Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন। গানটি বাংলাদেশেরই এক তরুণের। ওই গায়কের আগুন ঝরানো প্রতিটি গান বাঙালির হৃদয়কে আলোড়িত করছে। সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরালও হচ্ছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, তদারকি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের লেলিহান শিখা দিন-দিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বাঘের পিঠে সওয়ার মহম্মদ ইউনুসও সেটা টের পাচ্ছেন। তাই যুদ্ধের জিগির তুলে বাঁচাতে চাইছেন গদি। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, এভাবে কতদিন?
বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে কাল হল এঁড়ে গোরু কিনে।’ মহম্মদ ইউনুসের হয়েছে সেই অবস্থা। নোবেল লরিয়েট হিসেবে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সম্মানও পাচ্ছিলেন। মাইক্রোফিন্যান্সের নতুন দিশারী হিসেবেও বেশ নামডাক রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দু’চারখানা জালিয়াতি টালিয়াতির অভিযোগ উঠলেও তা মঞ্চে বসে হাততালি কুড়ানোর পথে বাধা হচ্ছিল না। কিন্তু তাঁর ‘কাল’ হল বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায়। শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়া মানুষটাকেই এখন অনেকে যত অশান্তির মূল বলে মনে করছেন।
ইউনুস সাহেব রাজনীতির লোক ছিলেন না। তিনি যে বয়সে দাঁড়িয়ে আছেন, তাতে সাধারণ মানুষ ঝামেলা এড়িয়ে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানোর কথাই ভাবে। ইউনুস সাহেবেরও বাকি জীবনটা শান্তিতে এবং আয়েশ করে কাটানোয় কোনও সমস্যা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলেন কেন? অনেকে মনে করছেন, এর পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে। এক, ক্ষমতার লোভ, যেটা মানুষের আমৃত্যু থাকে। দুই, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সাফ করে ‘ক্লিনচিট’ সার্টিফিকেট হাতিয়ে নেওয়ার বাসনা। তিন, নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তির ‘ঋণ’ পরিশোধের প্রবল চাপ।
ইউনুস সাহেব খুব ভালো করেই জানেন, ভারতের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাঁর দেশের নেই। যুদ্ধ লাগলে দেড় দিনও টিকতে পারবে না। তা সত্ত্বেও যুদ্ধের জিগির তুলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের সীমান্ত এলাকায় সাঁজোয়া গাড়ি দৌড়াদৌড়ি করছে। সেনাবাহিনীর সুরক্ষার জন্য বাঙ্কার বানানো হচ্ছে। কামানের গোলা নিক্ষেপে যেমন ধোঁয়া ওড়ে ঠিক তেমনটাই হচ্ছে। বেশ একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। উদ্দেশ্য? ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত, সেই বার্তা দেওয়া। সেটা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকেও দেওয়া হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায়।
অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে ভারত নিজের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। কিন্তু বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা। তাদের পাশে থাকছে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশী জঙ্গিরা। মাছ ধরতে ধরতে কোনও ভারতীয় মৎস্যজীবী সীমানা অতিক্রম করলে তাঁদের জেলে ভরে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। অথচ কয়েক মাস আগেও এমন ঘটনা ঘটলে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ করেই বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হতো।
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে চোরাকারবারিদের পিছু ধাওয়া করতে করতে দু’জন বিএসএফ জওয়ান বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে যান। আর তখনই বাংলাদেশের পাচারকারীরা জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যে পাচারকারীরা এতদিন প্রাণ বাঁচানোর জন্য আত্মগোপন করাই শ্রেয় মনে করত এখন তারাই বিএসএফ জওয়ানদের মারতে যাচ্ছে। তারা এই সাহস পাচ্ছে মৌলবাদীদের গরম গরম হুমকি ও ইউনুস সরকারের  পদক্ষেপে। পাচারকারীরা বুঝে গিয়েছে, বাংলাদেশ এখন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। তদারকি সরকার যখন দাগি জঙ্গিদের জেল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে তখন পাচারকারীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে, এটা ভাবা চরম মূর্খামি। তাই বাংলাদেশের পাচারকারীরাও বেপরোয়া।
১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতবর্ষ। মেধা ও সম্পদের কারণে বিশ্বের বহু শক্তিধর দেশ ভারতকে হিংসা করে। বিভিন্নভাবে আমাদের দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তারজন্য অতীতে অনেক চক্রান্তও হয়েছে। কিন্তু সরাসরি আক্রমণের সাহস খুব একটা দেখায়নি। তাই প্রতিবেশী দেশগুলিকে নানাভাবে ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, ভারতের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যা করছে, সেটা সেই চক্রান্তেরই অঙ্গ। এতদিন যে কাজটা পাকিস্তানকে দিয়ে করানো হচ্ছিল এখন সেটাই তারা বাংলাদেশকে দিয়ে করাতে চাইছে। তদারকি সরকার গঠন এবং তারপরই দাগি আসামি ও জঙ্গিদের ছেড়ে দেওয়া, সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ। উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের। উদ্দেশ্য, ভারতে নাশকতা চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি।
বাংলাদেশের ইউনুস সরকার পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইছে যাতে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আর গুলি চালালেই তাকে ইস্যু বানাবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এত হম্বিতম্বির পরেও ভারত সরকার চুপ কেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানে একটা কথা ভুললে চলবে না, ‘রাজনীতি’ আর ‘পররাষ্ট্র’ নীতি এক নয়। দু’টিকে একই আতসকাচের নীচে রেখে বিশ্লেষণ করতে যাওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ ইউনুস সরকার ভারত বিরোধী জিগিরের মুখ। কিন্তু আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে বড় কোনও শক্তি। বাংলাদেশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কে ‘ফায়ার’ করতে চাইছে, সেটা খুঁজে বের করাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। 
মৌলবাদীদের খুশি করতে তদারকি সরকার যা করছে, তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। সেটা মহম্মদ ইউনুস খুব ভালো করেই জানেন। নির্বাচন হলে যে গোহারা হারবেন, সেটাও তিনি বুঝে গিয়েছেন। তারজন্যই তিনি নির্বাচনে না গিয়ে যুদ্ধের জিগির তুলে কোনওরকমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন।
ভারতবর্ষ থেকে পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল ১৯৪৭ সালেই। ১৯৭১ সালে আলাদা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর দুই বাংলার মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠছিল। সেই সম্পর্কের আবেগ এতটা তীব্র ছিল যে অনেকেই কাঁটাতারের বেড়া মুছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতেন। অত্যাচারের ভয়ে ফেলে আসা পৈতৃক ভিটে একটিবারের মতো দেখার আশায় অনেকেই আকুলি বিকুলি করতেন। কিন্তু ইউনুস সরকারের কর্মকাণ্ডে সেই আবেগ কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে। দেশ ছাড়ালেও বহু মানুষ ‘আমাগো দ্যাশ’ বলে গর্বিত হতেন। ইউনুস সরকার তাঁদের সেই আবেগে জোর ধাক্কা দিয়েছে। এখন তাঁদেরই মুখ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বেরিয়ে আসছে এক রাশ ক্ষোভ। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতবর্ষকে নয়, পাকিস্তানকে তাদের বন্ধু বলে মনে করছে।
অথচ একদিন এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছিল পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার প্রতিবাদে এককাট্টা হয়েছিল বাংলা ভাষাভাষী সমস্ত মানুষ। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাস্তায় নেমেছিলেন। তারজন্য পুলিসের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, আব্দুল জব্বারের মতো আরও অনেকে। ভাষার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আত্মবলিদানের এক অনন্য নজির গড়েছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। সৃষ্টি হয়েছিল ইতিহাস। রফিক, সালাম, বরকতের বলিদান বৃথা যায়নি। উর্দুপ্রেমী পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাকেও দিতে বাধ্য হয়েছিল রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। মিলেছিল লড়াইয়ের আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি। সমগ্র বাঙালির কাছে একুশে ফেব্রুয়ারির এখন একটাই পরিচয়, ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই সেই তরুণ গায়ক গেয়েছেন, ‘ওরা পিতার মাথায় প্রস্রাব করে জুতোর মালা পরিয়ে/ ঘরে বসে তুমি দেখেছ অশ্রু পড়েছে দু’গাল গড়িয়ে/ ওরা কবিগুরুকে রাজাকার বলে তার গান আর চায় না/ সোনার বাংলা মুছে দেবে বলে ধরেছে এবার বায়না।’ বাংলাদেশের তদারকি সরকার মেতেছে ইতিহাস মুছে দেওয়ার খেলায়। ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে গর্বের সমস্ত স্মৃতিসৌধ। অস্বীকার করতে চাইছে বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। ফলে উঠছে প্রশ্ন, ভাষা শহিদদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকেও কি পদদলিত করবেন বাংলাদেশের ‘মেধাবী’রা? এবারেও কি একুশে ফেব্রুয়ারি সমগ্র বাংলাদেশ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলতে পারি’ গানে আলোড়িত হবে! নাকি রফিক, সালাম, বরকতদের জন্যও অপেক্ষা করছে ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবের মতোই নিদারুণ কোনও ‘স্বীকৃতি’!
11th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
একনজরে
আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের তন্তুজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ...

যাবতীয় কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বুধবার কর্ণধার নেথান অ্যান্ডারসন এই কথা ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ। ...

দুর্গা বা কালী পুজো, আবার কখনও স্পোর্টসের নাম করে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের পুলিস কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বেতন থেকেই সরাসরি এই টাকা চলে যাচ্ছে। এনিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পুলিসের নিচুতলা। বিষয়টি কানে যাওয়ার পরই সক্রিয় হয়েছে রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। ...

কয়েক বছর আগেও বার্সেলোনার আপফ্রন্টের প্রধান ভরসা ছিলেন লায়োনেল মেসি। আর্জেন্তাইন মহাতারকার উপস্থিতি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিত। তিনি দল ছাড়ার পর অনেকটাই দুর্বল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৫৮: মঙ্গোলরা বাগদাদ নগরী অধিকার করে ও ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়
১৮৪১: বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়
১৮৯১: রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের একমাত্র গৃহীভক্ত রামচন্দ্র দত্তর মৃত্যু
১৯০৮: অভিনেতা, প্রযোজক তথা পরিচালক এল ভি প্রসাদের জন্ম
১৯১৭: অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক রাজনীতিবিদ তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রনের জন্ম
১৯৩০: শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী গওহর জানের মৃত্যু
১৯৪০: ভারতে ফুটবল খেলার জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর মৃত্যু
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত  চলচ্চিত্র পরিচালক রাজা মিত্রর জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী বিন্দুর জন্ম    
১৯৫১: অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৩: সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার, গীতিরকার তথা অভিনেতা অঞ্জন দত্তর জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 
২০১১: অভিনেত্রী গীতা দে-র মৃত্যু
২০১৪: অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৮ টাকা ৮৭.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৬ টাকা ১০৭.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৬ টাকা ৯০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী ৫৭/৫০, শেষরাত্রি ৫/৩১। মঘা নক্ষত্র ১৫/৫৫ দিবা ১২/৪৫। সূর্যোদয় ৬/২৩/৫, সূর্যাস্ত ৫/১০/২৩। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
৩ মাঘ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী শেষরাত্রি ৫/৪৫। মঘা নক্ষত্র দিবা ১/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৭ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৮ মধ্যে। 
১৬ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সইফের উপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা থানায় জবানবন্দি দিলেন করিনা

10:59:00 PM

গুয়াহাটিতে একটি বৈঠক করলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

10:29:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন অমিত শাহ

10:03:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত

09:52:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, জামশেদপুর ১-মোহন বাগান ১

09:31:00 PM

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট

09:21:00 PM