যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
ইস্ট বেঙ্গলকে রীতিমতো গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ রবার্টসন। এই মুহূর্তে ইস্ট বেঙ্গলের স্ট্রাইকিং লাইন আপ তেমন শক্তিশালী নয়। কিন্তু রিয়াল কাশ্মীর দলে সেট হওয়া দুই ডিফেন্ডার আভাস থাপা এবং রাভানন নেই। রক্ষণে দুই বিদেশি লাভডে ও অ্যারন থাকলেও দুই সাইড ব্যাকই নতুন। ইস্ট বেঙ্গলের উইং প্লে বেশ ভালো। রাইট ব্যাক সামাদ আলিও দারুণভাবে আক্রমণে যান। কাশ্মীরের দুই সাইড ব্যাক নবীন গুরুং এবং আর্শদীপ সিং দলে নতুন। দলে তাঁরা কতটা ফিট হবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন রিয়াল কাশ্মীরের কোচ।
কাসিম আইদারার নেতৃত্বাধীন ইস্ট বেঙ্গল মাঝমাঠের মোকাবিলায় ম্যাসন এবং ক্রিজোকে রাখছেন তিনি। আইভরি কোস্টের ক্রিজো আক্রমণাত্মক মিডিও হলেও তাঁকে রক্ষণ ও আক্রমণে ভারসাম্য রক্ষা করতে বলা হয়েছে। তিনি অনেকটা হোল্ডিং মিডিওর ভূমিকায় থাকবেন। দুই স্টপারের মাঝখানে ব্লকারের কাজটি করবেন ম্যাসন। সেটপিসের সময়ে উঠে গিয়ে তাঁকে হেড করতে দেখা যাবে। এই ধরনের প্র্যাকটিস কল্যাণীতে মঙ্গলবার হল। রবার্টসন প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক ফুটবল দলকে খেলান না। প্রথমার্ধে থাকেন সতর্ক। মূলত রক্ষণকে শক্তপোক্ত করে প্রতি আক্রমণে ফুটবল খেলার পরিকল্পনা করে থাকেন। এই স্ট্র্যাটেজিতে তিনি নির্ভর করছেন চেস্টারপল লিংডো, সুভাষ সিং, ঋত্বিক দাস এবং দানিশ ফারুকের উপর। ইস্ট বেঙ্গলের লেফট ব্যাক অভিষেক আম্বেকরের দুর্বলতা আছে দ্রুতগামী উইঙ্গারের বিরুদ্ধে। অভিষেকের বড় পরীক্ষা বুধবার।
গত বছর টেটে রিয়াল কাশ্মীরের হয়ে বেশ কিছু গোল করেছিলেন। এবার টেটের পরিবর্তে স্কটিশ লিগের পরিচিত স্ট্রাইকার কালামকে নিয়ে এসেছেন রবার্টসন।
গত বছর জুনে চুক্তি হওয়ার পর এই ব্রিটিশ স্ট্রাইকার ভারতে ভিসার জন্য আবেদন করেন। ভিসা মঞ্জুরের ক্ষেত্রে রিয়াল কাশ্মীরের চুক্তি ছিল প্রধান বিবেচ্য। ওই সময় ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে বলা হয়েছিল,‘বিশ্বের সবথেকে বেশি মিলিটারি দেখা যায় জম্মু ও কাশ্মীরে। এমন একটি জায়গায় পেশাদার ফুটবলার হিসাবে যাওয়ার আগে আরও একবার ভাবুন।’ তবে কালাম এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে কাশ্মীরে খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেন,‘বিদেশে খেলা আমার স্বপ্ন। স্কটল্যান্ডের তুলনায় ভারতের ফিফা র্যাঙ্কিং কিছুটা নীচে। কিন্তু আমি তো ইপিএলে খেলার সুযোগ পাব না। কাশ্মীরের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। ডেভ রবার্টসন ও তাঁর ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেকদিনের। গুলি- বোমা-পেলেট গানের শব্দর মধ্যে ওরা দু’বছর রয়েছে কাশ্মীরে। আপনারা ঝুঁকির কথা বললেও আমি কাশ্মীরে যাব।’ ব্রিটিশ দূতাবাসে ভিসার ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে কালামের কাশ্মীর নিয়ে করা মন্তব্যটিকে নিয়ে বিবিসি বিশাল করে ‘খবর’ করে। এই খবরের জন্যই কালাম কাশ্মীরের অন্য বিদেশিদের থেকে আলাদা। তাই আই লিগে অভিষেক লগ্নটি স্মরণীয় করে রাখতে চান এই ব্রিটিশ। তাঁকে কি রুখতে পারবেন আপাতভাবে ‘সফট’ স্টপার ইস্ট বেঙ্গলের ক্রেসপি?