Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন
বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন
সমৃদ্ধ দত্ত

কাদের প্রাণ গিয়েছে? বাঙালির। কোন শিশুরা পিতৃহারা হয়েছে? বাঙালি শিশু। কোন কোন মেয়েরা জানতে পারল তারা এবার বিধবা? বাঙালি বধূ। কাদের চোখের সামনে পোকামাকড়ের মতো গুলি করে তাদেরই গ্রামের মানুষদের হত্যা করা হল? বাঙালির চোখের সামনে। কারা গুলি করল? বাংলার বাইরে থেকে আসা বাহিনী। কারা সেই গুলিকে সমর্থন করেছে? বাংলার বাইরে বসবাস করা নেতা, স্বার্থান্বেষী ও সুযোগসন্ধানীরা। বাংলার মসনদ দখল করতে পারলে পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র ঘেরা এক সমৃদ্ধ  রাজ্যকে নিয়ে যা ইচ্ছে করা যাবে। কোন বাঙালি এই বহিরাগতদেরই পাশে দাঁড়াচ্ছে? যাদের ভেসে থাকার দরকার আছে কেরিয়ারে। কোন কেরিয়ার? রাজনীতি। কেমন কেরিয়ার? একবার বিধায়ক হলে প্রতি মাসে মোটা টাকা বেতন। সারাজীবন পেনশন। আর শুধু বহিরাগতদের ইয়েস ম্যান হয়ে থাকতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে অবহেলায় ছুঁড়ে দেওয়া অর্থ আর ক্ষমতার অংশবিশেষ। গত ১০ বছরে হাজারো প্ররোচনা সত্ত্বেও কারা গুলি চালিয়ে একটিও গণহত্যা ঘটায়নি? বাংলার পুলিস বাহিনী। শীতলকুচিতে সেই রেকর্ড কারা ভেঙে দিল? দিল্লির পাঠানো বাহিনী।  উদ্দেশ্য বাংলার শাসককে শিক্ষা দেওয়া। তাই অনায়াসে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হল বাঙালির। তাদের যুক্তি কি? বাহিনীকে আক্রমণ করা হয়েছিল। আজও তার প্রমাণ দেখানো গেল না কেন? ভোট লুট হচ্ছিল? কিন্তু ওই বুথের থার্ড পোলিং অফিসার কেন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পোলিং তো নির্বিঘ্নেই হচ্ছিল! হঠাৎ শুনলাম বা‌ই঩রে গোলমাল! তাহলে তাঁর কথা সত্যি হলে কেন গুলি? 
সেই হত্যার সমর্থন করতেও দেখা যাচ্ছে। তারা তো বাঙালি। হ্যাঁ। ঠিক যেমন লর্ড ক্লাইভের বাংলা দখলেরও সহায়ক ছিল অনেক বাঙালি। অথচ মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে সাধারণ বাঙালি না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছিল এক নৃশংস মন্বন্তরে। বাঙালি কি শুধু শীতলকুচিতে মারা যায়? কে বলেছে?  হাজার হাজার বাঙালি দুর্ভিক্ষে মারা যায়, দাঙ্গায় মারা যায়, দেশভাগে মারা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামে মারা যায়। অতীতে পুলিসের গুলিতেও মারা গিয়েছে বহুবার। ১৭৭০ সালের চরম দুর্ভিক্ষে যখন বাঙালি মারা যায়, তখনও দিল্লির মোগল সাম্রাজ্য অথবা কলকাতার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঩কিছুই এসে যায়নি। তারা বহাল তবিয়তে বাংলা থেকে মুনাফা করেছে। সুখী জীবন যাপন করেছে। বরং সেই ভয়াল দুর্ভিক্ষের পরের বছরেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লক্ষ লক্ষ টাকা লন্ডনে তাদের হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়েছে আদায় করা ট্যাক্স আর রাজস্ব হিসেবে। অন্য ভারতের কিছু যায় আসেনি।  
১৯৪৩ সালের মহাদুর্ভিক্ষে কোন প্রদেশের ৩৫ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল? বাংলার। সেই মৃত্যু নিয়ে গোটা ভারতের কার কী এসে গিয়েছিল? কিছু‌ই নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে সবথেকে বেশি কারা প্রাণ দিয়েছিল? বাঙালি। বিনিময়ে বাঙালি জাতি ভারতের রাজস্ব আর সম্পদ থেকে গত ৭৫ বছরে বিশেষ কিছু উপকার পেয়েছে নাকি? পায়নি। কেউ বাংলাকে পাত্তাও দেয়নি। দেশভাগের মতো এত বড় অভিশাপে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর কী এসে গেল? কিছুই নয়। দেশভাগের পর লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু আগমন আর একের পর এক দাঙ্গার ক্ষত কোন জাতিকে সবথেকে বেশি বহন করতে হয়েছে? বাঙালি। ১৯৬৫ পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৭১ বাংলাদেশ যুদ্ধ, পালিয়ে আসা রিফিউজিরা কোন রাজ্যে আছড়ে পড়ল? কাদের খাবার আর বাসস্থান জোগাতে হল? পশ্চিমবঙ্গ। কারা দায় নিয়েছে উদ্বাস্তুদের? কেউ নয়। নিলেও জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বাঙালির প্রাণের মূল্য নেই একথা তো ধ্রুব সত্য। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে বারবার। বহিরাগত নেতানেত্রীদের কণ্ঠে একবারও কেন সামান্য সহানুভূতির বাক্য শোনা গেল না শীতলকুচির জন্য? 
আজও বাঙালির প্রাণ আর সম্মান বহিরাগতদের কাছে তুচ্ছ আর সস্তা।  ঠিক যে কারণে, যখন তখন বাংলায় এসে বলা যায়, এনআরসি নিয়ে এসে কাগজ না থাকলে সবাইকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেব। বাঙালিকে মুখ বুজে এই হুমকি শুনতে হয়। রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ, শ্রীরামকৃষ্ণদেব, ঋষি বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, স্বামীজি, নেতাজি, শ্রীঅরবিন্দ, চিত্তরঞ্জন দাশের বাংলার মানুষকে কারা থ্রেট দিচ্ছে দেশ থেকে তাড়াবো? বাংলার বাইরের রাজনীতিকরা। যাদের বিপ্লবে, সংস্কৃতিতে, ইতিহাসে, ভারত গঠনে সামান্যতম অবদান নেই। বাঙালির আছে। অসমে কেন লক্ষ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ গেল এনআরসিতে? 
বাঙালির প্রাণ যদি তুচ্ছই না হবে, তাহলে কেন করোনার মরণকামড়ের মধ্যেই ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত একমাস ধরে ভোটগ্রহণ নামক একটি আট দফার দীর্ঘমেয়াদি সময়সীমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? কেন বাকি সব রাজ্যে ৬ এপ্রিলের মধ্যে ভোটপর্ব শেষ হয়ে গেল? সেইসব রাজ্যবাসী তো কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেল অনেকটাই। কারণ, তাঁরা উন্নত ভারতবাসী। পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর, তুচ্ছ বাঙালি তো নয়! সম্পূর্ণ দেশের মধ্যে শুধুমাত্র একটি জাতি আর একটি রাজ্যকেই কোভিডের বিষের মধ্যে ভোটযুদ্ধে নিমজ্জিত করে রাখা হচ্ছে। গোটা এপ্রিল মাসে ভারতজুড়ে হাহাকার।  দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছে। একমাত্র কলকাতাকে রাস্তায় এনে  বাধ্য করা হচ্ছে কোভিড বিষের দংশন সহ্য করে প্রাণ হারাতে, অসুস্থ হতে, সংক্রামিত হতে। ভিড়ে ঠাসা মিছিল, রোড শো আর সমাবেশের ছবি শেয়ার করে সর্বভারতীয় স্তরের মহামান্যরা দেখাচ্ছেন তাঁদের জনপ্রিয়তা! তারপর সন্ধ্যায় আবার দিল্লিতে ফিরে গিয়ে দেশবাসীকে তাঁরাই অমৃতবাণী শোনাচ্ছেন, দূরত্ব বজায় রাখুন....মাস্ক ব্যবহার করুন....প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরবেন না। সেই দেশবাসীর তালিকায় বাঙালি নেই।  কারণ,  কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুলেট হোক আর করোনার সংক্রমণ, বাঙালির প্রাণ তো মূল্যহীন। কী যায় আসে! আমাদের হাতজোড় করে বলতে হবে, ‘যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান!’
যারা বাঙালির উন্নতির জন্য, সোনার বাংলার জন্য এত আকুল, তারা গত ৭ বছরে কী করেছে বাংলার জন্য? একটিও কেন্দ্রীয় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে? ক’টা নতুন দূরপাল্লার ট্রেন চালু হয়েছে? রেল কেন একটিও বৃহৎ ম্যানুফাকচারিং ইউনিট করল না? চিরকাল কীটপতঙ্গের মতো যাতায়াত করতে হয় ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনে। সেই চরম অপমানের জার্নির কোনও পরিবর্তন হয়েছে? গত ৭ বছরে ইস্টার্ন রেল, সাউথ ইস্টার্ন রেল, মেট্রো রেলে কত বাঙালি ছেলেমেয়ে চাকরি পেল? আদানি, আম্বানিদের অনুরোধ করে একটিও বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রি কি বাংলায় নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার? বার্ন, ব্রেথওয়েট, জেশপ কোন কারখানা আবার নতুন উদ্যোগে চালু করা হয়েছে? রাজ্য সরকার চাকরি দেয়নি? বেশ। আপনারা ক’টা চাকরি দিয়েছেন? ক’টা নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হল? বাংলার নামবদলের প্রস্তাব বছরের পর বছর কেন হেলায় ফেলে রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ফাইলে? অন্য রাজ্য হলে এই অবহেলা করা যেত? বহু ভাষা পেয়ে গেল, অথচ বাংলা আজও কেন ক্লাসিক ভাষার মর্যাদা পেল না ভারত সরকারের কাছে?
২৯ এপ্রিল শেষ দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পর ফলাফল যাই হোক, কারা আবার যে যার নিজেদের জগতে ফিরে গিয়ে অন্য কোনও অ্যাজেন্ডায় মনোনিবেশ করবে? ওই বাইরে থেকে আসা নেতানেত্রীর দল। তাঁদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি সমাপ্ত হবে। সভা সমাবেশে তাঁদের ভাঙা ভাঙা বাংলা বলা শেষ হবে। ভোটের তাগিদে বাংলার মনীষীদের নাম মুখস্থ করার প্রাণান্তকর চেষ্টা শেষ হবে। যে বাহিনী গুলি চালিয়ে বাঙালিকে হত্যা করেছে, তারাও অন্য কোনও রাজ্যে, অন্য কোনও ডিউটিতে চলে যাবে।  বাংলায় কী কী হয়েছে দু মাস ধরে, এরা সকলেই  কিছুদিনের মধ্যেই ভুলে যাবে। কারণ, এখানে তাদের স্বজন কেউ তো হতাহত হয়নি। তাদের রাজ্য, তাদের শহর, তাদের স্বজাতির জীবনযাপনে কোনও সমস্যাই হয়নি। তাদের স্বজাতির কেউ গুলিতে হতাহত হয়নি। কেউ ভোটের ডিউটি অথবা মিছিলে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়নি। করোনা, কুবাক্য আর বুলেটের স্মৃতির হাহাকার বাংলার বাতাসে রয়েই যাবে। কাদের প্রতিনিয়ত বলা হল, এই ঩যে শোনো! তোমরা ব্যর্থ একটা রাজ্য! তোমাদের সংস্কৃতি গোল্লায় গেছে। তোমাদের সমাজ উচ্ছন্নে গেছে। তোমাদের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা, হ্যাঁ, শুধু আমরা এসে তোমাদের সোনার বাংলা গড়ে মানুষের মতো মানুষ করে দেব? ১০ কোটির বাঙালিকে দিনের পর দিন এরকম কথা বলা হচ্ছে বিনা দ্বিধায়। আমরা চুপচাপ এই হুঁশিয়ারি, অপমান, তাচ্ছিল্য শুনে গেলাম।  এই প্রথম একটি ভোট হচ্ছে বাঙালি জাতির আত্মসম্মানের ভোট। বাঙালি সত্ত্বার জয়পরাজয়ের ভোট! বাঙালির আবেগের ভোট।  
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে এবার এসেছে বাঙালির চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষার ভোট!  
16th  April, 2021
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা কমে গিয়েছে
পি চিদম্বরম 

আমি প্রথম কোনও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম ১৯৭৭ সালে। পরিস্থিতি তখন কদর্য ছিল না। নির্বাচনে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস তখনও ছিল, কিন্তু আজকের যে কদর্য রূপ সেটা মোটেই ছিল না। 
বিশদ

মোদি-শাহকে যেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে...
হিমাংশু সিংহ

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মমতার বাংলায় পা রাখতে পারলে গণতন্ত্র হত্যার মহোৎসব সাফল্যমণ্ডিত হবে, এটাই মোদিজির লক্ষ্য। তাই বিজেপি মরিয়া। কিন্তু ওই ‘আসল পরিবর্তন’এর আড়ালে কোন বিষ অপেক্ষা করছে তা অসম ও ত্রিপুরার  মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরাও নিশ্চিত, বাঙালি সেই ভুল করবে না। বিশদ

18th  April, 2021
এখনও তিনি ‘স্ট্রিট ফাইটার’
তন্ময় মল্লিক

করোনা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, বাকি তিন দফার ভোট একবারে হোক। কিন্তু বিজেপি সেই আট দফাতেই অনড়। মমতা চান, বাংলার মানুষ থাকুক সুরক্ষিত। বিজেপির লক্ষ্য, বঙ্গ দখল।  ফারাকটা এখানেই।
বিশদ

17th  April, 2021
স্বাধীন ভারতে সবথেকে
কলঙ্কিত নির্বাচন
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপির বাংলা জয়ের লক্ষ্যের পিছনে রয়েছে নিধন-বাসনা। উড়েছে বস্তা বস্তা বেহিসেবি টাকা। বিজেপির আসল লক্ষ্য বাঙালির অস্মিতা নিধন, বাঙালির ভাষা নিধন, বাঙালির সংস্কৃতি নিধন, বাঙালির ঐক্য নিধন। বাঙালিকে হিরো থেকে জিরো করে দাসানুদাসে পরিণত করা। কিন্তু তা বোধহয় সম্ভব হল না। শোনা যাচ্ছে জননির্ঘোষ, ‘ঘর সামলাও চৌ...কি...দা...র।’ বিশদ

14th  April, 2021
শীতলকুচি ট্রেলার হলে পুরো সিনেমাটা কী? 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফেলুদা সোফায় বসে বাটিটা মোড়ক থেকে খুলে টেবিলের উপর রেখে বলল, ‘এটার একটা বিশেষত্ব আছে।’
‘কী বিশেষত্ব?’
‘জীবনে এই প্রথম একটা বাটি দেখলাম যেটাকে সোনার পাথরবাটি বললে খুব ভুল বলা হয় না।’
জয়সলমিরের মানুষ বাংলা সম্পর্কে প্রথম যে শব্দবন্ধটি শেখে, সেটি একটি নাম—সত্যজিৎ রায়। ‘সোনার পাথরে’ তৈরি বাটি-ঘটি বিক্রির খুব সাধারণ দোকানে গিয়েও দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি টাঙানো। 
বিশদ

13th  April, 2021
ফিরে এল রাফালের ভূত
পি চিদম্বরম 

স্মৃতি ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষের পক্ষে রোজকার বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। দেশ এবং দেশের প্রশাসনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা সচেতন। কিন্তু তারা সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল ভাবতে পারে না। 
বিশদ

12th  April, 2021
বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই।
  বিশদ

11th  April, 2021
আক্রান্ত প্রার্থীরা: বঙ্গ
রাজনীতিতে ‘অশনি সঙ্কেত’
তন্ময় মল্লিক

ভোটের দফা যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক মারামারি, প্রার্থীদের উপর হামলা ততই বাড়ছে। নেতাদের ‘জয়লাভে’র দাবিকে সত্যি ধরে নিয়ে অনেকেই ‘বদলা’ নেওয়ার মহড়া শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের জন্য এ-এক ‘অশনি সঙ্কেত’।
  বিশদ

10th  April, 2021
মতুয়াদের সামনে ‘গাজর’
ঝুলিয়ে লাভ নেই! 
মৃণালকান্তি দাস

অসমের গল্পটা নিশ্চিত এতদিনে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। কী সেই গল্প? নাগরিকত্ব আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬ সালে অসম দখল করেছিল বিজেপি। আর পাঁচ বছর পর, বিধানসভা ভোটের মুখে জানা গেল, টাকা শেষ। অতএব ঝাঁপ বন্ধ এনআরসি দপ্তরের।  
বিশদ

09th  April, 2021
সোনার বাংলা গড়বে না
বেচে দেবে, প্রশ্ন সেটাই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

যে সরকার নিজেই তার সমস্ত সংস্থা বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে সেই সরকার ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি বা পরিষেবা দেবে কী দিয়ে? মানুষকেই তার নিজের যোগ্যতায় রোজগার করার পথ খুঁজে নিতে হবে। সরকার কিছু দেবে না, উল্টে সরকারের সব সম্পদ বেচে দেবে। এটাই হল মোদি সরকার বা বিজেপির সরকার চালানোর আসল দর্শন! বিশদ

08th  April, 2021
পুরনো হিসেব পরে, এখন
শুধুই বাংলা ও বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

এই ভোটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন একজনই। তিনি আর কেউ নন বাংলার বাঘিনী। তাই আমরা ঠিক করেছি, তাঁর উপর আর রাগ পুষে রাখা নয়। পুরনো হিসেব পরে হবে। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার পক্ষে আমরা। বিশদ

07th  April, 2021
প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব:
সুদের হার কিন্তু কমবেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলে ‘ডবল বেনিফিট’ আদৌ হবে কি না জানা নেই। কিন্তু হ্যাঁ, সাঁড়াশির ডবল চাপে মানুষ ব্যতিব্যস্ত হবে—সেটা নিশ্চিত। যেমন হচ্ছে ত্রিপুরায়। যেমন হচ্ছে অসমে। প্রতিশ্রুতি আমরা আজ শুনছি... তখন স্মৃতি রোমন্থন করব। বিশদ

06th  April, 2021
একনজরে
শনিবার বিকেলে রানিগঞ্জ ব্লকের তিরাট পঞ্চায়েতে প্রচার ছিল সায়নী ঘোষের। পূর্ব কর্মসূচি মতোই তিরাট পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় বাজার চেলোদে এসে তাঁর গাড়ি থামে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ...

রবিবার সকাল থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চাকদহ থানার রাউতাড়ী পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের মণ্ডলপাড়া। বাড়ির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম দিলীপ কীর্তনীয়া (৩১)।   ...

সেঞ্চুরি পাননি ঠিকই। তবে শিখর ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ইনিংসই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতাল দিল্লি  ক্যাপিটালসকে। রবিবার জয়ের লক্ষ্যে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ...

বারবার প্রস্তাব ছিল স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মঞ্চে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে চলার কারণে সেই প্রস্তাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৬৯ টাকা ৭৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৬ টাকা ১০৪.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  April, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2021

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী ৪৬/৫২ রাত্রি ১২/২। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ২/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ গতে ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে ৪/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।  
৫ বৈশাখ ১৪২৮, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫৭। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ২/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৭ মধ্যে ও ২/৪৬ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৭ মধ্যে।  
৬ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৪৫ রানে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস 

11:29:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৯৭/৭(১৫ ওভার)

11:00:41 PM

আইপিএল: রাজস্থান ৮১/২(১০ ওভার)

10:32:46 PM

আইপিএল: রাজস্থানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

09:37:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১৩৩/৫ (১৬ ওভার) 

09:02:32 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯৮/৩ (১১ ওভার) 

08:34:07 PM