Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
চতুর বার্তা
মহাযুতির জয়ের মূল কারণ কী? এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে, এটি ‘লাডলি বহেনা যোজনা (এলবিওয়াই)’-র কামাল বলেই বেশিরভাগ মানুষ ধরে নিয়েছেন। সিন্ধে সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল, এই প্রকল্পে প্রত্যেক মহিলাকে প্রতিমাসে দেড় হাজার টাকা দেওয়া হবে। শর্ত হল—যে পরিবারের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার কম, আবেদন গ্রাহ্য হবে কেবল তাদেরই। ওই টাকা গত ১ জুলাই থেকে বিতরণও শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা আড়াই কোটি। মহাযুতি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তাদের ফের জেতালে পরবর্তী সরকার এই ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিমাসে ২,১০০ টাকা করবে। এই প্রকল্পের প্রতি এবং ঘোষণায় মানুষ ব্যাপকভাবে সাড়া দিল কী কারণে? সেখানে কৃষিজীবীরা দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার অত্যন্ত বেশি। গ্রামাঞ্চলে শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। এছাড়া মানুষ মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় কাহিল। এসব মিলিয়েই প্রকল্পটি ‘ক্লিক’ করেছে। তবে প্রকল্পটি মোটেও অভিনব কিছু নয়। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলি টুকেই চালু করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মহাযুতির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এমভিএ’রও প্রতিশ্রুতি ছিল যে তারা ক্ষমতা হাতে পেলে রাজ্যের প্রত্যেক গরিব মহিলাকে তিন হাজার টাকা দেবে। তাই তুলনামূলক বিচারে লাডলি বহেনা যোজনাকে এই নির্বাচনে ‘ডিটারমাইনিং ফ্যাক্টর’ মনে করার যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।
আমার দৃষ্টিতে, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ‘নতুন’ ফ্যাক্টরটি ছিল ‘প্রতারণামূলক বার্তা’। আর সেটি বিলিয়েছিলেন সেখানকার ভোটদাতাদের কাছে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং আদিত্যনাথ নামক ত্রিমূর্তি। পরবর্তী পর্বে সেটাই দায়িত্বসহকারে ছড়িয়ে দিয়েছিল আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
তারা ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ (আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলেই নিরাপদ থাকব) এবং ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (বিভাজিত হলেই আমরা ধ্বংস হয়ে যাব) স্লোগান তৈরি করেছিল। এসব আপাত নিরপেক্ষ আহ্বান, আসলেই ছিল প্রতারণামূলক। এই আওয়াজ তোলা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকদের উদ্দেশে। প্রচারে প্রায়ই ‘লাভ জিহাদ’ এবং ‘ভোট জিহাদ’ নিয়েও উত্তেজক ভাষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রচারে ফিরে ফিরে এসেছিল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ এবং ‘শহুরে নকশাল’-এর মতো পুরনো যুদ্ধজিগিরও। বার্তাগুলি প্রচারিত হয়েছিল যে সুচতুরভাবে এবং সুনির্দেশনায়। সেগুলি পরীক্ষায় তেমনি প্রাপ্য নম্বরও তুলে নিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিষাক্ত তির নিক্ষেপের ছবিও আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল, ‘যদি আপনার দুটি মহিষ থাকে, কংগ্রেস একটি কেড়ে নেবে। তোমার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়া হবে এবং তা বিলিয়ে দেওয়া হবে তাকে যার একগাদা ছেলেপুলে হয়।’
 একটি মহা যুক্তি (কৌশল)
বার্তাগুলির ‘টার্গেট’ কোন সম্প্রদায় ছিল, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনকী, কোন সম্প্রদায়ের ভোট‍ চাইতে গিয়ে কোন সম্প্রদায়কে তথাকথিত ‘বিপদ’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল কোনও সংশয় নেই তা নিয়েও। কলামিস্ট আর জগন্নাথন সাধারণভাবে বিজেপির প্রতি সহানুভূতিশীল। টাইমস অফ ইন্ডিয়া’য় একটি লেখায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, এটি ‘হিন্দু ভোট এককাট্টা করার জন্য একটি মোক্ষম স্লোগান’ ছিল। নতুন স্লোগানগুলি, এবছর বিজয়াদশমীতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার কথাই মনে পড়ায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের এই কথাটি মনে রাখা জরুরি যে, অসংগঠিত এবং দুর্বল হওয়ার অর্থ অত্যাচার করার জন্য দুষ্টদের আহ্বান করা।’ এই স্লোগান এবং ভাষণগুলি ছিল ঘৃণামূলক প্রচার এবং ‘বিভক্ত করে জয়ী হও’ ভোটকৌশলের অংশ। এগুলি বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার মাত্র। তাঁরা ভারতের সংবিধানের অমর্যাদা করেছেন। সংবিধানের ১৫, ১৬, ২৫, ২৬, ২৮(২), ২৮(৩), ২৯ ও ৩০ অনুচ্ছেদকে পদদলিত করেছেন তাঁরা। এই প্রচারটি ছিল ‘মহাযুতি’র (গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স বা মহাজোট) তৈরি জাদু করে ফেলার মতোই একটি মহাযুক্তি (গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বা মহা কৌশল, ট্রিক)।
প্রতিটি দেশেই সংখ্যালঘু শ্রেণির মানুষের বসবাস আছে। সংখ্যালঘুত্ব নানারকম হতে পারে: ধর্মীয়, ভাষাগত, জাতিগত (এথনিক অথবা রেসিয়াল)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে কালো মানুষ এবং ল্যাটিনো। উইঘুর সম্প্রদায় রয়েছে চীনে। পাকিস্তানে আছে শিয়া সম্প্রদায়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু আছে। শ্রীলঙ্কায় রয়েছে তামিল ও মুসলমান। অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীরা রয়েছে। ইজরায়েলে আছে আরব জনগণ। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ইহুদি এবং রোমা লোকেজন রয়েছে। জাতীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য ইউরোপের কাউন্সিল ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, ১৯৯৮ গ্রহণ করেছে। এর উদ্দেশ্য জাতীয় সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের সংরক্ষণ ও বিকাশ। মূল আইনগুলির মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার আইন, ১৯৬৪ এবং অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য একগুচ্ছ আইন। দূরদৃষ্টির অধিকারী ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর এই দেশের সংখ্যালঘু শ্রেণিগুলির অধিকারকে ভারতের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক অধিকারেই উন্নীত করেছিলেন।
ভণ্ডামি
ভারতীয়রা এবং ভারত সরকার একসঙ্গে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দুদের অধিকারের বিষয়ে আবেগপ্রবণ এবং তা নিয়ে সোচ্চারও। ভারতীয় বংশোদ্ভব ছাত্ররা কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার কিংবা খুন হলে আমরা উদ্বিগ্ন হই। বিদেশে হিন্দু মন্দির বা শিখ গুরুদ্বার ধ্বংসের খবর পেলে আমরা ক্ষোভে ফেটে পড়ি। কিন্তু যখন অন্য কোনও দেশ বা মানবাধিকার সংস্থা এদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে ভারতের দিকে প্রশ্ন উত্থাপন করে তখন আমাদের বিদেশ মন্ত্রক তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলে যে, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে আসবেন না।’ অতএব ভণ্ডামিটা স্পষ্ট।
জঘন্য ভাষণ ও কাজকর্ম দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ একজন হিন্দু সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শোরগোল চলছে। এর প্রেক্ষিতে এক ভারতীয় মহামূর্খ দাবি তুলেছে, ‘মুসলিমদের ভোটাধিকার খারিজ করা হোক।’ (সূত্র: নিউইন্ডিয়াএক্সপ্রেসডটকম) গণতন্ত্রে এই দুটির কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়।
যদি এনডিএ তাদের ‘বিভাজন ঘটাও এবং জেতো’ নীতির খেলা চালিয়ে যায় তবে সংখ্যালঘুর ইস্যুটি ভারতকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে। এটা ইংরেজদের সেই জঘন্য খেলা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’-এর থেকে আলাদা কিছু নয়।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
02nd  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
একনজরে
ভারতীয় দলে তারকার ছড়াছড়ি। আর সেই কারণেই বিশেষ কোনও একজনকে নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং দুর্দান্ত প্রতিভাবান একটা দলকে হারানোর জন্যই রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘ওদের ...

‘ব্রেইন রট’। এই শব্দ বন্ধনীই জিতে নিল অক্সফোর্ডের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর শিরোপা। কিন্তু, কী এর অর্থ? কেনই বা এই শিরোপা পেল ১৮৫৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা এই শব্দ? ...

বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...

এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM