পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ
কিংবদন্তি সরোদশিল্পী স্বর সম্রাট উস্তাদ আলি আকবর খানের স্মরণেই এই বিশেষ আয়োজন। ১২ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় অনেক বাধা বিপত্তি এসেছে। কিন্তু কাজ থেমে থাকেনি। তেজেন্দ্রনারায়ণের কথায়, ‘আমার গুরু উস্তাদ আলি আকবর খান প্রয়াত হন ২০০৯ সালে। তারপর থেকেই এই অনুষ্ঠানের ভাবনা মাথায় ঘুরছিল। ২০১৩ সালে পথ চলা শুরু। প্রথম থেকেই পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী ও উস্তাদ জাকির হুসেনের আশীর্বাদ পেয়েছি। সঙ্গে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা।’ কথার মাঝে উঠে এল ফেস্টিভ্যালের কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের প্রসঙ্গ। ‘একবার পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার সঙ্গে জাকিরজির অনুষ্ঠান। বহুদিন পর কলকাতায় দুই শিল্পীর যুগলবন্দি। শ্রোতাদের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল’, বললেন শিল্পী।
আগামী ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর নজরুল মঞ্চে আয়োজিত হতে চলেছে স্বর সম্রাট ফেস্টিভ্যাল। দ্বিতীয় দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত সরোদ শিল্পী উস্তাদ আশিস খানের স্মরণে। দু’দিনব্যাপী এই উৎসবে চোখে পড়বে প্রবীণ ও নবীন শিল্পীদের সহাবস্থান। কণ্ঠ সঙ্গীতে থাকছেন ধনঞ্জয় হেগড়ে, শ্রীনিবাস যোশি, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, উমাকান্ত গুন্ডেচা প্রমুখ। যন্ত্রসঙ্গীতে থাকছেন যোগেশ সামসি, শুভেন্দ্র রাও, বিনয় দেশাই, দেবাশিস ভট্টাচার্য সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পী। থাকছে মালবিকা সারুক্কাইয়ের ভরতনাট্যম নৃত্য।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন তেজেন্দ্রনারায়ণের ছাত্রছাত্রীরা। নতুন শিল্পীদের বড় মঞ্চে সুযোগ দেওয়াটা কতটা জরুরি? শিল্পী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড় শিল্পীর আগে গানবাজনা করার সুযোগ পেলে ওদেরও আরও ভালো করার ইচ্ছে তৈরি হবে। আমি নব্বইয়ের দশকে তানসেন ফেস্টিভ্যাল, আইটিসি গোল্ডেন গ্ৰেটস, ডোভারলেন সহ একাধিক অনুষ্ঠানে বাজানোর সুযোগ পেয়েছি। সেসব অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
এবছর স্বর সম্রাট রত্ন সম্মানে ভূষিত হবেন উস্তাদ আমজাদ আলি খান। ৪০ বছর পর পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর সঙ্গে কলকাতায় অনুষ্ঠান করছেন তিনি। প্রথমবার উস্তাদজির সঙ্গে কোথায় আলাপ হয়েছিল? তেজেন্দ্রনারায়ণ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই উস্তাদজির ভক্ত ছিলাম। ১৯৮৯ সালে হাফিজ আলি খান ফেস্টিভ্যালে প্রথমবার দেখা হয়। আমার অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তারপর থেকে সবসময় ওঁর আশীর্বাদ পেয়েছি।’ শিল্পী হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মনে করেন তেজেন্দ্রনারায়ণ। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি তরুণ প্রজন্ম কি সত্যিই উৎসাহী? শিল্পীর উত্তর, ‘এখানে অনুষ্ঠান শুনে অনেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষিত হয়েছেন। এটাই বড় পাওয়া।’