টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে ছোট্ট ময়ূখের মনে হয়েছিল, আমিই বা কোডিং পারব না কেন? একটি সংস্থার কোডিং ক্লাসে তারপর ভর্তিই হয়ে যায় বারাকপুর সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ময়ূখ দাশগুপ্ত। শিখতে শুরু করে কোডিং।
ভূগোলে সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়ো পরামর্শে বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক কিংশুক মণ্ডল।
আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার বারীন্দ্রকুমার ঘোষ। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
সমুদ্রের অতলে কেমন করে দিনযাপন করে বিশালাকার নীল তিমি? লিখেছেন সায়ন নস্কর।এক বিরাট জাহাজ। মহাসাগরের বুক চিরে নিজস্ব ছন্দে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলছে। যাত্রীরা অনেকেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন জাহাজের ডেকে। তাঁদের চোখ সাগর পানে। সামনে শুধুই জল আর জল।
পরামর্শে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের (উচ্চ মাধ্যমিক) ইংরেজির শিক্ষক উৎপল ভৌমিক।
পরামর্শে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা সংহিতা চক্রবর্তী।
ধুপ করে আর এক ছোট্টু এসে হাজির এই নিয়ে তিন ছোট্টু এখানে থাকে। এখানে বলতে এই আবাসনে। চারদিকে বারোতলা বাড়ি। মাঝে বেশ সুন্দর সবুজ ঘাসের পার্কে দোলনা আছে। চরকি কাছে। স্লিপ আছে। ঢেঁকুচকুচ আছে। আর চাদ্দিকে অনেক গাছ। পাঁচিলের ধারে ধারে দেবদারু গাছ কেমন সুন্দর দাঁড়িয়ে। রোদ বাতাসে কী সুন্দর পাতাগুলো ঝিলমিল করে।
স্তন্যপায়ীদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তাদের সবচেয়ে সফল প্রাণী করে তুলেছে। এরকম কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণীর নিয়ে একটি বিশেষ শো-এর আয়োজন করেছে সোনি বিবিসি আর্থ।
এবার এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর মাত্র দু’মাস হাতে সময় আছে। এই পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কীভাবে চলছে, তাই-ই জানিয়েছে তোমাদের বন্ধুরা।
ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যাজিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। এখন থেকে প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবার বাংলা। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
কি অর্ক এখনও পড়তে বসোনি? আর দু’দিন পরেই যে পরীক্ষা! আমি তোমাকে কতবার বলেছি মা— পরীক্ষা দিতে আমার একটুও ভালো লাগে না। কে এই কঠিন পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন বলো তো মা? ছোট্ট অর্কর মতো তোমাদেরও নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করে, কে আবিষ্কার করেছিল এই পরীক্ষা পদ্ধতি! ছাত্র জীবনের সব সুখকর মুহূর্তগুলো দুঃখময় হয়ে ওঠে পরীক্ষার নাম শুনলে। কি ঠিক বললাম তো? পরীক্ষার নাম শুনলে তো আবার কারও কারও গায়ে জ্বরও আসে। ছোটবেলায় পরীক্ষার দিনগুলোতে সবারই একবার অন্তত মনে হয় কী দরকার ছিল এরকম একটা উপায় বার করার। যাই হোক, চলো এবার জানা যাক, কীভাবে পরীক্ষা পদ্ধতির সূত্রপাত ঘটল। এর পিছনে কার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
প্রাচীন চীন দেশেই নাকি পরীক্ষা পদ্ধতির সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। চীনে সর্বপ্রথম ‘স্ট্যান্ডারডাইজড টেস্ট’ (standardized test) পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হতো ইম্পেরিয়াল রিভিউ। ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে চীনে চালু হওয়া এই পরীক্ষা ছিল মূলত বাছাইয়ের পরীক্ষা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন পদের জন্য কর্মী বাছাই করা হতো। প্রথমে সুই রাজবংশ এই পরীক্ষা পদ্ধতির প্রচলন করে। এর প্রায় ১৩০০ বছর পর কুইং রাজবংশ সেই পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড পুনরায় এই পরীক্ষা পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি চাকরিতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য। কালক্রমে ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় ধীরে ধীরে এই পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে এই বিশেষ পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে ও গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। এভাবে ক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্বব্যাপী পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়।
পরীক্ষার জনক বা আবিষ্কারক হিসেবে যাকে আখ্যায়িত করা হয়, তিনি হলেন হেনরি এ ফিশেল। ১৯১৩ সালের ২০ নভেম্বর জার্মানির বন-এ তাঁর জন্ম। হেনরির বাবা অ্যাডলফ ফিশেল, মা- নি সুসেনগাট। জন্মস্থানে সেকেন্ডারি স্কুলের পাঠ শেষ করে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিন থেকে ফিলোজফি নিয়ে পড়াশোনা করেন। এই সময় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি জুডাইকা শেখেন বার্লিনের একটি লিবারেল রাব্বিনিকাল সেমিনারে। ১৯৩৯ সালে তাকে রাব্বি উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ‘রাব্বি’ শব্দটি এসেছে হিব্রু ভাষা থেকে। এর অর্থ শিক্ষক। ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গেও তিনি পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। গ্রিক ও ইহুদি সাহিত্যের উপর তাঁর লেখা অনেক বই রয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি গানেও পারদর্শী ছিলেন। ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।
পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে দার্শনিক ধারণা যিনি প্রথম দিয়েছেন, তিনি হলেন ফরাসি দার্শনিক হেনরি মিশেল। পরীক্ষা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন। হেনরি মিশেলই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি পরীক্ষার দর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর মত, ‘কোনও বিষয়ে উপসংহারে পৌঁছানোর পূর্বে সেই বিষয় নিয়ে খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’ACT ও অন্যান্য standardized test-এর স্রষ্টা হিসেবে পৃথিবীতে সর্বাধিক পরিচিত এভারেট ফ্রাঙ্কলিন লিন্ডকুইস্ট। ১৯০১ সালের ৪ জুন তাঁর জন্ম। তিনি ছিলেন আইওয়া কলেজ অফ এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। শিক্ষাগত পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান আজও দৃষ্টান্তমূলক। ছোট্ট বন্ধুরা, আশা করি তোমরা নিশ্চয়ই বুঝেছ, কেন পরীক্ষা ব্যবস্থা এত জরুরি। তাহলে আর দেরি নয়, এবার নির্ভয়ে পরীক্ষার জন্য আনন্দের সঙ্গে প্রস্তুতি শুরু করো।
সোমা চক্রবর্তী
তথ্য ও ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
