Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। এইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মানুষ যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, সেইগুলোর উপরেই বরং তারা ভরসা রাখে—যেমন সংসদ/বিধানসভা, বিচার ব্যবস্থা, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম, সিএজি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রভৃতি। যখন এই প্রতিষ্ঠানগুলো এককভাবে কিংবা সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ হয়, তখন মানুষ তাদের উপর অর্পিত ভরসা হারিয়ে ফেলে এবং সামনের দিকে এগয়। রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে এটাই ঘটেছে।
চারটি প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয়েছে
বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে খতিয়ে দেখার একটা সুযোগ চারটি প্রতিষ্ঠানের সামনে ছিল। প্রথম হল সংবাদ মাধ্যম বা মিডিয়া। অনেক প্রশ্ন তোলার এবং জবাব চাওয়ার মতো মশলা মজুদ ছিল। কিন্তু, মিডিয়ার একটা বড় অংশই প্রশ্ন তুলল না। আরও পরিতাপের বিষয় হল, উল্টে অনেক মিডিয়া সংস্থা সরকারের লিখিত বিবৃতিটুকুই প্রকাশ করল, যেন ওইটুকুই সত্য ‘সংবাদ’! ৭ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখ প্রকাশিত আমার ব্যক্তিগত কলামে অর্থমন্ত্রী সমীপে ১০টি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলাম। সেগুলোর মধ্যে ছিল:
(এক) ১২৬টি টুইন-ইঞ্জিন মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফট কেনার জন্য ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কেন সেটা বাতিল করে মাত্র ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে যাওয়া হল?
(দুই) যে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে সেটা অনু্যায়ী, প্রতিটি যুদ্ধবিমানের দাম দিতে হতো ৫২৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। এটা কি সত্যি, নতুন চুক্তি অনুসারে প্রতিটির জন্য ভারতকে দাম মেটাতে হবে ১৬৭০ কোটি টাকা (দাসোঁ যেটা প্রকাশ করেছে)।
(তিন) প্রথম যুদ্ধবিমানটি সরবরাহ করা হবে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে (নতুন চুক্তিসম্পাদনের চার বছর বাদে) এবং শেষতমটি সরবরাহ করা হবে ২০২২ সালে। এটাই যখন বাস্তব, তখন ‘জরুরিভিত্তিতে ক্রয়’-এর জন্য এই লেনদেন হয়েছিল, এমনটা সরকার প্রমাণ করবে কীভাবে?
(চার) রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেডকে (হ্যাল) প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তি কেন খারিজ করা হয়েছিল?
(পাঁচ) ‘অফসেট পার্টনার’ হিসেবে সরকার কি কোনও নামের প্রস্তাব করেছিল? এবং, তা যদি না করে থাকে, তবে সরকার কেন হ্যাল-এর নাম প্রস্তাব করেনি?
এই পাঁচটি এবং প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসা অন্যসকল প্রশ্নেরও জবাব সরকার দেয়নি। হাতেগোনা কয়েকটিকে বাদ দিলে, সার্বিকভাবে মিডিয়া দেশকে হতাশ করেছে।
দ্বিতীয় হল সুপ্রিম কোর্ট। সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ মোতাবেক দাখিল হওয়া একটা পিটিশনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের নিরসনের জন্য তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে তার অক্ষমতা প্রকাশ করে। উদাহরণ—দামের ব্যাপারটি অথবা টেকনিক্যাল কিছু দিক খতিয়ে দেখার আর্জি মঞ্জুর করেনি। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজনে ১২৬টির বদলে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কি না অথবা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের যে পদ্ধতি চালু রয়েছে তার থেকে সরে আসার ব্যাপারটিও সুপ্রিম কোর্ট খতিয়ে দেখতে চায়নি। সরকার সিল করা খামে একটি ‘নোট’ পেশ করেছিল, তার বিষয়বস্তু এবং সরকারের মৌখিক বক্তব্য—আদালত গ্রহণ করেছিল দু’টিই। সিএজি-র রিপোর্ট রয়েছে, এমন একটা বিশ্বাস থেকে আদালত বিভ্রান্ত হয়েছিল, অথচ সেদিন পর্যন্ত ওই রিপোর্ট সংসদ এবং আদালতের কোনওখানেই পেশ করা হয়নি। রায় ঘোষণার পর সরকার দাবি করেছিল যে, সরকারের অবস্থান সম্পর্কে সন্দেহের নিরসন করেছে আদালত। কিন্তু সত্যটা ছিল যে, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো আদালত যাচাই করেনি।
সংসদ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে
তৃতীয় হল সংসদ। দলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সরকারের কাজকর্মে তদারকের ভূমিকা পালনে সংসদ ব্যর্থ হল। প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কাজের অংশীদারিত্ব নিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ দাসোঁ ও হ্যাল-এর মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। ওই সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনার ৯৫ ভাগ যখন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই চুক্তিটা বাতিল করা হল কী কারণে? পার্লামেন্ট একাই এই প্রশ্ন তুলে সত্যটা উদ্ঘাটন করতে পারত। নতুন চুক্তিতে দাম যদি ৯-২০ শতাংশ সস্তাই হবে তবে দাসোঁর ১২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার অফার কেনা লুফে নেওয়া হল না? এছাড়া অফসেট পার্টনার হিসেবে হ্যাল-এর নামটা কেন পাকা করল না সরকার? সরকার পক্ষের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার জোরে পার্লামেন্টের তদারকের ভূমিকা বানচাল করে দেওয়া হল।
চতুর্থ হল সিএজি। শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয়টি দিয়েছে সিএজি। ৩৩ পাতার একটি রিপোর্টে সিএজি লেনদেন নিয়ে লুকোছাপা করেছে এবং কবর দিয়েছে ঘটনার সঙ্গে সত্যকেও। সিএজির পক্ষে বেনজির ঘটনা এই, সরকার নিরাপত্তার যে দোহাই দিয়েছে কর্তৃপক্ষ সেটাই মেনে নিয়েছে। বোফর্স কিংবা অন্য কোনও মামলায় কিন্তু এই সংযম ও শ্রদ্ধা দেখানো হয়নি। তার ফলে গড়পড়তা বুদ্ধিসুদ্ধিওয়ালা একজনের কাছে ওই রিপোর্টের ১২৬-১৪১ পাতার বক্তব্যের কোনও মানে নেই। বিশেষ করে ১৩১ পাতায় ছাপা ৩ নম্বর টেবল এবং ১৩৩ পাতায় ছাপা ৪ নম্বর টেবল স্রেফ আগডুম-বাগডুম গোছের একটা কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু, ৯ শতাংশ সস্তার নতুন চুক্তি (প্রতিটি এয়ারক্রাফটের জন্য) সম্পাদন হয়েছে বলে সরকার যে দাবি করেছিল সেটা সিএজি খারিজ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। অন্য যে-কোনও কর্তৃপক্ষের চেয়ে বেশি তথ্য সিএজির হাতে থাকে, তা সত্ত্বেও এমন একটা স্বাধীন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ দেশকে হতাশই করল।
বিরক্তিকর উদ্ঘাটন
মনে আছে নতুন চুক্তি থেকে, ব্যতিক্রমীভাবে, দুর্নীতি-বিরোধী আবশ্যিক ধারাগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। যেমন—অন্যায় প্রভাব খাটানো, কোনও এজেন্সি না রাখা এবং হিসেবের খাতা ও ‘ইন্টিগ্রিটি’ চুক্তিতে নজর করার সুযোগ। এই যে ছাড় দেওয়া হল সে কি কোনও গোপন উদ্দেশ্যে? আমরা জানি না, কিন্তু অনুপস্থিত ধারাগুলো সরকারকে হতাশ করে ফিরে এসেছে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা ‘মিডিয়াপার্ট’ তাদের তিনদফার এক তদন্তের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ফরাসি দুর্নীতিদমন সংস্থা এএফএ এই ডিলে দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে। এএফএ প্রমাণ পেয়েছে যে, দাসোঁ এক পরিচিত মিডলম্যান বা দালালকে ১০ লক্ষ ইউরো দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। এই দালালির টাকা যাঁর হাতে যাওয়ার কথা সেই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই ভারতে অভিযুক্ত। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনাবেচার অন্য একটা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রয়েছে। এবং, এই ব্যাপারে ডিফসিস সলিউশনস নামে একটি ভারতীয় কোম্পানিকে বাস্তবে ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৯২৫ ইউরো হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিডিয়াপার্টের প্রতিবেদন এটাও দেখিয়েছে যে, ফরাসি এবং ভারতীয় তদন্তকারীরা তথ্য নিয়ে আপসের একটা ‘গ্রেট ডিল’ আবিষ্কার করেছেন, কিন্তু বিষয়টাকে দু’দেশেই কবরে পাঠানো হয়েছে।
একটা অভিযোগ যতটা নির্দিষ্ট হতে পারে এটা ঠিক ততটাই নির্দিষ্ট। রাফাল ডিল নিয়ে সত্য উদ্ঘাটন হবেই। আর সেটা যতদিন না হচ্ছে ততদিন সরকারকে তাড়া করে ফিরবে রাফালের ভূত।
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত  
12th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM