Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। এই অভিমত একশো শতাংশ সত্যি। তারপরেও একটা কথা বলতেই হবে, এবারের উপ নির্বাচন বুঝিয়ে দিল, শুধু অন্যের দিকে আঙুল তুলে ভোটে জেতা যাবে না। ক্ষমতায় থাকতে গেলে বা সরকার গড়তে গেলে কাজ করতে হবে। মোদ্দা কথা, নেগেটিভ ভোটের জোরে বাংলায় কিস্তিমাতের দিন শেষ।
যেকোনও উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল অ্যাডভান্টেজ পায়। সেই অঙ্কে রাজ্যের পাঁচটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে কারও সংশয় ছিল না। কিন্তু মাদারিহাট নিয়ে সকলের বিশেষ কৌতূহল ছিল। কারণটা খুব স্পষ্ট। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস আগে কোনও দিন জেতেনি। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি দীর্ঘদিন বিজেপির দখলে। তাই মাদারিহাট নিয়ে বিজেপি তো বটেই, অন্য বিরোধী দলগুলিও আশাবাদী ছিল। মাদারিহাটে জিতলে বিজেপি ছাব্বিশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করাতে পারত। সেই অঙ্কেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও সেভাবে লড়াইয়ে ছিল না। তাই প্রতিষ্ঠিত দুই দলের চেয়েও নির্দল প্রার্থী ভোট পেয়েছেন অনেকটাই বেশি।
মাদারিহাটি কেন্দ্রের ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এক দশক ধরে যেসব চা-বাগান এলাকা বিজেপির গড় বলে পরিচিত ছিল, সেখানেও তারা হেরেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিন্নাগুড়ি ও সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপি প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে এগিয়েছিল। উপ নির্বাচনে সেই ঘাটতি মিটিয়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত বেশ কিছু চা-বাগান এলাকায়। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, মাত্র কয়েক মাসে এতটা ভোট স্যুইং করল কেন? চা-বাগানগুলিতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কি খুব ভালো কাজ করছে, নাকি বিজেপির উপর মানুষ বিরক্ত? তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কাজে শ্রমিকরা খুশি, এমন দাবি করলে তা হবে সত্যের অপলাপ। বরং বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং রাজ্যের কিছু শ্রমিক নেতার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যই শোনা গিয়েছে। তারপরেও তৃণমূলকে এলাকার মানুষ ঢেলে ভোট দিল। কেন? 
নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মাদারিহাট ঘোরার সময় একটা কথা অনেকেই বলেছিলেন, ‘কয়েকবার বিজেপিকে তো ভোট দিলাম। কিন্তু উন্নয়ন কিছুই হল না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে দেখা যাক না কী হয়!’ উপ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, এলাকার মানুষ উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছে। মানুষ মনে করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী জিতলে চা-বাগান এলাকার সার্বিক উন্নতি হবে। কিন্তু বিজেপিকে ভোট দিলে শুনতে হবে সেই একই কথা, ‘ওরা আমাদের কাজ করতে দিচ্ছে না।’ 
তাই মাদারিহাটের জয় তৃণমূলকে যেমন একদিকে স্বস্তি দিয়েছে, তেমনই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কী সেই চ্যালেঞ্জ? উন্নয়নের। তৃণমূল নেতৃত্ব উন্নয়নকে পাখির চোখ করলে আগামী দিনে তার প্রভাব শুধু মাদারিহাটে নয়, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বাকি আসনেও পড়বে। মাদারিহাট যে সুযোগ দিয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গকে নিয়ে তৃণমূলের দুশ্চিন্তার পারদ পৌষের চেয়েও দ্রুত নামবে। কোনও ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা’ তার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। স্তিমিত হবে বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার ‘গেরুয়া হুঙ্কার’। তবে মাদারিহাটকে উত্তরবঙ্গের ‘গেম চেঞ্জার’ বানানোর জন্য তৃণমূলের হাতে খুব একটা সময় নেই। বড়জোর বছর খানেক। কোনও দলের ভোটবৃদ্ধি অবশ্যই সেই দলের উপর মানুষের আস্থার লক্ষণ। একইসঙ্গে তা বিরোধী শিবিরের প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। উপ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে এবং বিজেপির ভোট কমেছে। আড়াই থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। একে কমছে বললে কমিয়ে বলা হয়, ধস নেমেছে বলাই ভালো।
এ রাজ্যের শাসক বিরোধীরা ভোট দেওয়ার আগে দেখেন, কাকে সমর্থন দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে পড়বেন। সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা ভোট দেন। তারজন্যই মমতা বিরোধী বাম ভোট কখনও রামে যায়। আবার রামের ভোট বামে ফেরে। কিন্তু এবার সেই অঙ্ক মেনে ভোট স্যুইং করেনি। উপ নির্বাচনে বিজেপির ভোটে ব্যাপক ধস নামলেও তা বামে ফেরেনি। উল্টে অনেকটাই গিয়েছে তৃণমূলে। ব্যতিক্রম বাঁকুড়ার তালডাংরা। এখানে বিজেপির কিছু ভোট বামে ফিরেছে। কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়াই সিপিএম লোকসভার চেয়ে প্রায় তিন হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে, অধিকাংশ জায়গায় বিজেপির এমনকী, কিছু এলাকায় বাম ও কংগ্রেসের ভোটও তৃণমূলে গিয়েছে। এ রাজ্যে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কমছে অথবা তার সুযোগ বিরোধীরা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনের ফলাফলে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি এ রাজ্যে ‘নেগেটিভ ভোটে’র ফায়দা তুলছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকলেও বাংলার মানুষের জন্য আলাদাভাবে কিছুই করেনি। স্রেফ তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপি এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল। নেগেটিভ ভোটের সৌজন্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক যত পুষ্ট হয়েছে বাংলার প্রতি গেরুয়া আগ্রাসন ততই তীব্র হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে শুধু তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তাতে বাংলার অর্থনীতি দুর্বল হলেও মনোবলে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। উল্টে বিজেপিকে জবাব দেওয়ার ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়েছে।
আন্দোলনের সিঁড়ি ভেঙে নবান্নে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানেন, শুকনো কথায় যেমন চিঁড়ে ভেজে না, তেমনই শুধু স্লোগানে ভরে না ক্ষুধার্ত মানুষের পেট। তাই আগে করেছেন গরিবের পেট ভরানোর ব্যবস্থা। প্রান্তিক মানুষরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তারজন্য নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচি। ঘোষণা করেছেন একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প। তাতে বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়নি, একেবারে ধসে গিয়েছে। সেটা বুঝেই জনপ্রিয় প্রকল্পগুলিকে বিরোধীরা কখনও ‘ভিক্ষে’, কখনও ‘ডোল পলিটিক্স’ বলে কটাক্ষ করেছে। এখন বিজেপি সেই নীতিকেই আঁকড়ে ধরছে। এই মুহূর্তে মমতার চালু করা কর্মসূচির সুফল পায় না এমন পরিবার গ্রামবাংলায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। অবশ্য যাঁরা কট্টর মমতা বিরোধী তাঁরা ‘এটা তৃণমূলের নয়, সরকারের টাকা’ এই বলে ‘গঙ্গাজলে’ শুদ্ধ করে প্রকল্পের সুবিধা নেন। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার বেনিফিট তৃণমূল পাচ্ছে। যাঁরা পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং অভ্যাসের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ছিলেন তাঁদের অনেকেই ধীরে ধীরে ‘পজিটিভ ভোটে’র শরিক হচ্ছেন। সেই কারণে বিজেপির ভোট কমার আনুপাতিক হারে তৃণমূলের ভোট না বাড়লেও ভোটব্যাঙ্ক দিন দিন স্ফীত হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, উপ নির্বাচনে মানুষের এই রায়কে হালকা চালে নিলে বিরোধীদের পস্তাতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনে বামেরা যেভাবে জামানত খুইয়ে চলার ট্র্যাডিশন বজায় রেখে চলেছে তাতে সিপিএমের নতুন করে হারানোর কিছু নেই। ‘সর্বহারা’র দল এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। তবে, বিজেপির সামনে শুধরে নেওয়ার সময় এবং সুযোগ এখনও আছে। তারজন্য অতি দ্রুত চালু করতে হবে ১০০ দিনের কাজ। কারণ পেটে লাথি পড়লে কেউই ছেড়ে কথা বলে না। আবাস যোজনার টাকা মিটিয়ে দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করুক, বাংলা ও বাঙালির প্রতি তাদের বিদ্বেষ নেই। ভোটের ফল প্রকাশের পর মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীও প্রচারে গিয়ে এনিয়ে বারবার ক্ষোভের মুখে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনিও চান, অবিলম্বে টাকা দেওয়া হোক। প্রয়োজনে কেন্দ্র মনিটরিং করুক।
এই উপ নির্বাচনকে ছাব্বিশের মহারণের আগে ‘সেমিফাইনাল’ বলে মানতে নারাজ বিরোধীরা। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। তবে এটা সেমিফাইনাল না হলেও ‘প্রস্তুতি ম্যাচ’ তো বটেই। ফলাফল ৬-০। এরপরেও যদি বিরোধীদের ঘুম না ভাঙে তাহলে ছাব্বিশে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ‘শীতঘুম’। কারণ ধস নেমেছে ‘নেগেটিভ ভোটে’র বাজারে।
30th  November, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
একনজরে
শীতেও মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গুর চোখরাঙানি অব্যাহত। রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে এই জেলা। এখনও দৈনিক কুড়িজনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন করে ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ...

ভারতীয় দলে তারকার ছড়াছড়ি। আর সেই কারণেই বিশেষ কোনও একজনকে নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং দুর্দান্ত প্রতিভাবান একটা দলকে হারানোর জন্যই রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘ওদের ...

এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...

বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM