পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনসেটিভ স্কিম-২০২৩ নামে একটি প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটা জেলায় জেলায় কার্যকর করার। শুধু প্রকল্প তৈরিই নয়, উৎসাহীদের রাজ্য সরকারের তরফে ব্যবসার পুঁজি থেকে আর্থিক অনুদানের সুযোগও সেখানে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ওই প্রকল্পের সুযোগ নিতে উৎসাহীরা ময়দানে নেমে পড়েছে। রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রয়লার ফার্ম তৈরির জন্য রাজ্য সরকার ৮ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুযোগ দেবে। পাশাপাশি, সুদের ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে অনুদান পাওয়ার সুযোগ। তবে সবটাই মিলবে কত পরিমাণ ব্রয়লার মুরগি দিয়ে ফার্ম শুরু করা হচ্ছে তার উপরে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ হাজার মুরগি নিয়ে ফার্ম শুরু করতে হবে। যাঁদের আগে থেকেই ফার্ম আছে, ফার্ম বড় করতে চাইলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তাঁরাও। নতুনদের ক্ষেত্রে সমস্ত সুযোগ পাওয়ার পথই খোলা থাকছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সমবায় থেকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র, সকলকেই ওই প্রকল্পের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে মুরগি ছানার উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্পে সরকার শামিল করতে চাইছে।
রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুরগি ছানা রাজ্য জোগান দিতে পারবে। সেই লক্ষ্যেই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে যে চাহিদা তার অর্ধেক পরিমাণই আমরা মেটাতে পারছি।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্প এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সেটা কার্যকর হলে স্থানীয় স্তরে ছোট ছোট শিল্পোদ্যোগী তৈরি হবে যাবে। মূলত, গ্রামীণ এলাকাকে টার্গেট করে ওই প্রকল্প করা হয়েছে। তাতে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফিরবে তেমনি বাড়বে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। তবে শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, পরিকাঠামো সহ অন্যান্য সহযোগিতাও রাজ্য সরকার দেবে। বর্তমানে সমস্ত প্রকল্পকেই দেওয়া হচ্ছে সুসংহত আকার। অর্থাৎ একটি প্রকল্পের সঙ্গে অনুসারী প্রকল্পের সুযোগও পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রেও উদ্যোক্তারা চিকিৎসার সুযোগ থেকে কারিগরি পরামর্শও প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে পাবেন।