শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
বিশিষ্ট চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ
চোখের পাওয়ার
জানলে অবাক হবেন, দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ মাইয়োপিক। অর্থাৎ তাঁদের চোখে মাইনাস পাওয়ারের চশমা রয়েছে। তুলনায় প্লাস পাওয়ার বা হাইপারমেট্রোপিকের সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখা কম। অবশ্য তার মানে এই নয় যে মাইনাস পাওয়ার আসলে বেশি ক্ষতিকর! আর হাইপারমেট্রোপিক কম ক্ষতিকর! বস্তুতঃ দুটি সমস্যাই সমানভাবে জটিল।
আসলে দেখা যায়, চোখের মাইনাস পাওয়ার প্রতিবছর উত্তোরত্তর বাড়তে থাকে। ফলে আমাদের স্বাভাবিকভাবে মনে হয়, চোখের মাইনাস পাওয়ার মোটেই ভালো বিষয় নয়। ঠিকই, তবে খেয়াল করলে দেখবেন, চোখের মাইনাস পাওয়ার ক্রমশ বাড়ে গ্রোয়িং এজ বা বাড়ন্ত বয়সে। সাধারণত, ২০ বছর বয়স পর্যন্ত মাইনাস পাওয়ার বাড়তে থাকে। তার অবশ্য কারণ রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের আকৃতির যেমন পরিবর্তন হয়, তেমনই চোখের আকারও বাড়ে। চোখের আকার বাড়লে অ্যাক্সিয়াল লেন্থ-এরও পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ কর্নিয়া থেকে রেটিনা অবদি দূরত্ব বাড়তে থাকে। ফলে চোখের দৃষ্টি সমস্যাও বাড়ে। এই কারণেই প্রতিবছর বারবার মাইনাস পাওয়ারের চশমা পরিবর্তন করতে হয়। এছাড়া যাঁরা দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারে কাজ করেন, সর্বক্ষণ মোবাইল ঘাঁটেন বা সোনার অলঙ্কারের নকশা কাটার মতো সূক্ষ্ম কাজ করেন, তাঁদেরও মাইয়োপিয়ার সমস্যা বাড়ে।
অন্যদিকে প্লাস পাওয়ারও কিন্তু ছোট বয়সে আসতে পারে। তবে মাইনাস পাওয়ারের মতো প্রতিবছর সাধারণত বাড়ে না। দেখা গিয়েছে ৩৫ বছর বয়স থেকে ৪০ বছর বয়সের পর থেকে প্লাস পাওয়ার অসুবিধে তৈরি করে ও বাড়তে থাকে। মোটামুটি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সমস্যা বাড়তে পারে। এখানেই বুঝতে হবে, এই বয়সে আসলে মানুষ মোটামুটি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যায়। রোজগার করতে শেখে। কেরিয়ার তৈরির ক্ষেত্রে চোখের পাওয়ার আলাদা করে কোনও সমস্যা তৈরি করে না। তাই প্লাস পাওয়ার সেভাবে অতটা গুরুত্ব পায় না। তবে প্লাস পাওয়ারের কিছু জটিলতা রয়েছে যেমন, প্লাস পাওয়ারের রোগীর চোখের আকার ছোট হয়। চোখের আকার ছোট হওয়ার কারণে আইরিশের পাশে যে অ্যাঙ্গেল থাকে, সেটিও ছোট হয়। ফলে পরবর্তীকালে প্লাস পাওয়ারের রোগীর গ্লকোমা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যাঁদের চোখে সাড়ে চারের বেশি প্লাস পাওয়ারের চশমা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে চোখ পরীক্ষার সময় বেশি সতর্ক থাকা দরকার।
সমস্যার সমাধান
মাইয়োপিয়া হোক বা হাইপারমেট্রোপিয়া, দু’টি সমস্যারই সমাধানের পথ রয়েছে।
চশমা: তুলনামূলকভাবে কম খরচে চোখের পাওয়ারের সমস্যায় চশমা নিয়ে নেওয়া হল বুদ্ধিমানের কাজ। মাইয়োপিয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সাধারণত বলি, ঘুমানো আর স্নান করতে যাওয়ার সময়টুকু বাদে, বাকি সময়ে চশমা ব্যবহার করুন। হাইপারমেট্রোপিয়ার রোগীদেরও একই পরামর্শ দেওয়া হয়।
কনট্যাক্ট লেন্স: মডেলিং, বিমান সহযোগীর মতো পেশায় চশমা ব্যবহারে সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যাঁরা চশমা ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না, তাঁরাও কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন। মুশকিল হল, মাইয়োপিয়ার ক্ষেত্রে চোখের পাওয়ারের বারবার পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে লেন্সও বারংবার বদলাতে হয়। এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, বিশেষ করে যাঁদের কর্নিয়ায় কেরোটোকোনাস আছে, বা যাঁদের কর্নিয়া ‘কোণ’ আকৃতির, তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণ কন্ট্যাক্ট লেন্স বা চশমা কার্যকরী নয়। খুব বেশি মাইয়োপিয়ার সমস্যায় ভোগা রোগী, অর্থাৎ যাঁদের চোখের পাওয়ার প্রায় মাইনাস ১২ বা তার বেশি, তাঁদের চোখের গ্লোব বড় থাকে। চোখের গ্লোব বড় হলে চোখের কর্নিয়াকে কোণ আকৃতির হতে হবে অথবা চোখের রেটিনাকে গর্তের আকৃতি হতে হবে! তবেই অ্যাক্সিয়াল লেন্থ বাড়বে। অ্যাক্সিয়াল লেন্থ বাড়লে চশমা বা সাধারণ কন্ট্যাক্ট লেন্স চোখে পরে তেমন উপকার মেলে না। এই সমস্যায় ভোগা রোগীকে ব্যবহার করতে হয় স্কেরল ফিকসেশন লেন্স নামে আধুনিক লেন্স। এই লেন্স চোখের সাদা অংশ বা স্ক্লেরাতে পরতে হয়। এই কারণেই যাঁদের চোখের পাওয়ার দিনকেদিন বাড়ছে তাঁদের রেটিনা খুব ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। রেটিনা খুব পাতলা হয়ে গেলে রেটিনা ডিটাচমেন্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সেখান থেকে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ারও ভয় থেকে যায়।
ল্যাসিক: মাইয়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া, দুটি সমস্যার সমাধানে ল্যাসিক অপারেশন করা যায়। ল্যাসিক হল, ছুরি-কাঁচি ও রক্তপাতহীন চোখের অপারেশন। লেজারের সাহায্যে চোখে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কর্নিয়ার সামান্য পুনর্গঠন করে দিলেই চোখের পাওয়ারের সমস্যা দূর হয়। ১৮ থেকে ২৫ বয়সের মধ্যে এই সার্জারি করালে ভালো ফল পাওয়া যায়। আরও ভেঙে বললে, চোখে পাওয়ার কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির হলে তারপরেই ল্যাসিক করানো উচিত। তবে চাইলে২৫ বছর বয়সের পরেও অপারেশন করানো যায়। মাইয়োপিয়ার ক্ষেত্রে, মাইনাস ১ থেকে মাইনাস ৮-এর মধ্যে পাওয়ার থাকলে এই অপারেশন নিশ্চিন্তে করানো যায়। তবে মাইনাস ৮ পাওয়ারের উপর এই অপারেশন করালে বেশ কিছু জটিলতা আসতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের কর্নিয়া বেশ পাতলা হয়ে গিয়েছে তাঁদের অপারেশনের পর চোখে সমস্যা হতে পারে। প্রশ্ন হল, সেক্ষেত্রে উপায় কী?
ইন্ট্রাঅকুলার লেন্স: আমাদের চোখের স্বাভাবিক লেন্সের ওপরেই রিফ্রাকটিভ আই ওয়েল বা ইন্ট্রাঅকুলার লেন্স প্রতিস্থাপন করে নেওয়া যায়। চোখের পাওয়ারের স্থায়ী সমাধান করা যায় এই পদ্ধতিতে। বিশেষ করে যাঁদের ল্যাসিক করা যাচ্ছে না তাঁদের ক্ষেত্রে ছোট্ট সার্জারির মাধ্যমে ইন্ট্রাঅকুলার লেন্স প্রতিস্থাপন যথেষ্ট কার্যকরী। অর্থাৎ চোখের পাওয়ার মাইনাস ৮-এর বেশি থাকলে, সেক্ষেত্রে চোখে নর্মাল লেন্সের সামনে রিফ্রাকটিভ ইন্ট্রা অকুলার লেন্স প্রতিস্থাপন করে দিলেই চলে। আর চশমা ব্যবহার করতে হয় না।
চোখের সমস্যায় যত্ন নিন
চশমা ও কন্ট্যাক্ট লেন্স: অর্থ সাশ্রয় করতে গিয়ে চশমায় কম দামি গ্লাস ও সস্তা কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা মোটেই উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে চোখে সমস্যা ডেকে আনতে পারে গুণগত মানে খারাপ লেন্স। মনে রাখবেন, কন্ট্যাক্ট লেন্স কর্নিয়ার উপরে থাকে। কর্নিয়ায় কোনও রক্ত সঞ্চালন হয় না। বাতাস থেকে পুষ্টি ও অক্সিজেন সংগ্রহ করে কর্নিয়া। ফলে এমন কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা দরকার, যেগুলি অন্তত অক্সিজেন প্রবেশ সহজতর করে। গুণগত মানে উৎকৃষ্ট কন্ট্যাক্ট লেন্সের মধ্যে দিয়ে যথেষ্ট মাত্রায় অক্সিজেন প্রবেশ করে। ফলে কর্নিয়া সুস্থ থাকে। কন্ট্যাক্ট লেন্সের মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন কতটা প্রবেশ করছে তা বোঝা যায় ‘ডিকে’ নামে এককের সাহায্যে। ফলে যে কন্ট্যাক্ট লেন্সের ডিকে ভ্যালু যত বেশি, সেই কন্ট্যাক্ট লেন্স তত উৎকৃষ্ট। অর্থাৎ ডিকে ৯০ এর তুলনায় ডিকে ১৭০ ভ্যালু যুক্ত কন্ট্যাক্ট লেন্স বেশি ভালো।
এবার আসা যাক চশমার যত্নে। চশমার গ্লাসে দাগ পড়ে গিয়ে চশমা ঝাপসা হয়ে গেলে সত্ত্বর কাচ বদলে নিন। ভিশন কমে যায় এই ধরনের অবহেলায়। তাই চোখ নিয়ে কোনওরকমভাবে আপস করবেন না। এছাড়া প্রতিদিন সাধারণ জলে চশমা ধুয়ে নিন। নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। চশমার দোকানেই এমন কাপড় মেলে। চশমার গ্লাস মোছার জন্য আলাদা লিক্যুইড পাওয়া যায়। কাচের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই লিক্যুইড যথেষ্ট কার্যকরী।
ইন্ট্রাঅকুলার লেন্সের আলাদা করে যত্নের প্রয়োজন নেই। তবে প্রতিবছর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই দরকার।
আবার যাঁরা ল্যাসিক অপারেশন করান, তাঁদের কিছু ক্ষেত্রে ড্রাই আই-এর সমস্যা হতে পারে। তাঁদের লুব্রিক্যান্ট ড্রপ নিতে হতে পারে।
চোখের পাওয়ারের অন্যান্য সমস্যা ও সমাধান
চালশে: চিকিৎসা পরিভাষায় চালশে পড়াকে বলা হয় প্রেসবিয়োপিয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ কাছের বস্তু ঝাপসা দেখতে থাকেন। মোটামুটি চল্লিশ বছর বয়সের পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে চোখের লেন্স ক্রমশ নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। ফলে কোনও বস্তু থেকে আসা আলো, লেন্সের মধ্যে দিয়ে সরাসরি রেটিনায় পড়ে না। বরং রেটিনার পিছনে গিয়ে পড়ে। এই কারণে সুচে সুতো পরানো, বই-এর লেখা পড়ার মতো কাজে অসুবিধা হয়।
তবে এই সমস্যারও সমাধান করা যায় চশমা, কন্ট্যাক্ট লেন্স বা সার্জারির সাহায্যে। ইতিমধ্যে চোখে চশমা ব্যবহার করার পরেও সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বাইফোকাল, ট্রাইফোকাল বা প্রোগ্রেসিভ লেন্স ব্যবহার করতে হতে পারে।
মাল্টি ফোকাল লেন্স: যাঁদের চোখে নিকটবর্তী, দূরবর্তী এবং এই দুই দূরত্বের মধ্যবর্তী অংশেও ফোকাসের সমস্যা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে মাল্টিফোকাল লেন্স ব্যবহার করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কম্পিউটারকে আমরা কিন্তু মধ্যবর্তী দূরত্বে রেখেই কাজ করি। মাল্টিফোকাল লেন্স ব্যবহার করার অন্যতম সুবিধে হল, ঘাড় উঁচু বা নিচু করে কাজ করতে হয় না। ফলে ঘাড়ে ব্যথা কম হয়।
সিলিন্ড্রিকাল পাওয়ার: মাইনাস এবং সিলিন্ড্রিকাল চোখের পাওয়ার কারেকশন করা খুব জরুরি। সিলিন্ড্রিকাল পাওয়ারের ক্ষেত্রে কম দামি লেন্স ব্যবহার করা একেবারে উচিত নয়। নিম্ন মানের গ্লাস ব্যবহার করতে গিয়ে সামান্য সিলিন্ড্রিকাল পাওয়ারের এদিক-ওদিক হয়ে গেলে পরবর্তীকালে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
মুশকিল কোথায়?
চোখে পাওয়ারের সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু মূল সমস্যা হল, চোখে পাওয়ার আসার পর তাকে অবহেলা করা। সাধারণ মানুষ কিন্তু ঠিক এই কাজটাই করেন। চোখে পাওয়ার আসার পর দোকানে গিয়ে একটা চশমা করিয়ে নিয়ে চলে আসেন। তারপর ভাবেন এতেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেল বোধহয়। আসলে চোখের পাওয়ারের সমস্যাটি চিহ্নিত করেন অপটোমেট্রিস্ট। কিন্তু পাওয়ারের পাশাপাশি চোখে অন্য কোনও অসুখ বাসা বেঁধেছে কি না সেই বিষয়ে কথা বলতে পারেন একমাত্র একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ!
অতএব, চক্ষু সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যায়, প্রথম ধাপে থাকবেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ। এরপর আসবেন অপটোমেট্রিস্ট। অথচ সচেতনতার অভাবে প্রথম ধাপটিই বেশিরভাগ মানুষ এড়িয়ে যান। এছাড়া অপট্রোমেট্রিস্টরেও উচিত, রোগীর চোখ নিয়ে কোনওরকম সন্দেহ হলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীকে পাঠানো।
খেলোয়াড়দের চোখে পাওয়ার
ক্রিকেট, ফুটবল, তিরন্দাজি বা রাইফেল শ্যুটিং— সব খেলাতেই চোখের পাওয়ার থাকা মানেই সমস্যা। এই সমস্ত ক্ষেত্রে চোখের পাওয়ারের নির্ণয় নিখুঁত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই খেলোয়াড়দের চোখে পাওয়ারের সমস্যা থাকলে, এমনকী না থাকলেও ভিশন থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। কারণ চোখ কিছু দেখার পর সেই ছবি পাঠায় ব্রেনে। মস্তিষ্ক সেই ছবির বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেয় সেটি কোন বস্তু, কতটা দূরত্বে রয়েছে ইত্যাদি। ছোটবয়স থেকে যে ব্যক্তি তিরন্দাজি করেন বা ব্যাট দিয়ে বলে আঘাত করেন অথবা বোলিং-এ উইকেট তুলে নেন, তাঁর এই বিশ্লেষণ তত উন্নত হয়। এই বিশ্লেষণের মানে ভাটা আনতে পারে পাওয়ারের সমস্যা, চোখে ক্লান্তির সমস্যা। ভিশন থেরাপির মাধ্যমে সেই হৃত বিশ্লেষণের গুণ ফিরিয়ে আনা যায়। এছাড়া বিশ্লেষণ আরও উন্নত করতেও ভিশন থেরাপি করানো যায়।
বাচ্চা যখন পড়াশোনায় অমনোযোগী
বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও ভিশন থেরাপি বেশ কার্যকরী। বাচ্চাদের চোখে পাওয়ার আসলে তারা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু চশমা দিলেই হবে না। দেখতে হবে বস্তুর ছবি দেখা এবং তার বিশ্লেষণেও কোনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে কি না।
কারণ কারণ চোখের পেশি দুর্বল থাকলে তা নির্ণয় করা দরকার। কারণ পরবর্তীকালে পেশির দুর্বলতার কারণে চোখ ট্যারা হওয়ার সমস্যাও হতে পারে। তাই এখনই সতর্ক হন নিজের এবং সন্তানের চোখ নিয়ে। কারণ চোখ নিয়ে আপস চলে না।