Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সোনার বাংলা গড়তে বিজেপি যখন সংকল্পপত্র প্রকাশ করছে ঠিক সেই দিন রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানাচ্ছে, হ্যাপিনেস ইন্ডেক্সে ভারত বিশ্বের সবচাইতে খারাপ অবস্থায়। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ১৩৯ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে। কোন দেশের সরকার তাদের নাগরিককে কতটা সুখে রেখেছে সেটা দেখায় এই হ্যাপিনেস ইনডেক্স। এই সূচক বলে দিচ্ছে দেশবাসীকে ভালো রাখার ক্ষমতা হারিয়েছে মোদি সরকার। 
এবার আসা যাক পরের প্রশ্নে। সোনার বাংলা গড়ার ক্ষমতা কি বিজেপির আছে? দেখা যাক তারা এর আগে কী করেছে। প্রতিটি রাজ্যেই নির্বাচনের আগে বিজেপি এরকম সংকল্পপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানেও একই রকমের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কখনও অসমে বলেছিল মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এনআরসি হবে, কিন্তু শেষে দেখা গেল লক্ষ লক্ষ গরিব হিন্দুর নাম বাদ গেছে নাগরিকের তালিকা থেকে। এখনও বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদের। তারপরে তাদের পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্পে! কেন? অভিযোগ, বেছে বেছে সেখানে হিন্দু বাঙালিদের চাকরি খাওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সোনায় গড়া হবে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কিন্তু কোনও রাজ্যেই ক্ষমতায় আসার পর তারা যা বলেছিল বা যেভাবে বলেছিল তা পালন করেনি। 
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল, ক্ষমতায় এলে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে দেশের 
সব কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে ঢুকিয়ে দেবে। পেট্রল ডিজেলের দাম, গ্যাসের দাম কমিয়ে দেবে। বছরে দুই কোটি চাকরি দেবে। সাত বছর পর দেখা যাচ্ছে তারা কিছুই করতে পারেনি। উল্টে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ দিন দিন আর্থিক কষ্টে কোণঠাসা, বেকারি বাড়ছে, কর্পোরেট মুনাফার পাহাড় গড়ছে, তাদের দেওয়া হল ইচ্ছেমত ছাঁটাই করার অধিকার। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, গণতন্ত্রের সূচক, মানবাধিকার রক্ষা, মানুষের কাছে সরকারের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং সামাজিক সম্প্রীতি রাখার কোনও মানদণ্ডেই বিজেপি শাসিত এই দেশ কিংবা তাদের রাজ্যগুলি উন্নতি করেনি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর। খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলি। 
কী করে মানুষ ভরসা করবে বিজেপির প্রতিশ্রুতির উপর? এর উত্তর তো বিজেপি নেতৃত্বকেই দিতে হবে।
বিজেপি সব রাজ্যেই সংকল্পপত্রে লেখে, প্রতিবছর দশ লাখ চাকরি হবে। কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন বসিয়ে মাইনে দ্বিগুণ করা হবে। ছাত্র, যুব, মেয়েদের জন্যও বহু প্রতিশ্রুতি থাকে। সোনার বাংলা গড়তেও সেই একই কথা লেখা হল, যা লেখা হয়েছিল 
ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি জায়গায়। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভোটের পর সেসব কেউ মনে 
রাখে না। অসম, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর চাকরি বাড়ার পরিবর্তে সরকারি সংস্থা বিক্রি শুরু হয়, বন্ধ হয়ে যায় নিয়োগ। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার জানাচ্ছে তারা সরকারি 
পদ কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। যেটুকু থাকবে 
সেটা বেসরকারি এজেন্সি মাধ্যমে সরকারের পদ 
পূরণ করবে চুক্তি ভিত্তিতে! ত্রিপুরায় বলেছিল, প্রতিটা ব্লকে স্কুল কলেজ তৈরি করবে। ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষকদের বেতন বাড়াবে। কিন্তু দেখা গেল, দশ হাজার স্থায়ী শিক্ষকের চাকরিই তুলে দিয়েছে। বন্ধ করে দিয়েছে সাড়ে তিনশ-র বেশি স্কুল। দুই রাজ্যেই বলেছিল মেয়েদের স্কুটি দেবে। একটা সাইকেলও কি দেওয়া হল?
এই হল বিজেপির বিকাশ এবং তা মোদি অমিত শাহের নেতৃত্ব। তাঁরা যদি বলেন বুলেট ট্রেন করবেন, তাহলে রেলকেই বিক্রি করতে শুরু করবেন। যদি বলেন আত্মনির্ভর ভারত গড়বেন, তাহলে অর্থনীতির মূল মেরুদণ্ড যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা সেগুলিকে বেচে দেবেন। রাম যাত্রার স্টাইলে মোদি বলেন দেশে রামরাজ্য হবে। কোনও দুর্নীতি থাকবে না। ‘‘না খাউনগা, না খানে দুঙ্গা’’। তারপর? ব্যাঙ্ক থেকে একটার পর একটা ঋণ নেওয়ার নামে টাকা লোপাট হবে। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে বলা হল নারী উন্নয়ন, দুর্বলের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। তারপর তো সেখানকার মানুষ দেখতেই পাচ্ছে কীভাবে প্রতিদিন ঘটে চলেছে হাতরাসকাণ্ড, ধর্ষণ, রাস্তায় আগুন দিয়ে ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে দেওয়া, থানায় অভিযোগ জানালে মেরে দেওয়া হয় ধর্ষিতার বাবাকে! মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি সংকল্পপত্রে বলেছিল, করোনা টিকা দেওয়া হবে প্রত্যেককে বিনামূল্যে। ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন তাদের সরকারেই ছিল না কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, এমনকী কোনও স্বাস্থ্যসচিব। ফলে অতিমারী যখন ভয়ঙ্কর তখন মধ্যপ্রদেশে করোনা নিয়ে লড়াইয়ে ছিল না কোনও প্রশাসনের নেতৃত্ব। বেঘোরে প্রাণ গেছে বহু রাজ্যবাসীর। মধ্যপ্রদেশে ভোটের আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সেই রাজ্যের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেবেন বলেছিলেন। আজ সেই রাজ্যের কৃষকরা আন্দোলনে পথে নেমেছেন। আরএসএস অনুমোদিত কৃষক সংগঠন দাবি জানাচ্ছে, বিজেপি কেন পালন করছে না তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি? কী করে করবে?! কৃষি উন্নয়নের জন্য বলেছিল চল্লিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। ভোটের পর দেখা গেল মধ্যপ্রদেশ জুড়ে কৃষি উন্নয়নের সরকারি অর্থে গড়া হচ্ছে কৃষি বাণিজ্যের পরিকাঠামো। আদানির মতো কর্পোরেট বড় বড় কোল্ড স্টোরে সস্তায় চাষিদের ফসল কিনে বিশ বছরের জন্য রেখে দিতে পারবে। কিন্তু চাষির কোনও লাভ হবে না। কর্পোরেট চড়া দামে বাজারে তা বেচার সুবিধা পাবে।
এই হল বিজেপি। যাদের বিকাশ মানে কর্পোরেটের লাভ। গরিবের লোকসান। আর ক্ষমতায় আসার জন্য মানুষের কাছে থাকে তাদের দায়হীন প্রতিশ্রুতি। 
শেষ কথা বলি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলার থেকে পিছিয়ে। অবাক হবেন পাঠক, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য জানলে! তাদের তথ্য অনুযায়ী গুজরাত, কর্ণাটক, হরিয়ানার মতো শিল্পোন্নত রাজ্যের থেকে বাংলায় বেকারি কম। বাংলার আর্থিক বৃদ্ধি সব বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে বেশি। একথা জানাচ্ছে কেন্দ্রের শিল্প ও অর্থনীতির তথ্য। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রক, শিল্প মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, এবং সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট এবং প্রকাশিত রিপোর্টগুলি থেকেই তা জেনে নেওয়া ভালো। কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, অসংগঠিত এরকম ছয়টি গুরত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দেশের সেরা রাজ্য হিসেবে এই মোদি সরকারের কাছ থেকেই পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ক্রমশ পিছোচ্ছে। তাহলে বাংলায় এসে আর কী করবে বিজেপি? ডবল ইঞ্জিনে যদি রাজ্য এতই দৌড়ায় তাহলে প্রশ্ন, ত্রিপুরা, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে বাংলার থেকে ডবল বেকার কেন? বাংলার থেকে সেখানে বেশি দরিদ্র কেন? সেখানকার আর্থিক প্রগতি বাংলার চাইতে কম কেন? বিজেপি শাসিত রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা এত বেশি কেন? তাই বাংলাকে যারা আরও এগিয়ে নিয়ে সোনার বাংলা গড়বে বলছে, তাদের কি আদৌ সেই বিশ্বাসযোগ্যতা আছে?
স্পষ্টতই বিজেপির গত সাত বছরে কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যের সরকারে থাকার যা পারফরম্যান্স তাতে প্রমাণিত হয় যে সোনার বাংলা গড়ে তোলা তো দূর অস্ত, যেটুকু আছে সেটুকুও রাখা যাবে বলেও তাদের নীতি বা দক্ষতা প্রমাণ দেয় না। মোদি যত কথা বলেছেন তারমধ্যে রামমন্দির, তিন তালাক, কাশ্মীর ইস্যুতে ৩৭০ ধারার মতো বিতর্কিত বিষয় ছাড়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উন্নয়নে কোনও কিছু করে দেখাতে পারেননি। গ্যাসের দাম বাড়ছে। যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে, নিজের আয় থেকে সব কিছু কিনে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! এমন নীতির কথাই অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রোজ বলছেন। ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক ইত্যাদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেখানেও তারা  বেসরকারিকরণ করেছে। তাই এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তারা সোনার বাংলা গড়বে, না বাংলা বেচে দেবে প্রশ্ন সেটাই। 
লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত
08th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM