পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ
তবে রানাঘাট-১ বিএলএলআরও আমিয়কুমার বিশ্বাস বলেন, আগে আমি একবার অভিযোগ পেয়েছিলাম। তখন পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। তাতে ধরপাকড়, জরিমানা সবই হয়েছিল। সম্প্রতি এমন কিছু চলছে বলে খবর আসেনি। তবে আমাদের নজরদারি চলছে। এই ধরনের বেআইনি কাজ নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীবেষ্টিত নদীয়া জেলার অন্যতম নদী চূর্ণি। রানাঘাট মহকুমার মধ্যে দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে শিবপুর এর কাছে মিশেছে গঙ্গায়। এই নদী আবার যখন রানাঘাট শহরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে যায়, তার দু’পাশে রয়েছে ডজন খানেক ইটভাটা। নদীর চর থেকে মাটি কেটে সেই ইটভাটায় পৌঁছে যাওয়ার ‘কারবার’ নেহাত নতুন নয়। আর এই কাজের পিছনে যে অসাধু চক্র রয়েছে নতুন করে বলতে হয় না। এছাড়াও একটি অসাধু চক্র নদী চর থেকে মাটি কেটে অন্যত্র পাচার করে দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গভীর রাতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় একাধিক শ্রমিক পৌঁছে যাচ্ছে পায়রাডাঙায়। সেখানেই চূর্ণির মোহনা। খানিকদূর এই নদীর উপর পলি জমে তৈরি হয়েছে গাঙ্গেয় মঙ্গলদ্বীপ। রাতের অন্ধকারে এই খালি ভুটভুটি গিয়ে নোঙর করছে সেই চরের নির্জন এলাকায়। তারপর রাতভর কোদাল কুপিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাড়ের মাটি। ভোরের আলো ফোটার আগেই, সেই ভুটভুটি বোঝাই মাটি গঙ্গা থেকে চূর্ণি ধরে চলে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ‘গন্তব্যে’। স্রেফ অর্থের লোভে প্রকৃতিকে নষ্ট করার নোংরা খেলায় মেতেছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ।
রানাঘাট শহরের কথামৃত ঘাটে প্রাতঃভ্রমণ করতে যাওয়া অমল বিশ্বাস বলেন, মাঝেমধ্যেই ভোরবেলা ওই দৃশ্য দেখি। ভুটভুটি মাটি বোঝাই থাকে। সঙ্গে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক। প্রশাসন সব জেনেও নীরব।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, চাইলে প্রতিবাদ করাই যায়। কিন্তু, তাতে আবার বোমা-গুলিও ছুটে আসতে পারে। কারণ অনেক সময় ঘুরপথে এই ধরনের বেআইনি কারবারের সঙ্গে রাজনীতি জুড়ে থাকে অদৃশ্য সুতো দিয়ে। চাষিদের দাবি, প্রতিদিন রাত আড়াইটা নাগাদ রানাঘাট থানার শিবপুর ঘাট এলাকায় ভুটভুটিগুলি দেখা যায়। নদীর চরে কোদালের কোপে মাটি খুলে নৌকায় তোলা শুরু হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায়, নদীচরগুলি থেকে মাটি কেটে বেআইনি ব্যবসা করে ফুলেফেঁপে উঠছে অসাধু কারবারিরা। এর শেষ কবে? জানতে চান স্থানীয় বাসিন্দারা।