Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চোর  মিনার

সমৃদ্ধ দত্ত: গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। আর কিছুটা উঠেই বৃত্তাকার এক গম্বুজের রূপ ধারণ করেছে। সেই বৃত্তাকৃতি গম্বুজের চারদিকে গর্ত। মোট ২২৫টি। মিনার অথবা স্মৃতিস্তম্ভ তো জীবিত মানুষের বসবাসের জন্য নয় যে বাইরের আলো বাতাসের খুব বেশি মাত্রায় প্রয়োজন হবে! কিছু আলো ও বাতাস প্রবেশের জন্য গবাক্ষ থাক঩লেই চলে! কিন্তু ২২৫? এত গর্তের কারণ কী? 
একদিকে গ্রিন পার্ক। অন্যদিকে হৌস খাস। মাঝখানের রাস্তাটির নাম অরবিন্দ মার্গ। মেহরৌলির দিক থেকে ওই অরবিন্দ মার্গ ধরে অগ্রসর হয়ে আইআইটি ফ্লাইওভার ক্রসিং পার হওয়া প্রথমে। তারপর আরও এগনো। ডানদিকে একটি রাস্তা ঢুকে পড়েছে জনবসতির দিকে। রাস্তার নাম চোর মিনার রোড! সেই রাস্তাই যেখানে গিয়ে পৌঁছচ্ছে তার সামনেই চোর মিনার অবস্থান করছে দিল্লির ইতিহাসের একটি ভয়ঙ্কর প্রথার স্মৃতিকে ধারণ করে নিয়ে। কী সেই ভয়ঙ্কর প্রথা?
এই কাহিনির নায়ক অথবা ভিলেনের নাম চোর মিনার। আর প্রধান চরিত্র আলাউদ্দিন খিলজি। যিনি দিল্লিতে রাজত্ব চালিয়েছেন ১২৯৬ থেকে ১৩১৬ সাল পর্যন্ত। আলাউদ্দিন খিলজির সেনাবাহিনী ছিল দুর্দান্ত শক্তিধর। খিলজির একমাত্র লক্ষ্য আরও কীভাবে শক্তি সঞ্চয় করা যায়। তাঁকে হারাতে পারে এরকম শক্তিশালী তো দেখা যাচ্ছে না! তাহলে খিলজির এই সেনাবৃদ্ধির নেশার কারণ কী? কারণ হল মোঙ্গল সেনা। 
এশিয়ার দুই প্রান্তে দুই সাম্রাজ্যের সূত্রপাত আর উত্থান হয়েছিল একই সময়ে। ১২০৬ সালে। একদিকে চেঙ্গিজ খানের মোঙ্গল সাম্রাজ্য। আর অন্যদিকে দিল্লি সুলতানি আমল। দু‌ই সাম্রাজ্য দ্রুত বাড়িয়েছে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি। তবে মোঙ্গল বাহিনীর সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না দিল্লি সুলতানতের। চেঙ্গিজ খান মঙ্গোলিয়া ছাপিয়ে কোরিয়া হয়ে রোমানিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করে ফেলেছিল সাম্রাজ্য। দিল্লি সুলতানত নিজেদের দিল্লি ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে মগ্ন হয়েছে শুধু। যা চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করেছে একমাত্র মুঘল আমলে। 
এই বিশ্বে বোধহয় কাউকে ভয় পাননি আলাউদ্দিন খিলজি। একমাত্র ব্যতিক্রম মোঙ্গল বাহিনী। এই বাহিনী যেকোনও সময় ছারখার করে দিতে পারে তাঁর মসনদ! এই আশঙ্কা সারাক্ষণ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে খিলজিকে। নিজের কাকা জালালউদ্দিন খিলজিকে ১২৯৬ সালে হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন আলি ওরফে আলাউদ্দিন খিলজি। ঠিক পরের বছরই মোঙ্গল বাহিনী আক্রমণ করে পাঞ্জাব। আলাউদ্দিন নিজে যাননি। ভাই উলুঘ খানকে পাঠালেন মোঙ্গলদের প্রতিরোধ করতে। মোঙ্গল বাহিনী শিবির করেছে জারান মঞ্জুর এলাকায়। সামনেই শতদ্রু নদী। যার উল্টোদিকে জড়ো হচ্ছে খিলজি বাহিনী। মোঙ্গলদের কাছে নৌকা আছে। খিলজিদের কাছে দেখা যাচ্ছে না নৌবহর। অতএব সকাল হলে আক্রমণ করা হবে। 
মধ্যরাতে মোঙ্গল শিবিরে হাহাকার। আলাউদ্দিন খিলজি এমন দুর্ধর্ষ বাহিনী তৈরি করেছেন যে, তারা নৌবহরের অভাবকে পরোয়াই করেনি। ওই শীতকালে শতদ্রু নদী সাঁতরে পেরিয়ে তারা ঢুকে পড়েছে মোঙ্গল শিবিরে। কতজনকে হত্যা করল খিলজি বাহিনী? ২০ হাজারের বেশি মোঙ্গল সেনাকে। যারা জখম হয়ে কাতরাচ্ছে, তাদের মাথা কেটে নেওয়া হল। শিরশ্ছেদ করা আলাউদ্দিন খিলজির প্রিয় যুদ্ধ রীতি। আর যারা বেঁচে রইল, তাদের বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লিতে। কেন? কারণ দিল্লিবাসী এবং বহির্শত্রুদের একটি বার্তা দেওয়া দরকার। কী সেই বার্তা? এই প্রত্যেক বন্দিকে দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় হাতির পায়ের তলায় ছেড়ে দেওয়া হল মৃত্যুর জন্য। গোটা দিল্লির মানুষকে আসতে বলা হয়েছিল। যাতে তারা চাক্ষুষ করতে পারে।
এই শোচনীয় পরাজয় ও অপমানের বার্তা তো মোঙ্গলদের পাওয়া উচিত ছিল! তারপর যাতে তারা আর দিল্লিশ্বর খিলজির সাম্রাজ্যের দিকে চোখ তুলে না তাকায়! কিন্তু সেটা হল না। বরং ১২৯৯ সালে আবার তারা অগ্রসর হল। এবার মোঙ্গল বাহিনীর নেতা মোঙ্গল খান। সে ঠিক করল আর কোথাও নয়। এক ও একমাত্র লক্ষ্য দিল্লিকে জয় করতে হবে। সিন্ধ অথবা পাঞ্জাব নয়। অতএব দিল্লিই নিশানা। মোঙ্গল খান অবশ্য নিজে এল না। এই অভিযানের দায়িত্ব দিল পুত্র কুতলুগ খাজাকে। 
মোঙ্গলরা আসছে। অনেকটা দখল করে নিয়েছে। প্রজারা ভয়ে পালাচ্ছে। খিলজির উপদেষ্টারা বললেন, আমাদের উচিত ওদের টাকাপয়সা সোনাদানা দিয়ে তুষ্ট করে পাঠিয়ে দেওয়া। নয়তো ওরা এমন ধ্বংসলীলা চালাবে যে, আর দিল্লি  মাথা তুলতে পারবে না। আলাউদ্দিন খিলজি এই অপমানের পথে যাবেন কেন? তিনি নিষ্ঠুর নির্মম এবং হার না মানা এক সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই অপমানের তকমা মাথায় নিয়ে থাকতে হবে? অতএব তিনি যমুনা তীরে নিজের গোটা বাহিনীকে কিলি নামক স্থানে জড়ো করলেন। আর বললেন, ওদের অপেক্ষা করাও। কেউ আগে থেকে আক্রমণ যেন না করে। এটা একটা কৌশল। 
হঠাৎ মোঙ্গল বাহিনীর একাংশ পিছু হটে গেল। সেটাও ফাঁদ। যাতে খিলজি বাহিনী এগিয়ে আসে। হঠাৎ খিলজি সেনার অন্যতম সেনাপতি জাফর খান এগিয়ে গেল। খিলজির নিষেধ সত্ত্বেও। এবং তৎক্ষণাৎ ওই পিছু হটে যাওয়া মোঙ্গল বাহিনী দ্বিগুণ সংখ্যায় এসে আক্রমণ করল। যুদ্ধে জাফর খান নিহত। এবং খিলজি বাহিনীর পরাজয় ঘটলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মোঙ্গল বাহিনী আর অগ্রসর হল না। দিল্লি দখলও নয়। কেন? আজও রহস্য! 
কিন্তু আলাউদ্দিন খিলজি এই অপমান ভুলতে পারছেন না। অস্থির লাগছে তাঁর প্রতিশোধ না নিতে পারা পর্যন্ত। ১৩০৫ সালে আবার এল মোঙ্গল বাহিনী। এবার আজকের উত্তরপ্রদেশের যেখানে আমরোহা, সেই স্থানে জড়ো হল তারা। পাঞ্জাবের শাসনভার যাকে দেওয়া হয়েছিল সেই মালিক নায়েককে খিলজি নির্দেশ দিলেন শত্রুদের খতম করতে হবে। আর প্রত্যেকের শিরশ্ছেদ করা দরকার। ভুলে যেও না। প্রত্যেকের শিরশ্ছেদ করবে। মালিক নায়েক জয়ী হল। মোঙ্গলরা পরাজিত এবং বন্দি। 
মোঙ্গল সেনাদের ধড় থেকে মস্তক পৃথক করে নেওয়া হল। কী করবেন এত ধড়হীন মস্তক নিয়ে খিলজি? তিনি তার আগেই তৈরি করেছেন একটি মিনার। যেখানে অসংখ্য গর্ত। মোঙ্গল বাহিনীর সেনাদের সেই কাটামুন্ডু একে একে সেই সব গর্তে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। নতুন মুন্ডু এলে পুরনো মুন্ডুকে সরিয়ে দেওয়া হতো। 
সেই মিনারের নামই চোর মিনার! আক্রমণকারী সেনা, চোর, ডাকাত যেই হোক, আলাউদ্দিন খিলজির সম্মানহানি যে করবে তার শিরশ্ছেদ করে ওই  মিনারে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এই ছিল সুলতানের হুঁশিয়ারি! যাতে কেউ সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির বিরুদ্ধাচারণ করার সাহস না পায়! ওই যে চোর মিনার। ইতিহাসের মুছে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর প্রথার সাক্ষ্য বহন করে আজও দাঁড়িয়ে আছে।  
22nd  December, 2024
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের তন্তুজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ...

জোর করে ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা। বাধা দেওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে মার। রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রোগীর পরিবারের বচসায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর আত্মীয়ের মারে আঙুল ভাঙল নিরাপত্তারক্ষীর। ...

দুর্গা বা কালী পুজো, আবার কখনও স্পোর্টসের নাম করে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের পুলিস কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বেতন থেকেই সরাসরি এই টাকা চলে যাচ্ছে। এনিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পুলিসের নিচুতলা। বিষয়টি কানে যাওয়ার পরই সক্রিয় হয়েছে রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। ...

যাবতীয় কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বুধবার কর্ণধার নেথান অ্যান্ডারসন এই কথা ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৫৮: মঙ্গোলরা বাগদাদ নগরী অধিকার করে ও ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়
১৮৪১: বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়
১৮৯১: রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের একমাত্র গৃহীভক্ত রামচন্দ্র দত্তর মৃত্যু
১৯০৮: অভিনেতা, প্রযোজক তথা পরিচালক এল ভি প্রসাদের জন্ম
১৯১৭: অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক রাজনীতিবিদ তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রনের জন্ম
১৯৩০: শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী গওহর জানের মৃত্যু
১৯৪০: ভারতে ফুটবল খেলার জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর মৃত্যু
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত  চলচ্চিত্র পরিচালক রাজা মিত্রর জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী বিন্দুর জন্ম    
১৯৫১: অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৩: সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার, গীতিরকার তথা অভিনেতা অঞ্জন দত্তর জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 
২০১১: অভিনেত্রী গীতা দে-র মৃত্যু
২০১৪: অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৮ টাকা ৮৭.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৬ টাকা ১০৭.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৬ টাকা ৯০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী ৫৭/৫০, শেষরাত্রি ৫/৩১। মঘা নক্ষত্র ১৫/৫৫ দিবা ১২/৪৫। সূর্যোদয় ৬/২৩/৫, সূর্যাস্ত ৫/১০/২৩। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
৩ মাঘ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী শেষরাত্রি ৫/৪৫। মঘা নক্ষত্র দিবা ১/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৭ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৮ মধ্যে। 
১৬ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সইফের উপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা থানায় জবানবন্দি দিলেন করিনা

10:59:00 PM

গুয়াহাটিতে একটি বৈঠক করলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

10:29:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন অমিত শাহ

10:03:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত

09:52:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, জামশেদপুর ১-মোহন বাগান ১

09:31:00 PM

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট

09:21:00 PM