ম্যাঞ্চেস্টার, ৩১মার্চ: কোভিড-১৯। এই বিপজ্জনক ভাইরাসের জেরে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। ব্যতিক্রম নয় ম্যাঞ্চেস্টারের বাসিন্দারাও। এখানকার শিশুরাও এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। স্কুলে গেলে দু’বেলা খাবার পেত তারা। কিন্তু এখন সেই উপায় বন্ধ। খাদ্যের জোগান দিতে অসহায় পরিবারও। এরকম জটিল পরিস্থিতিতে নিজের এলাকার শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের তারকা স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড। নিজের খরচায় তিনি তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। কেন এই প্রচেষ্টা জানতে চাওয়া হলে, র্যাশফোর্ডের উত্তর, ‘অতীতেও আমি বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু করেছি। এবার শুনলাম স্কুল বন্ধ থাকায় বেশ কিছু শিশু এবং তাদের পরিবার খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। আমিও ছেলেবেলায় এরকম স্কুলেই পড়তাম। তাই ওদের সমস্যা অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারি। মনে আছে, স্কুলের দেওয়া খাবারেই আমার অধিকাংশ দিন কেটেছে। কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা ৬টা বাজত মায়ের। তাই রাতের খাবার পেতাম ৮টা নাগাদ। তার আগে খিদে পেলে স্কুলের খাবারই ছিল ভরসা। জানি, আমার থেকেও কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে অনেকে। তাদের মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য। এই সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে কর্তব্য পালন করেছি। চাই, আমার এই কাজ পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহিত করুক।’
গত শনিবারই র্যাশফোর্ড ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, শিশুদের খাবার দেওয়ার জন্য তিনি বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবেন না। এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা ১ লক্ষ ডলার সংগ্রহ করেছি। এই এঅর্থ দিয়ে ৪ লক্ষ শিশুকে খাবার দিতে পারব।’ এদিকে, দুই ম্যাঞ্চেস্টারও এই কঠিন সময়ে একজোট হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যা বড়ই ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন র্যাশফোর্ড। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর মন্তব্য, ‘এটা খুবই ভালো দিক যে কঠিন সময়ে দুটো ক্লাব একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। এর থেকেই প্রমাণ মেলে, ফুটবলের থেকেও জীবন অনেক বেশি বড়।’