কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ইন্ধন জুগিয়ে যাওয়ার চিরকালীন চেষ্টার বিনাশ। কারণ অস্ত্র নয়, ভারত সর্বদা যুক্তিতে বিশ্বাসী।
সুনন্দা বশিষ্ঠ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ, নিবন্ধকার। এবং সর্বোপরি কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশোদ্ভূত। তাঁরা জানেন, কোন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের কী ভয়ানক ইন্ধনে কাশ্মীর উপত্যকা ছাড়তে হয়েছিল তাঁদের। পণ্ডিতরা ছিলেন সেখানে সংখ্যালঘু। আর সেই লঘুত্বটাও বজায় রাখতে দেয়নি পাকিস্তান। নিরন্তর ভারত বিরোধী চোরাস্রোত, মগজ ধোলাই, উস্কানি এবং অর্থের জোগান দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রভক্তদের নিঃশেষ করে দিয়েছে কাশ্মীর থেকে। সেই কাশ্মীর, যে ভূস্বর্গ ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ। ৭০ বছর নয়, ভারতের সভ্যতা, সংস্কৃতি ৫ হাজার বছরের প্রাচীন। আর প্রথম থেকেই কাশ্মীর ছিল ভারতবর্ষের সঙ্গে। যে উপত্যকা কখনও ভারত দখল করেনি। যারা স্বেচ্ছায় এসেছিল ভারতের সঙ্গে। স্বাধীনতার পর থেকেই যে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেশের মানচিত্রে মুকুটের মতো। সুনন্দা সেই প্রসঙ্গই
তুলে এনেছেন ইউনেস্কোতে। বলেছেন, আইএস জঙ্গিরা যে নৃশংসতা চালায়, ঠিক তেমনই কাশ্মীরে চালিয়ে এসেছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। এমন সময় থেকে, যখন পশ্চিমী দুনিয়া এ ধরনের নৃশংসতা সম্পর্কে অবগতই ছিল না।
পাকিস্তানের একটাই নাকিকান্না—কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই অভিযোগ তোলার সময় কিন্তু তারা ভুলে যায়, বালুচিস্তানে কী হচ্ছে? খাইবারে কী চলছে? পাকিস্তানের প্রত্যেক প্রদেশের মানুষ কি শান্তিতে, মানবাধিকার উপভোগ করে বেঁচে আছেন? সুনন্দা বশিষ্ঠ কিন্তু সাফ বলেছেন, ‘আমি আর আমার মাকে যখন জঙ্গিরা মারতে এসেছিল,
তখন আপনাদের মানবাধিকার কর্মীরা কোথায় ছিল? একের পর এক পরিবার যখন ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণটুকু সম্বল করে কাশ্মীর ছেড়েছিল, তখন এই প্রশ্ন ওঠেনি কেন?’
একদিকে মার্কিন কংগ্রেসে সুনন্দার বলিষ্ঠ যুক্তিবাদ, অন্যদিকে ইউনেস্কোর মঞ্চে অনন্যা আগরওয়ালের তোপ। ইউনেস্কোতে ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। আর প্রথম থেকেই সরাসরি আক্রমণে গিয়েছেন। বলেছেন, পাকিস্তানের ডিএনএর শিকড় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র, কট্টর মৌলবাদী সমাজ। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান। ইউনেস্কোর অপব্যবহার করে ভারতের ধমনীতে বিষ ঢুকিয়ে যাচ্ছে ওরা। কেমন প্রধানমন্ত্রী ওদের, যিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতের
বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিতে পারেন? পাকিস্তানের প্রাক্তন
প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ দাবি করেন, ওসামা বিন লাদেন
এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিরা নাকি ওদের হিরো! স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানে সংখ্যালঘু মানুষ ছিলেন ২৩ শতাংশ। আর এখন সেটা ৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
অনন্যা বা সুনন্দা, দু’জনেই একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন। মানুষকে নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই পাকিস্তানের। ওরা পারে শুধু ভারতকে যেনতেনপ্রকারেণ অপদস্থ করতে। এটাই ওদের চিরকালীন স্বভাব। এটাও হয়তো ওদের ডিএনএতে ঢুকে গিয়েছে। নিজের জমিতে দাঁড়িয়ে যারা মানবাধিকারকে হত্যা করে, আর কাশ্মীরে গণভোটের উস্কানি দেয়। যে উপত্যকার একটা অংশ পাকিস্তানের দখলে, আর একটা চীনের। সেখানে গণভোট হবে কীভাবে? পাকিস্তানের নিজেদের অংশে বা আকসাই চীনে কি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে গণভোট হবে? ইসলামাবাদ বা বেজিং করাতে দেবে তো? উস্কানি কখনও শান্তির সূত্র হতে পারে না। দুই ভারতীয় নারী সেটাই আবার বুঝিয়ে দিলেন।