Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। এই গল্পের প্রচলনের দাপট এতটাই যে, শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে যাওয়ার পরও সম্রাট নিরো প্রবাদবাক্যে রিজার্ভেশন নিয়ে বসে আছেন। অথচ, ৬৪ সালে যখন রোমে আগুন লাগে, নিরো তখন ছিলেন সমুদ্রের ধারে ছোট্ট গ্রাম আনজিওতে। সেখানে তাঁর বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদে। প্রচণ্ড গরমের চোটে ছোটখাটো আগুন তখন লেগেই থাকত। তাই ১৯ জুলাই দূত যখন এসে তাঁকে খবর দিয়েছিল, খুব একটা গুরুত্ব তিনি দিতে চাননি। পরে তাঁর টনক নড়ে। প্রশাসনের পুরো মেশিনারি নামিয়েও কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর রোমকে নতুন করে তৈরি করা, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন... এই সবের জন্য রাজকোষ খুলে দিয়েছিলেন নিরো। আর সবচেয়ে বড় কথা, নিরোর সময় বেহালার আবিষ্কারই হয়নি! লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা যে কখন মিথ হয়ে গিয়েছে, বুঝতে পারেনি ইতিহাস। বুঝতে পারছে না এই সময়কালও। নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর ৪০০ পারের স্লোগানকে। 
কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই স্লোগান? কে ঠিক করেছিল টার্গেট? কোন বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল? কোন কোন সাধারণ সম্পাদক, কার্যকর্তা, বিজেপি রাজ্য ইউনিটের মাথারা ছিলেন সেই বৈঠকে? দিল্লির এক নেতার কথায়, ৪০০ পারের ব্যাপারে কোনও বৈঠকেই আলোচনা হয়নি। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি এবং তাঁর মতো কেন্দ্রীয় নেতারা জানতে পেরেছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের এই পাহাড়প্রমাণ টার্গেটের কথা। যেহেতু কোনও বৈঠকেই এ ব্যাপারে আলোচনা হয়নি, তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এর কোনও ব্লু-প্রিন্টও নেই। অর্থাৎ, কোন রাজ্যে কত করে আসন বাড়াতে হবে এবং কীভাবে সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব... সে নিয়ে এক নয়া পয়সার আলোচনা বিজেপির কেন্দ্রীয় কোনও বৈঠকে হয়নি। ভোটের আগে রাজ্যওয়াড়ি দলীয় রিপোর্ট যেমন পেশ হয়, তেমনটা হয়েছিল। ওখানেই শেষ। সেই রিপোর্টে কিন্তু শক্তিক্ষয়ের ইঙ্গিত ছিল বলেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর। সংখ্যালঘু ভোটারদের ক্ষোভ, মেরুকরণে শিক্ষিত সমাজের বিরক্তি—এই সবেরই উল্লেখ ছিল তাতে। তারপরও নরেন্দ্র মোদি ৪০০ পারের ডাক দিয়েছেন এবং সেটা দলের নেতারাই জানতেন না! মোদির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরাও ‘অব কি বার ৪০০ পার’ শুরু করেছেন বটে, কিন্তু আড়ালে-আবডালে নিজেদেরই প্রশ্ন করেছেন—কীভাবে? নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই যে আপনারা ৪০০ পার বলছেন, সেটা হবে কোন অঙ্কে? রাজ্যওয়াড়ি ব্রেক আপটা কী? তিনি জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘দেশজুড়ে প্রো-ইনকামবেন্সি হাওয়া বইছে। তাতেই হবে।’ অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভোট পড়বে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে। কীভাবে তিনি সেই হাওয়া বুঝলেন? বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলেতে যখন আসন কমে যাওয়ার নিশ্চিত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে... প্রো-ইনকামবেন্সি হাওয়াটা ঢুকল কোথা দিয়ে? সেই উত্তর শুধু জয়শঙ্কর কেন, বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারাও দিতে পারছেন না। নরেন্দ্র মোদিও না।
ভোটপর্ব শুরুর মুখে মোদিজি লাগাতার বলছিলেন, ৪০০ পার হবেই। বিজেপি নিশ্চিত। তিন দফা ভোটের পর ৩৭০ বা ৪০০ পারের অঙ্ক বেমালুম চেপে গেলেন তিনি। তারপর হঠাৎ আবার বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের ৪০০ পার করানোটা আমার চাহিদা নয়, জনগণের ইচ্ছে।’ মানে ভাবটা এমন, ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁর কানে কানে এসে বলে গিয়েছেন, আপনি ৪০০ পার করছেন। আচ্ছা, না হয় ধরে নেওয়া গেল ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁকে এই ইচ্ছের কথা জানাননি। তাহলে কতজন জানিয়েছেন? ১০ কোটি? এক কোটি? এক লক্ষ? ১০০ জনও কি জানিয়েছেন? তাহলেও জানতে ইচ্ছে করে, কোন কোন রাজ্যের মানুষ এমন আশাবাদী। দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্য থেকে ৪০০ পারের কথা কেউ বলবে বলে মনে হয় না। এমনকী, কর্ণাটকেও বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা ১৪-১৫টার বেশি আসন দেখছে না। অথচ গত লোকসভা ভোটে এই রাজ্য থেকে ২৫টা আসন পেয়েছিল মোদির দল। কৃষক ইস্যু যে সব রাজ্যে প্রভাব ফেলেছে, তাঁরা বলবেন না। মণিপুর বলবে না। প্রাপ্য টাকার জন্য বছরের পর বছর ধুঁকতে থাকা বাংলাও বলবে না। তাহলে ৪০০’র বৈতরণী পার কে করাবে? মোদিঝড় যে নেই, সে ব্যাপারে তো বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো চলে। তাহলে কি ইভিএম? 
ভোটদানের হার প্রতি দফার পর প্রকাশে ঢিলেমি দেখানোর জন্য নির্বাচন কমিশন এমনিতেই বিতর্কে জর্জরিত। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বুথমুখী ভোটারদের যে হার দেখা যাচ্ছে, পরের এক ঘণ্টার হিসেবে ৪-৫ শতাংশের ফারাক হচ্ছে কীভাবে? ওই বাকি অংশটুকুই কিন্তু দিনের দিনে দিতে ‘অপারগ’ ছিল কমিশন। তাই বিরোধীরা তো গলা ফাটাবেই। কমিশনকে বিজেপির বি টিম বলে কাঠগড়ায় দাঁড়ও করাবে। ৪ জুন ফলাফল বেরনোর পর যদি দেখা যায়, অধিকাংশ আসনেই বিরোধীরা বাজিমাত করেছে, তাহলে এই বিতর্ক ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি যদি সত্যিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে ডালের মধ্যে কালোপানা অংশ বিরোধীরা খুঁজে বের করবেই। তবে তেমন কিছু হয়তো হবে না। কারণ, বিজেপির অতি ভক্তও দূরবীন নিয়ে ৪০০ দেখতে পাচ্ছেন না। কর্মীরা এখনও জানেন না, কোন কোন কেন্দ্রে বাড়তি জোর দেওয়ার ছিল, বা শেষ দফায় দিতে হবে। কোন ধরনের ভোটারদের মগজ ধোলাই এই ৪০০ পারের টার্গেটের জন্য জরুরি ছিল? কোন রাজ্যে কত আসনে জয় ধরে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ৪০০ পার স্লোগান তুলেছেন এবং লাগাতার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন?
কী বলা যায় একে? ফাটকা? নাকি স্রেফ ধাপ্পা? ফাটকা কেন? নরেন্দ্র মোদি হয়তো ভেবেছেন, একটা সংখ্যা ছুড়ে দেওয়া যাক। ঝড় না থাকুক, খানিক হাওয়া তো আছে! তাহলেই এই সংখ্যার স্রোতে পাবলিক ভেসে যাবে, আর ভোট দেবে। না মিললে? যতটুকু পাওয়া যাবে, সেটাই লাভ। আর ধাপ্পা কেন? মোদি জানেন, তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে নেমেছে বিজেপি। থুড়ি, মোদি জনতা পার্টি। দলের কাঠামো, শীর্ষ স্তর, আদি নেতা, বাজপেয়ি ঘরানা... সবকিছু একা হাতে কফিনবন্দি করেছেন তিনি। গোটা দলটাই এখন তাঁর উপর দাঁড়িয়ে। এটাই তো চেয়েছিলেন মোদি! একাই নায়ক। এক ব্যক্তি, এক মিথ। কিন্তু একনায়কতন্ত্রের একটা মুশকিল আছে—সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন তাঁর হয়, ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায়ও চাপে তাঁর কাঁধে। তাই হয়তো মরিয়া হয়ে আরও একটা জুমলা। এবার শুধু দেশবাসী নয়, দলকেও। কোনওমতে বেরিয়ে গেলে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তিনবার দিল্লির কুর্সি। হোক না মিথ্যা! সত্যি হয়ে উঠবে মিথ।
স্প্যানিশ অভিযাত্রী কমান্ডার হার্নান কর্টেজ সম্পর্কেও একটা মিথ আছে। লাতিন আমেরিকার সভ্যতা, সম্পদ, সংস্কৃতি পৃথিবী থেকে মুছে দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয় তাঁকে। বলা হয় তাঁর নৃশংসতার কথা। তাঁর অভিযানের পরই চিরতরে বিলুপ্ত হয় অ্যাজটেকদের সাম্রাজ্য। কথিত রয়েছে, অ্যাজটেকদের রাজধানী টেনোচতিতিলানে গণহত্যা চালিয়েছিলেন তিনি। ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কলঙ্ক লেগে রয়েছে 
তাঁর কপালে। জনশ্রুতি বলে, কর্টেজ মূর্তিমান শয়তান। কিন্তু এর নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা সত্যিটা কী? কর্টেজ বা স্প্যানিয়ার্ডরা লুটতরাজ চালিয়েছিল, এতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কারা তাদের পথ 
দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল? রেড ইন্ডিয়ানদেরই একটা অংশ। সহযোগী ছিল তারা কর্টেজের। হত্যালীলা চালিয়েছিল তারাই। কর্টেজ আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। স্প্যানিয়ার্ডরা ফিরে যাওয়ার পর শহর তথা সাম্রাজ্যটাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজটা সেরেছিল গুটিবসন্ত। দেখা দিয়েছিল মহামারী রূপে। ধ্বংস হয়েছিল সভ্যতা। আর একটা মিথ্যা শুধুমাত্র লোকমুখে মিথ হয়ে উঠেছিল। ভারতবর্ষ আজ তাকিয়ে আছে এমনই এক প্যাকেজের দিকে। চোখ ধাঁধানো প্রতিশ্রুতি, মোহ, স্বপ্ন। অন্ধকার বাস্তবের উপর গড়ে ওঠা ঝাঁ-চকচকে ইমারত। ৪০০ পারের স্লোগান। আজ বাদে কাল সামনে আসবে সত্যিটা। হয়তো। কেন এই সংশয়? সবটাই যেন নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপর! নরেন্দ্র মোদি জিতে গেলে সবটাই চাপা পড়ে যাবে প্রতিশ্রুতির চাদরের নীচে। আর হারলে? বেরিয়ে আসবে হাড়-কঙ্কাল। মিথ্যা তখন আর মিথ হয়ে উঠবে না। 
ও হ্যাঁ, দিল্লির ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে বুথের বাইরে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৪০০ পার নিয়ে কী বলবেন? কানহাইয়ার উত্তর ছিল, ‘বিজেপির আসন নয়, মোদিজি ওটা পেট্রলের দাম বলছেন... বিজেপি জিতে এলে।’
28th  May, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
সুখবীর সিং বাদলের উপর হামলার আগের দিনও অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ঘোরাফেরা করেছিলেন অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে একথা জানিয়েছে পুলিস। বুধবার জঙ্গির ...

অণ্ডাল থানার মধুজোর কোলিয়ারিতে পরিত্যক্ত আবাসনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ৮০টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। ওই পরিবারগুলি বৃহস্পতিবার দক্ষিণখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পুনর্বাসনের দাবি করেন। ...

গত বুধবার রাতে ডানকুনির রামকৃষ্ণপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। মৃতের নাম শুকুর আলি (৪০)। তাঁর বাড়ি চণ্ডীতলার কুমিরমোড়ায়। ...

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সহ মোদি সরকারের একাধিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভারতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত লাভজনক। তাই সেখানে উৎপাদন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু

05th  December, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী ১৫/৩ দিবা ১২/৮। শ্রবণা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১৯। সূর্যোদয় ৬/৭/২২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ১০/৪৭। শ্রবণা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে ও ৭/৪৬ গতে ৯/৫৩ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/২৫ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাওড়ায় বধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 

11:15:00 PM

দিল্লি বিমান বন্দরে প্রচুর সোনা সহ আটক ১

10:29:00 PM

কর্ণাটকের তালিকোটি তালুকে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত ৫

10:23:00 PM

বারাণসীতে কালভৈরবের মন্দির পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

10:14:00 PM

পাঞ্জাবের কালিসান গ্রামে চাষের জমি থেকে ৫৯৯ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করল বিএসএফ

09:43:00 PM

পাটনার গান্ধী ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

09:33:00 PM