থেকেই প্রার্থীর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এর জন্য রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক কথাবার্তাকেই অনেকে দায়ী করছেন। নেতাদের উত্তেজক ভাষণ শুনে কর্মীদের রক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। প্রার্থী, নেতা, পুলিস, কেন্দ্রীয় বাহিনী যাকে পাচ্ছে তাকেই পিটিয়ে দিচ্ছে। অনেকে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কমিশন পদক্ষেপ না নেওয়ায় মস্তানরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। 
ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’। রাজনৈতিক দলগুলির এখনই সতর্ক হওয়া দরকার। তা না হলে ২ মে’র পর রাজ্যে ‘রক্তগঙ্গা’ বওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। 
আট দফায় ভোট। হাজার হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী। উদ্দেশ্য একটাই, শান্তিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা। তার জন্য কমিশন একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথমেই রাজ্য পুলিসের প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ক্ষমতা। একের পর এক জেলার ডিএম, এসপিকে সরিয়ে দিয়েছে। প্রতি দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু, যে উদ্দেশ্যে এত আয়োজন, সেটাই পূরণ হচ্ছে না। মস্তানদের ভয়ে মানুষ ভোট দিতে যেতে পারছে না।
দক্ষিণ উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া অধিকারীর ও আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের উপর হামলার ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে, দুষ্কৃতীরা কতটা বেপরোয়া! তাদের বিন্দুমাত্র ভয়ডর নেই। ভয় না পাওয়ার কারণ সর্বস্তরে ঘটনাকে ‘লঘু’ করে দেখানোর চেষ্টা। নেতারাও তাঁদের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর কাজকে সমর্থন করছেন। তাতে মস্তানদের সাহস বাড়ছে। তাতে পরের নির্বাচনগুলি আরও রক্তাক্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। ‘দলদাস’ শব্দটি শুধু পুলিসের ক্ষেত্রেই খাটে না, নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গায়েও লেগে যায়। এ থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, ‘নিরপেক্ষতা’।
10th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM