Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলার ভোট নিয়ে রক্তাক্ত খেলায় মেতেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার সব গোপন অভিসন্ধিগুলি একে একে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। মমতাকে শত কৌশলে আটকাতে না পেরে তারা বার বার ফাউল গেম করে চলেছে। সেই ফাউল গেমের দুই মাসতুতো ভাই নির্বাচন কমিশন এবং অমিতজির মালিকানাধীন কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন বাংলায় আট দফায় ভোট ঘোষণার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, কেন আট দফায় ভোট? অন্য রাজ্যে তো এত দফায় ভোটের আয়োজন কমিশন করেনি? এখন তার জবাব মিলছে। প্রত্যেকটা পর্বের ভোট হচ্ছে, আর আমরা দেখতে পাচ্ছি, কেন্দ্র কীভাবে পোষ্য সংস্থাটিকে নিজের আজ্ঞাবহ হিসেবে ব্যবহার করছে। আগের সব নির্বাচনী নির্ঘণ্ট অনুযায়ী দেখেছি, ভোট নেমে আসত উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে। এখন ভোট সাজানো হয়েছে লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে বিজেপি প্রভাবিত এলাকাগুলি থেকে ক্রমান্বয়ে। যাতে দীর্ঘ ভোটের প্রচারে চিৎকার করে সম্ভাব্য ফল নিয়ে গলা ফাটিয়ে বলা যায়, ‘আমরাই জিতছি’। সেই সঙ্গে ভোটের দিনগুলিতে মোদির প্রচারের ব্যবস্থা করা। ভোটারদের পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করার জন্যই কি এমন ব্যবস্থা? নির্বাচন কমিশন কি তা না মেনে পারে? মোদ্দা ব্যাপার হল, আট দফা জুড়ে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাকে অস্ত্র করে আধিপত্যবাদকে একটু একটু করে নানা কৌশলে সম্প্রসারিত করা। রাজ্যের মানুষের উপর পরোক্ষে একটা চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু সব কৌশল যুদ্ধক্ষেত্রে খাটে না। 
এখানেও প্রথম তিন দফার ভোটে যে বিজেপির কৌশল খাটেনি, সেটা গেরুয়া কর্তারা বুঝেছেন। বিজেপি বারবার চেয়েছে কম ভোট পড়ুক। বহু কেন্দ্রে মুসলিম মহল্লায় গিয়ে নাকি ভয় দেখানো হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট কম পোল হয়। কিন্তু প্রথম তিন দফার নির্বাচনে ভোটের শতকরা হার দেখে নার্ভাস হয়ে যায় বিজেপি। তাদের ভোটবাক্স যে নাড্ডাজির সভার মতোই শুনশান, তা টের পেতে শুরু করেছিল মোদি এবং অমিত শাহের সিন্ডিকেট। গোদের উপর বিষফোঁড়া, মোদিজির কাছে জমা পড়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর গোপন রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, বিজেপি এরাজ্যে এক তৃতীয়াংশেরও কম আসন পাবে। বেশ কিছু আসনে বিজেপি প্রার্থীরা তৃতীয় স্থান পাবেন। তাই চতুর্থ পর্যায়ের ভোট থেকে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি বদল হল। জল ঘুলিয়ে দেওয়ার কৌশল। ঘোলা জলে মাছ ধরতে হবে। নাহলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। আম ও ছালা বাঁচানোর লক্ষ্যেই অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা করা হল চতুর্থ দফার ভোটে। শীতলকুচিতে অমিত শাহের অনুগত কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেল চার জন নিরীহ ভোটারের। পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। কিন্তু কারা মরলেন? কেন ওঁদের মারা হল? কেন বুকে গুলি করা হল? ওরা কি জঙ্গি? জওয়ানরা কতটা আক্রান্ত ছিলেন? না, সাজানো রিপোর্টে তার কোনও সদুত্তর মিলবে না। শীতলকুচির খেলা খুবই শীতল মস্তিষ্কের। মৃত্যুর মতো হিমশীতল। কিন্তু বিপদের পর বিপদ। মমতা সঙ্গে সঙ্গে শীতলকুচি যেতে চাইলেন। আটকাতে হবে তাঁকে। কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়েই কি নেতা-নেত্রীদের তিনদিনের শীতলকুচিতে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আনল কমিশন? তাতেও এই ভোটের খেলায় মমতাকে আটকানো যাচ্ছে না! মারাদোনার মতো প্রতিপক্ষের ডিফেন্স চুরমার করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। ওঁকে আটকাও যেভাবে হোক। জো হুজুর নির্বাচন কমিশন ২৪ ঘণ্টার জন্য মমতার প্রচার নিষিদ্ধ করে দিলেন। ভোট যত এগচ্ছে, আমরা দেখছি হারের আক্রোশে নখ-দাঁত বেরিয়ে পড়ছে। তবুও উদ্দেশ্য সফল হবে না। মানুষ সব বোঝেন। কার টিকি কোথায় বাঁধা, কে কার হাতের পুতুল আর টেবিলের তলায় কোন খেলা, মানুষ সব জানেন। বাংলার এবারের নির্বাচন স্বাধীন ভারতের সবথেকে কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। একদিকে যখন মৃত্যুশোক। অন্যদিকে তখন বিজেপি নেতাদের আস্ফালন। তাঁরা গলার শিরা ফুলিয়ে বলছেন, ‘আরও মারা হবে।.. বুকে গুলি করে মারা হবে।.. পরবর্তী ভোটগুলিতে শীতলকুচির মতো ঘটনা বারবার ঘটবে।’ এসব দেখেশুনে রাজ্যের মানুষের প্রশ্ন, যেনতেন প্রকারে জিততে গা জোয়ারি খেলায় বাংলাকে কি আর একটা গোধরার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন গুজরাতের দুই ভূমিপুত্র? কিন্তু রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষ বুলেটের জবাব ব্যালটেই দেবেন। মানুষ দেখতে পাচ্ছেন দেশের কাজ চুলোয় গিয়েছে। দেশ এখন গৌণ। তেলের দাম, গ্যাসের দাম, রেলের ভাড়া, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসত্রের দাম বেড়েই চলেছে। দেশজুড়ে চলছে ক্ষুব্ধ মানুষের ধিক্কার। হুঁশ নেই প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সব কাজ ছেড়ে এরাজ্যে পড়ে রয়েছেন। অতীতে এমন কম্ম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে করতে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী পদের একটা মর্যাদা আর সম্ভ্রম রয়েছে। সেটা গেলে থাকবে শুধু ক্ষমতাটুকই। মোদিজির দিল্লি-বাংলা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করার মাঝখানেই বেড়ে গেল সারের দাম। অর্থাৎ কালা কৃষি আইনের বিষফল ফলতে শুরু করেছে। আরও বাড়বে। মোদি সরকার শিল্পপতিদের দাসানুদাসে পরিণত হয়েছে। কিছু করার ক্ষমতা সরকারের নেই। শুধু কথার বারফট্টাই। সেই কথায় ভুললে আগামী দিনে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে। একবার ভেবে দেখুন, তাঁর ঘরের পাশে কৃষকরা গত সাত আট মাস ধরে আন্দোলন করছেন, শ’ পাঁচেক কৃষকের প্রাণ গিয়েছে। ক’বার তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন? কতবার সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হয়েছেন? হননি। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মোদি-শাহ-নাড্ডাবাবু দিল্লি থেকে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। এত টাকা আসছে কোথা থেকে? কে দিচ্ছেন? বাংলার মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁদের সন্দেহ, রহস্যজনক পিএম কেয়ার্স ফান্ড সেই টাকারই অফুরন্ত উৎস হতে পারে। নির্বাচনে টাকার অন্তহীন বেহিসেবি সাপ্লাই। সন্দেহ কি সত্যিই অমূলক? আমরা জানি না। শুধু জানি, এই ফান্ড এমন এক আলাদিনের ফান্ড, যার কোনও সরকারি অডিট হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নামে ফান্ড, কিন্তু তা বেসরকারি অডিটের আওতাধীন। সন্দেহ যাঁরা করছেন, তাঁদেরই আর দোষ কি? নিজেকে নিষ্কলঙ্ক রাখার দায় তো প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই! 
ওদিকে বিহার, উত্তরপ্রদেশের খবর জানেন তো? সেখানকার বেকার যুবকরা ব্যাগ গুছিয়ে বসে 
আছেন। সেখানে বিজেপি নেতারা বুঝিয়েছেন, বাংলায় পদ্ম ফুটলেই হিন্দিভাষী ছেলেমেয়েদের এখানে চাকরির স্লুইস গেট খুলে যাবে। আসলে 
বঙ্গ-হিন্দুত্বের গলায় গামছা দিয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে হিন্দি-হিন্দুত্বের বৃত্তে। এতে খুব উৎসাহিত হিন্দি বলয়।
যে দলকে মানুষ সারা দেশ থেকে উৎখাত করার জন্য মুখিয়ে আছেন, তাকে আদর করে আসন পেতে ঘরে ডেকে আনা হতে পারে শতাব্দীর সেরা মূর্খামি। ভোট মিটবে। কোনও এক দল ক্ষমতা দখল করবে। তার আগে এতগুলি প্রচার সভা, এতগুলি রোড শো। বড় ভয় লাগছে। প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশনের যুক্তিহীনভাবে মোদির সব নির্দেশ পালন করার নিট ফল কি অশান্তি। সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি। চুলোয় যাক করোনা। আসল লক্ষ্য তো ক্ষমতা লাভ। মানুষের কথা ভাবার এত সময় ওদের কই? সুতরাং বাংলায় করোনা বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী থাকবে কে? নির্বাচন কমিশন কি?
একে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ঝড়ের বেগে বাড়ছে। অন্যদিকে কোভিড ভ্যাকসিনের হাহাকার। কোভিড ভ্যাকসিন ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকা সত্ত্বেও মোদিজি টিকা উৎসবে মেতে উঠতে বললেন। টিকা না থাকার কারণে 
চার সপ্তাহ অন্তর দ্বিতীয় ডোজকে বাড়িয়ে ছয় সপ্তাহ করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের এই হাহাকার সত্ত্বেও উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার। এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই প্রধানমন্ত্রীর। 
বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘদিন চলছে মগজধোলাই। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। হিমাচল, পাঞ্জাবের লোকাল বডির নির্বাচনে বিজেপি হেরেছে। সাফ হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরার উপজাতি পরিষদের নির্বাচনেও। মোদিজির নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতেও একের পর এক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে যাচ্ছে বিজেপি। মোদিজির বিভেদমূলক নীতি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে এককাট্টা হচ্ছেন সেখানকার ছাত্র ও যুব সমাজ। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে আসন বদল করতেই হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পথ দেখাবে বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল। ৪ রাজ্যের ভোটের ফলে বিজেপির ভরাডুবি বুঝিয়ে দেবে, বিজেপির শেষের শুরু এখান থেকেই। এখন ঈশান কোণে পাকিয়ে উঠছে চৈতালি ঝড়ের মেঘ। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ 
14th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়-পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট! বিশদ

16th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

কাজ পাগল কাজল! শ্যামসুন্দর-নিত্যানন্দের পুণ্যভূমিতে কাজল সিনহাকে চিনতে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ লাগে না। কর্মেই তিনি বেশি পরিচিত। তাঁর অতিবড় নিন্দুকেরাও নাকি এমন কথা বলে থাকেন!  ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM