Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
১৯৯১-এর প্রতিচ্ছবি ২০২৫-এ
২০২৪ সালের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা যাক। ভোটাররা বিজেপিকে তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে, তবে সঙ্গে দিয়ে রেখেছে একটি হুঁশিয়ারি। সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যা তোমার থাকবে কিন্তু তার ভিতরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না। সংবিধান পাল্টে ফেলার চেষ্টা তুমি করবেন না। তোমাকে শাসনকার্য পরিচালনা করতে হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তুমি বেকারত্ব, দারিদ্র্য, বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি ও কৃষকদের দুর্দশা দূর করবে। যেখানে পরিকাঠামো নেই সেখানে তা গড়ে দেবে এবং যেখানে তা ভেঙে পড়েছে, সেখানে তার পুনর্নির্মাণ করতে হবে তোমাকে। অর্থাৎ মূল সমস্যাগুলির সমাধান তোমাকে একে একে করে যেতে হবে। এটা অবিকল ১৯৯১ সালের পরিস্থিতি—নরসিমা রাও-মনমোহন সিংরা তো এমনই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী-বিদেশমন্ত্রী জুটি সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছিলেন। তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন যুগান্তকারী সংস্কার কর্মযজ্ঞের, যার সূচনা হয় ১৯৯১ সালের ১ জুলাই এবং সংস্কারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয় ওই বছরের ১৫ আগস্টের মধ্যে (অবমূল্যায়ন, বাণিজ্য সংস্কার, আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কার, কর সংস্কার এবং শিল্প নীতি)।
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর, গত ২৩ জুলাই নরেন্দ্র মোদি-নির্মলা সীতারামনের প্রথম বাজেট ছিল একটি হতাশাজনক অধ্যায়। তাতে মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধান করার মতো কিছুই ছিল না। যথারীতি অজুহাত দেওয়া হয়েছিল তখন, এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে পরবর্তী প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটেই (তার অর্থ যেমনই হোক) মিলবে যাবতীয় সমস্যার সমাধান। ইতিমধ্যে, অর্থনীতির গতি ধীর হয়েছে, মজুরি বাড়ছে না, কায়েম রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) তার অবস্থান বদলাবে না বলে দিয়েছে, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (এফডিআই) ‘ইনফ্লো’ কমে গিয়েছে, ফিরে গিয়েছে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ (এফআইআই) বিনিয়োগ। এখানেই শেষ নয়, ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুর, দুবাই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, ‘সরকারের সামনে চেঁচিয়ে বলবে কে?’
যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ
সৌভাগ্যক্রমে, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) ২০২৪-২৫ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষার (ইএস) ভূমিকায় যা বলার বলে দিয়েছেন সোজাসুজি। তাঁর যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ ছিল ‘কাজ শেষ করে ফেলুন’ এবং ‘নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করুন’। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় অধ্যায় রয়েছে মোট ১৩টি। তার মধ্যে থেকে কেবল চারটি বেছে নিয়ে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সুপারিশ সম্পর্কে কিছু বলব। বলব সিইএ কী সুপারিশ করেছিলেন, এবং সে সম্পর্কে সরকারের প্রতিক্রিয়া, নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি কী ছিল।
প্রথম অধ্যায়ে (অর্থনীতির অবস্থা) তিনি তুলে ধরেছেন অর্থনৈতিক মন্দার কারণগুলি। একইসঙ্গে তিনি সুপারিশ করেছেন যে, প্রতিযোগিতার যোগ্যতা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে একেবারে নীচের স্তর থেকে। ওইসঙ্গে রয়েছে সিইএ’র কাঠামোগত সংস্কারেরও সুপারিশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, অর্থমন্ত্রী বেছে নিয়েছিলেন তার উল্টো রাস্তা। বর্তমান প্রকল্পগুলিতে আরও অর্থ ঢেলেছেন! ওইসঙ্গে ঘোষণা করেছেন সাতটি প্রকল্প, আটটি মিশন এবং চারটি তহবিল। ডিরেগুলেশন বা নিয়ন্ত্রণমুক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব মেলেনি। কোনও ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতার যোগ্যতা-শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনও পদক্ষেপের রূপরেখাও ছিল না। তিনি কেবলমাত্র আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরের নিয়ন্ত্রণগুলি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্কার কমিটি (হাই লেভেল কমিটি ফর রেগুলেটরি রিফর্মস) ঘোষণা করতে পারেন। তার মানে, আর্থিক ক্ষেত্র সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কোনও পর্যালোচনা করা হবে না।
অস্বীকৃতি, আরও অস্বীকৃতি
দেশের জন্য বেকারত্ব, বিশেষ করে যেসব পরিবারে বেকার ছেলেমেয়ে রয়েছে তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ। ১২ নম্বর অধ্যায়ে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়ন (এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট) ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস) রিপোর্টের উপর। তাতে দাবি করা হয়েছে যে ২০২৩-২৪ সালে দেশে বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক তত্ত্বে এটিকে পূর্ণ কর্মসংস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই ঝুঁকি উপলব্ধি করে, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর কৃষি ক্ষেত্রের বাইরে সাড়ে ৭৮ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, যখন দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা পৌঁছবে ৯৬ কোটিতে। একদিকে নিয়মিত বা বেতনভোগী চাকরির অনুপাত হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে নিজস্ব ফার্মসহ স্বনিযুক্তির হার। গত সাতবছরে পুরুষদের প্রকৃত মাসিক মজুরি কমেছে—১২,৬৬৫ টাকা থেকে হয়েছে ১১,৮৫৮ টাকা। হ্রাস পেয়েছে স্বনিযুক্ত ব্যক্তিদেরও প্রকৃত মজুরি বা আয়। যাবতীয় বাস্তব প্রমাণ কিন্তু পিএলএফএস-এর দাবিকে সমর্থন করছে না। এই প্রসঙ্গে একেবারে নিম্ন স্তরের চাকরির জন্য বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর কথাটি বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে। অর্থমন্ত্রী কি পিএলএফএস এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন? এই বিষয়ে তাঁর নীরবতা সত্যকে অস্বীকার করারই শামিল। বাস্তব এটাই যে, জিডিপি মাঝারি গতিতে বৃদ্ধি পেলেও বেকারত্ব বাড়ছে, বিশেষ করে যুব শ্রেণি ও স্নাতকদের ভিতরে এবং চাকরি বা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারটা থমকে রয়েছে।
‘ডিরেগুলেশন ড্রাইভস গ্রোথ’ শিরোনামে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় (৫ নং) রয়েছে। বিনিয়োগের বর্তমান হার ৩১ শতাংশের কম। ৬.৫ শতাংশের নীচে বৃদ্ধির হার। এই প্রেক্ষিতেই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০৪৭ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ (ডেভেলপড কান্ট্রি) হয়ে উঠতে পারব না। সরকারের প্রতি ইএস-এর পরামর্শ, ‘ডিরেগুলেশন এজেন্ডা ত্বরান্বিত এবং প্রসারিত’ করতে হবে।  এছাড়া ‘জনগণকে তাদের এজেন্সি ফিরিয়ে দেওয়ার এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করারও’ আহ্বান জানিয়েছে ইএস। ইএস নিয়ন্ত্রণের সীমাবদ্ধতাগুলি চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে ধরা হয়েছে কারখানা সংক্রান্ত নিয়মকানুন এবং ‘ইনফ্লেটেড রেগুলেটরি ক্যাপাসিটি’। ১৯৯১-৯৬ পর্বে নিয়ন্ত্রণমুক্তির কিছু দৃষ্টান্ত দিতে পারি, যেমন ‘সিসিআইঅ্যান্ডই’ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ‘ফেরা’কে (এফইআরএ) রূপান্তরিত করা হয়েছে ‘ফেমা’তে (এফইএমএ)। একইভাবে, এই অর্থমন্ত্রীও কিছু দপ্তর এবং নিয়ন্ত্রণ বাতিল করতে পারতেন। তিনি এসব এড়িয়ে গিয়েছেন। আমার ধারণা, আগামী একবছরে কিছুই হবে না।
দুর্বলতা
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে এত ঢক্কানিনাদ সত্ত্বেও বলব যে, ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্রটি (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর) ক্ষুদ্র এবং এর বৃদ্ধির হারও দ্রুত নয়। ৭ নং অধ্যায়ে অলোচিত হয়েছে শিল্প। সার্বিক বাণিজ্য সংস্কার প্রসঙ্গে যে তথ্যাদি উঠে এসেছে তা আশাপ্রদ নয়। বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে আমাদের অংশ মাত্র ২.৮ শতাংশ, সেখানে ২৮.৮ শতাংশ অবদান চীনের। উৎপাদন ক্ষেত্রে জিভিএ’র (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড) অংশ ২০১১-১২ সালে ছিল ১৭.৪ শতাংশ। সেটি সেই উচ্চতা থেকে ২০২৩-২৪ সালে ১৪.২ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে অপরিহার্য উচ্চমানের যন্ত্রপাতি আমরা আমদানি করে থাকি। গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে আমাদের ব্যয়ের পরিমাণ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশেরও কম! সেখানে অর্থনৈতিক সমীক্ষার পরামর্শ হল, নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) এবং উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জোর দিতে হবে কর্মী বাহিনীর স্কিল লেভেল উন্নত করার উপর। ইএস-এর মত, এগিয়ে যাওয়ার পথ এতেই সুগম হবে। তবে এই ব্যাপারে বাজেটের প্রতিক্রিয়া মিলেছে কেবল কিছু স্কিম আর মিশন চালু করার মধ্যে। 
গভর্ন্যান্স বা শাসনব্যবস্থা বলতে বর্তমানে যা চলছে! অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, আছে একটি সরকারও, কিন্তু অনুপস্থিত যেটা তা হল গভর্ন্যান্স বা শাসনব্যবস্থা। প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) হলেন আর একটি উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর।
-লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
(মতামত ব্যক্তিগত)
10th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...

কাফ সিরাপ পাচার রুখল বিএসএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি গাড়িকে ধাওয়া করে চারটি বস্তায় বিপুল পরিমাণ কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ। ৮০০ বোতল কাফ সিরাপ সহ গাড়ির চালককে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। কাফ সিরাপের পাশাপাশি পাচারে ব্যবহৃত গাড়ি এবং চালকের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM