Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

শেষে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে এসে চার চারটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিল মোদি-অমিত শাহের কেন্দ্রীয় বাহিনী। রক্তাক্ত হল নির্বাচন। বাংলার ভোট ইতিহাসে যা বেনজির। গুরুতর জখম হতে হল চোদ্দ বছরের এক নিরীহ কিশোরকেও। কোনও নিন্দাই এই ‘ট্রিগার হ্যাপি’ বাহিনীর জন্য যথেষ্ট নয়। এর থেকেই বোঝা যায় বাহিনীর হাতে বাংলার মানুষ মোটেই নিরাপদ নয়। বরং আরও বেশি বিপন্ন। রেকর্ড আট দফায় ভোট, হাজার হাজার জওয়ান, বাইরের পুলিস, বহিরাগত গুন্ডা, সবই বাংলা দখলের জন্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা কাজ করছে। প্রশ্ন উঠছে একটা নির্বাচনকে ঘিরে এই আগ্রাসন কেন? সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিশেষ করে এই বঙ্গের শান্তিপ্রিয় মহিলারা এই প্রহসন মেনে নিতে নারাজ। তাই দিল্লির সরকারের রকমসকম দেখে তাঁরা নীরবে ফুঁসছেন।
বাংলার ভাগ্য নির্ণায়ক নির্বাচনে বহিরাগত গুন্ডাদের রুখে দিতে তাই দলে দলে মহিলারা ক্রমশ এগিয়ে আসছেন। তার প্রমাণ ভোটের লাইনে মহিলাদের ঢল। আশার কথা, ভোট যত এগচ্ছে মহিলাদের উৎসাহও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কারণ এ রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোটারের মধ্যে ৪৮ শতাংশই মহিলা। সংখ্যাটা কম নয়, সাড়ে তিন কোটির আশপাশে। তাই এবারের হাড্ডাহড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলার মা বোনেদের রায় নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে একটা ভোটকে কেন্দ্র করে সমাজটাই যখন দলবদলু আর বেইমানে ভরে গিয়েছে। আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে মানুষ। আর এই বিভাজনের উপর দাঁড়িয়েই দলীয় সংগঠন নয়, বাইরের শক্তির উপর ভর করে যখন রাজ্য দখলের ছক কষছে গেরুয়া শিবির!
একটা কথা প্রায়শই বলা হয়, বাংলার মহিলারা হাজারো দুঃখ দুর্দশা সহ্য করতেও রাজি, কিন্তু বিশ্বাসভঙ্গ দেখলেই সপাটে রুখে দাঁড়ান। প্রয়োজনে দু’দিন না খেয়ে থাকবেন, শাড়ির খুঁট বারবার দাঁতে কাটবেন, চোখের জল ফেলবেন, কিন্তু বেইমানদের প্রতি একআনা করুণাও নৈব নৈব চ। প্রেমে, অপ্রেমে, রাজনীতি থেকে সমাজজীবনে এমনকী খেলার মাঠে পর্যন্ত সর্বত্র বাঙালি নারী এব্যাপারে আপসহীন। অসম্ভব জেদি, কঠোর ও অকুতোভয়। তার জন্য যে কোনও মূল্য দিতেও সে পিছপা হয় না। প্রয়োজনে মাটিতে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি নিতেও তাই কুছ পরোয়া নেই। কিন্তু রং বদলানো গিরগিটিদের যেমন সে ক্ষমা করে না, তেমনি বিশ্বাসভঙ্গের সম্পর্ককেও বয়ে বেড়াতে খুব একটা ভালোবাসে না। এটাই বঙ্গ নারীর চিরকালীন ইউএসপি। তা রক্তের প্রতিটি কোষে, ডিএনএ’র সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। স্বস্তি আর স্বাচ্ছন্দ্য চাইলেও ভালোবাসে না ক্ষমতা আর টাকার উচ্চকিত আস্ফালন, মোটা টাকায় নেতা কেনাবেচা। বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে বেপরোয়া দখলদারি, দেওয়া নেওয়ার নামে নিছক ভণ্ডামি বঙ্গ ললনাদের কোনওদিনই পছন্দ নয়। মেরুকরণে বিভক্ত সমাজকে বরাবর মা-বোনেরা ঘৃণার চোখেই দেখে এসেছেন। উল্টে একটা সবুজ শান্তির নীড় খোঁজে সে যার ভিত্তিই হচ্ছে অকৃত্রিম বিশ্বাস। সেই সঙ্গে একটা সম্মানজনক বোঝাপড়া। সেই মতোই একটা ছোট্ট স্বপ্নকে অনেক কষ্টে সাজানোর নিরন্তর প্রয়াস চলে তাঁর। ইতিহাসের আবহমান ধারায় কোনও দল, কোনও ইজম কিংবা মতবাদ, রাজনৈতিক আগ্রাসন সহজে বাংলার নারীর চরিত্রের এই বজ্রকঠিন অথচ শান্ত কোমল দিকটার বদল ঘটাতে পারেনি। আজও পারবে না। এখানেই সে অনন্যা। অপরাজেয়। বাংলার সেই ঐতিহ্য ও সামাজিক শান্তির ঘেরাটোপটাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এবারের নির্বাচনেও বাঙালি মহিলারা চোয়াল শক্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে প্রস্তুত। বলা বাহুল্য, কোনও বাধা না মেনেই সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিচ্ছেন এবং সুস্পষ্ট মতাধিকার প্রয়োগ করছেন। নিঃসন্দেহে যা আশার কথা। এখানেই পরাজয় ঘটেছে গেরুয়া শক্তির। কারণ বাংলা দখল করতে গিয়ে তাঁদের নেতারা প্রথমেই হত্যা করেছে মানুষের বিশ্বাসটাকে। প্রশ্রয় দিয়েছে বেইমানিকে।
তাই অবিশ্বাসে ঘেরা দলকে হারিয়ে বাংলাকে বাঁচাতে, এই বঙ্গের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে বাঙালি নারীর এক একটি ভোটের গুরুত্ব আজ অপরিসীম। ওখানে কোনও ভুলচুক হলে তাঁদের স্বাধীন মাথা উঁচু করে চলা অস্তিত্বটাই আগামী পাঁচ বছর বিপন্ন হতে বাধ্য। টালমাটাল হতে পারে তাঁর বড় চেনা পারিপার্শ্বিক সমাজটাই। এখানকার রাজনৈতিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস একটা চূড়ান্ত আগ্রাসী মনুবাদী দলের পুরুষতান্ত্রিকতায় হারিয়ে যাবে। ভুললে চলবে না, সামান্য একটা নির্বাচনই আজ আমাদের সমাজ চিন্তার গোড়ায় আঘাত করতে উদ্যত। এই সন্ধিক্ষণে তাই নিজের সঙ্গে গোটা সমাজের রসাতলে যাওয়া থেকে বাংলাকে রুখবেই আটপৌরে ঘরের মা, বোনেরা। এটা তাই সামগ্রিক নারীজাতির কাছে মুঠি শক্ত করে রুখে দাঁড়িয়ে শপথ নেওয়ারও উচিত সময়।
ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। বোমা, গুলি, লাঠি কিছুই তাঁকে বশ মানাতে ব্যর্থ। নন্দীগ্রামে ভোটের দিন মুখ্যমন্ত্রী যখন অভিযোগ পেয়ে বয়ালের স্কুলে ঘাঁটি গেড়ে বসে তখনও দেখা গেল প্রত্যন্ত গ্রামের একদল মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোটাছুটিতে ভয় না পেয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে লাইনে। পিছন পিছন আসছেন আরও অনেকে। ওই মা বোনেরা ভয় কাকে বলে জানেন না। ভোটার কার্ডটা বুকে আগলে মতদানের এই প্রবল উৎসাহ কীসের ইঙ্গিত? বহিরাগতদের ঠেকানোর? এই প্রশ্ন নিয়ে সেফোলজিস্টদের মধ্যে নিরন্তর গবেষণা চলছে, চলুক। কিন্তু সবকিছুকে আমল না দিয়েই আগামী চার দফাতেও সেই উৎসাহ হারও দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ভোটযন্ত্রে যে আছড়ে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই। গণ্ডগোল দেখেও ভোটের লাইন থেকে কিছুতেই সরতে দেখা যায়নি মা বোনেদের। এই শক্তিটা তাঁরা পাচ্ছেন কোথা থেকে? নন্দীগ্রাম থেকে আরামবাগ পেরিয়ে পুরশুড়া কিংবা খানাকুল গোটা দিন সেই একই চিত্র। 
আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই। তাঁরা জানেন দশকের পর দশক ধরে যেটুকু স্বাধীনতা তাঁরা লাভ করেছেন তা কিছুতেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। তাই বিশ্বাসঘাতক আর অসৎ ধান্দাবাজ দলবদলুতে ভরা একটা চরম সাম্প্রদায়িক দলের পক্ষে বাংলার মহিলারা তাঁদের আস্থাসূচক ভোটটা দিতে কিছুতেই রাজি নন। গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা লোকলস্কর টাকার বস্তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেও না। অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা দেখেছেন, অজ গ্রামের মেয়ের দূর দেশের পক্ষীরাজে চেপে উড়ে আসা অচেনা রাজপুত্রের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ টেকে না। ভেঙে যায়। ওসব হাতিশালে হাতি আর ঘোড়াশালে ঘোড়ার গল্প আজ আর মা বোনেরা খুব একটা বিশ্বাসও করতে চান না। তাঁরা তাই গত চার দশকের পরীক্ষিত নেতানেত্রীদের উপরই আস্থা রেখে এগতে চান। জীবনের অভিজ্ঞতাই তাঁদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে।
মহিলাদের জন্য কী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মহিলাদের সম্মান দিতে কন্যাশ্রী দিয়েছেন। যা আজ বিশ্বমঞ্চেও সমাদৃত। পরিবারের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটা গৃহকর্ত্রীর নামে করে বাংলার নারীজাতিকেও বিরাট স্বীকৃতি দিয়েছেন। ১৮ বছরের উপর সব বিধবাকে ভাতা দিয়ে তাঁদের কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করেছেন। স্কুলের ছাত্রীরাও পেয়েছে সবুজসাথীর সাইকেল। ট্যাবের জন্য দশ হাজার টাকা। এটুকু স্বীকৃতি আর সম্মান তো আগে কেউ দেয়নি। সেই সঙ্গে একটা পরিচয় দিয়েছেন। সেই পরিচয়টা হচ্ছে, আপনি যে রাজ্যে থাকেন তা শাসন করেন একজন অসমসাহসী লড়াকু মহিলা, যাঁর সাহস আর তেজের সামনে মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয় দিল্লির সরকারও। আর এই গৌরবগাথার উল্টোদিকে বিজেপি হুঙ্কার দিচ্ছে, ক্ষমতায় এলে অন্যরাজ্যের মতো লাভ জিহাদ বন্ধে কড়া আইন করবে। আর অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড তৈরি করে মেয়েদের গায়ে হাত তুলবে, বিচার করবে। কতবড় স্পর্ধা। মহিলাদের স্বাধীনতা হরণ করার এই অপচেষ্টা এবং সঙ্ঘের মনুবাদী সমাজে মহিলাদের কোণঠাসা অবস্থানের কথা বুক ফুলিয়ে বলার জন্য একদিন অন্তর রাজ্যে আসছেন উত্তরপ্রদেশের এক ভণ্ড যোগী। দিচ্ছেন নারী সুরক্ষার লম্বা চওড়া ভাষণ। অথচ, জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্টই বলছে, উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, নির্যাতন লাফিয়ে বাড়ছে। যাঁর নিজের রাজ্যেই মহিলারা সুরক্ষিত নয়, সেই মুখ্যমন্ত্রী উড়ে এসে বাংলার মা বোনেদের সুরক্ষার কথা বলেন কোন আক্কেলে? চার দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। বাকি আরও চার দফা। কলকাতা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মতদান এখনও বাকি। তাই এই সময়টা সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কারণ, এই নির্বাচনের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে, এই রাজ্যের নারী জাতির সম্মান শেষ পর্যন্ত থাকবে না যাবে। 
শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্ব আজ একজন মহিলার নামেই পশ্চিমবঙ্গকে চেনে। এই ব্যাপারে এলিট জ্যোতি বসুর চেয়েও আমাদের অগ্নিকন্যা কয়েক যোজন এগিয়ে। কারণ তিনি নিজের তৈরি করা সাধারণ মানুষের আস্থা জাগানো দলের অদ্বিতীয় নেত্রী। সেই সঙ্গে এ দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও বটে। এ বড় কম কথা নয়। বাংলার গর্ব 
এই মাটিতে বড় হয়ে ওঠা আপসহীন সাধারণ ঘরের মাথা উঁচু করা এক মহিলাকে হারাতে টাকা আর পেশিশক্তির নিরন্তর অপব্যবহার করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শত্রু মিত্র কেউ এই সহজ সত্যটা অস্বীকার করতে পারবে না। যত বড় ঝড়ই আসুক দমে না গিয়ে এক পা জখম নিয়েও যিনি বলতে পারেন, খেলা হবে। গোল হবে। জেতা হবে। এটাই তাঁর জিত। জগৎ কাঁপানো সেই মহিলার হ্যাটট্রিকের খেলাতেও তাই এই বঙ্গের প্রতিটি মহিলা তাঁদের অসামান্য যোগদানটুকু রাখতে বদ্ধপরিকর।
11th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM