Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’
মায়ের মুখে স্মার্টফোনের কথা শুনে কপালে ভাঁজ পড়ল অর্পিতার। সে হা-হা করে উঠল, ‘ও লাইনে একদম পা বাড়িও না মা। ওঙ্কারকে তো তুমি ভালোই চেনো। কারও কাছ থেকে কিছু নেওয়ার নামে গায়ে যেন ওর জ্বর আসে। তাছাড়া খানিকটা পুরনো পন্থীও বটে। যে সেটটা ও ব্যবহার করছে পুরোপুরি সেটা বরবাদ না হওয়া পর্যন্ত অন্যদিকে তাকাবেই না!’
‘তা বলে মান্ধাতা আমলের ওই লজঝড়ে মার্কা ফোন!’ অর্পিতার মা গায়ত্রী ঝংকার দিয়ে উঠলেন, ‘আজকাল ওসব বস্তাপচা জিনিস কেউ ইউজ করে নাকি! তোর ভাই বলেছে, দাগে দাগে ওর ডিসপ্লে স্ক্রিনটা এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে যে ঠিকমতো নাকি, দেখাই যায় না। সবুজই বলল, কোনও একটা জায়গায় আবার নাকি চিড়ও ধরেছে।’
‘সে যেমনটাই হোক না কেন, ও জিনিস ও চেঞ্জ করবে না! শোন মা, জামাইষষ্ঠীতে শুধু খাওয়াদাওয়ার অ্যারেঞ্জমেন্টটাই করো, ওসব মোবাইল ফোবাইল কেনার চিন্তা মাথায় এনো না।’
‘কী বলছিস অর্পি, চোখের সামনে ওইরকম বদখত চেহারার একটা মোবাইলকে দেখেও বলছিস কেনার চিন্তা না করতে! বিয়ে হয়ে মাথাটা কী গেছে নাকি তোর! তাছাড়া চিন্তাটা তোর বাবার, তার কথা অগ্রাহ্য করবি?’
মাকে ভালোই চেনে অর্পিতা। কোনও একটা বিষয় পেলে তা নিয়ে ঘেঙিয়েই যাবে মানুষটা। তাই ভেতরে ভেতরে বিরক্ত হলেও অনেক কষ্টে সেটা চাপা দিল। গম্ভীর হয়ে বলল, ‘বাবাকে তুমি বোঝাও মা। গতবার জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে বাইক কিনে দেবে বলে কী ঝোলাঝুলিটাই না করল। ওঙ্কার রাজি না হওয়ায় বলল, তাহলে সাইকেল নাও! তাতেও ওঙ্কার অসম্মতি জানালে রাগের চোটে খাওয়ার পাত থেকেই উঠে গেল। এবার বাবাকে বলে দিও সেসব 
যেন না হয়।’
মেয়ের কথা শুনে মোবাইলের অন্যপ্রান্তে থাকা গায়ত্রী মুহূর্তখানেকের জন্য থমকে গেলেন। পরক্ষণেই গলায় ঝাঁঝ তুলে বলে উঠলেন, ‘বাইক নেয়নি ঠিক আছে, কিন্তু সাইকেল নিলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হতো শুনি! বাড়ির জামাই ভাঙাচোরা একটা সাইকেল নিয়ে ড্যাং ড্যাং করে ঘুরে বেড়াবে এটা কোনও শ্বশুরের সহ্য হয়। তোর বাবারও তা সহ্য হয়নি। কিন্তু ওঙ্কারের সেই এক কথা, পুরনো সাইকেলটা নাকি ওর বন্ধুর মতো। তাই বাহনটাকে ও ছাড়তে পারবে না! ভাগ্যিস ক’দিন বাদে ওই ঘটনাটা ঘটেছিল। লরির তলে পড়ে ওটার ভবলীলা সাঙ্গ না হলে আজও হয়তো ওই বিদঘুটে জিনিসটাকে নিয়েই ও যাতায়াত করত!’
‘সেদিন কিন্তু ওঙ্কারের মস্ত বড় একটা ফাঁড়া গিয়েছে মা। সাইকেলটাকে স্ট্যান্ড করে সিগারেট কিনতে ফুটপাথের দোকানটায় জাস্ট ও ঢুকেছে। কোথা থেকে একটা লরি এসে সাইকেলটাকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে গেল ঝড়ের গতিতে! উফ্‌, ভাবলে এখনও আমার গায়ে কাঁটা দেয়। সেদিন আর কয়েক সেকেন্ড যদি দেরি হতো ওঙ্কারের...!’
‘ঘটনাটা বিপজ্জনক হলেও ওটার একটা ভালো দিকও কিন্তু আছে রে অর্পি। সেদিন সাইকেলটার ওভাবে ইন্তেকাল না ঘটলে ওঙ্কার কিছুতেই নতুন একটা সাইকেল কিনত না। জামাইয়ের সাইকেল নিয়ে অনেকেই তো তোর বাবাকে উল্টোপাল্টা কথা শোনাচ্ছিল। ওই ঘটনার পর হাঁপ ছড়ে যেন বাঁচলেন উনি!’
‘ঠাকুর বলেছেন লোক না পোক। লোকের কথাকে তোমরা এত পাত্তা দাও কেন বল তো! যাই হোক, সাইকেল নিয়ে যা হওয়ার হয়েছে, আমি চাই না মোবাইল নিয়ে আবার সেইরকম কিছু হোক। ওঙ্কার যেমন আছে তেমনটাই ওকে থাকতে দাও মা।’
ওঙ্কারের সঙ্গে মেয়ের প্রেম নিয়ে বাড়ির সকলেরই আপত্তি ছিল। তাই পালিয়ে বিয়ে করেছিল অর্পিতা। তারপর দীর্ঘ দু’বছরের মান-অভিমানের পর গত বছরের জামাইষষ্ঠীতে আবার দু’তরফের পুনর্মিলন। কিন্তু গত এক বছরের চেষ্টার পরেও মেয়ের কোনও পরিবর্তন হল না! গায়ত্রীর গলা দিয়ে তাই অভিমান ঝরে পড়ল, ‘তুই তো আগে এমনটা ছিলিস না অর্পি! চিরকাল তুই বাবার ভক্ত। বিয়ের আগে বাবার কোনও কথাতেই না ছিল না তোর। আর এখন...!’
‘এখন আমি বরের ভক্ত এটাই তো তুমি বলতে চাও? বল বল, বলে যদি শান্তি পাও তবে তাই বল।’
‘আরে বাবা রেগে যাচ্ছিস কেন! শোন, স্মার্টফোন তো লোকে এমনি এমনি ব্যবহার করছে না। জিনিসটার অনেক উপযোগিতাও আছে। ছাত্রদের ছবি আঁকা শেখায় ওঙ্কার। সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে প্রচুর সুবিধা হবে ওর। হোয়াটঅ্যাপে ছবি পাঠানো, ফেসবুকে প্রচার, ইউটিউবে নানারকম ভিডিও আপলোড— এইসব সুবিধা ও পাবে কোথায়। ওতে ইনকামটাও বেশ বেড়ে যাবে ওর। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে পুরোদস্তুর যে পিছিয়ে পড়বে ছেলেটা!’
‘পিছিয়ে পড়বে নাকি এগিয়ে যাবে সেটা ওর বিবেচনার উপর ছেড়ে দাও মা। সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে আর তুমি ঘ্যানঘ্যান করো না। প্লিজ এবার খ্যামা দাও।’
‘না, পারছি না খ্যামা দিতে! কারণ চাওয়াটা আমার নয়, তোর বাবার। তাই তাকে এসে বোঝা তুই। পারলে আজই চলে আয়। এসে বোঝা মানুষটাকে। আমি বাপু এর মধ্যে নেই।’
‘তোমরা না... কী আর বলব! ঠিক আছে, দেখছি কী করা যায়। আজ না পারলে কাল যাব শিওর। স্নান সেরে ঠাকুরকে জলমিষ্টি দিতে হবে। রাখছি এখন। টা-টা!’
দুই
কথার ডালি সাজিয়ে যেন তৈরি হয়েই ছিলেন অভ্রনীল। মেয়ে ঘরে ঢুকতেই ভুরু কুঁচকে বলে উঠলেন, ‘সব ব্যাপারেই তোদের এত আপত্তি কীসের বুঝি না বাপু! হাতি ঘোড়া তো দিতে চাইছি না, চাইছি সামান্য একটা স্মার্টফোন দিতে। তাতেও এত গাঁইগুঁই! ওঙ্কার কি কিছু বলেছে তোকে? বলেছে যে শ্বশুরবাড়ির কোনও জিনিস ও নেবে না?’
বাবার কথায় থতমত খেয়ে গেলে অর্পিতা। আগের বারেও বাইক আর সাইকেল দেবেন বলে এমন গোল পাকিয়েছিলেন বাবা। এবার মানুষটার হাতিয়ার স্মার্টফোন! আসল কথা হল না শুনতে অভ্যস্ত নন বাবা। সেটা জানা থাকায় অর্পিতা শান্তভাবে বলল, ‘তুমি তো জানো বাবা, ওঙ্কারের চাহিদা খুবই সামান্য। সাদামাটাভাবে জীবন কাটাতেই ও পছন্দ করে। তাই নিজে কিছু না বললেও আমি জানি তোমাদের প্রস্তাব ও ফিরিয়ে দেবেই। তাছাড়া, মোবাইল তো ওঙ্কারের একটা আছেই। আর একটা নিয়ে ও করবেটা কী!’
দিদির কথায় বাবার মুখখানা কালো হয়ে উঠেছে দেখে সবুজ এবার ব্যাটনটা হাতে তুলে নিল। ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল, ‘এটা কিন্তু ওঙ্কারদার ভীষণ বাড়াবাড়ি দিদি। আজকাল লোকে মুড়িমুড়কির মতো একে ওকে মোবাইল গিফ্ট করছে। ওঙ্কারদা একটা লজঝড়ে মোবাইল নিয়ে ঘোরে দেখে বাবাকে কথাটা আমিই বলেছিলাম। জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে সব জামাইকেই লোকে কিছু না কিছু দিয়ে থাকে। আমরা যদি স্মার্টফোন দিই তাহলে আপত্তি কীসের!’
অর্পিতা বুঝতে পারল গোটা এপিসোডটাই ভাইয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। সবুজের প্ররোচনাতেই স্মার্টফোনের চিন্তাটা বাবা-মায়ের মগজে ঢুকেছে! কিন্তু আগে তো এমনটা ছিল না সবুজ। গতবারে বাবা যখন ওঙ্কারকে বাইক দেবেন বলে খেপে উঠেছিলেন তখন বাবাকে থামিয়েছিলেন এই সবুজই। পরে সাইকেল পর্বেও বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল অনেক। কিন্তু এখন ওর গলাতে যে উল্টো সুর! অর্পিতা লোকমুখে শুনেছে রায় বাড়ির মেয়ে জুলির সঙ্গে সবুজ নাকি ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে! একসময় ওঙ্কারের কাছে ছবি আঁকা শিখতে জুলি। আপাদমস্তক নাক উঁচু স্বভাবের মেয়ে। নির্ঘাত ওই জুলির প্রভাবেই সবুজের এই মুড বদল! অর্পিতার চোয়াল তাই শক্ত হয়ে উঠল, ‘পুরনো জিনিসের উপর তোর জামাইবাবুর বড্ড মায়া রে ভাই। তাছাড়া প্রেমপর্বের সময় ওই মোবাইল থেকেই দিনের পর দিন আমার সঙ্গে কথা বলেছে ওঙ্কার। সেইজন্যও বোধহয় জিনিসটার উপর এত টান ওর! তাই যা বলছি শোন, গিফ্ট না দিলে একান্তই যদি তোদের না চলে তাহলে ছবি আঁকার কয়েকটা তুলি দিস। ওঙ্কার ওতেই খুশি হবে। আর তাতেও যদি তোদের আপত্তি থাকে তাহলে বাদ দে জামাইষষ্ঠী।’
ভাইকে কথাগুলো বলে দিয়েও অর্পিতা হনহন করে বাবা-মায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই অনেকক্ষণ যাবৎ চুপ করে বসে রইলেন অভ্রনীল। পরে নীরবতা ভেঙে ছেলেকে বললেন, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতেই হয় সবুজ। তুই বলেছিলি না, জামাইবাবুর মোবাইলের জন্য বন্ধুরা তোকে নাকি রাতদিন আওয়াজ দিচ্ছে। তা আওয়াজ যাতে বন্ধ করা যায় এবার সেই ব্যবস্থা কর। খুঁজে পেতে ধরে আন কোনও পকেটমারকে! মক্কেলটাকে লাগিয়ে দে ওঙ্কারের পেছনে! কী রে, আমি কী বলতে চাইছে বুঝতে পারছিস তো? পারবি না কাজটা করতে!’
বাবার কথায় হাজার ওয়াটের আলো জ্বলে উঠল সবুজের চোখেমুখে। দু’চোখ ছুঁচালো করে খলনায়কের মতো হেসে বলল, ‘এই শর্মা পারে না এমন কাজ নেই। কারশেডের ওদিকে পঞ্চু নামের একজনকে চিনি আমি। লোকে বলে ট্রেনে বাসে পকেটমারি করা নাকি ওর পেশা। তুমি বললে যখন, তাহলে ওর পাত্তাই আমাকে লাগাতে হবে!’
তিন
ডোরবেলের আওয়াজ শুনে খবরের কাগজ রেখে উঠে গিয়ে দরজা খুললেন অভ্রনীল। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সিড়িঙ্গে মার্কা ছেলেটিকে চিনতে না পেরে বললেন, ‘তুমি কে বাবা? ঠিক চিনলাম না তো।’
ছেলেটির বিষণ্ণ মুখ, ‘আমি পঞ্চু। সবুজদা বাড়িতে আছে?’
পঞ্চু নামটা শুনেই উত্তেজিত হয়ে উঠলেন অভ্রনীল, ‘ও তুমিই সেই পঞ্চু! তা খবর কী? কাজটা হয়েছে?’
‘সবুজদাকে একবার ডাকুন জেঠু। যা বলবার ওর সামনেই বলব।’ পঞ্চুর কথা শেষ হতেই চটিতে ফটাফট শব্দ তুলে দোতলা থেকে নেমে এল সবুজ। এসেই হড়বড় করে বলে উঠল, ‘অপারেশন সাকসেসফুল তো পঞ্চু? কই দেখি সেই মাল!’
পঞ্চুর মুখ কাঁচুমাচু, ‘আমার ওস্তাদের উপদেশ ছিল— মারবি গণ্ডার লুটবি ভাণ্ডার! ছুঁচো মেরে কখনও হাত গন্ধ করবি না। কিন্তু সবুজদা, আপনি যে জিনিস তুলতে বলেছেন সে তো ছুঁচোরও অধম। মাগো ও জিনিস কেউ ছোঁয় নাকি!’
‘মানে!’ পঞ্চুর কথায় ভুরু জোড়া প্রায় ধনুক সবুজের, ‘কী বলতে চাস তুই?’
‘আপনার দেখিয়ে দেওয়া লোকটাকে তিনদিন ধরে লাগাতার আমি ফলো করে গেছি। ভেবেছিলাম মওকা পেলেই টুক করে সেরে ফেলব কাজটা। খানিক আগে পেয়েও গেলাম সেই মওকা। ভদ্রলোক বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট যাবেন বলে বাসে উঠেছিলেন। আমি বাসে উঠে এঁটুলির মতো সেঁটে গেলাম ওনার পাশে। ডাকবাংলোর পর ভিড় বাড়তেই হাত লাগালাম কাজে। বিশ বছরের অভিজ্ঞতা দাদা। দু’মিনিটের মধ্যেই ভদ্রলোকের মোবাইল আমার হাতে! কিন্তু তারপরেই হল কেলোটা। মোবাইলটা দেখেই গা ঘিনঘিন করে উঠল আমার। মন বলল, এমন জঘন্য একটা জিনিসের জন্য গুরুবাক্য লঙ্ঘন করলি! এক পয়সার দাম নেই যার সে জিনিসের জন্য ফালতু ব্যাটারি দিলি! কী বলব দাদা, ভাবতে ভাবতেই নিজের উপর ধিক্কার এসে গেল। শেষে কী করি, রদ্দি ওই মালটাকে ফের ওই ভদ্রলোকের পকেটেই চালান করে দিলাম! মানে যেখানকার মাল সেখানেই আবার রেখে দিলাম আর কী! তারপর নেমে এলাম বাস থেকে। হল না দাদা, আমার দ্বারা হল না। ওই মাল ঝাপলে নির্ঘাত পাপ হতো আমার। মহাপাপ...!’
পঞ্চু বকবক করে আরও কী সব বলে চলেছে। সেসব শোনার আর ধৈর্য নেই সবুজের। সে দরজার পাল্লায় হাত রেখে আড়চোখে তার বাবার দিকে তাকাল একবার। অভ্রনীলও বেলুনের মতো চুপসে গেছেন। মুখের ভাঁজে ভাঁজে তার বিষণ্ণতার কালো ছায়া। তারই মধ্যে নেতানো গলায় কোনওক্রমে বলে উঠলেন, ‘পকেটমারের আবার পাপপুণ্য! পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দিয়ে ইমিডিয়েট ওকে বিদেয় কর সবুজ।’
বাবার কথায় টাকা আনার জন্য দোতলার সিঁড়ির দিকে পা বাড়াতে গিয়ে কী মনে হওয়ায় হঠাৎ থমকে দাঁড়াল সবুজ। নিচু গলায় বাবাকে বলল, ‘এর মতো আর কাউকে পাওয়া যায় কি না সেটা দেখব একবার?’
অভ্রনীল মাথা ঝাঁকালেন, ‘দরকার নেই।’
‘তাহলে অন্য কোনও রাস্তা ধরি? ইয়ে মানে যাতে করে মোবাইলটার দফারফা করা যায়!’
‘নো নেভার!’ বিষণ্ণতা কাটিয়ে গর্জে উঠলেন অভ্রনীল, ‘খবরদার। আর কোনও বাড়াবাড়ি নয়! গতবার মাতাল এক লরিওয়ালাকে দিয়ে যে কাণ্ডটা তুই ঘটিয়ে ছিলিস তাতে কেলেঙ্কারির একশেষ হতে পারত। জান চলে যেতে পারত ওঙ্কারের! উফ্‌। ভাবলে গায়ে এখনও কাঁটা দেয়। আমাকে আগে জানালে ও কাজের পারমিশন আমি কিছুতেই দিতাম না। শত হলেও ও আমাদের জামাই সবুজ, শত্রু নয়। তাই অর্পি যা বলেছে সেইরকমটাই হবে। ভালো দেখে কয়েকটা তুলিই আমরা গিফ্ট করব ওঙ্কারকে। যম জামাই ভাগনা তিন না হয় আপনা! থাক ব্যাটা যতদিন খুশি রদ্দি ওই মোবাইলটাকে নিয়ে। আমাদের কী!’ 
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
28th  July, 2024
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM

মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজের উপর চলন্ত গাড়িতে আগুন, আতঙ্ক

09:57:00 AM

আজকের আবহাওয়া
সকাল আর রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা। দিনভর শীতের আর দেখা ...বিশদ

09:53:44 AM