Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো। গেরুয়া শিবির মনে করছে, সেই অস্ত্রে শান দিতে পুরস্কার বা সম্মানকেও হাতিয়ার করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি মসনদে বসার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে ভারতরত্ন বা পদ্ম সম্মানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নাম আসছে।
২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই সেই সময়কার দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশিকে মার্গ দর্শক বানিয়ে কার্যত ছেঁটে ফেলেছিলেন মোদি। কিন্তু সেই আদবানিকেই ২০২৪ সালে ভারতরত্ন ও মুরলী মনোহর যোশিকে ২০১৭ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িও ভারতরত্ন পেয়েছিলেন মোদি ক্ষমতায় আসার পরে, ২০১৫ সালে। এ পর্যন্ত তাও মেনে নেওয়া যায়, কারণ বাজপেয়ি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, আদবানি প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী ও মুরলী মনোহর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। কিন্তু চলতি বছরের তালিকায় এমন বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে, যাঁদের কাজের পরিচয় খুঁজতে গেলে উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিতে হবে। তাঁদের প্রত্যেকেরই যোগসূত্র একটা জায়গায়, সেটা হল হিন্দুত্ব।
পদ্মপ্রাপকের তালিকায় এবার জ্বলজ্বল করছেন সাধ্বী ঋতম্বরা। কে তিনি? আটের দশকের শেষ থেকে নয়ের দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলনে ফায়ারব্র্যান্ড মহিলা নেত্রী হিসেবে যে দু’জনের নাম উঠে এসেছিল, তার একজন উমা ভারতী ও দ্বিতীয়জন এই সাধ্বী ঋতম্ভরা। উমা ভারতীর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিশ্চিতভাবেই তরতর করে উঠেছিল। কিন্তু একটা সময় পর কালের নিয়মেই হারিয়ে গিয়েছেন। এমনকী যে মধ্যপ্রদেশ তাঁর কর্মভূমি ছিল, সেই রাজ্যেই বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে ভারতীকে ছেঁটে ফেলেছে বিজেপি। রয়ে গিয়েছেন দুর্গা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন ঋতম্ভরা। গৈরিক বসনধারী ঋতম্ভরা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেরিয়েছেন। যুব সমাজকে হিন্দুত্বের মোড়কে তৈরি করেছেন। তাঁর গরম গরম মেঠো বক্তৃতা বাড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ব আবেগ। নামে সমাজসেবক, আসলে হিন্দুত্বের কট্টর প্রচারক। এহেন সাধ্বীকে তাই পদ্ম সম্মানে ভূষিত করতে দেরি করেনি মোদি সরকার।
চলতি বছরের পদ্ম তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার কার্তিক মহারাজের। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই মহারাজ বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময়ই চর্চায় আসেন। গত লোকসভা ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগের সভা থেকে সরাসরি কার্তিক মহারাজের নাম করে বলেছিলেন, ‘আমি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনেক সম্মান করতাম। কিন্তু যে লোকটা তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেন না, তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, তিনি ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।’ শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীও বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের যদি এমন মানসিকতা হয় যে, তাঁদের পার্টির নেতাকে পুরস্কার দেবে, তাহলে এর গুরুত্ব থাকবে না। যে কমিটি এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের উপরে রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে গুরুত্ব থাকছে না।’
ঘটনাচক্রে দেখা গিয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে এসে কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী এখনও যখন তাঁর নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, প্রত্যাশিতভাবেই পাশে রয়েছে বিজেপি। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তৃণমূল বিরোধিতা বা উগ্র হিন্দুত্ব প্রচারের জন্য নয়, কার্তিক মহারাজ এই সম্মান পেয়েছেন সমাজসেবার জন্য।
পদ্মপ্রাপক হিসেবে নাম রয়েছে আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথনের। কে তিনি? আযোধ্যার রাম জন্মভূমি মামলায় রামলালা বিরাজমানের হয়ে সওয়াল করেছিলেন এই আইনজীবী। রামমন্দিরের প্রধান স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরাকেও পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছে। ‘অযোধ্যা রিভিজিটেড’ গ্রন্থের লেখক কিশোর কুণালও চলতি বছরের পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায়।
হিন্দুত্ব বিজেপির ট্রেডমার্ক রাজনীতি। কিন্তু স্রেফ এই হাওয়ায় ভর করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাটি শক্ত করতে পারছে না বিজেপি। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব ভারতে জমি খুঁজে পাচ্ছে না গেরুয়া বাহিনী। দক্ষিণের পাঁচ 
রাজ্য কেরল,কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এর মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। 
অনেক চেষ্টা করেও এবার অন্ধ্রপ্রদেশে দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া বাহিনী। একই অবস্থা তামিলনাড়ু, কেরল ও তেলেঙ্গানাতেও। প্রায় নিয়ম করে দক্ষিণে সফর করেন মোদি। কিন্তু সেটাও বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে এমন নয়। সেই কারণে বিজেপির পুরস্কার-সম্মান রাজনীতি। চলতি বছর পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন সাতজন। তার মধ্যে দক্ষিণের তিন। পদ্মভূষণের ১৯ জনের মধ্যে দক্ষিণ থেকে আট জন। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম ও গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যকে। বিগত বছরেও একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। আসলে বিজেপি মানেই উত্তরের দল—এমন একটা ধারণা রয়েছে। পুরস্কার রাজনীতিতে সেই মিথ ভাঙারই চেষ্টা চলছে।
পূর্ব ভারতের তিন রাজ্য বাংলা, বিহার ও ওড়িশা। গত বছর বিহারের নেতা কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভিত্তি শক্তিশালী করতে চেয়েছে বিজেপি। এবারও পদ্মবিভূষণের তালিকায় রয়েছেন প্রয়াত শিল্পী সারদা সিনহা। আর প্রয়াত নেতা সুশীল মোদিকে দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর পদ্মভূষণ। বিজেপির গাঁট বাংলা। এই রাজ্যের প্রতিটি ভোটেই দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামক একটি শক্তপোক্ত দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে প্রতিহত হয়েছে মোদি-ঢেউ। বাংলায় একটাও উল্লেখযোগ্য মুখ খুঁজে পায়নি বিজেপি। তাই পুরস্কার রাজনীতি চলছেই। যদি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে গত বছরই পদ্মভূষণ ও দাদা সাহেব ফালকে দেওয়া হয়েছে। অভিনেতা মিঠুনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেও বলা যায়, বিজেপি যোগ না থাকলে এত দ্রুত তিনি ওই পুরস্কার পেতেন না।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা ছিলেন সঞ্জয় বারু। ‘বারনিশিং দ্য পদ্মাস’ বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ন্যাশনাল আইকন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন, একমাত্র তাঁদেরই এই সম্মানের জন্য মনোনীত করা উচিত। পদ্মে লবিবাজি দেখে মনমোহন সিংও আশাহত হয়েছিলেন। পদ্ম সম্মান নিয়ে বিতর্ক আগেও হয়েছে। ইউপিএ বা পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় বহু ব্যক্তির নাম নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে সেটা সমালোচনাই। কিন্তু মোদি ক্ষমতায় আসার পরে এই সম্মানকে দলীয় ভিত্তি প্রসারে কাজে লাগিয়েছেন। যে সম্মান দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের দেওয়ার কথা, সেটাই এখন রাজনীতির ঘুঁটিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের আগে প্রথমবার নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপি ঘোষণা করেছিল, জিতলে ভারতরত্ন দেওয়া হবে সাভারকর, জ্যোতিবা ও সাবিত্রী ফুলেকে। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও দল এভাবে ‘সম্মান’কে ভোট রাজনীতিতে মিশিয়ে দিল। দুই পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও চৌধুরাী চরণ সিংকেও ভারতরত্ন দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই রাজনীতির খেলা খেলেছে বিজেপি। ঠিক ভোটের আগে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষক ভোট সংহত করতে ও সমাজবাদী পার্টির হাত থেকে রাষ্ট্রীয় লোক দলকে ভাঙিয়ে আনতে চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্ন (মরণোত্তর) দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণের দুই রাজ্য বিশেষত তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভোটের ভিত্তি বাড়াতে বিগত লোকসভা ভোটের আগে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল নরসিমা রাও ও বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকে। মদনমোহন মালব্য, নানাজি দেশমুখের মতো হিন্দুত্ববাদী নেতাকেও দেশের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছিল এই সময়। বার্তা স্পষ্ট, উগ্র হিন্দুত্ববাদের আদি রাস্তা থেকে সরে আসছেন না মোদি। ইউপিএ জমানায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল অ-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত সুচারুভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বেছে নিয়েছেন। 
12th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ...

দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM