Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। এই গল্পের প্রচলনের দাপট এতটাই যে, শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে যাওয়ার পরও সম্রাট নিরো প্রবাদবাক্যে রিজার্ভেশন নিয়ে বসে আছেন। অথচ, ৬৪ সালে যখন রোমে আগুন লাগে, নিরো তখন ছিলেন সমুদ্রের ধারে ছোট্ট গ্রাম আনজিওতে। সেখানে তাঁর বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদে। প্রচণ্ড গরমের চোটে ছোটখাটো আগুন তখন লেগেই থাকত। তাই ১৯ জুলাই দূত যখন এসে তাঁকে খবর দিয়েছিল, খুব একটা গুরুত্ব তিনি দিতে চাননি। পরে তাঁর টনক নড়ে। প্রশাসনের পুরো মেশিনারি নামিয়েও কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর রোমকে নতুন করে তৈরি করা, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন... এই সবের জন্য রাজকোষ খুলে দিয়েছিলেন নিরো। আর সবচেয়ে বড় কথা, নিরোর সময় বেহালার আবিষ্কারই হয়নি! লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা যে কখন মিথ হয়ে গিয়েছে, বুঝতে পারেনি ইতিহাস। বুঝতে পারছে না এই সময়কালও। নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর ৪০০ পারের স্লোগানকে। 
কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই স্লোগান? কে ঠিক করেছিল টার্গেট? কোন বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল? কোন কোন সাধারণ সম্পাদক, কার্যকর্তা, বিজেপি রাজ্য ইউনিটের মাথারা ছিলেন সেই বৈঠকে? দিল্লির এক নেতার কথায়, ৪০০ পারের ব্যাপারে কোনও বৈঠকেই আলোচনা হয়নি। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি এবং তাঁর মতো কেন্দ্রীয় নেতারা জানতে পেরেছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের এই পাহাড়প্রমাণ টার্গেটের কথা। যেহেতু কোনও বৈঠকেই এ ব্যাপারে আলোচনা হয়নি, তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এর কোনও ব্লু-প্রিন্টও নেই। অর্থাৎ, কোন রাজ্যে কত করে আসন বাড়াতে হবে এবং কীভাবে সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব... সে নিয়ে এক নয়া পয়সার আলোচনা বিজেপির কেন্দ্রীয় কোনও বৈঠকে হয়নি। ভোটের আগে রাজ্যওয়াড়ি দলীয় রিপোর্ট যেমন পেশ হয়, তেমনটা হয়েছিল। ওখানেই শেষ। সেই রিপোর্টে কিন্তু শক্তিক্ষয়ের ইঙ্গিত ছিল বলেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর। সংখ্যালঘু ভোটারদের ক্ষোভ, মেরুকরণে শিক্ষিত সমাজের বিরক্তি—এই সবেরই উল্লেখ ছিল তাতে। তারপরও নরেন্দ্র মোদি ৪০০ পারের ডাক দিয়েছেন এবং সেটা দলের নেতারাই জানতেন না! মোদির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরাও ‘অব কি বার ৪০০ পার’ শুরু করেছেন বটে, কিন্তু আড়ালে-আবডালে নিজেদেরই প্রশ্ন করেছেন—কীভাবে? নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই যে আপনারা ৪০০ পার বলছেন, সেটা হবে কোন অঙ্কে? রাজ্যওয়াড়ি ব্রেক আপটা কী? তিনি জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘দেশজুড়ে প্রো-ইনকামবেন্সি হাওয়া বইছে। তাতেই হবে।’ অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভোট পড়বে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে। কীভাবে তিনি সেই হাওয়া বুঝলেন? বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলেতে যখন আসন কমে যাওয়ার নিশ্চিত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে... প্রো-ইনকামবেন্সি হাওয়াটা ঢুকল কোথা দিয়ে? সেই উত্তর শুধু জয়শঙ্কর কেন, বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারাও দিতে পারছেন না। নরেন্দ্র মোদিও না।
ভোটপর্ব শুরুর মুখে মোদিজি লাগাতার বলছিলেন, ৪০০ পার হবেই। বিজেপি নিশ্চিত। তিন দফা ভোটের পর ৩৭০ বা ৪০০ পারের অঙ্ক বেমালুম চেপে গেলেন তিনি। তারপর হঠাৎ আবার বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের ৪০০ পার করানোটা আমার চাহিদা নয়, জনগণের ইচ্ছে।’ মানে ভাবটা এমন, ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁর কানে কানে এসে বলে গিয়েছেন, আপনি ৪০০ পার করছেন। আচ্ছা, না হয় ধরে নেওয়া গেল ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁকে এই ইচ্ছের কথা জানাননি। তাহলে কতজন জানিয়েছেন? ১০ কোটি? এক কোটি? এক লক্ষ? ১০০ জনও কি জানিয়েছেন? তাহলেও জানতে ইচ্ছে করে, কোন কোন রাজ্যের মানুষ এমন আশাবাদী। দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্য থেকে ৪০০ পারের কথা কেউ বলবে বলে মনে হয় না। এমনকী, কর্ণাটকেও বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা ১৪-১৫টার বেশি আসন দেখছে না। অথচ গত লোকসভা ভোটে এই রাজ্য থেকে ২৫টা আসন পেয়েছিল মোদির দল। কৃষক ইস্যু যে সব রাজ্যে প্রভাব ফেলেছে, তাঁরা বলবেন না। মণিপুর বলবে না। প্রাপ্য টাকার জন্য বছরের পর বছর ধুঁকতে থাকা বাংলাও বলবে না। তাহলে ৪০০’র বৈতরণী পার কে করাবে? মোদিঝড় যে নেই, সে ব্যাপারে তো বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো চলে। তাহলে কি ইভিএম? 
ভোটদানের হার প্রতি দফার পর প্রকাশে ঢিলেমি দেখানোর জন্য নির্বাচন কমিশন এমনিতেই বিতর্কে জর্জরিত। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বুথমুখী ভোটারদের যে হার দেখা যাচ্ছে, পরের এক ঘণ্টার হিসেবে ৪-৫ শতাংশের ফারাক হচ্ছে কীভাবে? ওই বাকি অংশটুকুই কিন্তু দিনের দিনে দিতে ‘অপারগ’ ছিল কমিশন। তাই বিরোধীরা তো গলা ফাটাবেই। কমিশনকে বিজেপির বি টিম বলে কাঠগড়ায় দাঁড়ও করাবে। ৪ জুন ফলাফল বেরনোর পর যদি দেখা যায়, অধিকাংশ আসনেই বিরোধীরা বাজিমাত করেছে, তাহলে এই বিতর্ক ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি যদি সত্যিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে ডালের মধ্যে কালোপানা অংশ বিরোধীরা খুঁজে বের করবেই। তবে তেমন কিছু হয়তো হবে না। কারণ, বিজেপির অতি ভক্তও দূরবীন নিয়ে ৪০০ দেখতে পাচ্ছেন না। কর্মীরা এখনও জানেন না, কোন কোন কেন্দ্রে বাড়তি জোর দেওয়ার ছিল, বা শেষ দফায় দিতে হবে। কোন ধরনের ভোটারদের মগজ ধোলাই এই ৪০০ পারের টার্গেটের জন্য জরুরি ছিল? কোন রাজ্যে কত আসনে জয় ধরে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ৪০০ পার স্লোগান তুলেছেন এবং লাগাতার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন?
কী বলা যায় একে? ফাটকা? নাকি স্রেফ ধাপ্পা? ফাটকা কেন? নরেন্দ্র মোদি হয়তো ভেবেছেন, একটা সংখ্যা ছুড়ে দেওয়া যাক। ঝড় না থাকুক, খানিক হাওয়া তো আছে! তাহলেই এই সংখ্যার স্রোতে পাবলিক ভেসে যাবে, আর ভোট দেবে। না মিললে? যতটুকু পাওয়া যাবে, সেটাই লাভ। আর ধাপ্পা কেন? মোদি জানেন, তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে নেমেছে বিজেপি। থুড়ি, মোদি জনতা পার্টি। দলের কাঠামো, শীর্ষ স্তর, আদি নেতা, বাজপেয়ি ঘরানা... সবকিছু একা হাতে কফিনবন্দি করেছেন তিনি। গোটা দলটাই এখন তাঁর উপর দাঁড়িয়ে। এটাই তো চেয়েছিলেন মোদি! একাই নায়ক। এক ব্যক্তি, এক মিথ। কিন্তু একনায়কতন্ত্রের একটা মুশকিল আছে—সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন তাঁর হয়, ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায়ও চাপে তাঁর কাঁধে। তাই হয়তো মরিয়া হয়ে আরও একটা জুমলা। এবার শুধু দেশবাসী নয়, দলকেও। কোনওমতে বেরিয়ে গেলে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তিনবার দিল্লির কুর্সি। হোক না মিথ্যা! সত্যি হয়ে উঠবে মিথ।
স্প্যানিশ অভিযাত্রী কমান্ডার হার্নান কর্টেজ সম্পর্কেও একটা মিথ আছে। লাতিন আমেরিকার সভ্যতা, সম্পদ, সংস্কৃতি পৃথিবী থেকে মুছে দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয় তাঁকে। বলা হয় তাঁর নৃশংসতার কথা। তাঁর অভিযানের পরই চিরতরে বিলুপ্ত হয় অ্যাজটেকদের সাম্রাজ্য। কথিত রয়েছে, অ্যাজটেকদের রাজধানী টেনোচতিতিলানে গণহত্যা চালিয়েছিলেন তিনি। ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কলঙ্ক লেগে রয়েছে 
তাঁর কপালে। জনশ্রুতি বলে, কর্টেজ মূর্তিমান শয়তান। কিন্তু এর নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা সত্যিটা কী? কর্টেজ বা স্প্যানিয়ার্ডরা লুটতরাজ চালিয়েছিল, এতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কারা তাদের পথ 
দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল? রেড ইন্ডিয়ানদেরই একটা অংশ। সহযোগী ছিল তারা কর্টেজের। হত্যালীলা চালিয়েছিল তারাই। কর্টেজ আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। স্প্যানিয়ার্ডরা ফিরে যাওয়ার পর শহর তথা সাম্রাজ্যটাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজটা সেরেছিল গুটিবসন্ত। দেখা দিয়েছিল মহামারী রূপে। ধ্বংস হয়েছিল সভ্যতা। আর একটা মিথ্যা শুধুমাত্র লোকমুখে মিথ হয়ে উঠেছিল। ভারতবর্ষ আজ তাকিয়ে আছে এমনই এক প্যাকেজের দিকে। চোখ ধাঁধানো প্রতিশ্রুতি, মোহ, স্বপ্ন। অন্ধকার বাস্তবের উপর গড়ে ওঠা ঝাঁ-চকচকে ইমারত। ৪০০ পারের স্লোগান। আজ বাদে কাল সামনে আসবে সত্যিটা। হয়তো। কেন এই সংশয়? সবটাই যেন নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপর! নরেন্দ্র মোদি জিতে গেলে সবটাই চাপা পড়ে যাবে প্রতিশ্রুতির চাদরের নীচে। আর হারলে? বেরিয়ে আসবে হাড়-কঙ্কাল। মিথ্যা তখন আর মিথ হয়ে উঠবে না। 
ও হ্যাঁ, দিল্লির ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে বুথের বাইরে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৪০০ পার নিয়ে কী বলবেন? কানহাইয়ার উত্তর ছিল, ‘বিজেপির আসন নয়, মোদিজি ওটা পেট্রলের দাম বলছেন... বিজেপি জিতে এলে।’
28th  May, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...

মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য অসম পুলিসের। শ্রীভূমি জেলার পুলিস হাতিখিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে দেড় লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

10:48:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর

10:46:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ নরেন্দ্র মোদির

10:45:00 PM

দিল্লি এইমসে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

10:42:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

10:40:00 PM

প্রয়াত মনমোহন সিং
প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি ...বিশদ

10:35:00 PM