Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। চলে যাও! ওই মোরাদের কবন্ধ আমায় ডাকছে। দারার মুণ্ড আমার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছে। সুজা হাসছে— এ কী সব— ওঃ!’
এভাবেই বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, জীবিত মানুষের থেকে মৃত মানুষের শক্তি অনেক বেশি। বহু মৃত ব্যক্তি অনেকেরই ঘুম কেড়ে নেয়। বর্তমান মোদি সরকারকে দেখলে সেটা আরও ভালো করে নজরে পড়ে। মোদি বা অমিত শাহের সব থেকে ভয় কাকে? মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, আম্বেদকর, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে। প্রত্যেকেই মৃত, কিন্তু তাঁদের ছায়া দেখলে আতঙ্কে নিন্দামুখর হয়ে ওঠেন তিনি। বারবার সেই মৃত ব্যক্তিদের সমালোচনায় বিদ্ধ করেন। তাই দশ বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসনের পরেও বিজেপির মুখে বারবার এই নামগুলিই ঘুরে ফিরে আসে। মৃত মানুষদের চাঁদমারি করে অনর্গল সমালোচনার কাদা ছেটান। আসলে তাঁদের কৃতিত্বগুলিকে নস্যাৎ করে নিজেকে বিশাল করে দেখানোর এটা একটা চেষ্টা মাত্র। ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও তিনি নিজের কোনও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তুলে ধরতে অক্ষম। কেননা তাঁর ক্ষমতায় থাকার দশটি বছর ব্যর্থতার এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সেই কলঙ্ক মুছতে তাঁর দরকার নেহরু, আম্বেদকরের মতো কিছু মৃত মানুষের নাম। এভাবেই চলছে চালুনির ছুঁচের বিচার। 
পূর্বসূরিদের কীর্তি মুছে ফেলে নিজেকে ‘বিশ্বগুরু’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে নানা অসত্য তথ্যের প্রচার করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে যতই তিনি নিজেকে বিশাল আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করুন না কেন, তাঁর বিদায়ের অপস্রিয়মাণ সময়টা যেন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। হয়তো তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরো টার্ম নাও থাকতে পারেন। কোনও এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে রদবদল হতে পারে। আরএসএস এ ব্যাপারে নীরবে আড়াই ঘরের চাল দিচ্ছে। সেই বার্তা দলের মধ্যে পরিষ্কার হতেই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদ দখল নিয়ে টাগ অব ওয়ার। দুইদিকে দুই পুরুষ। গুজরাতি পুরুষ অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের পুরুষ যোগী আদিত্যনাথ। একটু দূরে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে ছোঁ মারার চেষ্টায় আছেন নীতিন গাদকারি। তবে মূলত দুই দাবিদার হলেন অমিত এবং যোগী। 
আপাতত এজেন্ডা ঘর গোছানো, রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয়। এই কাজে তাঁদের অস্ত্র হিন্দুত্ব। তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদির পথেই হিন্দুত্বের ঝান্ডা হাতে তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছেন। তাই যোগী যখন মন্দির মন্দির করে ছুটছেন, সব মসজিদের নীচে মন্দির খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তখন অমিত শাহ আম্বেদকরের দিকে কাদা ছেটানোর কাজে বেশি সময় ব্যয় করছেন। বিজেপি এই সংবিধানকে যে মনপ্রাণ দিয়ে মানে না, সেটা গত দশ বছরে বারবার বোঝা গিয়েছে। মনুবাদী শাসন ব্যবস্থার প্রতি তাঁরা যে বেশি আস্থাশীল, সেটা অবশ্য গেরুয়াবাবুরা গোপন করেন না। মনুবাদই তাঁদের কাছে সংবিধান। যে মনুবাদের আইন কখনওই সভ্য সমাজে. কার্যকর হতে পারে না।  
সুতরাং এই লড়াইয়ের মাঝে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত নার্ভের লড়াইয়ে কে জিতবেন? মোদি বা মোহন ভাগবত কোন পক্ষে রয়েছেন? সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে কার অবস্থান কোথায়?
এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই যে, মোদি সবসময় অমিত শাহকেই পছন্দ করে এসেছেন। গুজরাত কী মজবুত জোড়ি হ্যায়, টুটেগা নেহি। সেই গোধরা যুগ থেকেই তাঁদের বন্ধন অটুটু। একে অন্যের দোসর। তাই মোদি সবসময় চান, তাঁর পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন অমিত শাহ। সেই প্রক্রিয়া মোদি শুরু করে দিয়েছেন। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, আগামী দিনে সম্ভবত জোট রাজনীতির ‘বড় দাদা’ হয়েই বিজেপিকে থাকতে হবে। 
সেক্ষেত্রে শরিক দলগুলি যাতে অমিত শাহকেই সমর্থন করেন, তার জন্যও খেলাও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র্রে জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী করতে প্রয়াসী হয়ে উঠেছেন অমিত। 
তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে যোগী আদিত্যনাথ। সুযোগ পেতেই মোদি-শাহ জুটি যোগীকে জাতীয় রাজনীতির আঙিনা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বস্তুত জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে যোগী আদিত্যনাথের আসন ততটা শক্তিশালী নয়। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নিজের আসন শক্তিশালী করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রামমন্দির বিজেপিকে প্রচুর ডিভিডেন্ট দিয়েছে। সেই রামমন্দির নির্মাণ হয়ে গেলেও টেম্পল পলিটিক্সের রাস্তা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি নন আদিত্যনাথ। গোরু এবং মন্দিরের গুরুত্ব তাঁর কাছে অনেক বেশি। সেটাকেই তিনি জাতীয় রাজনীতিতে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের হাইওয়ে বলে মনে করছেন।   
অমিত শাহ এবং যোগী তাই তাঁদের নিজেদের মতো করে খেলতে শুরু করেছেন। পর্দার আড়ালেও চলছে শক্তি সংগ্রহের নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা। অমিত শাহের দিকে আছে বিজেপি দলটি। যোগীর দিকে আছে আরএসএস। অমিত শাহ ইতিমধ্যেই ‘চাণক্য’ হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন। আদিত্যনাথ আবার ‘ঠোক দো’, বুলডোজার পলিটিক্সের মাধ্যমে ‘ঝুঁকেগা নেহি’ ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ তিনিও ভালোই বোঝেন। 
অমিত শাহ কয়েকদিন আগেই আম্বেদকরকে তেড়ে সমালোচনা করেছেন। কোন প্রসঙ্গে করলেন? সংবিধানের ৭৫তম বর্ষে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে আম্বেদকরের নিন্দার অর্থ সংবিধানকেই অস্বীকার করা। অমিতের সুরেই বলা যেতে পারে, মোদিজি যেভাবে বারবার জওহরলালের নাম নিয়ে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেন, সেটা না করে নিজের রাজধর্মটুকু পালন করলেই হতো। তাহলে আর তাঁকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মন্দির মন্দির বা হিন্দুত্বের উস্কানি দিতে হতো না। রাজধর্ম পালনের ব্যর্থতাই মোদি এবং অমিত শাহকে অন্যের নিন্দা করায় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। ব্যর্থ শাসককে নিজেদের ভাবমূর্তির মোমবাতি জ্বালাতে জওহরলাল, আম্বেদকরদের কাছ থেকে দেশলাই ধার করতে হয়। 
আমাদের সংবিধানের প্রাণপুরুষ হলেন আম্বেদকর। সংবিধান প্রণেতা হিসাবে গান্ধীজিই চেয়েছিলেন আম্বেদকর হোন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান। জওহরলাল কিন্তু প্রথমে রাজি ছিলেন না। নেহরু মনে করেছিলেন ভারতের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি হলেন ইংরেজ বিশেষজ্ঞ আইভর জেনিংস। গান্ধীজির চাপে জওহরলাল সংবিধান রচনার খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মেনে নেন আম্বেদকরকে। পরে অবশ্য জওহরলাল বুঝেছিলেন, গান্ধীজি লোক চিনতে ভুল করেননি। সংবিধান রচনা করতে বসে আম্বেদকরের মূল লক্ষ্য ছিল, বিবিধের মাঝে একটা অখণ্ড চেতনার প্রকাশ ঘটানো। অসাম্যের হাওয়া দূর করে একটা সাম্যের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 
আমাদের সংবিধানের শক্তি হল বিবিধের মাঝে মহামিলনের ঐতিহ্যকে দৃঢ় রাখা। ঠিক এইখানটাতেই আম্বেদকরের ওপর আরএসএসের রাগ। আসলে আরএসএস কোনওদিনই চায়নি ইংরেজরা এদেশ থেকে চলে যাক। বরং চেয়েছিল ইংরেজদের সেবা করে তাদের করুণা আদায়ের মাধ্যমে একটা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। 
সংবিধান রচনার খসড়া কমিটি গড়া হল ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর। এর ঠিক চারদিন পর ৩০ নভেম্বর আরএসএসের মুখপত্র ‘মাউথপিস’-এর সম্পাদকীয়তে তেড়ে গাল পাড়া হল এই প্রচেষ্টাকে। তারা সংবিধানকে ‘মনুস্মৃতি’ অনুকরণে গড়ে তোলার দাবি জানাল। নিন্দা করা হল আম্বেদকরের। আজ অমিত শাহের কণ্ঠে সেই ধিক্কারেরই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এরপর ১৯৪৯-এর ১২ ডিসেম্বর আরএসএসের পক্ষ থেকে নেহরু ও আম্বেদকরের কুশপুতুল পুড়িয়ে দুই নেতা ‘নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেওয়া হল। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হল শেখ আবদুল্লার গাড়ি। সেদিন সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বামী করপত্রিজি। তিনি ছিলেন একজন পণ্ডিত এবং কট্টর হিন্দুবাদী সাধু।বোঝা যাচ্ছে সেই ক্রোধ, সেই বিদ্বেষ এখনও মেটেনি। মেটার কথাও নয়। মহাত্মা গান্ধী, নেহরু এবং আম্বেদকরের উপর বিজেপির আজন্মের রাগ। তাদের বহু উদ্দেশ্যকে এই তিন নেতা সফল হতে দেননি। এই ত্রিফলা শক্তির কাছে বারবার আরএসএসের পরাজয় ঘটেছে। সেই রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে সঙ্ঘসখা নাথুরাম গডসে হাতে তুলে নিয়েছিলেন আগ্নেয়াস্ত্র। ‘হে রাম’ বলে লুটিয়ে পড়েছিলেন গান্ধীজি। মনে রাখা দরকার, গান্ধীর সেই ‘রাম’ এবং মোদির ‘রামচন্দ্র’ এক ব্যক্তি নন। 
অমিত-যোগীর লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবেন, তা সময় বলবে। মোদির পর হিন্দুত্বের পোস্টার বয় কে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এই লড়াই অতটা সহজ নয়। মোদির সরে দাঁড়ানোর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জারি থাকবে লড়াই। এই লড়াইয়ে ভারত এক কদমও এগবে না, দেশের অর্থনীতিরও বিশেষ হেরফের হবে না। দেশ যেমন ক্রমে পিছিয়ে যাচ্ছে, সেভাবেই পিছবে। পিছতে পিছতে আমরা একদিন সম্ভবত পুরাণকালে পৌঁছে যাব। তাতে সত্যিই কি বিজেপির কিছু যায় আসে? 
08th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
একনজরে
যাবতীয় কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বুধবার কর্ণধার নেথান অ্যান্ডারসন এই কথা ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ। ...

দুর্গা বা কালী পুজো, আবার কখনও স্পোর্টসের নাম করে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের পুলিস কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বেতন থেকেই সরাসরি এই টাকা চলে যাচ্ছে। এনিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পুলিসের নিচুতলা। বিষয়টি কানে যাওয়ার পরই সক্রিয় হয়েছে রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। ...

বাঁকুড়া জেলার গন্ডি পেরিয়ে দামোদর টপকে হাতি ঢুকে পড়ল শিল্পাঞ্চলে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে কাঁকসা ব্লকজুড়ে। দু’টি বুনো হাতি দামোদর নদ পার ...

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলকার চালককে গ্রেপ্তার করল হাবড়া থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভঙ্কর দে (৩০)। বৃহস্পতিবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হলে তিনদিনের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৫৮: মঙ্গোলরা বাগদাদ নগরী অধিকার করে ও ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়
১৮৪১: বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়
১৮৯১: রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের একমাত্র গৃহীভক্ত রামচন্দ্র দত্তর মৃত্যু
১৯০৮: অভিনেতা, প্রযোজক তথা পরিচালক এল ভি প্রসাদের জন্ম
১৯১৭: অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক রাজনীতিবিদ তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রনের জন্ম
১৯৩০: শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী গওহর জানের মৃত্যু
১৯৪০: ভারতে ফুটবল খেলার জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর মৃত্যু
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত  চলচ্চিত্র পরিচালক রাজা মিত্রর জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী বিন্দুর জন্ম    
১৯৫১: অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৩: সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার, গীতিরকার তথা অভিনেতা অঞ্জন দত্তর জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 
২০১১: অভিনেত্রী গীতা দে-র মৃত্যু
২০১৪: অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৮ টাকা ৮৭.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৬ টাকা ১০৭.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৬ টাকা ৯০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী ৫৭/৫০, শেষরাত্রি ৫/৩১। মঘা নক্ষত্র ১৫/৫৫ দিবা ১২/৪৫। সূর্যোদয় ৬/২৩/৫, সূর্যাস্ত ৫/১০/২৩। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
৩ মাঘ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী শেষরাত্রি ৫/৪৫। মঘা নক্ষত্র দিবা ১/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৭ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৮ মধ্যে। 
১৬ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সইফের উপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা থানায় জবানবন্দি দিলেন করিনা

10:59:00 PM

গুয়াহাটিতে একটি বৈঠক করলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

10:29:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন অমিত শাহ

10:03:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত

09:52:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, জামশেদপুর ১-মোহন বাগান ১

09:31:00 PM

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট

09:21:00 PM