Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ। তারপরও উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছে, কয়েকজন আহত হয়েছে মাত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রায় একদিন পার করে যোগী সরকার ঘোষণা করল, ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা শ’খানেক হবে। এই লুকোছাপা কেন? ক্ষতিপূরণ কম দিতে হবে বলে? নাকি গায়ে রক্তের দাগ লাগলে আসন্ন কোনও এজেন্ডা ধাক্কা খাবে?
দিল্লি স্টেশন থেকে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে পড়ে আছেন এক মহিলা। তার পাশে এক যুবতীও। নিথর। তা সত্ত্বেও রেলের তরফ থেকে স্বীকার করা হচ্ছে না মৃত্যুর খবর। হাসপাতাল বলছে, ১৫ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন মহিলা, আর তিন শিশু। রাজনাথ সিং, এমনকী স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক জ্ঞাপন করছেন। আর তখন ‘স্বাভাবিক’ দিল্লি স্টেশনের ছবি দিয়ে রেলমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, ‘সব নিয়ন্ত্রণে’। এই দ্বিচারিতা কেন?
তথ্য জানার ‘অনধিকার’
ইদানীং আমাদের মহামান্য ভারত সরকার একটা দারুণ স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। ধরুন আপনি অনলাইনে আরটিআই করতে চাইছেন। পুরো প্রক্রিয়াটা ঠিকমতো মেনে চললেন। কিন্তু শেষে সাবমিশনের সময় ‘এরর’ দেখিয়ে দিল। কিংবা আপনাকে থমকে দেওয়া হল সেখানেই। অর্থাৎ, তথ্য জানার অধিকার আইনে আপনি আর তথ্য জানার আবেদনটুকুও করতে পারলেন না। সব ক্ষেত্রেই কি তা হচ্ছে? না, সব ক্ষেত্রে না হলেও বহু ক্ষেত্রে হচ্ছে তো বটেই। আর বেশ কিছু ক্ষেত্রে উত্তরে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ‘সরকার এই তথ্য দিতে পারছে না’, কিংবা ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়া যাবে না’। সোজা কথায়, তথ্য গোপন করে যাওয়া হচ্ছে। 
জনগণনা
২০২১ সালে সেন্সাস হওয়ার কথা ছিল। কোভিডের অজুহাতে তাকে হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেও শোনা গিয়েছিল, এবার সেন্সাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ। কিন্তু তাহলে সাধারণ বাজেটে সাধারণভাবে জনগণনার জন্য অর্থ বরাদ্দ হল না কেন? তাহলে কি সেন্সাস করানোয় সরকারের মন নেই? এদিকে আবার বলা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত মিটিং আছে। আসল ঘটনাটা তাহলে কি? পাবলিক কি মূর্খ নাকি? যা বোঝানো হবে, তাই বুঝতে সে বাধ্য? সেন্সাস না হলে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ঠিক কত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, তার কোনও ভিত্তি পাওয়া যায় না। এখনও বিনামূল্যে রেশন, সংখ্যালঘু ভাতার মতো বহু প্রকল্পের টাকাই দেওয়া হয় ১৪ বছর আগের জনগণনার উপর নির্ভর করে। কত মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে আছেন? সেই উত্তরও খুঁজতে হয় টাইম মেশিনে চেপে ওই ২০১১ সালে গিয়েই। রাজনীতির কারবারিদের তাতে কী? ভোট পেলেই হল। আর সে জন্য ধর্ম তো আছেই! কিন্তু সেন্সাস করালে অসুবিধা কোথায়? হিন্দু খতরে মে হ্যায়, কিংবা সংখ্যালঘুরা দেশটাকে লুটে নিচ্ছে বলে যে স্লোগান তোলা হচ্ছে, তা ঝাড় খেয়ে যাবে না তো? দেখা যাবে না তো, সংখ্যালঘুদের সংখ্যা এই দেড় দশকে অনেকটা কমে গিয়েছে? কারণ, নরেন্দ্র মোদি সরকার কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে জন্মহার সংক্রান্ত কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি!
করের হিসেব
ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ সংসদে রিপোর্ট পেশ করেছিল ক্যাগ। গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ, ওইদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বি আর আম্বেদকরের নামে। তাঁর ভাষণ-বিতর্কে চাপা পড়ে গিয়েছিল ক্যাগ রিপোর্ট, আর তার ছোট্ট একটা অংশ। ২০২০’র নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আয়কর বিভাগের কাজকর্মের অডিট করেছিল ক্যাগ। তাতে অদ্ভুত একটা তথ্য হাতে এসেছে তাদের—এই ক’বছরে অনাদায়ী আয়করের ৯৭ শতাংশই ‘ডিফিকাল্ট টু রিকভার’ বা আদায় করা মুশকিল বলে উল্লেখ করেছে দপ্তর। প্রশ্ন হল, কেন? কেউ যদি আয়কর না দিয়ে থাকে বা ভুল ফর্ম ভরে থাকে, তার নির্দিষ্ট তথ্য দপ্তরের কাছে থাকবে। সেইমতো তারা ডিমান্ড নোটিস পাঠাবে করদাতার কাছে। তিনি বকেয়া আয়কর না দিলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দপ্তরের কাছে আছে। তারপরও আদায় করাটা ‘ডিফিকাল্ট’ কেন? ক্যাগের বক্তব্য, অডিটে ঠিকমতো সাহায্যই করেনি আয়কর দপ্তর। অনাদায়ী ১৮ হাজার ৮৭০টি মামলার মধ্যে ১০ হাজার ৮৯৬টি নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরই তারা দেয়নি। এমনকী, ১১ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ী আয়করের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা জড়িত, সেটাও জানায়নি তারা। এর কারণ কী? এইসব ব্যক্তি বা সংস্থা কি অত্যন্ত প্রভাবশালী? তাদের অনাদায়ী করের টাকা কি তাহলে আড়ালে-আবডালে মকুব হয়ে যাবে? প্রশ্ন কিন্তু রয়েছে।
তথ্য গোপনের প্রাপ্তিযোগ
উত্তরটা এক কথায় হতেই পারে—রাজনীতি। বিজেপি জমানায় একটা বিষয়ে আমরা ভালোরকম গা-সওয়া হয়ে গিয়েছি। সেটা হল, প্রচার। সরকার কী করল না করল, তাতে কিছু আসে যায় না। প্রচারটা পুরোদস্তুর চালাতে হবে। রাজনীতির ভাষায় প্রোপাগান্ডা। ডেটা বা তথ্যের সঙ্গে যা মোটেও খাপ খায় না। জন্মহার যদি সরকার প্রকাশ করত, তাহলে কি আর ‘হিন্দু খতরে মে হ্যায়’ প্রচার দিনের আলো দেখত? মনে রাখতে হবে, ১৪০ কোটি জনসংখ্যা কিন্তু এখনও ভারত সরকারের সিলমোহর পায়নি। সেটা সম্ভব একমাত্র সেন্সাসের পর। মোদি সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা মুখে মুখেই দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কেন্দ্রীয় একটি সংস্থাই এর মধ্যে দাবি করে বসে আছে যে, ভারতে জন্মহার নিয়ে ভুল প্রচার চলছে। তারা বলেছে, ভারতের মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ২.১ নয়। বরং তার থেকে কম। সেক্ষেত্রে ১৪০ কোটির অঙ্কে জল মিশতে বাধ্য। এই সত্য সামনে এসে গেলে সংখ্যালঘু বাড়ছে, আপনারাও তিনটি করে সন্তানের জন্ম দিন—সঙ্ঘ ও বিজেপির এই প্রচার মাঠে মারা যাবে। গত ১১ বছরে এই একটি বিষয়েই তো গেরুয়া ব্রিগেড হাত পাকিয়েছে—ধর্মীয় রাজনীতি। সঠিক তথ্য আর শুধু গবেষক আর পরিসংখ্যানবিদের জন্য নয়! রাজনীতিকদের জন্যও বটে। আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে কতজন আছে? এর উত্তর যদি ২০১১ সালের জনগণনার নিরিখে হয়, তাহলে মোদি সরকার সাফল্যের চূড়ায় বসে আছে। তারা দাবি করছে, ৮১ কোটি এমন মানুষের কাছে সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। তাই দেশ থেকে গরিব কমছে। কিন্তু বেসরকারি তথ্য বলছে, অন্তত ১০ কোটি মানুষ এখনও এই তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছে। অর্থাৎ, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর মূল কারণ করোনা মহামারী। এর কারণ কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই লকডাউনের ঘোষণা। এর কারণ, নোট বাতিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সেই তালিকা কোথায়? কত মানুষ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত, আর নিম্নবিত্ত থেকে দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে গিয়েছেন, তাঁদের হিসেব কোথায় দেখানো হয়েছে?
আম জনতাও এখন ‘ডেটা’ বোঝে। অন্তত সাদা চোখে কম-বেশির তফাৎটা ধরতে পারে। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলে রাজনীতি হবে কীভাবে? ক্ষমতায় থাকতে গেলে রাজনীতি চাই। আর রাজনীতি কেউ কি আর নিজের পকেট খসিয়ে করে? তার জন্য বন্ধুরা আছেন। সেই বন্ধুরা নানাবিধ সুবিধা পেতেই পারেন। কিন্তু সবটাই ‘ব্যক্তিগত’ বলে মেনে নিতে হবে। অন্তত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটাই মনে করেন। নিজের দেশে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন না। কিন্তু মার্কিন মুলুকে সাংবাদিকদের সামনে আদানি ইস্যুকে ‘ব্যক্তিগত’ প্রসঙ্গ বলেই উড়িয়ে দেন। তাঁর জবাব শুনে প্রশ্ন জাগে, ভেবে বলেছেন তো? কারণ, এই একটি ইস্যুতেই গোটা বিশ্ব তোলপাড়। তাঁর বন্ধু কিন্তু ভারতের নাগরিক হিসেবেই বিশ্বের দরবারে পরিচিত। সেক্ষেত্রে বিষয়টা ব্যক্তিগত হয় কীভাবে? এমনই বন্ধু ও প্রভাবশালীদের নামই কি লুকিয়ে চলেছে আয়কর দপ্তর? এমন বন্ধুদের অনাদায়ী করই কি ‘ডিফিকাল্ট টু রিকভার’? ক্যাগ লাগাতার চেয়েও সেই তথ্য পাচ্ছে না। পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এটাও যে রাজনীতিরই অঙ্গ। এই তথ্য প্রকাশ্যে চলে এলে বন্ধুদের নামও আম জনতা জেনে যাবে। প্রশ্ন উঠবে, কেন তাদের কর অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে? কোন কোন সুবিধা তারা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে দিয়েছে? কীসের ‘বিনিময় মূল্য’ হিসেবে লক্ষ কোটি টাকা তারা দিতে স্রেফ ভুলে যাচ্ছে? মোট অঙ্কটা কত? ক্যাগ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের হিসেব দিয়েছে। ওই বছর মোট আয়কর আদায় হয়েছিল ১৪ লক্ষ কোটি টাকার। আর অনাদায়ী কর, ১৯ লক্ষ কোটির। 
ভারতের পাওনাগণ্ডা
গণতন্ত্র। এখনও এই একটি শব্দ নিয়েই আমরা গর্বিত। আশাবাদীও বটে। আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতা পেয়েছেন শুধু রাজনীতিবিদরা। তাঁরা নিজেদের সুবিধা মতো তথ্য বাজারে ছাড়ছেন। চাপছেনও। ওটাই যে অঙ্ক। টিকে থাকার। তাঁরা চাইলে দুয়ে দুয়ে চারের বদলে পাঁচ হতেই পারে। হচ্ছেও। আমরা সেটাই গিলছি। আর অপেক্ষা করছি... যাদের আমরা ভোট দিয়ে সরকার চালাতে পাঠিয়েছি, তাদের থেকে স্বচ্ছতা পাব। তারা সততার সঙ্গে আমাদের প্রাপ্যের ব্যবস্থা করবে। ‘দানধ্যানে’ বৈষম্য থাকবে না। বন্ধু এবং সাধারণ মানুষের ফারাকও ঘুচবে। আর হ্যাঁ, আচ্ছে দিন আসবে। 
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...

দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...

কাফ সিরাপ পাচার রুখল বিএসএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি গাড়িকে ধাওয়া করে চারটি বস্তায় বিপুল পরিমাণ কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ। ৮০০ বোতল কাফ সিরাপ সহ গাড়ির চালককে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। কাফ সিরাপের পাশাপাশি পাচারে ব্যবহৃত গাড়ি এবং চালকের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM