পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, মালদহের আম রপ্তানিযোগ্য করে তুলতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে আম চাষিদের নিয়ে এক বিশাল কর্মশালা আয়োজিত হচ্ছে। পাশাপাশি প্যাক হাউস আধুনিকীকরণ করে পিপিপি মডেলে চলু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মালদহের আম জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে চাষিদের স্বল্প সময়ে অধিক ফলনের আশায় অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার জেরে বিদেশে আম রপ্তানির ক্ষেত্রে গুণগত মান প্রশ্ন চিহ্নের সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যেই মালদহের অধিকাংশ আম গাছে মুকুল এসেছে। এসময় থেকে কোন স্তরে ঠিক কতটা পরিমাণ এবং কোন ধরনের সার প্রয়োগ করা হবে, সেই বিষয়েই আম চাষিদের অবহিত করতে বিশেষ কর্মশালার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। মালদহের দুর্গা কিঙ্কর সদনে ঘণ্টা তিনেকের এই কর্মশালায় চাষিদের আম গাছে সার প্রয়োগ সম্পর্কে বোঝাবেন অ্যাপেডা এবং উদ্যানপালন দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে কার্যালয়ে অ্যাপেডা, উদ্যানপালন দপ্তর, আম ব্যবসায়ী ও বণিকসভাকে নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। সেখানেই এই সমস্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মালদহ জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের উপ অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন, রপ্তানির যোগ্য আমের ফলনের জন্য চাষিদের বিস্তারিতভবে বোঝানো হবে। কোন সময়ে হার্ভেস্টিং করতে হয়, কতটা সার প্রয়োগ করা যেতে পারে সবটাই তাঁদের বোঝান হবে। এদিকে, পিপিপি মডেলে প্যাক হাউসের আধুনিকীকরণের জন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে জেলা প্রশাসন।
এদিন অ্যাপেডাকে নিয়ে জেলা প্রশাসন ও উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিকরা ইংলিশবাজারের অবস্থিত মালদহ প্যাক হাউস পরিদর্শন করেন। খুব শীঘ্রই টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা প্যাক হাউস পরিদর্শন করবে। তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসনের তরফে রাজ্যের কাছে চূড়ান্ত প্রস্তাব পাঠানো হবে। মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, চলতি মরশুমে আমের ভালো ফলনের সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন ও সেই সঙ্গে প্যাক হাউসের আধুনিকীকরণ সম্পর্কে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে।