অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
কো ভ্যাকসিন: সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, যা প্রস্তুত হয়েছে ভারতীয় সংস্থা সিএসআইআর এবং ভারত বায়োটেক কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে। এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে মানবদেহে তৃতীয় দফার পরীক্ষায় সফলতা লাভ করেছে। ভ্যাকসিনটি পুরনো প্রথাগত পদ্ধতি, অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় (মৃত) ভাইরাস ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এর সংরক্ষণ পদ্ধতি খুব সহজ। কারণ এই এটি সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা সম্ভব। ভারতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
কোভিশিল্ড: এই ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও প্রসিদ্ধ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনাকার যৌথ উদ্যোগে। এই ভ্যাকসিন আমাদের দেশে তৈরি ও বিক্রির স্বত্ত্ব পেয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। যার প্রধান দপ্তর মহারাষ্ট্রের পুনেতে। এটিই হচ্ছে সর্বপ্রথম অনুমোদন প্রাপ্ত ভ্যাকসিন, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনটিও মানবদেহে সফলভাবে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি শিম্পাঞ্জির শরীরের অ্যাডিনোভাইরাস (চ্যাডক্স) এর কিছু অংশ নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। ভারতে এই ভাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
জায়কোভড: এই ভ্যাকসিনটি এখনও মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। এটি প্রস্তুত করছে বিখ্যাত ও প্রথম সারির ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস ক্যাডালিয়া যার প্রধান দপ্তর গুজরাটের আমেদাবাদ। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে, যা মার্চ বা এপ্রিল মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ অনুমোদন পেতে পারে মানবদেহে ব্যবহারের জন্য। এটি মূলত ডিএনএ ভাইরাস এবং সম্পূর্ণ ভারতীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত।
স্পুটনিকভি: এটি একটি রাশিয়ান ভ্যাকসিন, এটি তৈরি করেছে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং এর বাজারজাতকরণের দায়িত্বে আছে আরডিআইএফ বলে একটি সংস্থা। আমাদের দেশে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয়পর্বের পরীক্ষা মানবদেহে চলছে, এই মুহূর্তে, যার দায়িত্বে রয়েছে বিখ্যাত ভারতীয় সংস্থা ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরিস, যার প্রধান দপ্তর হায়দারাবাদ।
মডার্না ভ্যাকসিন: এটি একটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করছে আমেরিকান সংস্থা মডার্না ইনকর্পোরেট। এই ভ্যাকসিনটিও মানবদেহে তিনটি পর্যায়ের পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। এটি মূলত আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
কোমিরনাটি: এটি একটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন, যা তৈরি হয়েছে ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যালস, বায়োএনটেক ও ফসান ফার্মার যৌথ উদ্যোগে। এই ভ্যাকসিনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে, যা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে।
করোনাভ্যাক: এটি একটি চায়নিজ ভ্যাকসিন, এই ভ্যাকসিন নিষ্ক্রিয় (মৃত) ভাইরাস থেকে প্রস্তুত, তাই একে নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিনও বলা যায়। এটি প্রস্তুত করেছে বিখ্যাত চাইনিজ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সিনোভ্যাক। ইতিমধ্যেই এটি বেশ কয়েকটি দেশে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে যেমন, চীন, বোলিভিয়া, ব্রাজিল প্রমুখ।
বিবিআইবিপি কোরভি: এটি একটি চাইনিজ ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে বেজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ও চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ (সিনোফর্ম) এর যৌথ উদ্যোগ। এটিও নিষ্ক্রিয় ভাইরাস থেকে প্রস্তুত ভ্যাকসিন, যা ইতিমধ্যে মানবদেহে পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ এবং বিভিন্ন দেশে মানবশরীরে প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে, যেমন চীন, আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান প্রমুখ।
জেএনজে-৭৮৪৩৬৭৩৫ (জনসীন): এটি একটি ‘নন রেপ্লিকেটিং ভাইরাল ভেক্টর’ ভাইরাস, এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে পৃথিবী বিখ্যাত আমেরিকান ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। এই ভ্যাকসিনটির বাণিজ্যিক নাম জনসীন। এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে, মানুষের দেহে প্রয়োগ শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে, তার মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকা।
ইপিভাক করোনা: এটি একটি পেপ্টিয়েড ভ্যাকসিন, এটিও একটি রাশিয়ান ভ্যাকসিন। এটি প্রস্তুত করেছে ফেডারেল বাজেটারি রিসার্চ ইনস্টিটিউশন স্টেট রিসার্চ সেন্টার অফ ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি। এই ভ্যাকসিনটি ইতিমধ্যে রাশিয়া ও তুর্কিমেনিস্তানে মানবদেহে প্রোয়োগ শুরু হয়েছে।