Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। জয়সলমির মনে করে, দেশের দরবারে... বিশ্বের আঙিনায় তাদের শহরকে যদি কেউ সবার আগে তুলে ধরে থাকেন, তিনি সত্যজিৎবাবু। তাঁর সোনার কেল্লা। কিন্তু আজ রাজস্থান, বা অন্য রাজ্যগুলি একটি নতুন শব্দবন্ধ শিখেছে... ‘সুনার বাংলা’। সৌজন্যে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ভোট মরশুমে মোদিজি অহরহ ভিজিট দিচ্ছেন, আর রবি ঠাকুরের সোনার বাংলাকে ‘সুনার’... ‘সুনার’ বলে রসিকতা করছেন। রসিকতা বলব না? তাহলে কী বলা যায় একে? অন্য কোনওভাবে ব্যাখ্যা করা গেলে পরামর্শ প্রার্থনীয়।
নরেন্দ্র মোদি হপ্তায় দু’বার এলে তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ আসছেন পাঁচবার। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে তিনি বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে সাফ বলেছিলেন, একটা মাছিও গলতে দেব না। কিন্তু বাকি কাজ আপনাদের করতে হবে। চার দফা ভোট হয়ে যাওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে এই মন্তব্যের মর্ম। সত্যিই মাছি গলার জো নেই। গলতে গেলে যে গুলি চলবে! আর সে গুলি পায়ে লাগবে না... বিদ্ধ হবে গলায়, বুকে। আর ‘বাকি কাজ’ নেতারা করছেন। ধর্মীয় মেরুকরণ, উস্কানি, রাজনৈতিক সৌজন্য-সুস্থতা ঝেড়ে ফেলে কুৎসিত প্রচার। এটাই একুশের ভোটযুদ্ধের সারসত্য। জনসভায় ভিড় হোক না হোক, তাঁরা আসবেন। দিল্লি থেকে নির্দেশও আসবে। কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। আর বিনিময়ে? চলবে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির তুলোধোনা... নিরন্তর। এও এক বিষম রসিকতাই বটে!
আমিদুল মিঞা, সামিউল হক, মণিরুজ্জামান মিঞা, নুর আলম হোসেন... এঁদের সঙ্গে যা হল, তাকে কী বলা যায়? রাজনীতি? ক্ষমতা হাসিলের লক্ষ্যে ইগোর বহিঃপ্রকাশ? নাকি এও চরম এক রসিকতা? বঙ্গ বিজেপির সর্বময় কর্তা না হলে বলেন কীভাবে... ‘বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা... সবার এক রা। ‘শীতলকুচি হবে... আবার’। নির্বাচন কমিশন ওইদিন, মানে ১০ তারিখ একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কাগজে। অমর জওয়ান জ্যোতির ছবি, কমন ম্যানের কার্টুন, আর একটা বার্তা... তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, আর আপনারা দেশের জন্য ভোট দিতে পারবেন না? ভোটদান শুধু অধিকার নয়, কর্তব্যও। ঠিক কথা। কর্তব্যই তো করতে গিয়েছিলেন মণিরুজ্জামানরা। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, ভোট দিতে নয়... ওরা গিয়েছিল আক্রমণ করতে। বাহিনীকে ঘিরে ধরতে। ওদের কাছে ছিল অস্ত্র... বোমা, বন্দুক। একজন নাকি পিস্তল বের করতে যাচ্ছিল, গুলি তখনই চালাতে হয়। কিন্তু এখানেও যে অনেক প্রশ্ন ভিড় করে আসছে! যে ‘ভোটার’ পিস্তল বের করছিল, তাকে লক্ষ্য করেই কি গুলি ছোড়া হয়েছে? হয়ে থাকলে তার সেই অস্ত্রটি কোথায়? স্থানীয় থানায় কি কেন্দ্রীয় বাহিনী তা জমা দিয়ে কোনও কেস রেজিস্টার করেছে? আর জনতা ঘিরে ধরলে, বা হামলা চালালে তো প্রথম কাজ লাঠিচার্জ। তারপর কাঁদানে গ্যাস এবং শেষে গুলি... তাও কোমরের নীচে। গলায় বা বুকে নয়। তাহলে এমন কোন সন্ত্রাসবাদী সেদিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে হাজির হয়েছিল যে, বাহিনীকে ‘এনকাউন্টার’ করতে হল? প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওদের ভোটের লাইনে দেখা গিয়েছিল। ওই বুথেরই ভোটার ছিল তারা... সাধারণ নাগরিক। সন্ত্রাসবাদী নয়। এটা পাকিস্তান বা চীন সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্র নয়। আরও একটা মোক্ষম প্রশ্ন এই হত্যালীলার নেপথ্যে ঘুরছে... গুলি চালানোর অর্ডার কে দিয়েছিল?
নেপথ্য কারণের ময়নাতদন্ত সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষ কোনও ফুটেজ দেখেনি, কোনও রাজনৈতিক নেতা (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সেখানে পৌঁছতে পারেননি। আড়ালে রয়েছে সবটা। কেন? পুলিস সুপার তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন। কিন্তু লাঠিচার্জ না করে আগেই বন্দুক কেন? এর উত্তর দেননি তিনি। পুলিস কর্তা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন। কেন্দ্রীয় বাহিনীও তাই। কিন্তু এই চার দফা ভোট পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যে যে নির্দেশনামা জারি করেছিল, তার কোথাও কিন্তু গোলমাল দেখলেই বুকে গুলি করার মতো স্ট্যান্ডিং অর্ডার ছিল না। তাহলে নেপথ্যে কে? প্রশ্নটা আমার, আপনার, সকলের। সাধারণ মানুষের। ভোটারের। পঞ্চম দফা ভোটের আগে বাংলার প্রত্যেক ভোটার জানতে চায়, কেন হল শীতলকুচি? কোন সাহসে রাজনৈতিক নেতারা বলতে পারছেন, ‘আরও হবে শীতলকুচি’? কেন নির্বাচন কমিশন এই নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তাঁরা কেন্দ্রীয় শাসক দলের প্রতিনিধি বলে? নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্প্রদায়িক বক্তৃতার জন্য নোটিস ধরিয়েই তাদের কর্তব্য শেষ হয়ে গিয়েছে? দেশের মানুষ, বাংলার মানুষ তাদের কর্তব্য জানে। ভোট দিতে চায়। কিন্তু বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে তাঁদের প্রতি কী বার্তা দিতে চাইছেন কমিশনের কর্তারা? কেন্দ্রীয় বাহিনী তো সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য! হাজারে হাজারে তাঁরা এসেছেন... বিভিন্ন রাজ্য থেকে... সীমান্ত থেকে। তাঁদের পাহারায় তাহলে কেন আম বাঙালি নিশ্চিত হতে পারছে না? কেন বৃদ্ধ বাবা তার জোয়ান ছেলেকে বলছে, ‘ভোট দিতে যাবি? ফিরে আসবি তো?’
এটাই চাইছে না তো গেরুয়া শিবির? ‘নিশ্চিত ভোটার’ যাঁরা, তাঁরাই পৌঁছবেন বুথে। বাকিদের আসার প্রয়োজন নেই। যদি এই যুক্তি সত্যি হয়, গণতন্ত্রকে সর্বসমক্ষে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আর আমরা তা দাঁড়িয়ে দেখছি। দেশজুড়ে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে... দোষ দিচ্ছি রাজ্যগুলিকে। নিত্যপণ্যের দামে শরীরের প্রতিটা রক্তবিন্দু জল হয়ে যাচ্ছে... তারপরও বলছি, রাজ্যগুলির কিছু করা উচিত। রান্নার গ্যাস, পেট্রল-ডিজেল, আবার লকডাউনের বিষাক্ত হাতছানি, অনাহার... তারপরও কেন্দ্রের মোদি সরকারের এতটুকু খুঁত আমাদের নজরে আসছে না। গোরুর রচনার মতো একমুখী এক উপসংহার আমাদের মনে যেন গেঁথে গিয়েছে... কেন্দ্রের দোষ নেই, রাজ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।
অদ্ভুত এক সম্মোহনের জালে আমরা আজ আবিষ্ট। ‘ডবল ইঞ্জিনে’র মোহে ছুটে চলেছি। এখনও নাকি বাংলার বাতাসে বিজেপি-বিজেপি হাওয়া! আমরা কেন সেই হাওয়ায় বারুদের গন্ধ পাচ্ছি না? করোনায় আক্রান্ত হলে স্বাদ-গন্ধ চলে যায়। গোটা বাংলার নিশ্চয়ই করোনা হয়নি? অমিত শাহ শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথেই আবার আনন্দ বর্মনকে এনে ফেলেছেন। দাবি করেছেন, আনন্দের মৃত্যু হয়েছিল ওই বুথে ভোট দিতে গিয়েই... সকালে।
তার থেকেই নাকি পরিস্থিতির উত্তাপ। ফলাফল? বাহিনীর গুলি। তিনি বললেন, গোটা দেশ শুনল। যাঁরা জানে না, বিশ্বাসও করল। কিন্তু আমরা তো জানি! ওই ঘটনা অন্য বুথের। পাঠানটুলি এলাকার। তারপরও আমরা চুপ করে থাকব?
আমরা বাঙালি... সাধারণ বাঙালি। ক্ষমতা, প্রতাপ, দাপট... এসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেখাতে পারি না। সেই বুকের পাটা আমাদের নেই। আমরা শুধু পারি কর্তব্য করতে... ভোট দিতে। তার জন্যই এত রাজসূয় আয়োজন। কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ। মহামারীর আবহে আট দফার ধ্যাষ্টামো। সংক্রমণের আশঙ্কা গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়িয়ে দেওয়া। আর সবশেষে একটি বাক্য... ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস’। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ একটা বিষয় খুব ভালো জানেন... শিখতে। যার যা ভালো, সেটা তুলে নাও। বাকিটা ফেলে দিলেও চলবে। বা বলা ভালো ফেলে দিতে হবে। ততটুকুই নেব, যতটা দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি হবে। মানুষ বিপুলভাবে ভোট দিতে গেলে যদি স্বার্থসিদ্ধি না হয়, তাহলে তাঁদের ভোট না দিলেও চলবে। তাঁরা দায় চাপাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। বলবেন, উনি উস্কানি দিয়েছেন বলেই তো এমনটা হচ্ছে! ঠিক যেমন তাঁরা বলেন, মেয়েরা ছোট পোশাক পরে বলেই ধর্ষণের শিকার হয়! একটা নোংরা মানসিকতা... যা সমাজের অন্দরটা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। আমরাও অনেকে তাঁদের এই মানসিকতার জুতোয় পা গলিয়ে মেয়েদের ছোট পোশাককেই দোষারোপ করি। বাড়ির ছেলেকে শিক্ষা দিই না! ভোটের দিন গুলি চললেও তাই দোষী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বা নিরীহ গ্রামবাসীরা। যারা গুলি চালাল, বা চালানোর অর্ডার দিল... তারা নয়।
তবু আমরা ভোট দেব। পঞ্চম দফাতেও। আতঙ্ক দূরে সরিয়ে যাব বাড়ির কাছের বুথটায়। ইভিএমের বোতামে চাপ দেব, আর ভিভিপ্যাটে দেখব... যাঁকে ভোটটা দিয়েছি, ঠিক তাঁর ঘরেই আমাদের ‘মতামত’ জমা পড়েছে কি না। আর তখন মনে পড়বে মণিরুজ্জামানদের। মনে রাখব সীতা মাইয়াকে। সোনার হরিণের মোহে লক্ষ্মণরেখা পার হয়েছিলেন তিনি। রাবণের কারাগারে বন্দি হতে হয়েছিল তাঁকে।
সোনার হরিণ হয় না। হতে পারে না। ওটা ধাঁধা। বাংলাতেও এমন এক ‘সুনার বাংলা’র ট্রেলার চলছে... রক্তাক্ত সেই ট্রেলার। পুরো ছবিটা তাহলে
কী হতে চলেছে? 
13th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আজ, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনটি সভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM