Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। প্রশ্নটি হল, বাংলাকে এভাবে এগারো বছর ধরে ১৩ টি বাজেটে ক্রমাগত নিয়ম করে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে বঞ্চনার ইতিহাসের রেকর্ড সৃষ্টি করে যাওয়া কীভাবে সম্ভব হল? আমাদের সিরিয়াসলি জানতে ইচ্ছা করছে যে, এই সুপরিকল্পিত উপেক্ষা ও বঞ্চনার পিছনে প্রকৃত রহস্য ঠিক কী? কেন করা হচ্ছে? বাংলা এগারো বছর ধরে বারংবার প্রত্যাখ্যান করছে রাজনৈতিকভাবে, সেই কারণে বাঙালিকে কিছু না দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, এটা তো সরলীকৃত একটি বিশ্লেষণ! এই মনোভাব  কমবেশি সকলের মনে এসেছে। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে এটাই একমাত্র নয়। আরও যেন বৃহত্তর কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। পরিকল্পনা? নাকি চক্রান্ত? এটা কি স্লো পয়জনিং ফর্মুলা? অর্থাৎ আর্থিকভাবে বঞ্চিত করে করে সম্পূর্ণ পঙ্গু করে দাও এই রাজ্যকে? তারপর আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে? অথবা যতদিন না আমাদের ভোটে জয়ী করে সরকার গঠন করতে দিচ্ছে, ততদিন এই রাজ্যকে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও সহায়তা করা হবে না? 
২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি বাজেট তথা ভোট অন অ্যাকাউন্ট হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে। পৃথকভাবে বাংলার নাম উচ্চারণ করে, বাংলার জন্য বিশেষ এক অথবা একাধিক প্রকল্প, কারখানা, স্কিম, পরিকাঠামো, এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন এয়ারপোর্ট, নতুন বন্দর, কর্মসংস্থানমুখী কোনও একটি প্রোজেক্ট, বড়সড় লগ্নি, শিল্প করিডর, শিল্পতালুক…কিছুই হয়নি। কোনও বছরের বাজেটে বাংলা আজ পর্যন্ত এই তালিকাভুক্ত স্কিমের একটিও পায়নি। অথচ বাকি সব রাজ্য পেয়েছে। কিছু না কিছু জুটেছে বিরোধী শাসিত অন্য রাজ্যে। অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ব্যতিক্রম বাংলা। 
মোদি সরকারের বাজেটে সম্পূর্ণ নিয়ম করে এভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করে চলাকে রহস্য বলছি কেন? সত্যিই এই আচরণের কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তের পিছনে মোদি সরকারের মনস্তত্ত্ব কী? সেটার কোনও আঁচ পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপি মহাশক্তিশালী একটি জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক দল। তার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদিও অবশ্যই মহাশক্তিধর। তিনি অত্যন্ত অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দশ বছর ধরে লক্ষ্য করার পর তিনি অনেক আগেই বুঝে গিয়েছেন বঙ্গবিজেপির সংগঠন দুর্বল। সর্বজনগ্রাহ্য নেতা ও সেনাপতি হয়ে ওঠার মতো ব্যক্তিত্ব একজনও নেই। বরং একাধিক নেতা নিজেদের মধ্যেই ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে চরম মতান্তরে জড়িয়ে। বিজেপির সাধারণ কর্মীরা যে প্রবল হতাশ বঙ্গবিজেপির রকমসকম দেখে, সেটা নিয়েও সংশয় নেই। এই রাজ্য নেতৃত্বকে দিয়ে যে বাংলা দখল করা যাবে না এটা সকলেই কমবেশি বুঝে নিয়েছে। 
কিন্তু রহস্যটা এই কারণেই আরও বেশি। সেটি হল, বিজেপি গোটা দেশের প্রতিটি রাজ্য দখল করতে চায়। যা স্বাভাবিক। যে কোনও জাতীয় দলই সেটা চাইবে। কিন্তু বিস্ময়কর হল, দশ বছর ক্ষমতাসীন থাকা বিজেপির পক্ষে বাংলা দখল করা রাজনৈতিক তথা সাংগঠনিক ভাবে কঠিন জেনেও উন্নয়ন অথবা আর্থিক সহায়তা কিংবা সরাসরি প্রভূত বাজেট পরিকল্পনা দিয়ে বাংলাকে খুশি করার চেষ্টা করতেই পারত! অথচ সেরকম করল না। কোনও উদ্যোগই দেখা গেল না কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে, কোনও একটি ভোটের আগে বাংলার জন্য কল্পতরু হয়ে গিয়ে বাজেটে অথবা বাজেট ছাড়াই প্রচুর উপহার দিয়ে বঙ্গবাসীর মন জয় করি! সেই চেষ্টায় কাজ হয় কি না সে তো পরের ব্যাপার। কিন্তু সেই প্রয়াস কিংবা সদিচ্ছাই দেখা গেল না মোদি সরকারের পক্ষ থেকে? কেন? কারণ কী? ওটাই তো সহজ পথ হওয়ার কথা ছিল। এই তো বিহারে ভোট ২০২৫ সালের শেষার্ধে। বিহারকে দু তিন বছর ধরেই অঢেল উপহার দেওয়া হচ্ছে। এরকম উপহার প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই দেওয়া হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলা। 
বাংলাকে কেন এভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে? এই অভিযোগ তুলে সংসদে তৃণমূলের এমপিরা আক্রমণ করছিলেন সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। অর্থমন্ত্রী সেই আক্রমণের মোকাবিলা করে বাংলাকে এগারো বছর ধরে কেন্দ্র কী কী দিয়েছে, তার যে তালিকা বললেন, সেটা আরও বেশি করে যেন প্রমাণ করে দিল বিপুল বঞ্চনার অভিযোগের সত্যতাকে। বললেন, এইমস দেওয়া হয়েছে (যা ইউপিএ আমলেই অনুমোদিত হয়েছিল। রায়গঞ্জের বদলে কল্যাণীতে স্থানান্তর হয়েছে শুধু)। একটি কার্গো টার্মিনাল। একটি রাস্তাকে ফোর লেন করা হয়েছে। ১০১ রেলস্টেশনকে সংস্কার করা হয়েছে। ৯টি বন্দেভারত দেওয়া হয়েছে। এরকমই আরও কিছু। 
১০ কোটি জনসংখ্যার একটি রাজ্য, যে রাজ্য জিএসটি প্রদানে প্রথম সারিতে। ধান সব্জি আলু ক্ষুদ্রশিল্প উৎপাদনে প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়, পণ্য রপ্তানিতে যথেষ্ট অগ্রগণ্য, কেন্দ্রকে বিপুল পরিমাণ ট্যাক্স তুলে দেয়, সেই রাজ্যের জন্য দশ বছরে কেন্দ্রীয় উন্নয়নের এই তালিকা? পাশাপাশি কর্ণাটক থেকে উত্তরপ্রদেশ। গুজরাত থেকে বিহার। অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা রাজস্থানের দিকে তাকিয়ে দেখলে পার্থক্যটা চোখে পড়বে। নিছক বিরোধী শাসিত রাজ্য বলে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে, এরকম হলে তো বিরোধী শাসিত অন্য রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও একই কৌশল প্রযুক্ত হবে? সেটা তো হল না! আজ পর্যন্ত সব বাজেটেই বাংলার নামোল্লেখ অনুচ্চারিত। বাকি সব না হয় বাদ দেওয়া যাক। অন্তত মেট্রো রেল সম্প্রসারণকে তো বৈপ্লবিক গতিতে ত্বরান্বিত করা যেত? 
নরেন্দ্র মোদি জানেন যে, তাঁর দলের বর্তমান রাজ্য শাখা এখনও যেভাবে রাজনীতি করে, সেটা দিয়ে বাংলাজয় সম্ভব নয়। শেষ চেষ্টা হিসেবে তাঁর তো উচিত ছিল বিপুল উন্নয়নে বাংলাকে ভাসিয়ে দেওয়া? তাঁর নামে বঙ্গবাসী ধন্য ধন্য করবে এটা তিনি চান না? অথচ কই তিনি তো সেরকম উদ্যোগ নিলেন না! বরং বাংলাকে বঞ্চনার রেকর্ড করেই চললেন। গোটা শাসনকালে। কেন? মোদি কি চান না বাংলা দখল করতে? তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই কিন্তু নিজের দলকে ডুবিয়ে চলেছেন। কেন? 
বঙ্গবাসী এইসব অভিযোগে সঙ্গতভাবে সরব হবে। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে এই বঞ্চনার প্রশ্নগুলি তুলে অবশ্যই আক্রমণ করছে। সেসব স্বাভাবিক। তবে এখন এগারো বছর পর সময় এসেছে বঙ্গবিজেপির কাছে। বঙ্গবিজেপির নেতারা এবার চিন্তা করুন যে, তাঁদের এভাবে পথে বসাচ্ছেন কেন নরেন্দ্র মোদি? আগামী বছর ভোট। অথচ বাজেটে এগারো বছর ধরে বাংলাকে মোদি সরকার কিছুই প্রায় দিল না। আগামী বছরের বাজেটে না হয় তর্কের খাতিরে ধরা গেল কিছু উপহার দেওয়া হল। কিন্তু সেটা তো এগারো বছরের ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। বঙ্গবিজেপি তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বকে সাহস নিয়ে প্রশ্ন করুক যে, বাংলাকে এভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে কেন? তাদের তো বলার মতো মুখই থাকছে না! 
বাংলায় বিজেপির যথেষ্ট ভোটশেয়ার আছে। সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক যুক্ত হওয়ায় সেটি আরও জোরদার হয়েছে। সেইসব বিজেপি ভোটারের ভাগ্যেও বঞ্চনা, উপেক্ষা আর অবহেলাই জুটছে। তৃণমূল সমর্থকরা যেখানে রাজ্য সরকারের নানাবিধ প্রকল্প ও জনকল্যাণমুখী আর্থিক সাহায্যের কথা জোর গলায় বলে জয়ধ্বনি দিচ্ছে, তাদের পাল্টা বিজেপি সমর্থকদের মুখরক্ষার জন্য কিছু বলার মতো অস্ত্রই তো থাকছে না। যেন হারার লড়াই লড়ছেন বিজেপি সমর্থকরা। তাদের মুখ চেয়েও তো কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল। কেন সেরকম হল না? 
রহস্য টহস্য সম্ভবত কিছু নয়। রাজনীতি নয়। উপেক্ষা নয়। প্রতিহিংসাও নয়। প্রকৃতপক্ষে বাংলা ও বাঙালি জাতিকে সম্ভবত আর্থসামাজিকভাবে শায়েস্তা করার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কোনও টাকা দেব না। যাতে আর্থিক সঙ্কটে পঙ্গু হয়ে যায় উন্নয়ন। আর পাশাপাশি ধর্মীয় উন্মাদনায় মদত দিয়ে একটি লাগাতার সামাজিক অস্থিরতা জিইয়ে রাখব। দুয়ে মিলে ক্রমেই পিছিয়ে যাক বাংলা! কী সেই গোপন মিশন? মিশন হল, সবথেকে অনগ্রসর রাজ্য হিসেবে পিছিয়ে দেওয়া বাঙালিকে! নচেৎ এগারো বছরের বাজেট বঞ্চনার অন্য কোনও কারণ হতেই পারে না! 
14th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...

আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM