Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কঠিন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে,
ব্যক্তি নয় বড় প্রতিষ্ঠান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সবেমাত্র ভোরের আলোর রেখাটুকু দেখা যাচ্ছে আকাশে। লুটিয়েন’স দিল্লির রাজপথে চলেছে একটি সাইকেল। পিছনের চাকার পাশে ক্যারিয়ারের সঙ্গে বাঁধা ক্যান। দুধওয়ালা... কতই বা বয়স হবে? ১৩ কী ১৪ বছর! গাজিয়াবাদের ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর চলে এসেছিল দিল্লিতে... কাকার সঙ্গে। আকবর রোডের বেশ কয়েকটা বাংলোয় দুধ পৌঁছে দিতে যেত সে। আর ভাবত... একদিন এরকম বাংলো আমারও হবে। বাড়ি বাড়ি দুধ দিয়ে, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে খবরের কাগজ বিক্রি করে ফিরত সে। পুরো সকালটাই কেটে যেত বেঁচে থাকার লড়াইয়ে। সন্ধ্যায় পড়তে বসত সেই কিশোর... ল্যাম্পপোস্টের নীচে। কাকার বাড়িতে বিজলি ছিল না। পড়া শুরুর সময় চোখের সামনে ছবির মতো ভাসত মা, চার দিদি আর ভাইয়ের কথা। নিজের পায়ে যে দাঁড়াতেই হবে! রাজেশ্বর প্রসাদ সিং বিধুরি। সেই কিশোর শুধু নিজের পায়েই দাঁড়ায়নি... উড়েছিল সে আকাশে। ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার হয়ে। বদলে গিয়েছিল তার পদবি। রাজেশ্বর বিধুরি থেকে রাজেশ পাইলট।
বেঁচে থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি বলতেই পারতেন, আপনি চা-ওয়ালা, তো আমি দুধওয়ালা। কিন্তু নিজের স্ট্রাগলকে প্রচারের মাধ্যম করেননি রাজেশ। প্রিয় বন্ধু রাজীব গান্ধীর এক অনুরোধে বায়ুসেনা থেকে অবসর নিয়ে নেমে পড়েছিলেন রাজনীতিতে। ভোটে জিতেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে চন্দ্রস্বামীকে জেলবন্দিও করেছেন। পলিটিক্যাল মিসঅ্যাডভেঞ্চার তাঁর একটিই—অশীতিপর সীতারাম কেশরিকে কংগ্রেস সভাপতির পদে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া। পারেননি রাজেশ। সীতারাম আগেই দলের ভোট ‘ম্যানেজ’ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তাও দলে তাঁর গুরুত্ব হারায়নি... কারণ, তিনি দলকে, বা কংগ্রেস তাঁকে ছেড়ে যায়নি। সভাপতির পদে রাজেশ পাইলটের লড়াইটা শুধু ক্ষমতার ছিল না, তার সঙ্গে জড়িয়েছিল কিছু আদর্শ এবং গান্ধী পরিবারের প্রতি তাঁর আনুগত্য। রাজেশ পাইলটের মৃত্যুর পর ২০ বছর কেটে গিয়েছে। এবার আর আদর্শ নয়, লড়াইটা পুরোপুরি ক্ষমতা দখলের।
ক্ষমতার নেশাটা ভয়াবহ। যার আছে, সে আরও বেশি দেখাতে চায়। আর যার নেই, সে তাক কষে কবে সেই চেয়ারে বসবে। অশোক গেহলট পুরোদস্তুর সোনিয়া গান্ধী পন্থী। কমল নাথও তাই। কিংবা আহমেদ প্যাটেল। সোনিয়ার কোর গ্রুপে দীর্ঘদিন এঁদের বসবাস। কাজেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বদলে কমল নাথ, কিংবা শচীন পাইলটের পরিবর্তে যখন অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন, তাতে খানিক গোঁসা হতে পারে। কিন্তু বিস্ময়ের কিছু নেই। শচীন পাইলট তাঁর বাবার মতো স্ট্রাগল দেখেননি। বা তাঁকে সেই পথে হাঁটতেও হয়নি। রাজস্থানে যখন কংগ্রেস হইহই করে জিতল, তিনি ভাবলেন ‘সবটাই আমার কৃতিত্ব’। কিছু অবদান যে তাঁর রয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই। দলের ‘ভবিষ্যতের মুখ’ শচীন। রাহুল ব্রিগেডের তরুণ তুর্কি হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও উজ্জ্বল ছিল। কিন্তু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানের অঙ্ক কষেছিলেন শচীন পাইলট। যার ফলস্বরূপ তাঁর আমও গিয়েছে, ছালাও। অর্থাৎ উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরানো তো হলই, চলে গেল প্রদেশ সভাপতির পদটাও। বিদ্রোহ করার আগে শচীন একবারও ভাবলেন না, তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলতে মাত্র ১৮ জন বিধায়ক। বাড়তি দাবি ছিল, আরও ৩০ জন এমএলএ গেহলট শিবির ছেড়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে তৈরি। কিন্তু এই সংখ্যাতত্ত্বের দাবি আদৌ কি তাঁকে লাভের দিশা দেখাবে? অর্থাৎ বিষয়টা পরিষ্কার, শচীন পাইলট যতই বিদ্রোহ দেখান না কেন, অশোক গেহলট সরকারকে ফেলা যাবে না। ২০০টি বিধানসভা আসনের রাজস্থানে ম্যাজিক ফিগার ১০১। যদি ১৯ জন বিধায়ক বহিষ্কৃত হন, তাহলে মোট সংখ্যা নেমে আসবে ১৮১তে। সেক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার হবে ৯১। আর গেহলটের দাবি অনুযায়ী, নির্দল, সিপিএম এবং ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির সমর্থন নিয়ে তাঁর পাশে রয়েছেন ১০৯ জন বিধায়ক। চলতি সপ্তাহে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ, সম্ভাবনা তো কম ছিল না শচীনের! রাজস্থানে জাতপাতের ভোটব্যাঙ্ক নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হিসেবে প্রত্যেক নির্বাচনেই কাজ করে। তিনি নিজে গুজ্জর। অর্থাৎ রাজ্যের ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট তাঁর মুখের দিকে তাকিয়েই ইভিএমের বোতাম নির্বাচন করে। তার উপর শচীনের শিক্ষাগত যোগ্যতা। পিছড়ে বর্গের সঙ্গে মিশেলে যা শচীন পাইলটের রাজনৈতিক চরিত্রকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, সবটাই কিন্তু কংগ্রেস নামক শতাব্দীপ্রাচীন একটি দলের ছাতার তলায়। জার্সি খুলে নিলে কী হবে বলা মুশকিল। এখনও পর্যন্ত সমীকরণ যা রয়েছে, শচীন পাইলট একটি অসম লড়াইয়ে নেমেছেন। বা বলা ভালো, মিসঅ্যাডভেঞ্চার। রাজস্থানে কংগ্রেস যদি পরেরবারও ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে শচীন পাইলটই কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রধান দাবিদার হতেন। বৃদ্ধ অশোক গেহলট নন। তাহলে এই তাড়াহুড়ো কেন? হয়তো ভেবেছিলেন, কংগ্রেস এখন ধুঁকতে থাকা পার্টি। চাপ দিয়ে যেমন খুশি প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেওয়া যাবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে তিনি নাকি ফোনেও বলেছিলেন, ‘দল যদি ঘোষণা করে আগামী এক বছরের মধ্যে আমাকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তাহলে সোনিয়াজি এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতে যাব। না হলে নয়।’ তেমন কোনও ঘোষণা হয়নি। আর প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ফোনালাপের ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদটাও চলে গিয়েছিল তাঁর। কংগ্রেসের এই দুঃসময়েও...।
রাহুল গান্ধী দায়িত্ব নেওয়ার পর লোকজন আশা করেছিল, এবার দলটা উঠে দাঁড়াবে। তা তো হয়ইনি, বরং রাহুল নিজেই দায়িত্বের জুতো ছেড়ে গা বাঁচিয়ে বসে পড়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এক সময় মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো নেতৃত্বের অটোম্যাটিক চয়েজ। গত লোকসভা ভোটের পর সেই ধারণা এক অলীক, কল্পবিজ্ঞানের গল্প বলে মনে হচ্ছে। তাহলে রইল কে? অসুস্থ সোনিয়া গান্ধী। এবং তিনিই যে এখনও কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর সেরা বাজি, সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি। শচীন এপিসোডে। ক্ষমতায় থাকলে বা পায়ের তলার জমি শক্ত হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়াই যায়। কিন্তু পরিস্থিতির চাকা যদি সম্পূর্ণ উল্টোপথে ঘোরে? কঠিন পদক্ষেপ তখন আর খুব সহজ হয় না! সোনিয়া সেটাও করে দেখালেন। শচীন পাইলটকে পদচ্যুত করা, অবস্থানে অনড় থাকা এবং প্রয়োজনে আস্থা ভোটে যাওয়ার মতো সাহস দেখানো।
প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে, ভুল কাজ করলেন তিনি। তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনার মোক্ষম সময়ে সম্ভাবনাময় নেতাদের একে একে ছেঁটে ফেলছেন। সোনিয়া গান্ধী তো আর আদি অনন্তকাল কংগ্রেসের কাণ্ডারী হয়ে বসে থাকবেন না! তাঁর ছেলেমেয়েরও সেই ‘যোগ্যতা’ তৈরি হয়নি। এমন একটা পরিস্থিতিতে দল চলবে কীভাবে? সোনিয়া গান্ধী মনে করেন, দল চলবে নিজের ভারে।
প্রতিষ্ঠান বড়। ব্যক্তি নয়। কাজেই বিদ্রোহ মেনে নেওয়া যাবে না। ‘ডাউন দ্য লাইন’ তৈরি করতে হবে ঠিকই, কিন্তু দলের সম্মান বা আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। এই সিদ্ধান্তে দলের একটা অংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতেই পারে। কিন্তু সেটা সাময়িক। ‘চক্রবৎ পরিবর্তন্তে’... এক নেতা যাবে, অন্য কেউ সেই জায়গার দখল নেবে। কোনও স্থানই শূন্য থাকে না। কোনও ব্যক্তি অপরিহার্যও হয় না। থেকে যায় প্রতিষ্ঠান। দল। কঠিন সময়েও সোনিয়া গান্ধী যে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তৃণমূল স্তরে কিন্তু মনোবল বাড়াবে... আমরা এখনও পারি। কংগ্রেসের লেগাসি শুধু কয়েকটা লোকসভা আসন বা বিধানসভা ভোটের জয়ে সীমাবদ্ধ নয়। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্তই কংগ্রেসকে ডিভিডেন্ড দেবে।
শচীন পাইলট বিজেপিতে যাবেন না। এই মুহূর্তে তো নয়ই। বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বের গ্যারান্টি পেলে আলাদা কথা। কী করতে পারেন তিনি? আলাদা দল গড়তে পারেন। অপেক্ষা করতে পারেন সঠিক সময়ের জন্য। কিংবা মাথা নিচু করে কংগ্রেসের আশ্রয়েই পারেন শূন্য থেকে আবার সব শুরু করতে। ক্ষমতা এক বিষম বস্তু। এর পিছন পিছন দৌড়তে হয় না। অর্জন করতে হয়। যোগ্যতা, দায়বদ্ধতা থাকলে ক্ষমতাই দাঁড়িয়ে থাকবে
বরণডালা নিয়ে। এক্ষেত্রেও বয়সটা কিন্তু ফ্যাক্টর। কর্মক্ষমতা এবং যোগ্যতার সঙ্গে পরিণতিবোধ... বয়সের সঙ্গে যা ধীরে ধীরে পোক্ত করে ব্যক্তিত্বকে। সীতারাম কেশরির কাছে দলনেতৃত্ব দখলের যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন রাজেশ পাইলট। সীতারাম তখন বলেছিলেন, ‘গরম রক্ত... ঠিক হয়ে যাবে।’ শচীন পাইলট যেন ওই আপ্তবাক্যটি মেনে চলেন। না হলে তাঁর এই বিদ্রোহ কিন্তু ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ হয়েই ইতিহাসে লেখা থেকে যাবে।
21st  July, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
পাঁপড়ভাজা খেলে ভ্যাকসিন
বানানোর দরকারটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফিদেল কাস্ত্রোর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছেন এক সাংবাদিক। শুরুতেই কাস্ত্রো পাল্টা একটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন... ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা পড়েছেন? ফিনিশ লেখক না?... দারুণ লেখা কিন্তু।’ মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ছিল ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা’র বিষয়বস্তু।   বিশদ

28th  July, 2020
চীন ‘মাকড়শা’ হলে ভারত তার ‘শিকার’
পি চিদম্বরম

 দ্য স্পাইডার্স ওয়েব। মানে মাকড়শার জাল। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন, তবে আপনি জিনিসটাকে পাবেন—‘সিক্স সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টস অ্যাবাউট স্পাইডারওয়েবস’ হিসেবে। মানে মাকড়শার জাল সম্পর্কে ছয়টি অবাক করা সত্য।
বিশদ

27th  July, 2020
এক দেশ এক দল
মানুষ মানবে না
হিমাংশু সিংহ

 ভারতের আত্মা বেঁচে রয়েছে বহুত্ববাদে। বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায়। নানা বৈচিত্র ও ভিন্নমুখী ধারার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ঐক্য ও সংহতির মূল মন্ত্র। এক কথায়, বিবিধের মাঝে মিলন মহান। এটাই ভারতের চিরন্তন শক্তি।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর
সামাজিক বয়কটের যন্ত্রণা

তন্ময় মল্লিক

একটা সময় সামাজিক বয়কট ছিল বিরোধীকে ঘায়েলের হাতিয়ার। গ্রামের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। করোনা আবহে তা ডানা মেলেছে শহুরে শিক্ষিত সমাজেও। কুসংস্কার দূর হয় শিক্ষার আলোয়। কিন্তু শিক্ষিত মানুষের অন্ধকার দূর হবে কোন আলোর ছোঁয়ায়?
বিশদ

25th  July, 2020
 কিছুতেই মমতা হতে
পারবেন না পাইলটরা
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি রাজনৈতিক দলে কোনও এক নেতা অথবা কর্মী যোগ্য সম্মান না পেলে তিনি ক্ষুব্ধ হন। চাহিদা এবং মনোবাসনা অনুযায়ী যথাযথ পদ কিংবা দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না দেখলে, ধীরে ধীরে রাগ এবং হতাশা তৈরি হয়। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। নতুন কিছুও নয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গেও সব দলে এরকম বহু নেতা কর্মী আছেন, যাঁদের ঠিক এরকমই মনোভাব অতীতে তৈরি হয়েছে কিংবা এখনও ওই ক্ষোভ রয়েছে দলের বিরুদ্ধে।
বিশদ

24th  July, 2020
আজকের রাজনীতিতে
পণ্ডিত মৈত্রের প্রাসঙ্গিকতা
হারাধন চৌধুরী

দেশ আজ মহামারীর কবলে। প্রথম কর্তব্য রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যে যুদ্ধে জয়টাই একমাত্র লক্ষ্য। একমাত্র শর্ত। তার জন্য হয়েছে লম্বা লকডাউন। বেশিরভাগ আর্থিক ক্ষেত্র ধসে পড়েছে। কোটি কোটি মানুষ পড়েছে তীব্র সঙ্কটে। সকালে খাবার জুটলে তারা নিশ্চিত নয় রাতে কী খাবে।
বিশদ

23rd  July, 2020
অযোধ্যা নেপালে শুনে
অবাক স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র
সন্দীপন বিশ্বাস

বিষ্ণুলোকের রাজসভায় রামচন্দ্র বসে আছেন। সভায় সেদিন মর্ত্যলোকের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন ছাড়াও সেদিন সভায় উপস্থিত ভৃগু, আঙ্গিরস, কাশ্যপ, বশিষ্ঠ প্রমুখ। ভৃগু বললেন, ‘হে রঘুবীর, মর্ত্যের অধিবাসীগণ বড়ই বাচাল।
বিশদ

22nd  July, 2020
ডেপসাং অথবা ডোকলামের পথে
পি চিদম্বরম

 রহস্যের জট খুলে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে লিখেছিলাম যে, 'অর্থনীতির দ্রুত পতনের কারণে ভারত যে দুর্বল হয়ে পড়েছে মিস্টার জি মনে হয় সেটা নিখুঁতভাবে ধরতে পেরেছিলেন—২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর মহাবলীপুরমে। অন্যদিকে, বোধহয় মিস্টার জি-র মতলবটা মোদিজি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।'
বিশদ

20th  July, 2020
একনজরে
ওয়াশিংটন: ক্ষমতা দেখাতে পুরো বিশ্বকে নিজেদের নাগালের মধ্যে আনতে উঠেপড়ে লেগেছে চীন। এবার তাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে এই ভাষাতেই চীনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।   ...

নয়াদিল্লি: একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেট দুনিয়া তারিয়ে উপভোগ করত বাইশগজে তাঁদের ব্যাট-বলের লড়াই। একদিকে ব্রেট লি। গতির আগুনে যিনি বিপক্ষের ব্যাটিংকে ছারখার করে দিতেন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সোমেন মিত্র প্রয়াত হলেও তাঁর দেখানো পথে বামেদের সঙ্গে সখ্য গড়েই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় প্রদেশ কংগ্রেস।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে যা জায়গা রয়েছে, তার তুলনায় বন্দির সংখ্যা ২৩ শতাংশ বেশি। দু’হাজারেরও বেশি বিচারাধীন বন্দিকে আগাম জামিন ও আসামিদের প্যারোলে ছাড়ার পরেও এই অবস্থা।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি
১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯২০ – স্বাধীনতা সংগ্রামী বালগঙ্গাধর তিলকের মৃত্যু
১৯২০- অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলেন মহাত্মা গান্ধী
১৯২৪ -ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ফ্রাঙ্ক ওরেলের জন্ম
১৯৩২- অভিনেত্রী মীনাকুমারীর জন্ম
১৯৫৬- ক্রিকেটার অরুণলালের জন্ম।
১৯৯৯- সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৯৪ টাকা ৭৫.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৫৩ টাকা ৯৯.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৪০ টাকা ৯০.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী ৪১/৪৮ রাত্রি ৯/৫৫। মূলানক্ষত্র ৪/২ দিবা ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১১/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১৩/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে উদয়াবধি। 
১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী রাত্রি ৯/৪৮। মূলানক্ষত্র দিবা ৭/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৬/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/১৩ গতে ৩/৩৯ ম঩ধ্যে। কালবেলা ৬/৪৯ মধ্যে ও ১/২২গতে ৩/০ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/১১ মধ্যে।  
১০ জেলহজ্জ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে উচ্চাশাপূরণ। মিথুন: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: রাজ্যে আক্রান্ত আরও ২৫৮৯ জন  
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫৮৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:42:26 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৯,৬০১ জন, মৃত ৩২২ 

08:41:24 PM

কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ৫,১৭২ জন, মৃত ৯৮ 

07:56:50 PM

করোনা: কেরলে নতুন করে আক্রান্ত আরও ১১২৯, মোট আক্রান্ত ১০৮৬২ 

07:50:00 PM