একাধিক সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে কর্মে বাধামুক্তি ও উন্নতি। ... বিশদ
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস পোড়খাওয়া কোচ। আবেগে ভাসার লোক তিনি নন। জানেন, মনঃসংযোগ হারালেই সমস্যা। বজ্রআঁটুনিতে রাশ রেখেছেন নিজের হাতে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলেই মুম্বই বধের নীল নকশা সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রতিপক্ষকে মাথায় চড়তে দেবেন না হাবাস। মুম্বই প্রেসিং ফুটবলে দক্ষ। গোয়ার বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জেতে ক্র্যাটকির দল। দশ মিনিটের স্পেলে ছাংতেরা গোয়ার চোখে সর্ষেফুল দেখান। হাবাসের স্পষ্ট নির্দেশ, রক্ষণ আর মাঝমাঠের দূরত্ব যেন কয়েক গজের বেশি না হয়। মাঝমাঠে নাগুয়েরাকে সামলাতে বাড়তি দায়িত্ব থাকছে টাংরির কাঁধে। পাশাপাশি ছাংতে ও বিক্রমপ্রতাপ সিংয়ের দৌড় বন্ধ করতে হাবাসের দাওয়াই জোনাল মাকিং। ক্রমাগত ট্র্যাক ব্যাক করবেন লিস্টন আর মনবীর। শুভাশিস বোকা বনলে ট্যাকলে আসবেন অন্যজন। সবুজ-মেরুন সারথি জানেন, যে কোনও মুহূর্তে লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা রাখেন দিমিত্রিরা। শুধু ডিফেন্সে তালাচাবি দিতে পারলেই কেল্লা ফতে।
খেতাবি লড়াই নার্ভের ম্যাচ। দ্রুত লিড নিতে পারলে বিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। লিগ-শিল্ড নির্ধারক ম্যাচেও একই স্ট্র্যাটেজিতে মুম্বইকে চেক মেট করে মোহন বাগান। পিছিয়ে থাকা ছাংতেরা দ্বিতীয়ার্ধে অল আউট আক্রমণে আসেন। প্রতি আক্রমণে বজিমাত করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। একইসঙ্গে ডেড বল মুভেও জোর দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। ফ্রিকিক বা কর্নার পেলে প্রথম চয়েস দিমিত্রি। বক্সের আশেপাশে ফাউল হলে লিস্টনকেও তৈরি রাখা হচ্ছে। এছাড়া দিমি ও কামিংস ক্রমাগত জায়গা বদলে বিপক্ষকে ধাঁধায় ফেলবেন। আগের ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে সুপার সাব সাহাল গোল পেয়েছেন। কেরালাইট ফুটবলার মাঠে নামতে মুখিয়ে। তাঁর একটা থ্রু পাস ক্লান্ত মুম্বই রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারে। তাই দ্বিতীয়ার্ধের জন্যই তুলে রাখা হবে সাহালকে।