Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কিছুক্ষণ

আগামী বুধবার পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগে জোড়াসাঁকোর ‘মহর্ষি ভবনে’র মিউজিয়াম ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
 
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সেই শুভক্ষণের সূচনা কোথায় হয়েছিল বল তো? এই খাস কলকাতারই বুকে। এখনকার ৬/৪, দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনের বিখ্যাত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির আঁতুড়ঘরে। ১৮৬১ সালের ৭ মে। বাংলার তারিখটি ছিল পঁচিশে বৈশাখ। সেই বাড়িটিই রূপান্তরিত হয়েছে রবীন্দ্রভারতী মিউজিয়ামে। সোমবার বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। বড়দের জন্য টিকিট মূল্য ২০ টাকা এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ টাকা।
রবীন্দ্রনাথের পিতা দেবেন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত ‘মহর্ষি ভবন’-এ অবস্থিত অন্তঃপুরের বারান্দার ধারের সেই আঁতুড়ঘরটির কাঠের সাবেকি খড়খড়ি দেওয়া দরজাটির আজ জীর্ণদশা! ভেঙে পড়েছে তার পাল্লা, অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে কিছু অংশ! তাই সেই ঘরটির সামনে আছে একটি কাচের দেওয়াল। কাচের ভেতর দিয়ে সেই ঘরের ভেতর উঁকি দিলে দেখতে পাবে মেঝেতে রয়েছে একটি পেতলের কলসি, ঘটি ও গ্লাস। জন্মের ঠিক পরই ছোট্ট রবিকে যেখানে শোয়ানো হয়েছিল, সেখানটা ঘেরা আছে কাঠের রেলিং দিয়ে। ঘরের দেওয়ালে টাঙানো আছে মা সারদা দেবী ও বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ 
ঠাকুরের ছবি।
ইতিহাস যেন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটির কোনায় কোনায়! ঠাকুরবাড়ির নিয়ম অনুযায়ী প্রাচ‍্য ও পাশ্চাত্য রীতির সংমিশ্রণে গড়া খাওয়ার ঘরটিতে আছে নিচু টেবিলের সামনে একসঙ্গে ছ’জনের পা তুলে বসে খাওয়ার বড় টুল। বিভিন্ন আলমারিতে আছে চীনাবাটির বাসনপত্র ও বেলনা। দেওয়ালে টাঙানো আছে কবির সঙ্গে বিশিষ্ট ব‍্যক্তিত্বদের ছবি। কবিপত্নী মৃণালিনী দেবীর রান্নাঘরটিতে আছে তাঁর ব‍্যবহার করা মাটির জোড়া উনুন, কুলুঙ্গি ভর্তি বাসন। কবির আবদার মতো এখানেই তিনি বানিয়ে দিতেন মানকচুর জিলিপি, দইয়ের মালপো।
কবির ‘লিভিং রুম’-এর কাচের আলমারিতে দেখতে পাবে ‘অন্ধ বাউল’ বেশে ‘ফাল্গুনী’ নাটকে অভিনয় করার সময় রবীন্দ্রনাথের পরা জোব্বাটি! আছে তাঁর ব‍্যবহার করা ড্রেসিংটেবিল, টুল, আলনা। প্রতিটি ঘরের দেওয়াল জুড়ে আছে তাঁর জীবনের দুষ্প্রাপ্য ছবি।
কবির শোবার ঘরে আছে তাঁর ব‍্যবহৃত খাট-বিছানা। মৃণালিনী দেবীর ব‍্যবহার করা আসবাব দিয়ে আজও সাজানো আছে তাঁর ঘরটিও।
সময় যেন থমকে আছে রবীন্দ্রনাথের শেষ শয়নকক্ষটিতে! ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট। বাংলার ২২ শ্রাবণ এই ঘরটিতেই মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল বিশ্বকবির! কাঠের রেলিং ঘেরা সেই  স্থানটিতে আলপনার উপর আছে শুধু একটি পেতলের কলসিতে রজনীগন্ধা ফুল!
ঘরের লাগোয়া বারান্দায় দেখতে পাবে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের তৈরি করানো পদ্মাবোটটির মিনিয়েচার মডেল! প্রথম জীবনে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ যেটি ব‍্যবহার করতেন এবং পরে শিলাইদহে যেটি ব‍্যবহার করতেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এই পদ্মাবোটে বসেই তিনি বহু অমূল্য সাহিত‍্যসৃষ্টি রচনা করেছেন!
এই বারান্দা ধরে এগলে পাবে অসুস্থ রবি ঠাকুরের শেষবারের মতো শান্তিনিকেতন ছেড়ে জোড়াসাঁকো চলে আসার ছবি। যে ট্রেন চড়ে তিনি এসেছিলেন তারও একটি ক্ষুদ্র মডেল। রয়েছে পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীকে লেখা চিঠিতে তাঁর শেষ স্বাক্ষর! আর আছে রানি চন্দকে মুখে মুখে বলে যাওয়া তাঁর শেষ রচনা ‘প্রথম দিনের সূর্য’!
বারান্দার ঠিক যে স্থানটিতে ডাঃ ললিত বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের নেতৃত্বে রবীন্দ্রনাথের অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেখানে আছে সেই অপারেশনের একটি মিনিয়েচার মডেল!
মনটা ভারাক্রান্ত লাগছে? মন ভালো করতে চলে এসো পরের ‘চিত্রকলা কক্ষ’টিতে। গগনেন্দ্রনাথের আঁকা কার্টুনে শিল্পী কল্পনা করেছেন স্বপ্ন দেখতে দেখতে রবি ঠাকুর যেন আকাশে উড়ছেন আর পাশে পাশে পাখির মতো উড়ছে তাঁর খাতা-কলম! অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ও সরঞ্জাম পাবে এই ঘরে। আছে বিখ্যাত শিল্পীদের অনেক কাজও। পরের ঘরটিতে আছে রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি, ইংরেজি ‘গীতাঞ্জলি’ (সং অফারিংস) ও নোবেল পুরস্কারের রেপ্লিকা। এরই পাশের ঘরজুড়ে আছে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পূর্বপুরুষদের অয়েল পেন্টিং। আর সেই সঙ্গে তাঁদের ব্যবহৃত পোশাক।
‘স্মরণে বরণে’ ঘরের চিকের পর্দার ভেতর দিয়ে মেয়েরা দেখতেন বাইরের মহলের অনুষ্ঠান। কবির প্রথম জন্মদিন পালন থেকে শুরু করে সালের ক্রমান্বয়ে সাজানো রয়েছে তাঁর শেষ জন্মদিন পালনের ইতিহাস, স্থান ও ছবি পর পর দু’টি ঘরে।
১৯২৪ সালে চীন থেকে তিনি পেয়েছিলেন ‘চুন-চেন-তান’ পদক, যার বাংলা অর্থ ‘ভারতের মেঘমন্দ্রিত প্রভাত’! সেই পদকটির ছবিও পাবে এই ঘরে। ঘরের শেষ প্রান্তে আছে ঠাকুর পরিবারের বংশ-লতিকা।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’তে লিখেছিলেন, ‘সেই বারান্দা পার হইয়া গোটা চারপাঁচ অন্ধকার সিঁড়ির ধাপ নামিয়া একটি উঠান-ঘেরা অন্তঃপুরের বারান্দায় আসিয়া প্রবেশ করিয়াছি...’। সেই সিঁড়িটি কিন্তু আজও আছে। সেই সিঁড়ি দিয়ে নেমেই পৌঁছতে হবে জাপানি গ‍্যালারিতে। একাধিকবার জাপান গিয়েছেন তিনি। মুগ্ধ হয়েছেন সেখানকার দু’টি ক্লাসিক্যাল মিউজিক্যাল ড্রামা (‘নো’) দেখে, যার একটির নাম ‘হাগোরোমা’ এবং অন‍্যটির নাম ‘ইয়ামানবা’। আছে সে ছবিও। সেই সঙ্গে আছে জাপানি রেডিও স্টেশনে কবির ছবি। অভিনব জাপানি চায়ের সরঞ্জাম দেখতে পাবে এখানে— গুঁড়ো গ্রিন টি ‘মাচা’, বাঁশের হুইস্ক (কাঁটা) ‘চাসান’।
পরেরটি চীনা গ‍্যালারি। এই গ্যালারি বুদ্ধমূর্তি, হিউয়েন সাঙের মূর্তি দিয়ে সাজানো। মার্কিন গ‍্যালারিতে আছে হেলেন কেলার, মাদাম মন্তেসরি প্রমুখদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ছবি। হাঙ্গেরিয়ান গ‍্যালারিতে আছে তাঁর ‘ঘরে বাইরে’ উপন‍্যাসের ইংরেজি ভার্সন ‘বিমলা’। সেখানকার টেগোর মেমোরিয়াল ট্রির একটি ডালও! এমনকী সেখানকার আমন্ত্রণ সভার মেনু কার্ডটিও! একদম শেষে ছাদে পাবে ইতালির গ‍্যালারি।
‘বিচিত্রা ভবন’-এ আছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা, তাঁর সাহিত‍্য সম্ভার, তাঁর অনবদ‍্য সৃষ্টি ‘কাটুম-কুটুম’-এর বহু নিদর্শন। এমনকী তাঁর ব‍্যবহৃত নানান রকম ছড়ি। আছে এসরাজ বাজানো অবস্থায় তোলা তাঁর ছবি এবং অবশ্যই অবনীন্দ্রনাথের স্পর্শধন‍্য সেই অমূল্য এসরাজটিও! বাড়ির মূল দরজার কাছেই আছে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি দ্বারা সংরক্ষিত কবির ব‍্যবহৃত ডব্লুজিএফ ৯১ হামবার গাড়িটি। যেটি চড়া অবস্থায় তাঁর বহু বিখ্যাত ফোটো দেখতে পাবে এই মিউজিয়ামেই।
এখানেই কিন্তু শেষ না। আছে আরও একটি অভিনব আকর্ষণ! প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে থাকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থাপনা— ‘লাইট অ‍্যান্ড সাউন্ড’ শো। 
মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার বাংলায় এবং বুধ, 
শুক্র ও রবিবার হিন্দি ভাষায় হয় এই শো। 
তার জন্য কাটতে হবে পঞ্চাশ টাকার 
আলাদা টিকিট।
নাট‍্যব‍্যক্তিত্ব কুমার রায়ের লেখা স্ক্রিপ্ট এবং মনোজ মিত্র ও অশোক মুখোপাধ‍্যায়ের উপদেশে, গগনদীপের আলোক-পরিকল্পনায় নির্মিত এই বাংলা তথ‍্যচিত্রে নেপথ‍্য কণ্ঠ দিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ বসু, ঊর্মিমালা বসু, দেবরাজ রায়, ব্রততী বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, হারাধন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, সৌমিত্র বসু, দ্বিজেন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় প্রমুখ শিল্পী। হিন্দি ভার্সনটিতে তেমনই অংশ নিয়েছেন গুলজার, অর্জুন চক্রবর্তী ও আরও অনেকে।
এই শো-টিতে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার নবজাগরণের ইতিহাস, সেখানে ঠাকুরবাড়ির ভূমিকা, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের কথা বলা হয়েছে। শ্রুতি-অভিনয় ও লেজার রশ্মির আলোকসম্পাতের জন্য ইতিহাস যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেবে চোখের সামনে! কখনও কানে ভেসে আসবে বালক রবির যদু ভট্টের কাছে নেওয়া গানের তালিম, কখনও তরুণ রবি ও তাঁর জ‍্যোতিদাদার কথোপকথন আবার কখনও বিপ্লবীদের গাওয়া রবীন্দ্রনাথের সুরে ‘বন্দেমাতরম্’ গানটি! বড়পর্দায় তখন হয়তো ভেসে উঠেছে বিশ্বকবির অন্তিম যাত্রার ছবি!
তাহলে আর দেরি কেন? এই অনন‍্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চাইলে শিগগিরই দেখে এসো রবীন্দ্রভারতী মিউজিয়াম।
ছবি: অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে
05th  May, 2024
মহাকাশ স্টেশনে গাছপালা!

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখাই এর আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্লোরেলা নামক একপ্রকার শৈবাল। কতটা সফল মহাকাশযাত্রীদের এই উদ্যোগ জানালেন উৎপল অধিকারী। বিশদ

12th  May, 2024
ছুটির মজা

এবছর অনেকটা আগেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। তীব্র দাবদাহ কমে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কীভাবে কাটছে ছুটি? আগেভাগেই জানিয়েছিল মালদহের শুক্রবারি আবুল কাশেম হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিশদ

12th  May, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ প্লেট পেইন্ট

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

12th  May, 2024
মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি

মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি,  দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এই কবিতাটি পড়েছ।  সত্যি সত্যি মৌমাছিরা খুবই ব্যস্তসমস্ত আর কর্মঠ পতঙ্গ। বিশদ

05th  May, 2024
কীভাবে এল ঘড়ি?
কালীপদ চক্রবর্তী

ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি সময় মতো সব কাজ করতে হবে। সময়ে স্কুল যেতে হবে,  সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে, সময়ে পড়তে বসতে হবে। আমরা এটাও শুনেছি সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে আসছে। বিশদ

05th  May, 2024
লড়াইয়ের অপর নাম মানসী

ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্ঘটনায় হারান একটি পা। কিন্তু হেরে যাননি। তারপর থেকে ব্যাডমিন্টনই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মনের অদম্য শক্তিতে ভর করে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন মানসী। সেই অনুপ্রেরণার গল্পই শোনালেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

28th  April, 2024
আশ্চর্য ফুল

ফুল কে না ভালোবাসে! কিন্তু আশপাশের পরিচিত ফুলের বাইরে কিছু অদ্ভুত-দর্শন ফুলের খোঁজ দিলেন রুদ্রজিৎ পাল বিশদ

28th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন শিশি

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  April, 2024
রকেট বার্ড
অনির্বাণ রক্ষিত 

ছোট্ট বন্ধুরা, বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর প্রসঙ্গ উঠলে তোমাদের কোন কোন প্রাণীর নাম প্রথমে মাথায় আসে? অনেকেই হয়তো বলবে চিতা কিংবা বাজপাখি বা ঈগলের কথা। কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলতে পারে। বিশদ

28th  April, 2024
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...

কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহী। গত রবিবার শেষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। তখন তাঁরা এভারেস্টের চূড়া থেকে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

গঙ্গার নীচ দিয়ে কীভাবে চলছে মেট্রো? বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনলোজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) গেলে তা দেখা যাবে। শনিবার বিশ্ব সংরক্ষণশালা দিবস। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ২৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

12:16:29 AM

আইপিএল: ২৫ রানে আউট ধোনি, চেন্নাই ১৯০/৭ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২১৯

12:00:57 AM

আইপিএল: ৩ রানে আউট মিচেল, চেন্নাই ১২৯/৬ (১৫ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:57 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ১১৯/৫ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:32:53 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট র‌্যাচিন রবীন্দ্র, চেন্নাই ১১৫/৪ (১৩ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:29:14 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৯১/৩ (১১ ওভার), টার্গেট ২১৯

11:19:52 PM