Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, রাজ্য, দেশ, বিশ্বজুড়ে মমতার সরকার ও বাংলার বদনাম করেও জনসমর্থনের ছিটেফোঁটাও ফিরে পেতে ব্যর্থ বামেরা। একদা বামেদের গড় মাদারিহাটে নির্দল প্রার্থীর অর্ধেক ভোট পেতেও হিমশিম খেতে হয়েছে আরএসপিকে। শোচনীয় হাল বিজেপি’রও। বিষাক্ত নেতিবাচক প্রচার যে ব্যুমেরাং হয়েছে শহর থেকে গ্রামে, উত্তর থেকে দক্ষিণে, এই সার সত্যটা বুঝলেই মঙ্গল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে আগস্ট মাস থেকে নাগাড়ে কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে বাংলার মানুষ। মমতা আবেগের ভোটে শুধু বিরোধীরা পরাজিতই হয়নি, ৬টি কেন্দ্রেই ব্যবধান বেড়েছে লাফিয়ে। কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ, আবার কোথাও আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে জয় হয়েছে মমতার উন্নয়ন ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একঝাঁক জনমুখী প্রকল্পের। বামেদের জামানত জব্দ হয়েছে একাধিক আসনে। মাদারিহাটে বিজেপি’র জেতা আসনেও শুরু থেকেই যেমন গেরুয়াকে পিছনে ফেলে ঝড় উঠেছে। তেমনি শহর ঘেঁষা নৈহাটিতেও ব্যবধান দ্বিগুণকেই ছাড়ায়নি, এ যাবৎ সমস্ত  রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তালডাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া—কোথাও এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি বিরোধীরা প্রতিযোগিতায় আছে। নৈহাটিতে নকশাল দাঁড় করিয়ে দ্বিতীয় হওয়ার স্বপ্নও মাঠে মারা গিয়েছে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের। সিতাই ও হাড়োয়ায় জয় এসেছে লক্ষাধিক ভোটে। বাংলার বুকে বামেদের টানা ৩৪ বছরের অপশাসনের শাপমুক্তি এবারও হল না। রক্তক্ষরণ চলছেই। মানুষ তাঁদের যে ক্ষমা করতে রাজি নয়, এটা জানাই ছিল। সেই হতাশা থেকেই তাঁরা খড়কুটো আঁকড়ে ধরতে শুধু আইএসএফ নয়, এই নির্বাচনে নকশালদের সঙ্গেও জোট বেঁধেছিল। শূন্যের কলঙ্ক তাতেও ঘুচল না। চূড়ান্ত হতাশা থেকেই অগত্যা কম পয়সার ‘পিকে’র খোঁজ শুরু হয়েছে। যদি ছাব্বিশের লড়াইয়ে অন্তত জামানত বাঁচানোর পরামর্শটা মেলে!
বাংলার রাজনীতিতে ‘অডম্যান’ দলবদলু নির্ভর সাম্প্রদায়িক বিজেপি দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই দ্রুত পায়ের তলার মাটি খোয়াচ্ছে উত্তরবঙ্গেও। সিতাই গেল, মাদারিহাটও রইল না। মেদিনীপুরে সিপিআই প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। আসলে উত্তরের মানুষ গেরুয়া দলের বাংলা ভাগের চক্রান্ত মেনে নেয়নি। চা বাগানের শ্রমিক ক্ষিপ্ত তাঁর প্রতিশ্রুতিপূরণের কোনও চেষ্টাই করেনি মোদির বিজেপি। উল্টে বিভাজনের বিষ ঢেলে বাংলার আর্থসামাজিক কাঠামোকে দুর্বল করার চক্রান্ত হয়েছে পদে পদে। এই নির্বাচন আর একটা কাজও করেছে সচেতনভাবে। রাজ্যের ত্রিমুখী লড়াইয়ের পরিবেশকে চতুর্মুখী করে দিয়েছে। কংগ্রেস আলাদা লড়লে ভোট ভাগাভাগি বাড়বে বই কমবে না। এরকম চললে ১৬ মাস পর যে বিধানসভা ভোটের লড়াই হবে তাতে বিরোধীদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
১৪ আগস্ট মধ্যরাতে রাত দখলের উৎসাহ দেখে এ রাজ্যের বামপন্থীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বপ্ন দেখা দোষের নয়, কিন্তু ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার খোয়াব মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। মাঠে ময়দানে বিচার চাওয়ার আড়ালে ফিসফাস শুরু হয়েছিল, এবার আবার আলিমুদ্দিনের চকমেলান প্রাসাদে বুঝি নহবত বসবে, সানাই বাজবে। ঠিক যেমন বসত এগারো সালের আগে রোজ। ব্যবসায়ী, গোমস্তা এবং হার্মাদদের সেই ত্র্যহস্পর্শে যেন আচমকা দোলা। জাস্টিস ওয়ালারা রব তুললেন ক্ষমতা বদলের। বাংলার শ্রেষ্ঠ ‘উৎসব’ দুর্গাপুজো পর্যন্ত বন্ধের। আর মোদি অমিত শাহ না এলে যে বঙ্গ বিজেপির প্রচার জমে না, তাঁরা প্রমাদ গুনতে শুরু করলেন। কারণ রামের ভোটে বামেরা কোপ বসালে গেরুয়া শিবির যে চিৎপটাং। সেই অঙ্কেই গত লোকসভা ভোটে বিজেপি’র আসন ১৮ থেকে কমে ১২ হয়েছে। আরও কিছুটা ভোট কাটাকুটি হলে আসন সংখ্যা আর দু’অঙ্কেরও থাকবে না। সেক্ষেত্রে আগামী বিধানসভায় বিজেপি’র আসন তিরিশেরও নীচে চলে যাবে। আর বামেরা অক্ষয় শূন্য বুকে নিয়েই নতুন দিনের সাধনায় মগ্ন হবে। 
তবু এতকিছুর পরও রাম ও বামের শিক্ষা হয় না। সাড়ে তিন মাস রাজ্য কাঁপিয়ে, হাজারো উস্কানি দিয়েও রাম বাম দুই শিবিরই শূন্যের গেরো কাটাতে পারল না। আর জি কর কাণ্ডে এক তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত আগস্ট মাস থেকে দেশ কাঁপানো আন্দোলনের পরেও মরা গাঙে বান তো এলই না, নিদেনপক্ষে বর্ষার জমা জলে ছিপ ফেলে ল্যাটা মাছ ধরার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হল না। অথচ একটা দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, নাগরিক আবেগকে উস্কে দেওয়ার হীন চেষ্টা কম হয়নি। মুখে বিচার চাইলেও সেই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা বদল। রাত, ভোর, দুপুর দখলকে স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়েও মহান ও পবিত্র জনজাগরণ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা জারি ছিল পুরোদমে। সঙ্গে তথ্য যাচাই না করে ক্রমাগত মিথ্যের বেসাতি। এক বিখ্যাত (পড়ুন কুখ্যাত!) ডাক্তার বলে বসলেন ১৫০ গ্রাম সিমেন মিলেছে। ভুঁইফোড় নেতানেত্রীরা আওয়াজ তুললেন, ‘দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। তবু ভাটার টানে মজে যাওয়া বাম ও রামের পুকুরে সামান্য স্রোত পর্যন্ত দেখা গেল না। বরং যেই রাজনীতির কারবারিরা ওই আন্দোলনকে ভোট রাজনীতির বাঁকে ফেলে জনসমর্থন যাচাইয়ের চেষ্টা শুরু করলেন এরাজ্যের মানুষ রণেভঙ্গ দিলেন। তারই পরিণাম উপ নির্বাচনের একপেশে ফল, ৬-০।
বাংলার ফল নিয়ে বিরোধীদের এই স্বপ্নভঙ্গ নতুন নয়। ১৯ মে ২০১৬, ২ মে ২০২১, ৪ জুন ২০২৪ এবং অবশেষে ২৩ নভেম্বর ২০২৪। এই দিনগুলি দুর্গাপুজোর অষ্টমী, সরস্বতী পুজো, দেওয়ালি কিংবা রামনবমীর উৎসবের স্মৃতি বয়ে আনে না। দু’শো নাচনকোঁদনের পর ভোটের ফলে বিরোধীদের হারের মাইলফলক মাত্র! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা বড় কম হয়নি। এগারো সালের ঐতিহাসিক পালাবদলের পাঁচ বছর পর কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধেও কিচ্ছু করতে পারেনি। তারপর থেকেই এ রাজ্যে গেরুয়া রাজনীতির অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেও তা কোনওবারই হালে পানি পায়নি। সতেরো সালে মুকুল রায়কে বের করে একটা ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলপ্রসূ হয়নি কাঁথির ব্যর্থ যুবরাজের চক্রান্তও। ইডি, সিবিআই কোমর বেঁধেও কিচ্ছুটি করতে পারেনি। মহারাষ্ট্রে বিজেপি’র জয়, ঝাড়খণ্ডে সোরেনের জয় কিংবা ওয়েনাড়ে জিতে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার প্রবেশের চেয়েও মমতার এই জয় কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়।
এবার ৬টি কেন্দ্রের উপ নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটা ক্ষোভ বিক্ষোভের পরে বাড়তি আকর্ষণ গড়ে তুলেছিল। নানা মহল থেকে এটিকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে সেমি ফাইনাল হিসেবে দেখানোরও চেষ্টা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের সিতাই ও মাদারিহাট নিয়ে যেমন আকর্ষণ ছিল তেমনি মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার তালডাংরার রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। কিন্তু প্রমাণ হল, শহরের প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীরা ভোটযন্ত্রে শেষ কথা বলেন না। ফেসবুকও জনমত নির্ধারণ করে না। শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁরা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চায় না, বদনামও চায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়। গ্রাম বাংলায় এমন একটা পরিবারও নেই যেখানে মমতার একঝাঁক প্রকল্পের অন্তত একটিও ঢোকেনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, বাংলার আবাস, সমব্যথী— কী নেই।
বিধানসভা নির্বাচন আর ১৫-১৬ মাস দূরে। আগের সপ্তাহেই লিখেছিলাম, এমন ছন্নছাড়া পরজীবী বিরোধী শিবির দেখিনি। এটা মানতেই হবে, শাসক দলের নিচুতলার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আছে, পদে পদে ইস্যুরও কমতি নেই। পুলিসের ভূমিকায় তাঁর অসন্তোষের কথা প্রকাশ্যে বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাজির মশলা মজুত থাকলেও তা ফাটানোর লোক কোথায়? একটা গ্রহণযোগ্য মুখ নেই। সেলিম হালিম অধিকারীরা এবার ষড়যন্ত্র থামিয়ে বাংলার কথা একটু বলুন। এই ফল থেকেই স্পষ্ট বলা যায়, সওয়া এক বছর পেরিয়ে আগামী ছাব্বিশ সালের মে মাসের গ্রীষ্মের অপরাহ্ণে আবার নবান্ন দখলের জনসমর্থনের চাবিকাঠিটা অনায়াসে পেয়ে যাবেন তৃণমূল নেত্রী। পরপর চারবার। তাঁর সামনে শুধু জ্যোতি বসু। সিপিএমের বিলিতি জমিদার কমিউনিস্ট। কালীঘাটের আটপৌরে সাধারণ ঘরের মেয়ে কিন্তু এখানেও জিতে গেলেন। অদম্য সাহস আর মানুষের পাশে ৩৬৫ দিন থাকার মন্ত্রেই তিনি আর একটা ‘মাইলস্টোন’ ছোঁয়ার অপেক্ষায়। নব্য ‘পিকে’ খোঁজা সিপিএম কিংবা মোদি-অমিত শাহের ডেলি প্যাসেঞ্জারি নির্ভর গেরুয়া শিবির রাতদিন এক করেও মমতার ভাবমূর্তিতে কালি লেপতে ব্যর্থ। একবার নয় বার বার। নিশ্চিতভাবে বাংলার মানুষ ১৬ মাস পরেও মমতা আবেগেই আস্থা রাখবে।
24th  November, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

ভারতীয় দলে তারকার ছড়াছড়ি। আর সেই কারণেই বিশেষ কোনও একজনকে নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং দুর্দান্ত প্রতিভাবান একটা দলকে হারানোর জন্যই রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘ওদের ...

বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...

‘ব্রেইন রট’। এই শব্দ বন্ধনীই জিতে নিল অক্সফোর্ডের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর শিরোপা। কিন্তু, কী এর অর্থ? কেনই বা এই শিরোপা পেল ১৮৫৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা এই শব্দ? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM