পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ
ধূলাগড় ট্রাক টার্মিনালের একটি গোডাউনে বেশ কয়েকদিন ধরে নিষিদ্ধ চীনা রসুন মজুত করা হচ্ছে বলে খবর পায় সাঁকরাইল থানা। তারপর এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ সাঁকরাইল থানার একটি বিশেষ দল ওই গোডাউনে হানা দেয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৫৪ বস্তা নিষিদ্ধ চীনা রসুন। এক-একটি বস্তার ওজন প্রায় ১৮ কেজি। সেখান থেকেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ম্যানেজারকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, কখনও হিমাচলপ্রদেশ কখনও আবার উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই রসুন আনা হতো। মঙ্গলবার রাতেই এক ট্রাক চীনা রসুন এনে এখানে রাখা হয়েছে। এখান থেকেই নিষিদ্ধ এই রসুন হাওড়া, কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারে পাঠানোর কথা ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে এই কারবার। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘চোরাপথে খুব কম দামে এই রসুন এনে চড়া দামে বাজারগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। অরবিন্দ জয়সওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী এই রসুন মজুত করেছিলেন। তাঁর খোঁজ চলছে।’
এদিকে, শহরের ছোট-বড় বাজারগুলি যেভাবে এই নিষিদ্ধ রসুনে ছেয়ে গিয়েছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা। জানা গিয়েছে, মিথাইল ব্রোমাইড নামে এক ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে ২০১৪ সালে এই চীনা রসুন আমদানি বন্ধ করে ভারত সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চোরাপথে এই রসুন ঢুকছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গেও এই রসুনের চোরাচালান বেড়েছে। ভারতীয় রসুনের গুণগত মান ও দাম—দু’টিই বেশি থাকার কারণে জলের দরে ক্ষতিকারক চীনা রসুন বাজারে ঢুকছে। এরপর খুচরো বাজারে এই রসুনের দামই অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাদা ধবধবে রং, বড় বড় কোয়া নজর কাড়লেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা রসুন নিয়মিত খেলে লিভার ও কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে এই রসুনগুলি।