ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
কিন্তু বাস্তব চিত্র তো তা নয়! কাজেই বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দুধর্মোক্ত অহিংসার তত্ত্বটির একটু পর্যালোচনা করা দরকার।
প্রথমতঃ জীবন ধারণ করতে গেলেই প্রকৃতির নিয়মানুসারে জীবহিংসা হয়ে থাকে। খাওয়ায়, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে, হাঁটাচলায় প্রতি পদেই সূক্ষ্ম হলেও কিছু জীবহিংসা হয়ই। এগুলো কি হিংসার পর্যায়ে পড়ে? শ্রীঠাকুর সত্যানন্দদেব এ বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন—“হিংসা হচ্ছে wan on killing—অর্থাৎ অকারণ, অযথা, অপ্রয়োজনীয় বা অননিবার্য জীবহত্যা। জীবনধারণের জন্য অনিবার্যভাবে যেটুকু জীবহত্যা হয় সেটা হিংসা নয়। তেমনি আক্রমণকারীর হাত থেকে জীবন রক্ষার জন্য যদি কোনও অনিবার্য প্রাণীহত্যা হয়ে যায়, তবে সেটাকেও হিংসা বলা চলে না। আর জীবনরক্ষার মতই ধর্মরক্ষার্থে যদি অনিবার্য কারণে জীবহত্যা হয়ে যায় তা’হলে সেটাও হিংসার আওতায় পড়ে না। জীবনের মূল এবং আত্যন্তিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে ধর্মানুশীলন এবং স্বধর্ম পালন। কাজেই ধর্মরক্ষা হচ্ছে আত্মরক্ষা এবং জীবনরক্ষারই তুল্য। স্বধর্ম পালনের জন্য শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে নির্দেশ দিয়ে বললেন—আত্মা অবিনাশী অপ্রমেয় স্বপ্রকাশ, দেহের মত নশ্বর নয়; অতএব তুমি স্বধর্ম পালন কর—“তস্মাৎ যুধ্যস্ব ভারত”। বিষাদযুক্ত অর্জুনকে উদ্বুদ্ধ করে গীতামুখে বললেন—
“ক্লৈব্যং মা স্ম গমঃ পার্থ নৈতৎ ত্বয্যুপপদ্যতে।
ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্ত্বোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।”
“তস্মাৎ ত্বমুত্তিষ্ঠ যশো লভস্ব জিত্বা শত্রূন্ ভুঙ্ক্ষ্ব রাজ্যং সমৃদ্ধম্।
ময়ৈবৈতে নিহতাঃ পূর্বমেব নিমিত্তমাত্রং ভব সব্যসাচিন্।।”
“দ্রোণঞ্চ ভীষ্মঞ্চ জয়দ্রথঞ্চ কর্ণং তথান্যানপি যোধবীরান্।
ময়া হতাংস্ত্বং জহি মা ব্যথিষ্ঠা যুধ্যস্ব জেতাসি রণে সপত্নান্।।”