Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে। কাম্য শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রথম দরকার পুষ্টিকর খাবার। এমন আদর্শ খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন অবশ্যই থাকবে সব্জি, ফলমূল, সুষম খাদ্যশস্য, প্রাণীজ/অপ্রাণীজ প্রোটিন, পরিস্রুত পানীয় জল প্রভৃতি। একই সঙ্গে প্রয়োজন বয়স অনুযায়ী খেলাধুলো, শরীরচর্চা প্রভৃতি। মানসিক বিকাশের জন্য প্রথম প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস এবং স্কুলে আনন্দদায়ক পরিকাঠামো। শুধু কিছু পাঠ্যবই পড়িয়ে দেওয়ার জন্য যেমন তেমন একটি ইট-কাঠ-পাথরের ভবন থাকাই যথেষ্ট নয়, স্কুলকে হতে হবে সর্বার্থেই আনন্দপাঠের স্থান। পরিচ্ছন্ন, পর্যাপ্ত পরিসর ভবনের পাশাপাশি থাকতে হবে ভালো জল ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগার এবং উপযুক্ত খেলার মাঠ। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিতে উপনীত কন্যাসন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। এরপর চাই সহযোগিতার নীতিতে সমাজের অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা এবং নানা অভিজ্ঞতা অর্জন। চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটাবার ব্যবস্থাও থাকবে শিক্ষাক্ষেত্রে। আর থাকতে হবে নৈতিক শিক্ষার পাঠ। ‘গুরুকুলে’ এই গুরুদায়িত্ব পালন করবেন কারা? শিক্ষকরা। তাহলে সুশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাও চাই। বলা বাহুল্য, পড়ুয়া এবং শিক্ষকের আদর্শ অনুপাত লঙ্ঘন করলে পাঠদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দামামা দেশজুড়েই বেজে গিয়েছে। এমনই এক সন্ধিক্ষণে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১০৮তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ‘এনইপি ২০২০’-র মাহাত্ম্য নিয়ে। তিনি দাবি করেন, ছোট ছেলেমেয়েদের ‘শিক্ষা’ এবং ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’-এর সামনে ‘ভাষা’ আর কোনও বাধা হবে না। আমাদের দেশের অগুনতি গরিব ছেলেমেয়ে প্রতিবছর ‘স্কুলছুট’ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের এই দুঃখজনক পরিস্থিতির জন্য, ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষার প্রতিবন্ধকতাকে বিশেষভাবে দায়ী করেন। তাঁর বক্তব্য, নয়া শিক্ষা নীতি এই সমস্যার মূলোচ্ছেদ করবে। এই ‘একদা অসম্ভবটি সম্ভব হবে’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির কল্যাণে। তাৎক্ষণিক এবং নির্ভুল ভাষান্তরের সুবিধা আমরা সকলেই উপভোগ করতে পারব। নয়া ব্যবস্থা প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দ্বার খুলে দেবে সবারই সামনে। অতঃপর বেড়ে যাবে প্রিয় বিষয়ে স্নাতক হওয়ার সুযোগটিও।
পুরো ব্যাপারটা কল্পনা করতে সত্যিই ভালো লাগে। কিন্তু তার রূপায়ণ ‘লাও তো বটে কিন্তু আনে কে’ গোছের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে না কি? বুনিয়াদি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো কেমন? সামান্য অনুসন্ধানেই যা বেরিয়ে আসে তাকে ‘শিক্ষাব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সরকারের দাবি, সংখ্যাটি নাকি মোদি জমানায় অনেক কমেছে, তারপরেও ২০২৩-২৪ সালে এক শিক্ষকবিশিষ্ট স্কুলের সংখ্যা ছিল লক্ষাধিক। মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থানে এমন স্কুল সবচেয়ে বেশি। অথচ এনইপি ২০২০’র সুপারিশ পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত হতে হবে ১:৩০। সারা দেশে কয়েক হাজার স্কুলের নিজস্ব বাড়ি নেই। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে পাঠদান চলে গাছের নীচে। এমন প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বিহারে। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ বিহার বিধানসভায় নীতীশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখরের বিবৃতি থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ৫,৬৮১ বা ৯ শতাংশ!
ভারতে কত মানুষ গরিব? বিনামূল্যে রেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্যেই তা পরিষ্কার। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ছত্তিশগড় বিধানসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে তিনি সানন্দে ঘোষণা করেন যে, ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ গরিব মানুষকে বিনামূল্যের রেশন বণ্টনের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হল! হাজার হাজার শিশু স্কুলছুট সাধ করে হয়ে যায় না। তারা শিশু শ্রমিকের অভিশপ্ত জীবনেও প্রবেশ করে না খুশিতে ডগমগ হয়ে। স্কুলছুট এবং শিশু শ্রমের নেপথ্যে রয়েছে বাবা-মায়ের আর্থিক দুর্দশা এবং অস্বাস্থ্যকর বস্তির জীবন। ভারতবাসীর এই দুর্দশা দূর করতেই তৈরি হয়েছে খাদ্যের অধিকার আইন এবং স্কুলপড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে মিড ডে মিল। কিন্তু মিড ডে মিল সরবরাহের জন্য যে অর্থ মোদি সরকার বাহাদুর বরাদ্দ করেন, তাতে ছেলেমেয়েদের কতটা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব? জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। একই বাজার থেকে মিড ডে মিলের উপাদান কেনাকাটা করতে হয়। কিন্তু তার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির রেওয়াজ একেবারেই অনিয়মিত। যেমন দু’বছর বাদে, গত ২৭ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রক মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু মাথাপিছু বৃদ্ধির পরিমাণটা কত? প্রাথমিকে ৭৪ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১ টাকা ১২ পয়সা। তাতে বাংলায় মাথাপিছু বর্ধিত বরাদ্দ কত দাঁড়াল? প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ টাকা ১৯ পয়সা (তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৩ টাকা ৭১ পয়সা) এবং উচ্চ প্রাথমিকে (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি) ৯ টাকা ২৯ পয়সা (তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৫ টাকা ৫৭ পয়সা)।
এই ভয়াবহ ছবিটারই পাশে রাখব অন্য দুটি চিত্র: পরীক্ষা পে চর্চা এবং কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ। বছরে একবার পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি (অফলাইন এবং অনলাইন) প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে ২০১৮ থেকে। তথ্যের অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হয়। মোদিজির মুখশ্রী সংবলিত ওই সার্টিফিকেট ছাপতে কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে প্রতিবছর খরচ হয় ১ কোটি টাকা। ২০১৮-র হিসেব কেন্দ্র দেয়নি। পরবর্তী ছ’বছরে খরচের পরিমাণ প্রায় ৭৯ কোটি টাকা, তার মধ্যে ৬২ কোটি টাকা কেন্দ্র খরচ করেছে গত তিনবছরে! 
অথচ শিক্ষা এবং গবেষণায় ছাত্রবৃত্তির হাল ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ছবিটাও হতাশাজনক। কেননা, ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে ১ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং গতবছরের তুলনায় 
বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিমাণ ৬.৫ শতাংশ মাত্র। বৃদ্ধির এই হার গত চারবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম! এনইপি ২০২০-তে শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। শিক্ষাখাতে গতবছর বরাদ্দ করা হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা, যেটা ছিল ২০২৩-২০২৪ সালের চেয়ে ৭.১৪ শতাংশ বেশি। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলা জরুরি। গত পাঁচবছরে শিক্ষাখাতে সরকারি ব্যয় বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরেই রয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছে করোনাকালের ২০২১-২২ সাল। সেবার বৃদ্ধির পরিবর্তে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ৬.১২ শতাংশ কমানো হয়েছিল! সব মিলিয়ে শিক্ষার জন্য সরকারি ব্যয় জিডিপির ৩-৪ শতাংশের মধ্যে হাঁপিয়ে মরছে। গবেষণা এবং উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতে আমরা ব্যয় করছি জিডিপির ১ শতাংশেরও কম! কেন্দ্রেরই সর্বশেষ আর্থিক রিপোর্টে এনিয়ে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।  
এর পাশে রাখা যাক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট: বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষায় বরাদ্দ করেছিল তাদের জিডিপির ৬ শতাংশ। প্রতিবেশী চীনের বরাদ্দ আরও বেশি ৬.১৩ শতাংশ। কোভিডের আগে সাধারণ শিক্ষা, গবেষণা এবং বিজ্ঞানশিক্ষায় জার্মানির বাজেট বরাদ্দ ছিল জিডিপির ৯.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমানো হলেও প্রাইমারিসহ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাখাতে অঙ্কটি এখনও ৪.৬ শতাংশ রয়েছে। শিক্ষায় জাপান সরকার খরচ করছে তাদের জিডিপির ৭.৪৩ শতাংশ।
এরপর ভাবুন, আমরা কোন কাণ্ডজ্ঞানে ‘উন্নত’ দেশের পংক্তিতে বসার খোয়াব দেখছি? গাছের গোড়া কেটে আগায় জল সিঞ্চনের সংস্কৃতি কোন ফল প্রসব করবে? যে ‘কীর্তিটি’ মোদিজি হাসি মুখে করে চলেছেন, তা আসলে বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্রকে মদতদান, যা বৈষম্য বৃদ্ধির সঙ্গে ভীষণই মানানসই। কে-১২ শিক্ষাঋণের গল্পটি মাথায় রাখুন, ব্যাপারটি খোলসা হয়ে যাবে। রাষ্ট্র আর কারও দায় নেবে না, যে যারটা বুঝে নাও, দম থাকলে ঋণ করে লড়ে যাও। রেশনের চাল-আটা এবং মিড ডে মিলের সাপোর্ট ছাড়া যেসব পরিবার দিনেই আঁধার দেখে, তারা ঋণ নিয়ে সন্তানকে শিক্ষিত করবে! বলিহারি নীতি!!
রাজনীতিতে ইস্যুর অভাব নেই। কিন্তু শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় কোনও দলকে অংশ নিতে দেখি না কেন? আগামী দিনে প্রতিটি নির্বাচনে সমস্ত ‘জনপ্রিয়’ ইস্যু বাঁয়ে রেখে শিক্ষাখাতে ব্যয়বৃদ্ধির দাবি সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা চলুক। এই প্রশ্নে এগিয়ে আসুক প্রতিটি দলের নির্বাচনী ইস্তাহার। গোড়ার গলদ দূর না-হলে পরিতাপ, আক্ষেপই আমাদের সম্বল রয়ে যাবে অনন্তকাল!
12th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM