Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে ফাল্গুন মাস। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ফেব্রুয়ারি মাস। বছরের সবচেয়ে কম দিনের মাস। এই ফেব্রুয়ারি মাস বাংলা তথা বাঙালির খুব গর্বের মাস। মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এসেছিল এই মাসেই। আর এমন একটি মাসের ১৮ তারিখটি সর্বকালের বরেণ্য দুই বাঙালি মহামানবের জন্মদিন। প্রায় ৩৫০ বছরের ব্যবধানে দুই মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন এই দিনটিতে। দেশ কাল সময়ের বাধা অতিক্রম করে তাঁরা দুজনই আজও স্বমহিমায় আমাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখটি যেন এক মিলন সূত্র। 
আজ থেকে ৫৩৯ বছর আগে নদীয়ার নবদ্বীপে জগন্নাথ মিশ্রের ঘরে ফাল্গুনের এক পূর্ণিমার সন্ধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বম্ভর মিশ্র। দোল পূর্ণিমার দিন শচীমাতার কোলে জন্ম নেওয়া সেই শিশু পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নামে হন জগৎ বিখ্যাত। তবে বাঙালির কাছে তাঁর পরিচয় মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব বলে। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। অত্যন্ত ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। তৎকালীন সারস্বত আরাধনার মূল কেন্দ্র ভূমি নবদ্বীপে তাঁর পরিচয় নিমাই পণ্ডিত নামে। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি বাংলার সীমা ছাড়িয়ে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পণ্ডিতদের তর্কে পরাজিত করে তিনি তখন খ্যাতির শীর্ষে। প্রথমা স্ত্রী লক্ষ্মী  দেবীর অকাল মৃত্যুর পর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। পিতার মৃত্যুর পর  গয়াতে  পিণ্ডদান শেষ করে আসার পর তিনি ঈশ্বর পুরীর কাছে কৃষ্ণ মন্ত্রের দীক্ষিত হন। এই দীক্ষা লাভের পর সমাজে অন্য সকলের মতো বেড়ে ওঠা নিমাইয়ের জীবনে আসে এক বিরাট পরিবর্তন। কৃষ্ণ নাম সাধনায়  নিজেকে নিয়োজিত করে ধীরে ধীরে তিনি অধ্যাপনার কাজ  বন্ধ করে দেন। কৃষ্ণ নাম সাধনা ও  রস আস্বাদনের মাধ্যমে তাঁর জীবনে আসে রূপান্তর। শুরু হয় সাধকের জীবন। এরপর সংসার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কেশব ভারতী কাছে সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করে হলেন শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ভারতী। শচীনন্দন পরিণত হন এক নতুন মানুষে। কৃষ্ণ সাধনায় পদব্রজে ঘুরে বেড়ান দেশের নানা প্রান্তে। ইসলাম শাসনের শেষ দিকে তৎকালীন ভারতবর্ষে ধর্মের নামে মানুষে মানুষের বিভেদ সমাজকে জর্জরিত করে রেখেছিল।  মানুষের মধ্যে উচ্চ -নিচ শ্রেণি বিভাগের ভয়াবহ ছবিটা তিনি প্রত্যক্ষ করলেন পরিব্রাজক জীবনে। সুদীর্ঘ কঠোর তপস্যা শেষে তিনি আচণ্ডালে হরিরাম মহামন্ত্র ছড়িয়ে দিলেন। 
সমাজে পিছিয়ে পড়া  শত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত মানুষকে দিলেন মর্যাদা। নামের মহিমায় অভিষিক্ত করলেন সমাজের সকল স্তরের মানুষকে। শ্রীগৌরাঙ্গের জীবন 
অধ্যাত্ম সাধনা ও জনকল্যাণের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। তাই শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন, ‘হাতির বাইরের দাঁত যেমন 
শত্রুকে আক্রমণের জন্য এবং ভেতরের দাঁত খাদ্যচর্বন 
করিয়া নিজের শরীর পোষণের জন্য থাকে, তদ্রূপ শ্রী গৌরাঙ্গের অন্তরে ও বাহিরে দুই প্রকার ভাবের প্রকাশ ছিল। বাইরে মধুর ভাব সহায়ে তিনি লোককল্যাণ সাধন করিতেন এবং অন্তরের অদ্বৈতভাবে প্রেমের চরম পরিপুষ্টিতে ব্রহ্মভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়া স্বয়ং ভূমানন্দ অনুভব করতেন’। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের  সর্বজীবে প্রেম ও দয়ার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলছেন ,‘সমুদয় ভারতেই শ্রীচৈতন্যের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।... তাঁহার প্রেমের সীমা ছিল না। সাধু -পাপী, হিন্দু মুসলমান, পবিত্র অপবিত্র , বেশ্যা-পতিত, সকলেই তাঁর প্রেমের ভাগী ছিল’। স্বামীজি বলছেন, ‘জ্ঞান মিশ্র ভক্তির সঙ্গে ভগবানকে ডাকবে। ভক্তির সঙ্গে বিচারবুদ্ধি রাখবে। এছাড়া চৈতন্যদেবের থেকে আরও নেবে ,তাঁর heart( হৃদয় বত্তা), সর্বজীবে ভালোবাসা, ভগবানের জন্য টান,আর তাঁর ত্যাগটা জীবনে আদর্শ করবে’।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের জন্মের  ৩৫০ বছর পর হুগলির কামারপুকুরে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী গদাধর চট্টোপাধ্যায়। পুঁথিকার অক্ষয় কুমার সেন লিখছেন—
প্রসবের স্থান নির্ধারিত ঢেঁকিশালে।
প্রসব হইল আই কুশলে কুশলে।।
সন বারো বিয়াল্লিশ ছয়ই ফাল্গুনে।
শুক্লপক্ষ বুধবার দ্বিতীয়া সেই দিনে।।
এই দিনটিও ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ছিল ১৮৩৬ সালের১৮ ফেব্রুয়ারি। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় পুত্র গদাধর অত্যন্ত মেধাবী হলেও প্রথাগত শিক্ষায় তিনি বাধা পড়তে চাননি। তবে বড়দের কাছ থেকে শুনে অসাধারণ স্মৃতিধর গদাধরের শাস্ত্র পুরাণ মহাভারতের কথা ছিল কণ্ঠস্থ। কৈশোর শেষে দাদা রামকুমারের হাত ধরে কলকাতায় উপস্থিত হন। প্রথমে ঝামাপুকুর পরে দক্ষিণেশ্বরে। রানি রাসমণির প্রতিষ্ঠিত ভবতারিণী মন্দিরে গদাধর চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ বারো বছর সুদীর্ঘ সাধনার করেন।   গদাধর থেকে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস-এ পরিণত হলেন। তিনি কখনও ভৈরবী যোগেশ্বরী, কখনও বা নাগা সন্ন্যাসী তোতাপুরি বা কখনও মুসলিম  সুফি সাধক গোবিন্দ রায়ের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সাধনার সর্বোত্তম অংশে পৌঁছে যান। উপলব্ধি করেন সব মত ও পথ দিয়েই ঈশ্বরের সাধনা করলে সেই একই ঈশ্বরের কাছেই পৌঁছানো যায়। সমাজের  উচ্চ নিচ, ধনী দরিদ্র শিক্ষিত -অশিক্ষিত নানা বেড়াজালে আবদ্ধ মানুষকে শোনালেন সম্প্রীতির কথা। পুরুষ শাসিত সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে তিনি মাতৃভাবে সম্বোধন করে এক বিপ্লব এনে দিলেন। সাড়ে ৩০০ বছরের ব্যবধানে একই দিনে জন্মগ্রহণ করা এই দুই মানুষ ছিলেন যথার্থভাবেই সমাজকে অন্ধকার থেকে আলো নিয়ে যাওয়ার এক আলোকবর্তিকা। নিজেদের সময় থেকে শত সহস্র যোজন আগে অবস্থান করে জগদ্বাসীকে শেখালেন আত্মমর্যাদা। দীর্ঘ সাধনা শেষে তাঁরা উপলব্ধির জগতে সাধারণ মানুষের কল্যাণের ভিত্তি গড়ে দিল। তাঁদের সপ্রেম আহ্বান ও লোককল্যাণকর শিক্ষা জগৎকে নতুন বিষয় দেখাল। যা শুধু বিগত দিনেই নয়, অনাগত ভবিষ্যতের মানুষকেও সঠিক পথের দিশা নির্দেশ করে। তাঁদের দুজনের জীবনের ত্যাগ -তপস্যা, সর্বোপরি মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাঁদেরকে মানব থেকে দেবতায় পরিণত করেছে। তাই তাঁরা আজ  জগৎ জুড়ে দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত। কোটি কোটি মানুষের জীবন দেবতা। মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য, কিংবা শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সকল অন্ধকার  হতে আলোর যাত্রাপথের উত্তরণের দুই চির জাগ্রত আলোকবর্তিকা।
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে তাঁরা একই দিনে জগতে আবির্ভূত হয়েছেন। দুজনেই সময় উত্তীর্ণ লোকশিক্ষক। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের জীবন, শিক্ষা, সকল মানুষের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা যে জগতের জন্য চিরকল্যাণকর—-তা জগদ্বাসীকে মানতেই হবে।
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...

দু’দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। দক্ষতা ও মানের নিরিখে সেলটিকের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের প্রথম লেগে গ্লাসগোতে জার্মান ক্লাবটিকে কঠিন ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM