ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য। তারই একটি দ্বীপের নাম ইয়াপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দ্বীপটি বিখ্যাত তাদের বিশেষ মুদ্রার কারণে। বহুকাল থেকেই ইয়াপ দ্বীপের উপজাতি মানুষজন একধরনের বিশাল আকৃতির চাকতিকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। এই মুদ্রাগুলিকে বলা হয় রাই স্টোনস। এগুলির দৈর্ঘ্য সাধারণত হয়ে থাকে ১ থেকে ৯ ফুট পর্যন্ত। কিছু কিছু রাইস্টোন ওজনে কয়েক টনও হয়। প্রকাণ্ড এই পাথরগুলির মধ্যিখানে থাকে গোল ছিদ্র। ঠিক ব্রিটিশ আমলে ভারতে প্রচলিত এক পয়সার মতো। গবেষকদের মতে, চুনাপাথরের তৈরি এই রাই স্টোনস ইয়াপের মানুষ প্রায় ১ হাজার ৫০০ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন। তাঁদের সভ্যতায় এই চুনাপাথরের চাকতিগুলির বিশেষ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। প্রথমত এই পাথরগুলি চুনাপাথরের তৈরি। কিন্তু ইয়াপ দ্বীপে চুনাপাথর পাওয়া যায় না। পার্শ্ববর্তী দ্বীপ থেকে চুনাপাথর এনে শিল্পী সেগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে রাই স্টোনে রূপান্তরিত করে। বিরাট আকৃতির ভারী এই চাকতিগুলির মাঝখানের ছিদ্রে বাঁশ দিয়ে তুলে সেগুলিকে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রত্যেকটিতে আলাদা নকশা ও কারুকার্য করা।
প্রত্যেকটি রাই স্টোনের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটি কাহিনি। সেই কাহিনি ইয়াপবাসীর মুখে মুখে ঘুরছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। যখনই রাই স্টোনটি নতুন কাউকে দেওয়া হয়, সেই স্টোনের সঙ্গে জুড়ে যা়য় আরও একটি গল্প। নতুন কাহিনিই বর্ণনা করে রাই স্টোনটির বর্তমান মালিকের পরিচয়। যে পাথরের কাহিনি যত পুরনো ও অভিনব, সেই রাই স্টোনের মূল্যও ততবেশি। এখনও ইয়াপের বাসিন্দারা রাই স্টোনকে বহুমূল্য মুদ্রার মতো নিজেদের সভ্যতা ও অর্থনীতির অংশ করে রেখেছন।