Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না।
১৯৭৭ সাল। তামিলনাড়ু রাজ্য। ইন্দিরা গান্ধী নির্বাচনে গেলেন। জরুরি অবস্থার সময় যেসব নেতা আটক ছিলেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হল। প্রবলপ্রতাপান্বিত বিরোধীদের মুখোমুখি হলেন তিনি। ১৯৭২ সালে ডিএমকে ভেঙে বেরিয়ে আসেন এম জি রামচন্দ্রন। তাঁর নেতৃত্বে তৈরি হয় এআইএডিএমকে। এক কঠিন পরিস্থিতিতে লোকসভার উপনির্বাচনে জয়ী হলেন। জনপ্রিয়তা এবং প্রশস্তির এক নজিরবিহীন সময় উপভোগ করতে লাগলেন। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পুরোভাগে ছিল ডিএমকে। কংগ্রেস (আই) হাত মেলাল এআইএডিএমকে’র সঙ্গে। তারা মিলিতভাবে ডিএমকে’র মোকাবিলা করল। বিস্ময়কর ব্যাপার ঘটল দাক্ষিণাত্যে। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে যে ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেটা বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করতে পারল না!
ভালো এবং মন্দ দিকগুলি
ওই নির্বাচনটি ছিল মার্জিত, স্বচ্ছ এবং অবাধ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ছিল সবরকমে স্বাধীন। তার একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি: এআইএডিএমকে তখন কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। পুঁজি বলতে একটিমাত্র উপনির্বাচনে জয়লাভ। এহেন একটি পার্টির সমস্ত প্রার্থীর একটিমাত্র প্রতীক থাকার যৌক্তিকতা কমিশন সেদিন মেনে নিয়েছিল। প্রার্থীরা অর্থ ব্যয় করেছেন প্রচারের গাড়ি, পোস্টার, লিফলেট এবং জনসভার আয়োজনের জন্য। ভোটে এর বাইরে মোটেই খরচ করা হতো না। সেটাই ছিল সত্যিকার ভোটের ক্যাম্পেন এবং ক্যানভাসিং। ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্য কানাঘুষোর কথাও সেকালে কানে আসত না।
তবে খারাপ দিকটা ছিল এই যে, প্রভাবশালী উচ্চবর্ণগুলিই, বিশেষ করে ভূস্বামী শ্রেণি নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠত। হতদরিদ্র, দলিত এবং জনজাতির মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বলে বিশেষ কিছু থাকত না। তাদের ভোট পড়ত উচ্চবর্ণ আর ভূস্বামীদের মর্জিমাফিক। সংখ্যালঘুরা উচ্চবাচ্য করত না ঠিকই, কিন্তু তারা ভয়ে থাকত না। তারা ভোট দিত তাদের গোষ্ঠীর নেতাদের নির্দেশ মেনে। আইনের চোখে সেদিনের নির্বাচন অবাধই ছিল। কিন্তু একটি প্রকৃত গণতন্ত্রে যেমনটা হওয়া উচিত, ততটা অবাধ বলা যাবে না।
এবার দ্রুত ২০২১-এর নির্বাচনের প্রসঙ্গে চলে আসি। মানুষের কোনও শ্রেণি আর অন্যকোনও শ্রেণিকে ভয় করে না, সেই বিচারে এখনকার নির্বাচন নিশ্চিতরূপে আরও গণতান্ত্রিক। জাতি-বর্ণের একটা বড় ভূমিকা এখনও অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু সেটা আগের মতো অতটা নয়। শ্রেণি কথাটি বিশেষভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। গরিবরা আর ধনীদের ভয় করে না এবং স্বাধীনভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
উদ্বেগজনক প্রবণতা
নতুন কদর্যতা হল অর্থ এবং অগণিত মানুষের উপলব্ধি যে নির্বাচন কমিশন আর সত্যিকার স্বাধীন নেই। এই দু’টিই গণতন্ত্রের পক্ষে এক মস্ত সমস্যা এবং হতাশার দিক। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, কমিশন তামিলনাড়ুতে টাকা বিলি বন্ধ করতে পারেনি। বাস্তবিক প্রত্যেক ভোটারকে টাকা অফার করা হয় এবং তারা তা নেয়ও।
প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এক-একটি র‌্যালি আয়োজনের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। বিরাট আকারের একটি স্টেজ খাড়া করতে হয়। তাতে ফিট করতে হয় কয়েকটি এলইডি স্ক্রিন। হাজার হাজার মানুষ আনতে কয়েকশো গাড়ির ব্যবস্থা করতে হয়। তারপর ভিড় জমানো লোকদের হাতে তুলে দিতে হয় টাকা এবং খাবার-দাবার। বিজ্ঞাপন দিতে, সোশ্যাল মিডিয়া আউটলেটের জন্য, এসএমএস-এর জন্য, অসংখ্য টেলিফোন করতে এবং পেইড নিউজের ব্যবস্থা (‘প্যাকেজেস’ নামে জনপ্রিয়!) করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়। এই যে বহু কোটি টাকা খরচ হয় তার সত্যতা কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু মজার বিষয় হল, কমিশনে যে হিসেব দাখিল করা হয় তাতে রাজনৈতিক দলগুলি এবং তাদের প্রার্থীদের আয় কিংবা ব্যয়ের ভিতরে এই অর্থের উল্লেখ থাকে না।
ভোটের ক্যাম্পেনিং এবং ক্যানভাসিংয়ের পুরনো ধারা আজ অতীত। যদি সেটা আবার কখনও ফিরে আসে অবাকই হব। নির্বাচনটা আর গণতন্ত্রের উৎসব নেই, বরং মঞ্চের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
হতাশার অন্য দিকটি হল, কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের সন্দেহ। পোলিং স্টেশনগুলিতে নিযুক্ত প্রিসাইডিং অফিসার এবং ইভিএম ও ভিভিপ্যাট চালু রাখতে ব্যস্ত টেকনিশিয়ানদের কাজ ও সততার আমি প্রশংসা করব। আমি প্রশংসা করব ভোটগণনার কাজে নিযুক্ত কাউন্টিং অফিসারদেরও কাজ ও সততার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সাধারণ পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমার ভয়ানক আপত্তি আছে।
ন্যায়দণ্ড ঝুঁকে আছে একদিকে
কুচিন্তার প্রকাশ এবং অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ডিএমকে দলের এ রাজার ভোটের প্রচার ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করে দিল কমিশন। সমান অপরাধে বিজেপির হেমন্ত বিশ্বশর্মার প্রচারও প্রথমে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু হেমন্তের সেই সাজার বহর পরে কমিয়ে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এটা কেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি ভাষণের উপর শ্যেনদৃষ্টি রাখা হয়েছে তাঁকে সতর্ক করার জন্য, তাঁকে নোটিস ধরানোর জন্য, এবং শেষমেশ তাঁর প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণের ভিতরে কমিশন কি আপত্তিকর কিছুই খুঁজে পায়নি? সংখ্যালঘু ভোট বিভাজন না-করার পরামর্শ যদি দেওয়া হয়, তবে সংখ্যাগুরুর বিবেচনা করা দরকার এরকম একটি পরিস্থিতিতে তাদের কী করা উচিত—প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে কমিশন কী ভাবছে? মমতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাস্তার ভাষায়, সিটি মারার কায়দায় বিদ্রুপ করছেন—‘দিদি-ও-দিদি’! এই বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য কী? কোনও প্রধানমন্ত্রীর কি উচিত একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভঙ্গিতে সম্বোধন করা? আমি কল্পনাও করতে পারি না যে একজন জওহরলাল নেহরু কিংবা একজন মোরারজি দেশাই অথবা একজন বাজপেয়ি এই ভাষায় কথা বলছেন!
কমিশনের কাজে সবচেয়ে বড় ভুলটা হল, পশ্চিমবঙ্গের ভোটটাকে আটদফায় এবং ৩৩ দিনে প্রলম্বিত করে দেওয়া। তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরির মিলিত আসন সংখ্যা ৪০৪। এতগুলি আসনের ভোটগ্রহণ একদিনে, ৬ এপ্রিল হতে পারল। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি আসনের ভোট নিতে আটদফার প্রয়োজন পড়ল কোন কারণে? সন্দেহ হয় যে, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাতে বেশিদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার চালাতে পারেন তার সুবিধে করে দিতেই এমন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট বানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন টি এন সেশনের প্রয়োজন। তাঁকে ‘বুল ডগ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এমন এক বুল ডগ ছিলেন যিনি তাঁর প্রভুকে ভয় কিংবা তুষ্ট করেননি। তার পরেও আমি নির্বাচন কমিশনকে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ (অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণাভাবে নির্দোষ গণ্য হওয়ার সুবিধা) দেব, একইসঙ্গে আমরা নজর রাখব তাদের এখনকার এবং ২ মে তারিখের মধ্যবর্তী সময়ের আচরণের উপর।
মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপরেই গণতন্ত্রের অস্তিত্বরক্ষা নির্ভর করছে। স্বাধীনভাবে মানুষের ইচ্ছে বা মতের প্রকাশ নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার উপর।
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত  
মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM