টিউটোপিয়া-র রিলে রেস
সম্প্রতি একটি অভিনব রিলে রেসের আয়োজন করেছিল শিক্ষা সংক্রান্ত অ্যাপ টিউটোপিয়া। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২১ পল্লি, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু হয় এই রেস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, সোহিনী সরকার, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, গায়িকা অঙ্কিতা চক্রবর্তী প্রমুখ। ৬৮৫ কিলোমিটারের এই রিলে রেসটি হয় কলকাতা থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত। দিনরাত মিলিয়ে মোট ৬০ ঘণ্টার রেস। প্রতি ৬২ কিলো মিটার অন্তর একটি করে পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছিল। এভাবে যাত্রাপথে মোট সাতটি পয়েন্ট ছিল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের এগারোজন প্রতিযোগী এতে অংশ নিয়েছিলেন। নিরাপত্তা ও প্রতিযোগিদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে রিলে রেসের পুরো রুটটিতেই গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। মূলত স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসারেই এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছিল টিউটোপিয়া। 

এ টি-র স্মার্টটিভি ও হোম থিয়েটার
হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা হিসেবে এ টি ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড একটি পরিচিত নাম। হেলথ কেয়ারের পর এবার এরা কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স বিভাগ চালু করল। নতুন এই বিভাগের নাম এ টি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ‘এ টি’ ব্র্যান্ডের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ডিরেক্টর অরিজিৎ ঘোষ ও শ্রীজিৎ চক্রবর্তী। আপাতত স্মার্টটিভি ও হোম থিয়েটার এই দু’টি প্রোডাক্ট তৈরি করছে এরা। সংস্থার মতে, দু’টি প্রোডাক্টই বিশ্বমানের প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে। এগুলি একাধিক মডেলে মিলবে। স্মার্টটিভির দাম শুরু ১৭,০০০ টাকা থেকে। আর ৩০০০ টাকা থেকে মিলবে হোম থিয়েটার। সংস্থার আশা, ক্রেতাদের এই প্রোডাক্ট দু’টিই পছন্দ হবে। পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র।

ওয়েব সিরিজে ফুডকা
 ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা এই সময় তুঙ্গে। আর এই চাহিদাকে সঙ্গী করেই এবার খাবারের গল্প বলবে ‘কাকা-ভাইপো’ জুটি ‘ফুডকা’। গল্পে গল্পে জানিয়ে দেবে নিজামের কাঠি রোলের জন্ম ইতিহাস, বিরিয়ানিতে আলুর ‘অনুপ্রবেশের’ কারণ, বর্ধমানের মনোহরা আবিষ্কারের মতো নানা খাদ্যতথ্য। অভিনেতা-সঞ্চালক মীর ও খাদ্যবিশারদ ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী, ফুডব্লগার সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে ফুডকাকে অনেকেই চেনেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের উপস্থিতি ও নানা ফুড ভিডিও জমিয়ে উপভোগ করেন খাদ্যরসিকরা। এমন নন-রেসিপি ফুডব্লগিং নিয়েই ওয়েব সিরিজ ফুডকার। মীরের স্বভাবসিদ্ধ হাস্যরস, ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীর তাতে যোগ্য সঙ্গত ও খাবারের ইতিহাস বর্ণনাকে সঙ্গে নিয়েই ফুডব্লগিং সিরিজ জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা টিম-ফুডকার। বাংলার খাদ্য ইতিহাসের সন্ধানে তাই ফুডকার টিম ছুটে বেড়াচ্ছে গোটা রাজ্যে। তা সে কলকাতার ২০০ বছরের পুরনো সন্দেশের দোকান হোক বা ইলিশপ্রেমীদের ডায়মন্ড হারবার। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গেই চলছে খাবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্থানীয় ইতিহাসের খোঁজ, তথ্যের ভাঁড়ার পরিবেশিত হচ্ছে সহজ কথা, গল্প বলা ও হাস্যরসের আবহে। ফুডকার বিপুল জনপ্রিয়তাকে পাথেয় করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এদের প্ল্যাটফর্ম করেছে অনেক সংস্থা। কলকাতা সহ পূর্ব ভারতের যে বিভিন্ন খাদ্য ও ভোজনালয়ের খবর ফুডকা দিয়ে চলেছে, এতে তাদের অংশীদার ভারত সরকারের পর্যটন দফতর, টি বোর্ড অব ইন্ডিয়া, মোবাইল সংস্থা এমআই ও ভিভো, পিয়ারলেস হোটেল, প্যারাডাইজ বিরিয়ানি, স্পেনসার্স ও ডমিনোজ। সহযোগিতার হাত মিলিয়েছে সস্তাসুন্দর ও রাজ্য সরকারের হিডকো। বাংলাকে আগামিদিনে ফুড ট্যুরিজমের এক অনন্য গন্তব্য করে তোলাই ফুডকার লক্ষ্য।  
ভোজনবিলাসে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সেলিব্রিটিও। বিশেষ স্বীকৃতি ও শিরোপাও মিলেছে ইতিমধ্যে। ভারত পেরিয়ে ফুডকা এখন বাংলাদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। সেখানকার খাবারের ইতিহাস ও সেরা খাবারের ঠিকানা নিয়েও চলছে ব্লগিং। মীর, ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী ও সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফল প্রোজেক্ট নিয়ে আশাবাদী খাদ্যরসিকরাও।