Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীন ‘মাকড়শা’ হলে ভারত তার ‘শিকার’
পি চিদম্বরম

দ্য স্পাইডার্স ওয়েব। মানে মাকড়শার জাল। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন, তবে আপনি জিনিসটাকে পাবেন—‘সিক্স সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টস অ্যাবাউট স্পাইডারওয়েবস’ হিসেবে। মানে মাকড়শার জাল সম্পর্কে ছয়টি অবাক করা সত্য।
১. মাকড়শার ডিজাইন সেন্স বা নকশা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে।
২. মাকড়শার জাল শিকারকে মাঝপথে আটকায় না। তাকে বরং আকর্ষণ বা প্রলুব্ধ করে।
৩. মাকড়শার জালগুলো একটা কারণে চকচকে।
৪. মাকড়শাদের চলাফেরায় একটা গুপ্ত ভাব থাকে।
৫. মাকড়শারা বড় করে ভাবে।
৬. মাকড়াশারা সাধারণভাবে রোজই তার জাল পাল্টায়।
যদি আমার মতো করে ভাবেন তবে আপনি বলবেন যে, ‘ভীষণ ঠিকঠাক’! ভারত-চীন সীমান্তের ভয়ানক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তাদেরকেই যথাযথ বা ঠিকঠাক (অ্যাপ্রোপ্রিয়েট) বলে মনে হয়। করোনা ভাইররাসের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী যুদ্ধে আমাদের পরাজয়ের সামনে তাদেরকেই যথাযথ বলে মনে হয়। দ্রুত তলিয়ে যেতে থাকা অর্থনীতি এবং বেকারত্বের মোকাবিলা করতে নেমে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে হতাশার জন্ম হয়েছে, মাকড়শাদের যথাযথ বলে
মনে হয় সেখানেও। রাজস্থানে যে অনাবশ্যক লড়াইয়ের মধ্যে (লাক্সারি টাসল) প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আটকে রইল সেখানেও এদেরকে যথাযথ বলে মনে হয়।
রাজস্থান
শচীন পাইলট একজন ইয়ং ম্যান। তাঁর বিরাট উচ্চাশা। এর মধ্যে কোনও দোষ নেই। কিন্তু যে সময়টাতে তিনি এমন পদক্ষেপ করলেন তাতে সবটাই ভুলে ভরা হয়ে গেল। রাজস্থান-সহ পুরো জাতি আজ এমন তিনটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ব্যস্ত যা অতীতে কখনও করতে হয়নি। অর্থনীতি এবং মহামারীর বিষয়ে, দল এবং সরকার—উভয় দিক থেকেই বিজেপি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। চীনা হুমকির সামনে সরকার কিছু হাস্যকর কাণ্ড করে চলেছে, কিন্তু সীমান্তের প্রকৃত পরিস্থিতিটা খোলসা করছে না। অস্বীকার বা প্রতিবাদের ব্যাখ্যা দেওয়াটাই সরকারের মুখপাত্রদের নতুন একটা কাজ হয়েছে। অনুরাগ শ্রীবাস্তব যা বলেন সেটা লব আগরওয়াল যদি বুঝতে পারেন আমি অবাক হব। দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবার যে লক্ষণ (গ্রিন শুটস) অর্থমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে একবার করে দেখতে পান, ওই দু’জনের মধ্যে কোনও একজনের নজরে তা যদি ধরা পড়ে তাহলেও আমি অবাক হব।
শচীন পাইলট আর বিজেপির মানসিকতা এক নয়, অথবা এটা আমাদের বিশ্বাস। যে মানুষগুলো মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন শচীনের সমস্ত শক্তি তাঁদের সাহায্যের জন্য ব্যয় করা উচিত। তাঁর সমস্ত শক্তি নিয়োজিত হোক রাজস্থান রাজ্যের অর্থনীতিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাবার জন্যে। তাঁর সামনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার ব্যক্তিত্ব মোহনলাল সুখাড়িয়া। শচীন পাইলট লম্বা দৌড়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারতেন। তাহলে তিনি হতে পারতেন মোহনলাল সুখাড়িয়ার মতোই দীর্ঘ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। এটা অস্বাভাবিক যে, তাঁর নকশা সম্পর্কে তাঁর কোনও জ্ঞানগম্যি নেই এবং শিকার জালে পড়ার মুখে তাকে আটকাবার চেষ্টা করলেন। ফলে কী হল? তিনি মাঝ সমুদ্রে—বুঝে উঠেত পারছেন না ঠিক কোন তীরে তাঁর তরী ভেড়াবেন!
অর্থনীতি
অর্থনীতির দিকে অথবা ধ্বংসাবশেষের দিকে তাকান। আর্থিক মন্দার ব্যাপারে গোড়ার দিকে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল আজকের বাস্তব পরিস্থিতি তার থেকে অনেক খারাপ, অনেক বেশি উদ্বেগজনক। প্রথম ত্রৈমাসিক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, নগদ জোগান বৃদ্ধির (ফিসকাল স্টিমুলাস) কোনও লক্ষণ নেই। এমনকী, পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বাড়ানোর জন্য যে ধরনের উদ্যোগ সরকারের তরফে নেওয়া জরুরি তারও লক্ষণ নজরে আসেনি। যে-আর্থিক ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পক্ষে সেটাই যথেষ্ট হবে বলে যে-ক’জন মনে করেন তাঁরা হলেন—নির্মলা সীতারামন, কে ভি সুব্রহ্মণ্যম, রাজীব কুমার এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ লেখক। তা সত্ত্বেও সব সিদ্ধান্তের মালিক একজনই—যৌথ ব্যবস্থায় বাকিদের ভূমিকা কিছু নেই। অর্থনীতি বাস্তবিকই ধসে পড়েছে। এসময় অর্থনীতির পুনর্গঠনের কৌশল সম্পর্কে শাসকদের পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। আর সেটা যদি অনুপস্থিত হয় তবে দৃঢ়তাশূন্য প্রতিটি ব্যবস্থাই নিষ্ফলা হবে।
করোনা ভাইরাস
মাকড়শার, সবটা না হলেও, কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের মিল রয়েছে। ভাইরাসটা চুপিসারে সব দেশে ঢুকেছে। এটা অনুপ্রবেশ করেছে ভারতের মতো বিরাট দেশেও। ভারতের সবক’টা রাজ্যে। সবক’টা জেলাতেও। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনবিন্যাস (ডেমোগ্রাফি), আবহাওয়া, মানুষের অভ্যাস, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, আয়ের শ্রেণীবিন্যাস, প্রস্তুতি, সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা-ক্ষমতা প্রভৃতি আলাদা। প্রতিটা দেশের এই বিপুল বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে দিব্য মানিয়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। মহাভারতের যুদ্ধটা ছিল আঠারো দিনের।
সেই অধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্ব ভারতবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়টা হাসিল হবে মাত্র ২১ দিনে! ফলে, মানুষ সহজেই তা বিশ্বাস করেছিল। কেউ বুঝতে পারেনি যে এটা ছিল অসত্য, স্তোকবাক্য। না চিকিৎসা বিজ্ঞান, না মধ্যযুগীয় বিশ্বাস—কোনও কিছুরই উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না এই আশ্বাস। আমরা এখন জেনে গেছি যে যতক্ষণ না ভ্যাকসিন আবিষ্কার, প্রমাণিত ও বণ্টন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা নিরস্ত্রই। কী কেন্দ্র, কী রাজ্য—সরকারগুলির উপর মানুষের বিশ্বাস, আস্থা আর নেই। যাঁরা নিজেদের সংস্থান নিজেরা করতে পেরেছেন তাঁরা নিজেদেরকে পৃথক করে নিয়েছেন। আর যাঁরা সেটা পারেননি তাঁরা ভয়-ভীতি ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন। একটা নির্দিষ্ট মৃত্যুহার (কেস ফ্যাটালিটি রেশিও) সমেত জীবন একটা নতুন ‘স্বাভাবিকতা’য় (নিউ ‘নর্মাল’) ফিরে যাবে। ‘লক-আনলক’টা হল সরকারের মূর্ছারোগ লক্ষণের মতো—যার সম্পর্কে কিছুই আগাম অনুমান করা সম্ভব নয়, সেটা পুরোই ফালতু। সরকারগুলো কতবার তাদের কৌশল (মাকড়শার উদাহরণে ওয়েব বা জাল) পাল্টাল, তার কোনও গুরুত্ব নেই। তারা আলাদাভাবে কিছুই করতে পারবে না।
চীন
চীন হল একেবারে বিদঘুটে ধরনের মাকড়শা। একটা মাকড়শার ‘সব’ ধরনের বৈশিষ্ট্যই এর মধ্যে রয়েছে। সর্বোপরি, দেশটার চিন্তাভাবনা বড় এবং এর শিকারদেরকে আকৃষ্ট করে। ছ’বছরে চীনের নেতার সঙ্গে ১৮টা মিটিং। তার মধ্যে একটা রাষ্ট্রীয় সফর এবং তিনটে শীর্ষ সম্মেলন। এমন চোখ ধাঁধানো খতিয়ান যে-কোনও কঠোর তপস্বীকেও ‘ফ্ল্যাটার’ করার পক্ষে যথেষ্ট। নরেন্দ্র মোদি কোনও তপস্বী নন। তাঁর ভয়ানক ইগো (সব প্রধানমন্ত্রীরই থাকে) এবং তাঁর দলের জন্য আরও বেশি অহংবোধ। মোদিজির মাপটা একেবারে নিখুঁত নিয়েছিলেন জি জিনপিং। উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি মোদিজিকে চটুল প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। পারস্পরিক লগ্নিতে উৎসাহ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জিনপিং আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ২০২০-কে ‘ভারত-চীন সংস্কৃতি এবং মানুষে মানুষে ভাব বিনিময়ের বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের জন্য বিশ্বমানের মঞ্চ বানাবেন।
কিন্তু, ২০২০-র জানুয়ারিতে কী কাণ্ডটা করলেন তিনি? চীনের লাল ফৌজকে (পিএলএ) এগিয়ে দিলেন ভারতে হানা দেওয়ার জন্য! চীনের জন্য ভারত হচ্ছে আর একটা আগুন নিয়ে খেলা। যেমন আগুনে-খেলা জিনপিং শুরু করেছেন হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, বেল্ট-অ্যান্ড-রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পাকিস্তান, তুর্কি ও ইরানকে নিয়ে তাঁদের চার দেশের নয়া ঘোঁট (কোয়াড)। এই আগুন যদি কিছুটা ঝলসে দেয় তবে, এটা হবেও, চীন বীরদর্পে এগিয়ে যাবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কোনও বিশ্বনেতা কি ভারতের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসনের নিন্দা করেছেন? চীন যদি ‘মাকড়শা’ হয় তো ভারত হল তার ‘শিকার’—যাকে তার জালে প্রলুব্ধ করেছিল।
মাকড়শারা চিরকাল বিরামহীন।
• লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
27th  July, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
পাঁপড়ভাজা খেলে ভ্যাকসিন
বানানোর দরকারটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফিদেল কাস্ত্রোর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছেন এক সাংবাদিক। শুরুতেই কাস্ত্রো পাল্টা একটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন... ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা পড়েছেন? ফিনিশ লেখক না?... দারুণ লেখা কিন্তু।’ মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ছিল ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা’র বিষয়বস্তু।   বিশদ

28th  July, 2020
এক দেশ এক দল
মানুষ মানবে না
হিমাংশু সিংহ

 ভারতের আত্মা বেঁচে রয়েছে বহুত্ববাদে। বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায়। নানা বৈচিত্র ও ভিন্নমুখী ধারার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ঐক্য ও সংহতির মূল মন্ত্র। এক কথায়, বিবিধের মাঝে মিলন মহান। এটাই ভারতের চিরন্তন শক্তি।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর
সামাজিক বয়কটের যন্ত্রণা

তন্ময় মল্লিক

একটা সময় সামাজিক বয়কট ছিল বিরোধীকে ঘায়েলের হাতিয়ার। গ্রামের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। করোনা আবহে তা ডানা মেলেছে শহুরে শিক্ষিত সমাজেও। কুসংস্কার দূর হয় শিক্ষার আলোয়। কিন্তু শিক্ষিত মানুষের অন্ধকার দূর হবে কোন আলোর ছোঁয়ায়?
বিশদ

25th  July, 2020
 কিছুতেই মমতা হতে
পারবেন না পাইলটরা
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি রাজনৈতিক দলে কোনও এক নেতা অথবা কর্মী যোগ্য সম্মান না পেলে তিনি ক্ষুব্ধ হন। চাহিদা এবং মনোবাসনা অনুযায়ী যথাযথ পদ কিংবা দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না দেখলে, ধীরে ধীরে রাগ এবং হতাশা তৈরি হয়। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। নতুন কিছুও নয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গেও সব দলে এরকম বহু নেতা কর্মী আছেন, যাঁদের ঠিক এরকমই মনোভাব অতীতে তৈরি হয়েছে কিংবা এখনও ওই ক্ষোভ রয়েছে দলের বিরুদ্ধে।
বিশদ

24th  July, 2020
আজকের রাজনীতিতে
পণ্ডিত মৈত্রের প্রাসঙ্গিকতা
হারাধন চৌধুরী

দেশ আজ মহামারীর কবলে। প্রথম কর্তব্য রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যে যুদ্ধে জয়টাই একমাত্র লক্ষ্য। একমাত্র শর্ত। তার জন্য হয়েছে লম্বা লকডাউন। বেশিরভাগ আর্থিক ক্ষেত্র ধসে পড়েছে। কোটি কোটি মানুষ পড়েছে তীব্র সঙ্কটে। সকালে খাবার জুটলে তারা নিশ্চিত নয় রাতে কী খাবে।
বিশদ

23rd  July, 2020
অযোধ্যা নেপালে শুনে
অবাক স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র
সন্দীপন বিশ্বাস

বিষ্ণুলোকের রাজসভায় রামচন্দ্র বসে আছেন। সভায় সেদিন মর্ত্যলোকের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন ছাড়াও সেদিন সভায় উপস্থিত ভৃগু, আঙ্গিরস, কাশ্যপ, বশিষ্ঠ প্রমুখ। ভৃগু বললেন, ‘হে রঘুবীর, মর্ত্যের অধিবাসীগণ বড়ই বাচাল।
বিশদ

22nd  July, 2020
কঠিন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে,
ব্যক্তি নয় বড় প্রতিষ্ঠান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সবেমাত্র ভোরের আলোর রেখাটুকু দেখা যাচ্ছে আকাশে। লুটিয়েন’স দিল্লির রাজপথে চলেছে একটি সাইকেল। পিছনের চাকার পাশে ক্যারিয়ারের সঙ্গে বাঁধা ক্যান। দুধওয়ালা... কতই বা বয়স হবে? ১৩ কী ১৪ বছর! গাজিয়াবাদের ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর চলে এসেছিল দিল্লিতে... কাকার সঙ্গে।
বিশদ

21st  July, 2020
ডেপসাং অথবা ডোকলামের পথে
পি চিদম্বরম

 রহস্যের জট খুলে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে লিখেছিলাম যে, 'অর্থনীতির দ্রুত পতনের কারণে ভারত যে দুর্বল হয়ে পড়েছে মিস্টার জি মনে হয় সেটা নিখুঁতভাবে ধরতে পেরেছিলেন—২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর মহাবলীপুরমে। অন্যদিকে, বোধহয় মিস্টার জি-র মতলবটা মোদিজি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।'
বিশদ

20th  July, 2020
একনজরে
ওয়াশিংটন: ক্ষমতা দেখাতে পুরো বিশ্বকে নিজেদের নাগালের মধ্যে আনতে উঠেপড়ে লেগেছে চীন। এবার তাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে এই ভাষাতেই চীনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।   ...

সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শুক্রবার বাগডোগরা থানার রানিডাঙা এসএসবি ক্যাম্পের মুখোমুখি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে সিসি ক্যামেরা, এসির বৈদ্যুতিক কেবল ছেঁড়া এবং রিসিভ স্লিপ তছনছ অবস্থায় থাকায় লুটের আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও পুলিসের দাবি, সেখানে লুটপাটের কোনও ঘটনা ঘটেনি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন পলিসির ক্ষেত্রে প্রথম বছরের প্রিমিয়াম বাবদ প্রায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার ব্যবসা করল লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া।   ...

নয়াদিল্লি: একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেট দুনিয়া তারিয়ে উপভোগ করত বাইশগজে তাঁদের ব্যাট-বলের লড়াই। একদিকে ব্রেট লি। গতির আগুনে যিনি বিপক্ষের ব্যাটিংকে ছারখার করে দিতেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি
১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯২০ – স্বাধীনতা সংগ্রামী বালগঙ্গাধর তিলকের মৃত্যু
১৯২০- অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলেন মহাত্মা গান্ধী
১৯২৪ -ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ফ্রাঙ্ক ওরেলের জন্ম
১৯৩২- অভিনেত্রী মীনাকুমারীর জন্ম
১৯৫৬- ক্রিকেটার অরুণলালের জন্ম।
১৯৯৯- সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৯৪ টাকা ৭৫.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৫৩ টাকা ৯৯.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৪০ টাকা ৯০.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী ৪১/৪৮ রাত্রি ৯/৫৫। মূলানক্ষত্র ৪/২ দিবা ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১১/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১৩/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে উদয়াবধি। 
১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী রাত্রি ৯/৪৮। মূলানক্ষত্র দিবা ৭/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৬/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/১৩ গতে ৩/৩৯ ম঩ধ্যে। কালবেলা ৬/৪৯ মধ্যে ও ১/২২গতে ৩/০ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/১১ মধ্যে।  
১০ জেলহজ্জ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে উচ্চাশাপূরণ। মিথুন: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: রাজ্যে আক্রান্ত আরও ২৫৮৯ জন  
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫৮৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:42:26 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৯,৬০১ জন, মৃত ৩২২ 

08:41:24 PM

কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ৫,১৭২ জন, মৃত ৯৮ 

07:56:50 PM

করোনা: কেরলে নতুন করে আক্রান্ত আরও ১১২৯, মোট আক্রান্ত ১০৮৬২ 

07:50:00 PM