Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। শুধু পরীক্ষা নয়, অগ্নিপরীক্ষাই বলব। কংগ্রেসকে শুধু মুছে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেই হবে না। ঢেকে দিতে হবে কীর্তিগুলিকেও। নিঃসন্দেহে বলা যত সোজা, করে দেখানো তার চেয়ে অনেক কঠিন কাজ। নোটবাতিলের মতো ফ্লপ শো যেন না হয়! কিন্তু এবার করে দেখাতেই হবে। নরেন্দ্র মোদি কি প্রস্তুত?
সেই ’৭১ সালে জন্মের শুরু থেকেই অশান্তি ও বিতর্ক দেশটার পিছু ছাড়েনি এক মুহূর্তের জন্য। ভূমিষ্ঠ হওয়ার চার বছরের ব্যবধানে সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এক অর্থে তিনিও ছিলেন জাতির জনক। ঐতিহাসিকরা বলেন বঙ্গবন্ধুর নিধন এবং তারও ২৭ বছর আগে এপারে মহাত্মা গান্ধীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড বিশাল এই উপমহাদেশের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিরই অনিবার্য বিষময় ফল। আমরা আজও তা বহন করে চলেছি নির্মমভাবে। সেইসঙ্গে এক আশ্চর্য ঐতিহাসিক সমাপতনেরও মোক্ষম উদাহরণ! কারণ, দু’টি ঘটনাই ঘটেছে ধর্মীয় কারণে এবং দু’দেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারির গান্ধী হত্যা থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর নিকেশ এবং হালের ৫ আগস্ট ২০২৪’এ মুজিব কন্যার প্রাণ বাঁচাতে আকস্মিক দেশত্যাগ, সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ কোথাও যেন একই সুরে বাঁধা। এই বিভাজন থেকেই পাবনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনায় হিন্দুরা আজ চূড়ান্ত বিপন্ন। মঠ-মন্দির আক্রান্ত, অকুতোভয় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অন্যায়ভাবে হাজতে। অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আসল অসুখটার নাম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, যার কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি  বিশ্বচরাচরে। এই রোগ আজন্ম অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। কাজ হয় না স্টেরয়েডেও! শুধু ধূসর বইয়ের পাতায় লেখা থাকে, একই বৃন্তে দু’টি...। প্রার্থনা একটাই, ওই কুসুম ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে যেন নিক্ষেপিত না হয় একে অপরের দিকে!
প্রতিবেশী বাংলাদেশে হালে ৫৩ বছর আগের অশান্তিরই অবিকল পুনরাবৃত্তি। হাসিনাকে দেশছাড়া করেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ক্ষান্ত হয়নি মৌলবাদীরা। উল্টে যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পক্ষে। তাদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্গাপুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে অতর্কিতে। একের পর এক ঘটনায় অকারণে সাধু সন্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিতর্ক চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি নিয়ে। তাঁর অপরাধ তিনি ভয়কে দূরে ঠেলে ঘুরে ঘুরে হিন্দুদের সংগঠিত করছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেন। এতেই প্রমাণ হয়, ইউনুস সরকার জেনেবুঝে হিন্দুবিরোধীদের মদত দিচ্ছে। কিংবা তিনি পুতুল, ক্ষমতার রাশ অন্য কারও হাতে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দর্শক সেজে বসে আছে মাত্র। সরকারি সেই উদাসীনতার সুযোগেই নির্মম দমনপীড়ন নেমে আসছে হিন্দুদের উপর।
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান অশান্ত হলে হস্তক্ষেপ করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। তথাকথিত মুজিবরের মুক্তি ফৌজের পাশে দাঁড়িয়ে ছিনিয়ে এনেছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা। জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। ইন্দিরা গান্ধীর নাম সেই সুবাদেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং সামনের একশো বছরও থাকবে উপমহাদেশের ইতিহাসে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আর ক’দিন পরই সেই ঐতিহাসিক ঘটনার  ৫৩ বছর পূর্তি। এক অর্থে ভারত ভেঙে আজ তিন টুকরো। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, দু’ভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়। আর ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা, তবু নিন্দুকেরা যাই বলুন, একমাত্র এই অংশই এখনও ধর্মনিরপেক্ষতাকে আঁকড়ে ধরে চলছে। রাজনৈতিক নানা মতভেদ সত্ত্বেও তার এখনও অন্যথা হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক, পথ ও মতের এই বিশাল পার্থক্যের দরুনই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি হওয়া হল না আমাদের। জিন্নাকে ঘুঁটি করে ব্রিটিশ রাজশক্তির সক্রিয়তায় কার্যকর হওয়া ‘টু নেশন (পড়ুন, থ্রি নেশন!) থিয়োরি’ এখানেই সফল।
আজ আবার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান, যা অধুনা বাংলাদেশ নামে পরিচিত, তা অগ্নিগর্ভ। চলছে হিন্দু নিধন। রাষ্ট্রের প্ররোচনায় এই ‘এথনিক ক্লিনজিং’ কার স্বার্থে এবং কাকে দুর্বল করতে? এর কোনও উত্তর নেই শিক্ষিত-অশিক্ষিত কারও কাছে। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ শুধু কথার কথা হয়ে যেন শোভা না পায়। একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হওয়া না হয় আমাদের আর হয়ে ওঠে না কিছুতেই। কিন্তু তা বলে মানবিকতার মৃত্যু! হানাহানি করেই ক্ষয় হয় শক্তির। আবার বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত, এই উদাহরণ টেনে এদেশের পরিবেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হয় মেরুকরণের স্বার্থে। গণ্ডগোল থামাতে আগ্রহ যতটা, তার চেয়ে বেশি ঝোঁক সেই আগুনে সেঁকে ভোটের কড়ি ঘরে তোলার!
কিন্তু তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদি কি অর্ধশতাব্দীর আগের লৌহমানবী ইন্দিরা হতে পারবেন? বিশ্বগুরু শুধু স্লোগানে আর উচ্চকিত প্রচারে সীমাবদ্ধ থাকলে জনগণ একদিন দুয়ো দিতে বাধ্য। তাই বাংলাদেশে আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানজনক অবস্থানের পরিবেশ গড়ে তোলাই নরেন্দ্র মোদির প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচিত সরকার নেই। যুযুধান বিএনপি’ও কিন্তু বেশ পিছিয়ে পড়েছে। রাশ এখন জামাতের হাতে। পরিস্থিতির প্রয়োজনে ইউনুসকে পুতুল সাজিয়ে মজা লুটছে কোন বিদেশি শক্তি! তাই ভারতকে আবার প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নিতেই হবে। কিছুদিনের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে ফিরছেন বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজ্যপাট ফিরিয়ে দেওয়ার এই সুযোগ। মোদিজি বলতেই পারেন ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে পরিবারের একঝাঁক সদস্য সমেত বঙ্গবন্ধু নিজের ধানমণ্ডির বাড়িতেই যেদিন খুন হয়েছিলেন, তখন তদানীন্তন ভারত সরকার কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু তিনি হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছেন। বাকি রয়েছে ঢাকায় নির্বাচিত সরকার গঠন। সেদিকেও নিশ্চিতভাবে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির।
ভাবা যায়, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪ সালে তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন সেই মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ আগামী তিন দশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ আখ্যা দেওয়া কি অতিরঞ্জন? রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ খারিজের দাবিও জোরদার হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেও কি হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। দিল্লির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না। ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা এখন বাংলাদেশিদের! নিঃসন্দেহে এসব কোনও সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
কিন্তু একইসঙ্গে এটাই মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে হিন্দু আক্রান্ত বলে এই বাংলায় সেই সুযোগে মেরুকরণের চেষ্টাও সমান অপরাধ। সাম্প্রদায়িক বিভাজন কখনও কোথাও উন্নয়নের পরিপূরক হতে পারে না। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ—এটাই আমাদের শক্তি এবং গর্বও। প্রতিশোধ কিংবা বদলা নয়, সহাবস্থানই এই দর্শনের মূল কথা। সেই শক্তির জোরেই পাকিস্তানকে সহস্র যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে এবং প্রাত্যহিক যাপনে। ধর্মের নামে যেখানেই সমাজকে টুকরো করার চেষ্টা হয়েছে সেখানেই বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো থমকে গিয়েছে উন্নয়নের সূচক। ভারতে বিভাজনের বিষ ছড়াতে যাঁরা উদগ্রীব, যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদায় দিয়ে শক্তিশালী হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকেই ধ্রুবতারা করে অগ্রসর হচ্ছেন, তাঁরা এই জ্বলন্ত উদাহরণটি যেন ভুলে না যান। তাহলে ভারতের অবস্থাও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতোই হবে। তাই সময় থাকতেই সাধু সাবধান! দাঙ্গা নয়, হানাহানি নয়, সহাবস্থান।
01st  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
একনজরে
এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...

মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

অশান্তি কমার নাম নেই। যদিও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বারবার দাবি করছে যে, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদেই রয়েছে। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। এবার পদ্মপারে বসবাসকারী ব্রিটেনের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেদেশের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস। ...

‘ব্রেইন রট’। এই শব্দ বন্ধনীই জিতে নিল অক্সফোর্ডের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর শিরোপা। কিন্তু, কী এর অর্থ? কেনই বা এই শিরোপা পেল ১৮৫৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা এই শব্দ? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM