Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশে বিশাল অস্ত্রের চালান আটক হওয়ার পর তা দেখতে পরদিন চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিস লাইনের মাঠে যান তৎকালীন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এই ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিক সম্মেলনে লুৎফুজ্জামান বাবর মন্তব্য করেছিলেন, এই অস্ত্র আনার সঙ্গে বিরোধী দল আওয়ামি লিগের যোগসূত্র থাকতে পারে। অথচ, পরে একের পর এক তদন্তে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামি লিগ নয়, বাবর নিজেই ছিলেন এর সঙ্গে জড়িত! ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াও স্বীকার করেছিলেন, এই বিপুল অস্ত্র তাদের জন্যই বাংলাদেশে এসেছিল। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং তাদের সহায়তাতেই বাংলাদেশে অস্ত্র খালাসের ব্যবস্থা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতকে অগ্নিগর্ভ করে তোলা!
ইতিহাস জানাচ্ছে, আওয়ামি লিগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের ‘৩০ এপ্রিলের ডেডলাইন’ নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। ২০০৪ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশের খবরের কাগজের শিরোনাম ছিল: ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের পতন। খবরে বলা হয়, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতন ঘটবে বলে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করে বলেছেন, একমাত্র আল্লা ছাড়া কোনও শক্তি এই সরকারের পতন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
এরপর গোটা বাংলাদেশে ‘জলিলের ট্রাম্প কার্ড’ কথাটি মুখে মুখে ফিরতে থাকে। পতনের ভয়ে চক্রান্ত শুরু করে বিএনপি-জামাত জোট সরকার। আর তারপরই ১ এপ্রিল গভীর রাতে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে। ২ এপ্রিল ঢাকা থেকে উড়ে চট্টগ্রামে যান রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর। সঙ্গে পুলিসের তৎকালীন শীর্ষকর্তা শহুদুল হক, নবগঠিত র‌্যাবের প্রধান আনোয়ারুল ইকবাল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবর বলেছিলেন, বিরোধী দল ৩০ এপ্রিল সরকার হটানোর যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার সঙ্গে এই অস্ত্র উদ্ধারের যোগসূত্রের ব্যাপারটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না (সূত্র: প্রথম আলো, ৩ এপ্রিল, ২০০৪)। তাঁর এই মন্তব্য ভাসিয়ে দেওয়ার পর বিএনপির নেতারা অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আওয়ামি লিগকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকেন। যদিও শুরু থেকেই এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চালাতে পুলিস অফিসারদের অনীহা ছিল। অস্ত্র আটকের ৩৬ ঘণ্টা পর কারও নাম উল্লেখ না করে পুলিস কর্ণফুলি থানায় দু’টি মামলা করেছিল মাত্র। আসলে আওয়ামি লিগের গায়ে কালি মাখাতে এটাই ছিল বাবরের খেলা!
বাবরের দাপট এমনই ছিল যে, তাঁর কথায় এক সময় নেত্রকোনার কোণায় কোণায় বাঘে-গোরুতে এক ঘাটে জল খেত। সেখানে কায়েম করেছিলেন ভয়ঙ্কর এক ত্রাসের রাজত্ব। মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-৪ আসন। ২০০১ সালে ওই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন ‘ক্যাসিও বাবর’ নামে সুপরিচিত লুৎফুজ্জামান বাবর। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় পেয়েছিলেন অতিগুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব। রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও এককভাবে ওই মন্ত্রক চালাতেন তিনিই। আর হত্যা, ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলাসহ গোটা নেত্রকোনাকে জর্জরিত করেছিল বাবর গ্যাং। ওই সময় বাবরের ইন্ধনে হিন্দু পরিবারের বিশাল সম্পক্তি দখল হয়ে যায়।
জাতীয় পার্টির সরকারের আমল থেকে বাবর বেপরোয়া চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। বাবরের ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটে লাগেজ ব্যবসা ছিল। সেইসময় ‘লাগেজ বাবর’ নামেও পরিচিত ছিলেন। বাবর জাপানি ঘড়ি ক্যাসিও’র ছত্রছায়ায় লাগেজ ব্যবসাটি করতেন। ব্যাঙ্কক থেকে আসা ক্যাসিও ঘড়ি বর্ডার দিয়ে ভারতে পাচার করতেন। রাজশাহী বর্ডারে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। সেই সময় এরশাদ ক্ষমতায় থাকায় রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনওভাবে পার পেয়ে যান। একবার নয়, একাধিকবার। বাবরের ইতিহাস গোটাটাই কালো। তাঁর রোজগারের সমস্তটাই অবৈধ। এরশাদের পতনের পর কথিত আছে বাবর খালেদা জিয়াকে একটা জিপ উপহার দিয়েছিলেন। এবং একজন নেতার সঙ্গে লেনদেন করে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। সেটা ১৯৯১ সাল। সেবার ভোটে জিতলেও ১৯৯৬-এ আবার হেরে যান। যদিও চার বছর পর আবার ফিরে আসেন বাবর। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর যাবতীয় কলঙ্ক ঢাকা পড়ে যায়। হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। এই সময়ই তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ই মগবাজারের শীর্ষ জঙ্গি আরমানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই আমলে তাঁর নাম হয়েছিল ‘ক্রসফায়ারের জনক’। বাবর বলতেন ‘অপরাধ জগতে আমি আগন্তুক নই’।
তিনি যে আগন্তুক ছিলেন না, সেটা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় হওয়ার পর একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায়। অস্ত্র চোরাচালান মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড ও অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তুলেছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর আওয়ামি লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলের নেতা। ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা দুই মামলার রায় দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। সেই রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অভিযোগ ছিল, হামলায় অংশ নিয়েছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশের (হুজি) জঙ্গিরা। আর এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিল তৎকালীন জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ‘ইন্ধন’। হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড আনা হয় পাকিস্তান থেকে।
মহম্মদ ইউনুসের অধীনে তদারকি সরকার ক্ষমতায় আসার চার মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ হাইকোর্ট ‘অভিযোগ গঠনে ত্রুটির কারণ দেখিয়ে’ এই মামলার সব আসামিকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছে। আদালতের এই রায় কীসের বার্তা দিচ্ছে বুঝতে এতটুকু অসুবিধে হয় না। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন— এই দুইয়ের চাপে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হয়। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা চলে আসেন ভারতে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে একটাই প্রচার চলেছে— এবার মুক্ত ‘ভারতের ত্রাস’ বাবর। ‘বর্ডারের ওপারে ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদির’। ‘ভারতের কাছে একটা আতঙ্কের নাম’। যেন বাবর জেল থেকে বেরিয়ে এলে ভারত ভয়ে কুঁকড়ে যাবে। ইউনুস সরকারকে একবারও তা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। বোঝাই যাচ্ছিল, দ্রুত মুক্তি পেতে চলেছেন অস্ত্র আইন মামলার আসামি, নেত্রকোনার ত্রাস লুৎফুজ্জামান বাবর। আদালতের এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে। লেখা থাকবে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারের কাহিনিও। 
আর ভারত বিরোধিতার জিগির যত বাড়ছে, তত আক্রমণ নেমে আসছে সংখ্যালঘু মানুষের উপর। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এখন প্রচার করা শুরু করেছেন, বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানের ঘটনায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অখুশি। তাই প্রমাণ করতে চাইছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে এবং তালিবান ঘরানার সরকার আসতে চলেছে। এই ধরনের অপপ্রচার দুই দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই এখন সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। অথচ, একবারও বলছেন না, কেন ভারত বিরোধিতার উগ্র বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সরকারের ক্ষমতার অলিন্দে? হাসিনা সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ নেমে এসেছিল কেন? শুধুমাত্র ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার দায় কার? কেন দিনের পর দিন গোটা বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে? কেন হুজি, জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ, শাহদত-ই-আল হিকমা, হিজবুত তাহিরি-সহ একঝাঁক জঙ্গি সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশ? এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে নিয়ে দেশ গঠন করা কি সম্ভব?
আওয়ামি লিগের জমানায় যেসব জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এখন তারাই ফের খোলা জমিনে পা রাখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের অস্থির রাজনীতির সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে কারামুক্ত হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানি। এমনই জইশের ১২জন, লস্কর-ই-তৈবার ৪জন, হিজবুত তাহিরির ১৫জন, আনসারুল বাংলা টিমের ১৮জন, আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের ৪জন, আল হিকমার ১২জন, জেএমবির ২৮জন, হুজির ২২জন জঙ্গি মুক্তি পেয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এইসব জঙ্গি সংগঠনের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদত রয়েছে। এরপরও কি তৌহিদ হোসেন বলবেন, বাংলাদেশে মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা হচ্ছে?
শুধু রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেন, আপনারা ভারত বিরোধিতার মিথ্যাচারের ঝুলি নিয়ে এই দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তে যান না কেন ফিরতে হবে শূন্য হাতেই। কারণ, আপনারা মাত্র চার মাসেই নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা খুইয়েছেন। মৌলবাদের প্রতি নমনীয়তা আর পাকিস্তান প্রেম ইউনুস সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছে। দুনিয়ার কাছে এই মুখ দেখাবেন কী করে?
ভুলে যাবেন না, আগুন নিয়ে খেললে, একসময় সেই আগুনেই পুড়ে মরতে হয়!
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
একনজরে
শীতেও মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গুর চোখরাঙানি অব্যাহত। রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে এই জেলা। এখনও দৈনিক কুড়িজনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন করে ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ...

এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...

মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM