Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট। ১ এপ্রিল। ভারতের ইতিহাসে এই দিনক্ষণটি অমর হয়ে গেল। কারণ, ওই সময় সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে একটি নতুন শব্দের ব্যবহার আবিষ্কৃত হয়েছে... ‘ওভারসাইট’। সাদা বাংলায়, নজর এড়িয়ে যাওয়া। যদিও এড়ানোর মাত্রাটা এক্ষেত্রে অনেকটা বেশি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন, একুশের ১ এপ্রিল শুধু এপ্রিল ফুল ডে নয়, ওই দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ নামে একটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটও রয়েছে। ওই রাজ্যের ভোটাররা আবার ঠিক ‘যেমন বলবেন স্যার’ গোছের নন। তাঁরা একটু বিচার-বিবেচনা করেই থাকেন। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বছরের পর বছর বাংলার মানুষই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেন। সেই টাকা যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারে। মানে সোজা কথায়, রাজস্ব বাড়ে। ওই রাজ্যে একেবারে ভোটের দিন সুদ কমানোর বিজ্ঞপ্তি! এ তো একবারে জোড়া ধাক্কা! একে তো বাংলার লোকজন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে টাকা রাখা কমিয়ে দেবেন। উপরন্তু ভোটের ‘ঢেউ’ বলে যদিও কিছু থাকে, সবটাই তো ঘুরে যাবে এক ফুল থেকে জোড়া ফুলে! তাই ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ নাকি তাঁর দপ্তর থেকে ফোন যায় নির্মলা সীতারামনের কাছে (কেউ কেউ আবার অমিত শাহের নামও করছেন)। সরাসরি নির্দেশ, দায় আপনাকেই নিতে হবে। প্রত্যাহার করতে হবে সিদ্ধান্ত। নির্মলা ‘প্রত্যাহারে’র দায় নিলেন। এবং তার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ বহু মানুষের তীব্র থেকে তীব্রতর খোঁচাও। সলমন আনিস সোজ ট্যুইট করলেন, ‘বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।’ তারপরই আর একটা ট্যুইট... ‘নজর এড়িয়ে ট্যুইটটা করে ফেলেছিলাম। প্রত্যাহার করছি।’ আর একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘ওভারসাইটের থেকে আরও ভালো যুক্তি হতো, আমার ভাইপো/ভাইঝি এটা পাঠিয়ে দিয়েছিল। দুঃখিত।’ আর একজন তো একটু বেশিই দার্শনিক... ‘শিশু: সাইট (দেখা), প্রাপ্তবয়স্ক: ফোরসাইট (দূরদর্শিতা), কিংবদন্তি: ওভারসাইট (নজর এড়িয়ে)।’ গায়ক তথা সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানি কটাক্ষ করেছেন, ‘আচ্ছে দিন আনেওয়ালে হ্যায়... এই নজর এড়িয়ে স্লোগানটার প্রচার হয়ে গিয়েছিল। এখন অবশ্য প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ আর যদি ভোট সংক্রান্ত খোঁচা হয়... ‘ইস্‌, ঩ভোটারদেরও যদি প্রত্যাহারের এই উপায়টা থাকত!’ 
তেলের দাম, গ্যাসের দাম, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ... বাজার দরের সঙ্গে প্রথম দু’টো পাল্লা দিয়ে বাড়লে কমছে তৃতীয়টি। উপার্জনের উপায় কি সাধারণ মানুষের বেড়েছে? ইউপিএ জমানায় ১০ হাজার টাকা যাঁরা মাসিক আয় করতেন, তাঁরা এখন কত টাকা উপার্জন করেন? আর মাস চালাতেই বা তাঁদের কত খরচ হয়? অনুপাতটা কিন্তু বিশ্লেষণ করা উচিত। একটা সহজ হিসেব করলেই বোঝা যাবে... সাত বছর আগে প্রতি মাসে আপনি কত টাকা জমাতে পারতেন। আর এখন সেই অঙ্কটা কত। এই সাত বছরে মধ্যবিত্তরা নিম্ন মধ্যবিত্ত হয়েছে, নিম্নবিত্তরা গরিব, আর গরিবদের কাছে উপার্জনের উপায় নেই বললেই চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছেন। যাঁদের একটা স্থিতিশীল ইনকাম রয়েছে, তাঁদের এটা না হলেও চলে। কিন্তু লকডাউনে যাঁদের কাজ চিরতরে চলে গিয়েছে, তাঁদের কাছে এই বিনা পয়সার রেশন বিশল্যকরণীর সমান। যাঁরা উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস ছেড়ে আবার কাঠের বা কয়লার আগুনে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা জানেন এই নিখরচার চালের মর্ম। এরপরও বিজেপি আশা করছে, এই বাংলায় তারা ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে? ওই বিজ্ঞপ্তি গেরুয়া শিবিরের কাছে জোড়া ধাক্কা নয়?
অবশ্যই জোড়া ধাক্কা। জোড়ার আবার দু’রকম মানে হয়। একটা হল গিয়ে ‘ডাবল’। মানে দু’টি। অন্য মানেটি আবার একটির সঙ্গে অন্যটি জুড়ে থাকা। এক্ষেত্রে যেমনটি চাই, ঠিক তেমনটি নেওয়া যেতে পারে। অর্থনীতির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অবশ্য প্রত্যাহার শব্দটা মোদি সরকারের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। ফারাক একটাই, আগেরগুলো এমন ভয়াবহভাবে ল্যাজে আগুন দিয়ে দৌড় করায়নি। যা করিয়েছে ‘নজর বিভ্রাট’ সিদ্ধান্ত। বহু মানুষ সকাল সকাল ভোট দিতে বেরিয়ে লাইন দিয়েছেন এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন, ‘খাব কী...!’ মোদিজি ভাবতেই পারেন, এই আলোচনার প্রতিফলন ভোটযন্ত্রে পড়েছে বা আগামী দিনেও পড়বে। তাই তিনি ক্ষুব্ধ। প্রবল ক্ষুব্ধ। বাজারে যা খবর, পুদুচেরি ছাড়া পাঁচ রাজ্যের অন্য কোথাও তিনি বিজেপির পারফরম্যান্সের ব্যাপারে নিশ্চিত নন। সেটাও ক্ষোভের একটা কারণ বটে। কেরলে অবশ্য চেষ্টা তাঁরা চালাবেন। বিজেপির এক নেতাই মুখ ফস্কে বলে ফেলেছেন, ‘৩৫-৪০টা আসন পেলেই হবে।’ বাকি? তাহলে কি ঘোড়া কেনাবেচা? সেই রাস্তা কি তাহলে বাংলাতেও খুলে রেখেছে গেরুয়া শিবির? যেভাবে হোক বাংলা দখল করতে হবে... এটাই ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন। 
তাই ‘নজর বিভ্রাট’ মানতে বাধ্য হলেন নির্মলা। যা হওয়ার কথা নয়। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের সুদে হেরফের হচ্ছে, অথচ অর্থমন্ত্রী জানেন না... এ হতে পারে না। অর্থাৎ, ‘ডাল মে কুছ তো... হ্যায়’। মানুষ বিশ্বাস করছে না। এমনিতেই এখন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির যা সুদের হার, সাধারণ মানুষকে একমুঠো ভাত রাতের জন্য তুলে রাখতে হয়। গত ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল অনুযায়ী, পিপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। এই মুহূর্তে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৯ শতাংশে। কেন্দ্রীয় সরকার এই হার আরও কাটছাঁট করে ৭.১ শতাংশ করতে চায়। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সঞ্চয় প্রকল্পে ইউপিএ জমানায় সুদের হার ছিল ৯.২ শতাংশ। এখন কমে হয়েছে ৭.৪ শতাংশ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘নজর বিভ্রাট’ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুকন্যা সমৃদ্ধি ৭.৬ শতাংশ, এমআইএস ৬.৬ শতাংশ, রেকারিং ডিপোজিটের সুদের হার ৫.৮ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল। 
ভোট বড় বালাই। তাই আপাতত এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। আপাতত শব্দটি এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২ মে ভোটের ফল প্রকাশ। একটা বিষয় কিন্তু নিশ্চিত... তারপরই এই তালিকা কার্যকর হবে। সামান্য কিছু বেসিস পয়েন্টে এধার-ওধার হতে পারে। কিন্তু মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত কিংবা সুদের টাকায় শেষ বয়স গুজরান করেন, সেই প্রবীণ নাগরিকদের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো কোনও কারণ নেই। সরকারি স্তরে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি তারই ফল। আজ আমরা মজা করতেই পারি, ১ এপ্রিলের একটা নয়া নামকরণ হল... ‘হ্যাপি ওভারসাইট ডে’ বলে। সেই আনন্দ অচিরেই ঘুচে যাবে। রাজ্যে ক্ষমতায় কে এল... তৃণমূল না বিজেপি... তার উপর কিছুই নির্ভর করবে না। ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। যেমন এখন করছি... সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা—হয়নি। বছরে এক কোটি চাকরি—হয়নি। ২০১১-১৩ অর্থবর্ষে নির্মাণ, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তির মতো মূল সেক্টরগুলিতে ১২ লক্ষ ৮০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ’১৬ অর্থবর্ষে সেটাই নেমে গিয়েছে ৬ লক্ষ ৪১ হাজারে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ—কমেছে। স্বচ্ছ ভারতও তো ছিল নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি! এখানেও একটা হিসেব দেখা যাক। ২০০৮ থেকে ’১১ সালের মধ্যে ভারতে ১ কোটিরও বেশি শৌচাগার নির্মাণ হয়েছে। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে সংখ্যাটা মেরেকেটে ৮০ লক্ষ। এর একটা লেজুড়ও আছে... সেই সব শৌচাগারের বেশিরভাগেই জল সরবরাহ নেই। 
প্রতিশ্রুতি আছে। বাস্তব নেই। 
গত ১ এপ্রিলের ভোটের পর প্রশ্ন করেছিলাম এক ভোটারকে...  কাকে দিলে ভাই? নতুন ভোটার সে। বলল, ‘শুভেন্দু’। শুনে মনে হল, বাহ... শুভেন্দুবাবু তাহলে ভালোই প্রভাব ফেলেছেন। কিন্তু তারপরই কী মনে হল, জিজ্ঞেস করলাম... ‘কোন ফুলে?’ সে বলল, ‘কেন? জোড়া ফুল!’ শুভেন্দু অধিকারী দলবদলু। তিনি জোড়া ফুল ছেড়ে এক ফুলে পাড়ি দিয়েছেন। দিন আনি দিন খাই এমন বহু মানুষের কাছে কিন্তু তাঁর প্রতীক তৃণমূলই। এটাও বাস্তব।
আজ আবার ভোট বাংলায়... তৃতীয় দফা। প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের তুমুল টানাটানি চলছে। ভোটাররা ভাবছেন...। এখন প্রশ্ন একটাই, ‘আসোল পোরিবর্তন’ কতটা দরকার?
06th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
একনজরে
রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM