Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি। অন্যদিকে সম্পূর্ণ নিজের টাকায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ নতুন আবাস নির্মাণে বরাদ্দ হল ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ একই রেখে ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে ১ হাজার ৫০০ কোটি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটির পাশাপাশি নদী তীরবর্তী মানুষদের উন্নয়নে ২০০ কোটি ও গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণে ৫০০ কোটি বরাদ্দ প্রমাণ করে যে, রাজ্য সরকার প্রকৃতই এবার পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে বিপন্ন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায়। আশাকর্মীদের মোবাইল দিতে ২০০ কোটি বরাদ্দ কার্যত তৃণমূল স্তরে প্রশাসনিক কাজে দ্রুততা আনার লক্ষ্যে। যাতে প্রত্যেকটি এলাকায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। রাজস্ব ব্যয়ে লাগাম টেনে পরিকাঠামো খাতে খরচের ভারসাম্য চোখে পড়ার মতো। তবে এই বাজেটে কর্মসংস্থান, কৃষি, শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে বরাদ্দ একই। তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে বেড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য। এই ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকে সহায়তা দিতেও বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে কৃষক বন্ধু স্কিমে বরাদ্দ সামান্য কমিয়ে বাংলার কৃষি-সেচ প্রকল্পের বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কৃষি পরিবহণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্ক পরিচালিত প্রকল্পগুলিতেও বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে দ্বিগুণ বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো গড়তে। এমনকী বরাদ্দ বেড়েছে পরিকল্পনা খাতেও। এইসব পদক্ষেপই প্রমাণ করে, রাজ্য সরকার পাইয়ে দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস না রেখে পরিকাঠামো গড়ার দিকে ঝুঁকেছে। আবার প্রকৃত প্রয়োজন বুঝে সেই সব খাতে বরাদ্দ একই রাখা হয়েছে, অথবা বাড়ানো হয়েছে।
সামাজিক কর্মসূচিই যখন রাজ্যের অন্যতম ফোকাস এবং অর্থনীতি মূলত জনকল্যাণের লক্ষ্যে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই রাজ্যের বাজেটও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভেবে তৈরি হয়। তার অন্যথা হল না এবারও। রাজ্যের মানুষের হাতে আরও টাকা ও নানা সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ভাবনায় রচিত হল ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট। বিরোধীরা এর সমালোচনা করে ঠিকই, কিন্তু তা স্রেফ রাজনৈতিক কারণে। মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা আর্থিক দায়বদ্ধতা ও আর্থিক সক্ষমতা গড়ে তোলার নামে জনগণকে কার্যত অর্থ না দিয়ে, সেই টাকায় বাজেট ঘাটতি কমিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে বলেন। তাতে লাভ হয় একচেটিয়া বৃহদ্‌পুঁজির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন আলাদা। মমতা চান নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে, যাতে রাজ্যের মানুষ ভালো থাকে। এবং তাদের হাতে টাকা থাকলে, রাজ্যে ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে চাহিদাও ঠিক থাকে। এই স্থিরতা বজায় থাকলে বেসরকারি বিনিয়োগও আসবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।  কৌশলগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচেতনভাবে বেছে নিয়েছেন দু’টি পথই। সেই লক্ষ্যে তিনি সাধারণের জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছেন এবং একই সঙ্গে বেঙ্গল বিজনেস সামিট করছেন মুকেশ আম্বানি, আদানিদের নিয়ে। আগামী দিনে শিল্প চিত্র তাই উজ্জ্বল, তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। মমতার সরকার তাই শুধুই রাজ্যবাসীকে ভাতাজীবী করে রাখছেন—বিরোধীদের এই অভিযোগ টেকে না। বরং এবারের বাজেট নিয়ে আলোচনার আগে প্রথম প্রয়োজন কেন্দ্রের প্রবল বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়ে কথা বলা। কারণ, এখনও কেন্দ্রের সরকারের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা। ন্যায্য প্রাপ্যটুকু পেলেই এ রাজ্যের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হতে পারত। সমালোচনার বদলে যদি এক স্বরে রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রাপ্য আদায়ের আন্দোলন হতো, তাহলে প্রকৃতই রাজ্যের উন্নয়নে গতি আসত। সেই দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে সংকীর্ণ সমালোচনা ও রাজনীতি চলতেই থাকছে।
প্রাপ্য না পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি মাথা ঝোঁকাবেন না। আর জনগণের পাশ থেকেও সরে যাবেন না। এবারের বাজেটে যেভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু সহ সমস্ত প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে, তাতে এরপর বিস্ময়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতেই পারে, ‘এত প্রস্তাব! টাকা কোথায়? তাহলে কি আরও ঋণ নেবে রাজ্য?’ বাজার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধীরা হয়তো বলবেন, এতে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল হচ্ছে। ঋণ শোধ না করে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি হচ্ছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে সব রাজ্যের মধ্যে এই রাজ্যের স্থান ষষ্ঠ। বৃহদ্‌পুঁজির বিকাশ ছাড়াই ঘরোয়া কাজকর্মে, অসংগঠিত  ক্ষেত্রে ও কৃষির মাধ্যমে দেশের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় এগিয়ে। সারা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই রাজ্য সপ্তম। কৃষি, শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প সহ ১৯টি ক্ষেত্রে এই রাজ্য দেশের মধ্যে প্রথম। স্বভাবতই উন্নয়ন আসছে এবং আসবে এই সব ক্ষেত্রের মাধ্যমে। তাই বাজেটে এই সব ক্ষেত্রেই আরও জোর দেওয়া হল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, এই সব কথার আড়ালে আরও একটা সত্য আছে, যেটা রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। রাজ্য সরকার যত টাকা নানা প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ করছে, যত ভাতা বা অনুদান দিচ্ছে, তার একটা অংশ ফিরছে রাজ্যের কোষাগারেই। প্রতিটি কেনাবেচা বা যে কোনও লেনদেনের উপর প্রাপ্য জিএসটি হিসেবে রাজস্ব আয় বাড়ে এবং তাতে রাজ্যের মানুষকে ভালো রেখেই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু এইখানেই   চরম আঘাত দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রাপ্য জিএসটি বাবদ অর্থ এবং ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা না দিয়ে বাংলার উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে তারা। তাই রাজ্যের উন্নয়নে বিকল্প পথে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও মাঝারি পুঁজির বিকাশ ঘটাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বাজেটের হিসেব জানাচ্ছে, এই রাজ্যের আয় আর ব্যয় প্রায় সমান। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি মাত্র ২ কোটি টাকা ছিল, অর্থাৎ অর্থনীতি পরিচালনায় রাজ্যের যথেষ্ট দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু রাজস্ব ঘাটতি ৩৬ হাজার কোটির বেশি, আর রাজকোষ ঘাটতি ৬৯ হাজার কোটির বেশি। এর সবটাই কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য অর্থ না পাওয়ার কারণে। যে মুহূর্তে বকেয়া অর্থ এসে যাবে, সেই সময় থেকেই রাজ্যের কোষাগারে উদ্বৃত্ত হবে এবং সুদ বাবদ যে ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে, সেটার ‘আসল’ও পরিশোধ করা যাবে। তাই ঋণ বাড়ছে বলে আতঙ্কের কিছু নেই। পাওনা টাকা পেলে রাজ্য তা শোধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ঠিক এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট বিচার করে দেখা দরকার। রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজকোষের ঘাটতি কমাতে নিজের রাজস্ব আয়ের সূত্র বাড়াতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কী করলেন? মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে ঋণ ও সুদের অনুপাত কমাতে বা নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এবং বাংলার মূল ক্ষেত্র বিশেষে বিনিয়োগ একই রেখে তিনি স্থিতবস্থার দিকেই হেঁটেছেন। কর বাবদ ও কর বহির্ভূত রাজস্ব সংগ্রহ বাড়িয়ে উন্নয়নের হার অপরিবর্তিত রেখে দীর্ঘমেয়াদে ঋণের বোঝা কমিয়ে আনতে  এই বাজেট সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বাজেট রাজ্যের উন্নয়নের গতি ধরে রাখবে। সঠিক পথেই এগিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
  লেখক: সাংবাদিক ও অর্থনীতির বিশ্লেষক
13th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একনজরে
দু’দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। দক্ষতা ও মানের নিরিখে সেলটিকের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের প্রথম লেগে গ্লাসগোতে জার্মান ক্লাবটিকে কঠিন ...

দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM