Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলায় একটা কথা আছে, চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন। দেখা আর শোনা যদি একসঙ্গে না হয়, তাহলে প্রকৃত বাস্তব নিয়ে একটা সংশয় থেকে যেতেই পারে। চোখ এবং কান একসঙ্গে কাজ করলে সেই সন্দেহ আর থাকে না। মানে, চোখ যেটা দেখল, কানও সেটাই শুনল। চক্ষু ও কর্ণের মধ্যে বিবাদ তৈরি হলে, তার ‘ভঞ্জন’ হয় তখনই। ১১ বছর হতে চলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ চালাচ্ছেন। কিন্তু আম জনতার চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন কিছুতেই হচ্ছে না। এই এক দশক ধরে আমাদের যা দেখানো হচ্ছে, তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু শোনা যাচ্ছে না। আর যে সব প্রতিশ্রুতি শোনানো হচ্ছে, তা বাস্তব জীবনে ফলতেও দেখা যাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বলে দেখানো হচ্ছে, কিন্তু আমরা সুফল বুঝতে পারছি না। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে গত বছরের ২ কোটি ৯০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি শোনানো হয়েছে। কিন্তু আমরা তা ব্যাঙ্কের পাশবুকে বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে দেখতে পাইনি। তারপরও অবশ্য খান দুয়েক লোকসভা ভোট এবং একঝাঁক বিধানসভা নির্বাচন জিতে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদি। শেষ সংযোজন দিল্লি। ২৭ বছরের অভিশাপ কাটিয়ে প্রমাণ করেছেন, ‘মোদিই পারে’। কেন পারে? কীভাবে পারে? কম্পিটিশনে একা দৌড়ে পারে? রেসে নামার আগেই বিপক্ষের কোমর ভেঙে দিয়ে পারে? এসব প্রশ্ন অমূলক। দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে রানটাই আসল। কতগুলো ক্যাচ পড়ল, আর কোন দুধুভাতু বোলাররা বল করল, তাতে কিছু আসে যায় না। আপাতত দিল্লি তাঁর। আগেরবার পাঁচ বছরের মেয়াদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনজনকে দফায় দফায় বসাতে হয়েছিল বিজেপিকে। কারণ, দুর্নীতির অভিযোগ। এবং ক্ষোভ। এবার সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েই দিল্লিতে শাপমোচন হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আশা করাই যায়, অবস্থা সেই ’৯৩ সালের মতো হবে না। অর্থাৎ, দুর্নীতি ও ক্ষোভের অভিযোগ ছাড়াই পাঁচ বছর রাজধানী শাসন করবে বিজেপি। আর তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর চতুর্থ স্বপ্নটি সফল হয়েই গেল মোদিজির।
চতুর্থ কেন?
প্রথম স্বপ্ন, ক্ষমতায় এসেই আগে কংগ্রেসের রাজনীতির দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া। নোট বাতিল, নেতাদের জেল যাত্রায় পাঠানো, লাগাতার অভিযোগ এবং আক্রমণ এই কর্মসূচিতে যতটা না তাঁকে সাহায্য করেছে, তার থেকে অনেক বেশি সমর্থন জুগিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এবং এখনও পারলে স্লিপিং পার্টনার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় স্বপ্ন, ইন্দিরা গান্ধীকে ছুঁয়ে ফেলা। প্রধানমন্ত্রিত্বের সংখ্যায় এবং পাকিস্তান বিরোধিতায়। আর তৃতীয় স্বপ্ন, জওহরলাল নেহরু। টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন মোদিজি। চতুর্থ স্বপ্ন ছিল, দিল্লি দখল। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছেন, অথচ রাজধানী হাতছাড়া! এ তো পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে অঙ্কে ফেল করার মতো অবস্থা। তাঁকে জেতাল মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণি। আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডোবাল শিসমহল। নরেন্দ্র মোদি অবশ্য এসব সমীকরণকে অতীত করে বিদেশযাত্রায় মন দিয়েছেন। আরও কয়েকদিন পর ফিরবেন। তারপরই মন দেবেন পঞ্চম স্বপ্নে। সেটা কী? বাংলা দখল। 
এই একটি কাঁটা মোদিজির গলায় এখনও বিঁধে আছে। দিল্লি এবং কার্যত গোটা উত্তর ভারত দখলের পর বাংলার কাঁটা উপড়ে ফেলতে মরিয়া যে তিনি হবেন, সেটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হতে হয় না। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে দণ্ড ও ভেদের শাসনে ধরে রেখেছে বিজেপি। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই রাজ্যটিই এখনও বেগ দিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছেন, রাজ্যবাসীকে আবাস দেননি, শাসক তৃণমূলের একের পর এক নেতাকে দুর্নীতির জাল ফেলে ধরেছেন, জেলেও ভরেছেন। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনভিত্তি টলাতে পারেননি। চব্বিশের লোকসভা ভোট তার প্রমাণ। দিল্লি দখল হয়ে গিয়েছে। আর অপেক্ষা নয়। ইতিমধ্যেই অবশ্য কাজে নেমে পড়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। তারা জানে, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অস্ত্র অন্য রাজ্যে কাজে দিলেও মমতার বাংলায় চলবে না। এই সমীকরণে তিনিই পথিকৃৎ। উল্টে তাঁর প্রকল্প ধার করে সম্প্রতি বেশ কয়েকটা রাজ্যে জিতেছে বিজেপি। দুর্নীতির অভিযোগ, ইডি, সিবিআই দিয়েও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। তাহলে তো ২০১৬ সালের নারদ কাণ্ডেই সরকার ফেলে দেওয়া যেত। এখানকার মানুষ এখনও এই ভদ্রমহিলার ক্যারিশ্মার উপর অন্য কিছু রাখে না। তাহলে উপায়? মেরুকরণের দাঁত-নখ বেরনোর সময় হয়ে গিয়েছে। গত কয়েকটা বছর যা খানিকটা আবডালে ছিল, তা বেরচ্ছে। বিরোধী দলনেতা এরইমধ্যে হাঁক দিয়েছেন, হিন্দু সরকার গড়বে বিজেপি। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে হিন্দু সরকার? মানুষ ভাবছে? এক বছর আগের বাংলা হলেও ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুযোগ আর দিচ্ছে না। পড়শি দেশে মৌলবাদ পাখনা মেলছে। সেই সুযোগটাই পুরোদমে নিচ্ছে বিজেপি। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে চলছে চোরাগোপ্তা উস্কানি। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, বাংলাদেশের আঁচ সবচেয়ে বেশি পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপর। তাই এখন থেকেই কোমর বাঁধতে হবে। কীভাবে? নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর পাঠ কিন্তু তারা দিচ্ছে না! উল্টে মুসলিম বিরোধী এজেন্ডার আগুনে ঘি ঢালা হচ্ছে লাগাতার। সেই সঙ্গে বাংলার শাসকের গায়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘু তোষণের স্টিকার। এক ঢিলে দুই পাখি। একইসঙ্গে বিজেপি আরও একটা পন্থা নিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ এখন তলে তলে গেরুয়া শিবিরকে সাপোর্ট দিচ্ছে। কীভাবে? কাজে ঢিলে এবং অন্দরের খবর বাহার করে দেওয়া। ফলে মানুষের জন্য কোনও প্রকল্প বা সুবিধা রাজ্য সরকার আনতে গেলে সেটা আগাম ঘোষণা করে দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপির হর্তাকর্তারা। মানুষকে বোঝাতে চাইছে, এসব চেনা রাজনীতি। আপনারা এসবে ভুলবেন না। বরং হিন্দুত্ব কীভাবে রক্ষা হয়, সেটা ভাবুন।
ফলে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এরকম চ্যালেঞ্জ কি আগে সামলাননি তিনি? বিলক্ষণ সামলেছেন। এর থেকে অনেক বেশি এবং আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু বুঝতে হবে, এবারের ঘনঘটা অন্য সব ঘটনার থেকে আলাদা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি, মৌলবাদী আগ্রাসন, জঙ্গি অনুপ্রবেশ, আবার উদ্বাস্তু আশঙ্কা... তার সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ভোট-রাজনীতি। এটা ধরে নিতে হবে যে, অধুনা ইউনুসের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি ইন্দিরা গান্ধী স্টাইল নেবেন না! কারণ দু’টি। ১) মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে আন্তর্জাতিক মহলে যে ঝড় উঠবে, তা সামলানোর মতো দাপট তাঁর নেই। ২) বাংলাদেশ সংক্রান্ত এই অশান্তি মিটে গেলে ছাব্বিশের ভোটে মেরুকরণ-অস্ত্রের ধার এমনিতেই অনেকটা ভোঁতা হয়ে যাবে। তাই পরের ছেলে পরমানন্দ ফর্মুলাতেই আপাতত চলবে। মূল্য দেবে কে? বাংলার মানুষ। তাই এই পরিস্থিতিতে যাবতীয় সমীকরণ বদলে দিতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রশাসক হিসেবে নয়, নেত্রী হিসেবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়... এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ যাচ্ছে, তার জন্য ঘরে ঘরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে তাঁকেই। তৃণমূল কংগ্রেস মানে কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এর অর্থ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল দল এবং ব্যক্তি মমতার মধ্যে ফারাক কিছু নেই। তৃণমূল না থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। কিন্তু মমতা না থাকলে তৃণমূল আদৌ থাকবে কি না, সন্দেহ আছে। তাই বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে। নিজের চোখে দেখা... প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা সাধারণ ঘরের তৃণমূল সমর্থককে আজও ভিড়ের মধ্যে চিনে নেন তিনি। নাম ধরে ডাকেন। অপারেশনের পর মেয়ে কেমন আছে, জিজ্ঞেস করেন। প্রশাসক হিসেবে নয়। নেত্রী হিসেবে। দিদি হিসেবে। এটাই কিন্তু তাঁর ইউএসপি। তথাকথিত শিক্ষিত একটা শ্রেণি তাঁর সমালোচনা করবে, গাল দেবে। কিন্তু সুবিধা নেওয়ার সময় গলে পড়বে। এটা এখন তাঁরও গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ সময়টা অন্য। বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, কেউ জানে না। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড় হয়তো চলবে পাঁচ-দশ বছর। অথবা কয়েক মাসেই হঠাৎ থেমে যাবে। কিন্তু যতদিন দুর্যোগ থাকবে, বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ পড়বে আমাদেরও। রাজনীতির কারবারিরা তার সুযোগ নেবে। আশঙ্কা যাতে আতঙ্কে বদলে না যায়, সেটা দেখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। কারণ, তিনিই পারবেন। প্রতিটা ঘরে, প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে... চাহিদা হয়তো বেশিই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এমনটা না হলে যে বাংলা ‘রক্ষা’ করাই কঠিন হয়ে যাবে!
 
11th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
কাফ সিরাপ পাচার রুখল বিএসএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি গাড়িকে ধাওয়া করে চারটি বস্তায় বিপুল পরিমাণ কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ। ৮০০ বোতল কাফ সিরাপ সহ গাড়ির চালককে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। কাফ সিরাপের পাশাপাশি পাচারে ব্যবহৃত গাড়ি এবং চালকের ...

আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...

আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ...

দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM